নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রুহীর পুতুল : রাজিত বন্দোপাধ্যায়







।। ১ ।।




-- রুহী ? ... রুহী --- কোথায় গেল মেয়ে টা , একদন্ড যদি স্থির থাকে !    
মায়ের সহকর্মীদের সাথে কথা বলবার ফাঁকে রুহী মেন রোডের ফুটপাত সংলগ্ন বড় কাঁচ ঢাকা দোকানটার সামনে দাঁড়িয়ে । মার ডাক কানে এলেও নড়তে পারছে না । পুতুলটার চোখে চোখ পড়তেই তার মনে হল যেন জাদু আছে পুতুলটার চোখে । হঠাৎই ঐ চুল বিহীন ডল পুতুলটাকে ফুটপাতের পাশের বড় দোকানটার শোকেসে দেখে সে এগিয়ে এসেছিল । অনেদিন ধরে তার একটা বড় ডল পুতুলের শখ । অথচ মাথায় চুল নেই দেখে কিঞ্চিত অবাক হয়েই সে আকৃষ্ট হয়েছিল । মা ডাকছে , কিন্তু নড়তে পাড়ছে না সে । পুতুল টা তার মন নিশ্চই পড়তে পারছে , না হলে হঠাৎই তার মাথায় চুল গজাতে যাবে কেন ! নিজের বড় বড় পেলব দু চোখ মেলে সে শিহরিত হতে হতে দেখতে লাগল পুতুলটাকে । হঠাৎ মার ছায়া নিজের পাশে দেখে শোরুমের কাঁচে আঙ্গুল দিয়ে পুতুল টা দেখিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ স্বরে সে বললে ,  
-- মা , আমায় এই জাদু পুতুল টা কিনে দাওনা মা ।    
-- তোমার সব পুতুলই তো জাদু পুতুল লাগে । আমার কাছে অত পয়সা নেই বুঝেছো ? চল এখান থেকে ।   
মা তার হাত ধরে গজগজ করতে করতে হাঁটতে লাগল ।  
-- আমার হয়েছে যত জ্বালা । তিনি তো এই আদুরে মেয়ে আমার ঘাড়ে ফেলে কোথায় ডুব দিলেন । আর এবার ভুগে মর তুই ।   
রুহী কিন্তু তখনও মুগ্ধ দুই চোখে পিছু ফিরে দেখেই চলেছে ঐ দোকানটাকে ।     
                  
                                                                   [ চলবে ]

টাট্টুঘোড়া.. জ্যোতির্ময় রায়



জ্যোতিষীর চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে দেখলাম
পশ্চিমবঙ্গ একটা বিস্কুট।

মন্ত্রী আর বুদ্ধিজীবীরা গবেট।আর মুখ্যমন্ত্রী
 টাট্টু ঘোড়ার মত,টেমসের তীরে পিকনিকে ব্যস্ত।।

আমি ,তুমি আপনারা ,তখন ধর্ষক।

মিডিয়া তখন কপিরাইট বলে চালিয়ে দিয়েছে
ডাক্তার প্রবাসী।।

বাঃ ,আস্ত ঘোড়া তো!
বাঃ হিসু পেয়েছে বলে আপনি বই বিক্রি করেনি।

ম্যাগাজিন এ পদ্যে লিখে বলছেন
      জুয়ার আসর,মদ আর মাগী।


ব্যারিকেট ভাঙার দিন নেই।।


#এবং_ও_তারপর

বিকেলের আসা বাকি... অভিজিৎ দাসকর্মকার।



যতটা পূর্বনির্ধারিত দূরত্ব এগিয়ে গেলে
সুর্যের কক্ষে গোধূলির শব্দতরঙ্গ বিচ্ছুরিত হয়
সেই খানে ছেলেটি উলম্ব  দাঁড়িয়ে
               সূক্ষ্মকোণে জ্যা-মিতি করে
           
চাঁদ যেন আলতামিরা গুহার হলুদ জ্যোৎস্নায় ভাষাস্নান করে
স্তবক থেকে স্তবক
    পরস্পর কৃষ্ণচূড়া দেওয়া নেয়া করে---

সুপ্তি ম্যাডামের অনার্স উচ্চারণে প্রবীন বৃষরাশির অবায়বীয় হাসি মুখ-

নীল তন্তু নিজেকে ফাটিয়ে ছায়া বরাবর উড়ছে

নির্দেশনামায় দেখো,
শুখের অনিবার্য কার্নিশে
তখনও আবশ্যিক বিকেলের আসা বাকি।

উচ্চতা / জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়




পাহাড় উঠেছে খাড়া কোন পরিচয়ে
কালোসাদা দুধজল মাখামাখি।
প্রকল্প ছিল কি ? পরিকল্পনাময় প্রবীন প্রান্তর
পাথরের দ্বীপ তরলজমানো সুখ
বিক্ষোভবিভোর
জিনগত ব্যাপার ছিল না দ্বিপদের
মগজও ছিল না কূট তবে?
সঙ্ক্ষুব্ধ বাষ্পীয় উষ্ণতার বুড়োকাল
ত্রিভঙ্গমুরারি হয়ে আক্ষেপে ফোঁসে।

এই সবুজের ভিড়ে সোনালি ধানের শিষ নেই
আকাশমঞ্জরিরেণু পোড়াবাড়ির ছাই হয়ে ওড়ে
মরা ব্যাঙের মতো পড়ে আছে অন্ধকার
এ উচ্চতায় খুজে নাও
জোনাকির সিগন্যাল নীল ও হলুদ।

তীর্থ যাত্রার পূর্ব কল্প.. আমিনুল ইসলাম




পোয়াতি রাত প্রসব করে আলো
আলো ছায়ায় অন্তরালে প্রেমপর্ব
বটগাছ বিছিয়ে দেয় ছায়া, পাখিরা আশ্রয় খুঁজে নিলে
তুমিও মেখে নাও সবুজ শীতলতা।
মায়াজাল বুনে চলে প্রতিটি অন্ধকার গর্ভপাত,
কোথায় যাচ্ছ সরে সরে সুমেরু সাগর?
অগুণতি প্রেমিকের দল ছেঁকে নিতে দুধের ফেনা
ঠেলাঠেলি বিভেদের মৌতাত।
আমার মৌনতা জুড়ে শুয়ে থাকে
রেড এলার্ট কানা গলি, অলিগলি অন্ধগলি পাকস্থলী
জুড়ে গা বমি বমি। উলঙ্গ শয্যায় বসে থাকা রাত
পিতৃত্ব জাগায় । আমার কামের অ আ ক খ
থেকে ছিটিয়ে দিই মাতৃত্বের মৌলিকতা।
গৌণ বিষয়গূলিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে ভাঙতে হয়
ভাঙতে ভাঙতে গড়তে ভাঙতে পৌঁছে যায় গন্তব্যের গহীন প্রেক্ষাপট। তুমি কুড়িয়ে রাখ খুনসুটি অভিমান।
আমি অভিযানে অভিযানে ভরিয়ে দিলাম
বোতাম খোলার অমনিবাস।

মুক্ত ভালোবাসা.. অয়ন চ্যাটার্জি



মুক্ত অঙ্গে,মুক্ত বিহঙ্গে হয়
   আজও অকারন চোখাচুখি;
জ্বলন্ত হৃদয় মাঝে প্রিয় নাম
  "ভালোবাসা"কে লিখে রাখি।।