নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মা,,, রৌনক হাজরা



পবিত্র গর্ভে ঠাঁই দিয়ে,
হাঁটতে শেখালে আঙুল ধরে,
তোমার চোখে পৃথিবী দেখি,
ভালোবাসা দিলে উজাড় করে।।

বৃথা মা'গো তোমায় ছাড়া,
দুর্গা রূপে বিরাজ করো,
জ্বরের রাতে অশ্রু নিয়ে,
বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরো।।

দুঃখে যখন একলা থাকি,
কারণ ছাড়াই ডাকো আমায়,
বাইরে যখন দি পাড়ি,
বিপদ নেই তোমার প্রার্থনায়।।

সবাই যখন তুচ্ছ বলে,
ফেলে দিলো মাটির বুকে,
শিখিয়ে দিলে লড়তে আমায়,
কাছে বসিয়ে যত্নে ডেকে।।

স্বর্গ পাই মায়ের কোলে,
আঁচল যেন শান্তির ছায়া,
আর জীবনে চাইনা কিছু,
মিটে গেছে সমস্ত চাওয়া ।।

প্রতি জনম মায়ের রূপে,
জঠোর মাঝে দিয়ো ঠাঁই,
প্রতিবার তোমার মুখে,
খোকা ডাক শুনতে চাই।।

   

আছি. ... রুদ্র সুশান্ত



বসে আছি
প্রেমের বুদঁবুদেঁ সাঁতারে আছি
করুণভাবে আছি
মোহ-প্রেমে ডুবে আছি
প্রেমিকার কাছাকাছি।
আমি একলা আছি
কোয়াবে আছি
নদীর ধারে বসে আছি
কোথায় আছে দূরে-কাছে
এ মনের মন মাঝি।
  লিপ্ত আছি
কানে আছে লেগে প্রেমিকার হাসি
আমি উন্মুক্ত, বনের মৌমাছি।
কাছে-দূরে ঘোরে আছি
না মরে বেঁচে আছি।

আমি... দেবলীনা অধিকারী



ঝরা  পাতার শব্দ  শুনি
বয়ে যাওয়া নদীর স্রোতে শান্তি খুঁজি
ভালোবাসার  আমি কি ই বা বুঝি!
কবি নই, আবৃত্তি কার নই,
নই শিল্পী  কিংবা গীতিকার
নই নাম যশ খ্যাত নারী
ভালোবেসে পুড়তে জানি
অভিমানে নীরব হতে মানি
উড়েযাওয়া পাখিদের -
ডানার  পালক ধরেই স্বপ্ন দেখি,
রোদের পরশ গায়ে মাখি
নাম না জানা ঠিকানা তে চিঠি লিখি
ঐ যে দেখা যায়-দূরে
কবিতার জানালা , সুরের খিড়কি
মই বেয়ে সব শব্দ রা আকাশে দিয়েছে পাড়ি ! ! !.....

আমার এদেশ...... মুহাম্মদ মাহমুদ হাসান



আমার এদেশ আলতো পরশ
প্রভাতশিশির ছুঁয়া
ভোরের পাখি পালতু সরস
কোকিল কাকাতুয়া।

আমাদের এদেশ হিজলডালে
গোলাপ-জবার হাসি
পল্লীগাঁয়ে দীঘল খালে
শাপলা রাশি রাশি।

আমার এদেশ নীল সবুজাভ
লাল পতাকার ছবি
মায়ের স্নেহ,রাগ-অনুতাপ
দুপুরতেজী রবি।

আমার এদেশ মুকুট বাহার
শহীদ-গাজীর শিরে
পাঁজরবাঁধা অটুট পাহাড়
পদ্মাজলের তীরে।

পৌঁছায়নি এখনও...... অনিন্দ্য পাল


ওয়াটার প্রুফ প্যাকেটে মুড়ে পাঠিয়েছি সন্তান
অথচ একবারও প্রাপ্তি স্বীকার করেনি কেউ

আমার আর সেই ডাকদেশের মধ্যে আছে মনে হয়
অমীমাংসিত কোনও কৃষ্ণ গহ্বর
সমস্ত অক্ষর, মাত্রা আর যতি পাল্টে চলেছে নিয়ত
অভিশপ্ত অসীম ক্ষুধায় ...

অসংখ্য শব্দ ঝনঝন করে টুকরো হবার আগে
কোথায় তলিয়ে যায় অন্ধকূপের যোনিতে
হয়ত অন্য কোথাও জন্ম হয় আবার
অন্য কোন উচ্চারণে

অতীত মুছে ফেলা সেই সব জারজ সংলাপ
বড় চেনা মনে হয়
তবু চিনতে পারি না একবারে
মনে হয় যেন সব কটা মুখোশের নিচে শুয়ে আছে
আমার অলাজ মুখ ...

ম্যাসোচিস্ট..... অভিজিৎ দাসকর্মকার



এক বালতি জল তাকে
বেগের মান অভিমুখের পরিবর্তনহীন সমত্বরণে রাখা মাত্রই
দ্বিতীয় পুলকেশি শিলালিপি লেখে
অশ্বক্ষুরাকৃতি মালভূমিতে।

অসংখ্য ব-দ্বীপে অশান্ত গঙ্গার পলি পড়ে জীবাশ্ম হয়েছে আজ
ছোট বালিয়াড়িতে ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
সি-ইউ-কি র পাতা ওল্টায় আর
তৃতীয় গতিসূত্রে নিউটনের সাক্ষাৎকার নেয়

যে স্লোগানটি উত্তোলনের পর বি-বা-দি বাগে ফটকা ফেটেছিল
আর্কিমিডিসের বাউন্ডারি ভেঙে উপচে পড়া জলে পিছল খেয়েছিল
ফরাসি শব্দের সামনে রাখা বেদের আরণ্যক ভাগ।

অথচ মুখ শুকনো করা লাইন হাতে বনলতা কবি আজও দাঁড়িয়ে
কাঁধে দাঁড়ি-ব্যাগ আর
সেই বিখ্যাত ম্যাসোচিস্ট ট্রাম...**