নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বৃষ্টির ধ্বনি : মৌ সাহা




ক্লান্তিহীন শুনশান শহরের বুকজুড়ে বিষাদময় প্রহর,
অবিরাম গতিতে ছুটেচলে নির্দিষ্ট সময়।
ল্যাম্পপোস্টের ক্ষীণ আলোয় অচেনা ঝিঁঝিঁ পোকাদের শোরগোল,
ভেসেআসা করুণস্বরে সাইরেনের সুর।
শ্রাবণধারায় ভিজে পরিশ্রান্ত নীড়হারা পাখি।
আনমনে ভাবে মন কত অলীক কল্পনা,
মৃদু আলোয় বৃষ্টির ফোঁটায় অবারিত প্রশ্নের ধারাপাত।
ঘুমন্ত শহরের বুকজুড়ে মানবতার আর্তনাদ ভেসে আসে।
ভেজা শরীর বেয়ে নেমে যায় অতৃপ্ত বাসনা,
কারা যেন ফিসফিস করে বলে তুমি নিষ্পেষিত।
ধোঁয়াহীন কফির মগে উষ্ণতার ছোঁয়া জাগে।
খুঁজেফেরে বিশ্বস্ততার ছায়াশীতল পরশ মাখা ভোর।

আলো-ছায়ার কথামালা : হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়






।। উনিশ ।।

নদীর পাশে এসে একবার দাঁড়ালেই হলো। কত কথা যে মনে পড়ে যায়। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আমার সব হারানো অতীত নদীর শাখাপ্রশাখার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বরং এর উল্টোটাই। কিন্তু তবুও নদীর হাত ধরে আমি অনেক অনেক দূরে চলে যাই। আমার ফেলে আসা পথ। আসলে আমার জীবনের বেশিরভাগটাই নদীকে পাশে নিয়ে কেটেছে। ঠিক একইভাবে গাছের পাশে দাঁড়ালেও আমার অনেক কিছু মনে পড়ে যায়। এক একটা পাতা খসে পরে আর আমিও একটু একটু করে পিছনে চলে যাই। আসলে গাছ নদী ----- এসবই এক একটা প্রবাহ। ঠিক মতো পা মেলাতে পারলে আমরা যেখানে খুশি উড়ে যেতে পারি।


।। কুড়ি ।।

আমাদের ছাত্রজীবনে আমরা শীতকালের পুরোটাই ঘুড়ি উড়িয়ে কাটাতাম। নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে আমাদের বাৎসরিক পরীক্ষা হয়ে যেত। এরপর দুপুর বিকেল জুড়ে চলত আমাদের ঘুড়ি ওড়ানো। একসঙ্গে অনেকজন মিলে নয়। দুজন কি চারজনে আমরা কিছু খেয়েই বারোটা নাগাদ ধান কাটা মাঠে নেমে পড়তাম। একটু দূরে দূরে আমরা বসে পড়তাম যে যার নিজের নিজের ঘুড়ি নিয়ে। আজকালকার ছেলেমেয়েরা বিশ্বাসই করতে চাইবে না যে, আমরা ঘুড়ি ওড়াতাম অথচ কাটাকাটি খেলতাম না। এইভাবেই আমাদের মনে ছোটবেলা থেকেই কেটে দেওয়া, ছিঁড়ে দেওয়া প্রভৃতি বিষয়গুলো স্থান পায় নি।

একটি ফ্লাশব্যাকমুখর কবিতা : সৌমেন দাস





পুরনো খামের তহবিলে
বস্তাপচা যন্ত্রণা সব নীল হয়ে যায়,
সোয়ালোপাখির মতো আনাগোনা করে স্মৃতির আর্কাইভ!

মনমেরুদেশে শ্যাওলা জমে গেছে সে তো বহুদিন হল,
ঘোর গৃহস্থ বয়সে তবু প্রেম ডানা ঝাপটায়…

সবুজ যন্ত্রণা যত ছিল গোলাপি মুগ্ধতায় তারা মাঝে-মাঝেই লাঞ্চটেবিলে কথা কয়,
স্মৃতিপিপিলিকার কামড় যে বড়ো মধুর লাগে আজ…

মন-অ্যাকোয়ারিয়ামে ভেসে ওঠে
প্রথম সেই কাছে আসা
প্রথম স্পর্শ
আর প্রথম শীৎকার…

✍️সম্পাদকীয়...




উষ্ণ ভীষণ শরীরে যেমন, রক্ত গরম, দেশ তখন ভোটময়,
মৃত্যুকে কেউ চুমু খায় রোজ, এই দেশ তারও যে নয়,
তাই ঘামের গন্ধে মন পোড়াবে, নয়'ক চুমু নয়'ক চা,
                       শুধুই "#উষ্ণতা"


শব্দবাণ "উষ্ণতা", আমার তোমার আমাদের সবার জীবনে কোথাও না কোথাও উষ্ণতার ছোঁয়াচ লেগেই থাকে। সেই সমস্ত উষ্ণতার গল্পের কোনটায় আসে প্রতিবাদের পুরা বারুদ গন্ধ , তো আবার কোনোটা প্রেমের মিছিলে প্রজ্বলিত মশাল কিংবা আবার বিষাদের স্লোগান মেখে সাজে কিছু ব্যক্তিগত কাহিনী। এই ভিন্ন স্বাদের মিশেলে সুসজ্জিত এবার আমাদের নিকোটিনের "উষ্ণতা" সংখ্যা , যার উষ্ণ আঁচ সেঁকুক মনপ্রিজমের গহীন কোনগুলো।

গভীর রাতে যখন মুখোমুখি শুকতারা আর কালপুরুষ,
অযন্ত্রিকতার উল্কাপাত নোনতা জলে;
টেলিগ্রামের বোবা জবাবে হয় ছন্দ পতন,
মনের জমিদারি ভেজা দেশলাই খোলে....

তাই ফিরে আসা একদম নতুন রূপে ,নতুন ভাবে ,পুরোনো কিছু স্মৃতি নিয়েই ,রোজ মরতে মরতে আবার বেঁচে থাকা ।শুধু " তোমার আমার কথা" বলবে বলে ,
যে কথা কোনোদিন হয়নি বলা , যে কথা শুনতে চায় নি কেউ
যে কথা পাহাড় সমান ,যে কথা লুকিয়ে বালিশ ভেঁজায় ,অভিমান।
সেই কথা গুলোকে নিয়েই আবার "নিকোটিন " ফিরে আসা। কিছু স্বপ্ন ,কিছু আবেগ ,কিছু ভালোবাসাকে বাজি রেখে হোক চলা পথ ফের।
কোথায় হারিয়েছো পথিক,ভিড়ের মাঝে ,খুঁজে নিতে তাই ফিরছে ,কাফের!


অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে ,যিনারা লেখা লেখা পাঠিয়েছেন,অনেক অনেক ধন্যবাদ ,যিনারা এখনো নিকোটিন এর কথা মনে রেখেছেন। প্রায় 250 জন লেখা'র মধ্যে এই 10 দিনের মধ্যেই একটা ম্যাগাজিন বের করা ,সহজ নয় ,তাই হয়তো সবার লেখা নেওয়া সম্ভব হয়নি ,প্রাপ্ত সব লেখাই ছিল অসাধারণ গুণ সম্পন্ন ,তাই যাদের লেখা নেওয়া হয়নি হতাশ হবেন না ,শীঘ্রই শুরু হচ্ছে আমাদের "সকাল বেলা ,চায়ে কাপে চুমুক দিতে দিতে পড়ে নেবেন তো ?
সঙ্গে আবার আসছে প্রতি রবিবার ধারাবাহিক ভাবে "উপন্যাস, গল্প কিংবা আপনার ডাইরির খাতার না বলা কথা গুলো নিয়ে ।


এবারের সংখ্যায় বিশেষ আকর্ষণ সবার প্রিয় তিন কবি  অভিষেক কর,কৃপা বসু ও অর্ঘ্যদিপ আচার্য্য লিখছেন ,অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের সঙ্গে থাকবেন এভাবেই এই আসা রাখি বারবার।

এছাড়াও লিখছেন বাস্তববাদী কবি অতনু নন্দী ,হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতো শ্রদ্ধেয় গুরুজন।
এছাড়াও আরো অনেকে ,সবার কাছে তাই চির কৃতজ্ঞ।
সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন ,সঙ্গে থাকুন ,পাশে থাকুন ,যেমন ছিলেন আগেও ,এই আসা রাখছি ,থাকবেন তো ?


                                              ধন্যবাদান্তে ,
                                        মল্লিকা দাস
                                          (সভাপতি )
                                     ও নিকোটিন পরিবার






এবার দেখে নেওয়া যাক ,কাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ফিরে এলো নিকোটিন

(নিকোটিন এর নতুন টিম )


মান্নুজা খাতুন (সম্পাদক)






রীনা চৌধুরী (সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার )






পিন্টু মাহাতো (মিডিয়া ম্যানেজার)



"উষ্ণতা "সংখ্যার সুচিপত্র ✍️




✍️কবিতা

অর্ঘ্যদীপ আচার্য্য
অভিষেক কর
ইন্দ্রাণী
তপন কুমার মাজি
মো.রফিকুল ইসলাম
জয়ন্ত দত্ত
প্রভাত মণ্ডল
অলোক মিত্র
রিফাত ফাতিমা তানসি
রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
তন্ময় চৌধুরী
নবনীতা সরকার
তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
অজাত শত্রু
মল্লিকা দাস
রাজিত বন্দ্যোপাধ্যায়
রিয়া ঘোষ
অঞ্জন দাস মহাপাত্র
কার্তিক ঢক্
সুতনু হালদার
জয়ীতা চ্যাটার্জী
দেবাশ্রিতা চৌধুরী
রিঙ্কু মণ্ডল
সজীব বড়ুয়া বাপ্পী
সন্দীপ দাস
ভগীরথ সর্দার
কুনাল গোস্বামী
সত্তাপ্রিয় বর্মন
রবি মল্লিক
 দেবলীনা চক্রবর্তী
বৈশাখী চক্কোত্তি
জয়দীপ সেন
মহঃ ওলিউল ইসলাম
সুজাতা মিশ্র(সুজান মিঠি)
অভিজিৎ দাসকর্মকার
কিশলয় গুপ্ত
উত্তম মণ্ডল
অতনু নন্দী
 মান্নুজা খাতুন
প্রীতি
কাজী জুবেরী মোস্তাক
ঋভুব্রত পাল
মোঃআলিফ
জয়তী দাস
ঋজু
রমা সিমলাই
নাহার নাসরিন

✍️অণুগুল্প
কৃপাণ মৈত্র
✍️গল্প

রাণা চ্যাটার্জী
প্রীতি দাস
দীপঙ্কর ঘোষ

শ্যামাপদ মালাকার

✍️গুচ্ছ কবিতা

দীপান্বিতা সরকার
অনিন্দ্য পাল

✍️দু এক কলম:


কৃপা বসু
রীনা চৌধুরী
অভিজিৎ পাল
দেবযানী ভট্টাচার্য্য
 ঈশিতা দেবনাথ

আমার গল্প লেখা এখনো শেষ হয়নি :রীনা চৌধুরী




আমার গল্প লেখা এখনও.... শেষ হয়নি। সেই প্রথম শুরু ছিল গল্প লেখার,আর আজও লিখে চলেছি। তারপর থেকে কেবল গল্প লিখেছি.... কেবল গল্প! যেই গল্পে আমি ঘুরে বেড়িয়েছি.... শান্ত নদী,বিশাল বিশাল সব পাহাড়,কিছু মনোহরন করা জঙ্গল,সে আরও অনেক দৃশ্য আছে,অনেক রকম ঘুরে বেড়ানোর পথ.... এই ধরো যেমন পথ খুঁজতে বাঁক এসেছিল কত্ত। সেদিনের গল্প লেখার শুরুতে পথের দিশা দেখিয়েছিল কোনো এক আগন্তক। আর ঠিক সেখানে,সেখানেই... সমাপ্তির সূচনা ছিল অহেতুক। বোঝার ভুল?নাহ্ জানিনা কার। শুধু জানি  একজন আগন্তক ছিল সে,যার আগমন আর নিমেষেই উঁধাও সম্ভব। ঠিক যেমনি করে নৌকাডুবি ঘটেছিল কোনো এক ঝড়ের রাতে।  দেখো আমার গল্প লেখা এখনো...শেষ হল না।আর হ্যাঁ গল্প....আমি লিখবোই। তা সে হোক না,অল্প অল্প করে একটা গল্প লেখার চেষ্টা; ঠিক যেমন বিন্দু বিন্দু তে সিন্ধু গড়ে ওঠে।  আমিও লিখবো, গড়ে তুলবো একটা মন মতো গল্প। তা হোক না সেই গল্পে...পাহাড় এর রঙ এক্কেবারে ফিকে,রঙচটা। হোক সেখানে নদীর উচ্ছ্বাস কোনো এক মোহনার কাছে মাথা নত করে শান্ত হয়েছে। অথবা ধরো যে জঙ্গল,বনভূমি আমার মন কেঁড়ে নিতো এক  লহমায় সেটাও এখন ব্যার্থ;তা কেবল শূন্যতা পরিপূর্ণ,ধূঁ ধূঁ করছে ওই ফাঁকা স্থান টা। তাহলেও কোনো ক্ষতি নেই।  আর,হ্যাঁ সর্বোপরি আমাদের সেই...হাতে হাত না রেখে হেঁটে যাওয়া সেই সমুদ্র টা হোক উথ্থাল.... তার উন্মাদনা....কেবল প্রশ্রয় পাক আজ। আর আমাদের সাজানো গল্পটা না লেখাই হয়ে থাক।।