নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

ছাঁচের আদলে : ভগীরথ সর্দার








চারিদিকে স্তাবকতা জড়ানো ভোর
শিশিরের অজুহাতে মাখছি জল
কি গভীর তোমার শঠতা ।   বাড়ছে
আমি সমর্পনের গা-ঘেঁষে এসে
                                       দাঁড়ালাম।

কুমারী স্নানে রোদ পড়ে
জড়তা ভাঙছি ছাঁচের আদলে

তুমি মুখোশ পরে এসে স্বপ্ন দেখালে 

ক্লান্ত দুপুর ও রাখাল ছেলে....: কুনাল গোস্বামী





শূন্য উঠোনে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে কিছু মাটির খেলনা আর পুতুল 
তা নিয়ে খেলতে ব্যস্ত ক্লান্ত দুপুর, 
দূরে কোথাও শোনা যায় হিংস্র সমুদ্রের অগণন উত্তাল ঢেউ'য়ে সর্বস্ব হারানো নাবিকের আর্তনাদ 
তাতে আর কিইবা আসে যায় নির্বাক নির্জন বালুকা তটের
দর্শকের আসনে বসে রঙিন চলচ্চিত্র দেখতে কারই না ভালো লাগে?
ভালো লাগে সবারই তো বটে!

ছবির মতো সুন্দর গ্রাম, পরদে পরদে মাটির সুগন্ধ 
দু'দিকে সোনালী ধানক্ষেতের বুক চিড়ে ঐ দূরে এগিয়ে গেছে আলপথ
একমুঠো গোধূলির আলো তার ছোট্ট অন্ধকার কুঁড়ে ঘরে নিয়ে যাবার আশে
ছুটে চলে রাখাল সেই পথে
হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটে দিগন্তের শূন্য প্রান্তরে 
ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ঘর ফেরা পাখিদের শব
সেই বিস্ফোরণের সাদা ধোঁয়ায় হারিয়ে যায় রাখাল ছেলে
তাতে কিইবা আসে যায় অন্ধকারের ;

সেই ক্লান্ত দুপুর, সেই রাখাল ছেলে এখনও হয়তো বর্তমান 
যেখানে হিংসা নেই, নেই কোনো ক্ষমতা লাভের লোলুপ দৃষ্টি 
যেখানে সেই ক্লান্ত দুপুরের কোলে মাথা রেখে নির্ভাবনায় ঘুমোতে পারবে সেই রাখাল ছেলে

শহর বড় কাঁদছে :সত্তাপ্রিয় বর্মন





শহরে ভালবাসা হারিয়ে গেছে, 
কেউ কাউকে ভালোবাসে না 
ওই কালো পিচ পুড়িয়ে দেয় মানুষের মন 
পরে থাকে রক্ত। 
দাঁড় কাকের দল রাস্তা জুড়ে মাংস পিন্ড নিয়ে 
কাড়াকাড়ি ক'রে ছড়িয়ে দেয় মৃত্যু জঞ্জাল - 
এসব দেখে এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা 
কঙ্কাল গাছটিও শুকনো মুখ সরিয়ে নেয়। 
একলা মানুষ গুলো কান্না দিয়ে শহর গড়ে 
শহর বড় কাঁদছে
বিষন্ন ক্ষুধার্ত হৃদয়ে। 
একটু ভালোবাসা চাই, 
তুমি জানো? সত্যি জানো ভালোবাসতে?
তাহলে এসো, ভালোবাসো।
যে ভালোবাসার কোনো নাম হয় না, 
অখণ্ড সার্বজনীন এক ভালবাসা
যে ভালবাসা একদিন দিয়েছিল এ পৃথিবী আমায় 
যে ভালোবাসায় আমি আজ আর আমি নেই 
যে ভালোবাসায় শহরে রডোডেনড্রন ফুটতে পারে। 
তাকে খুঁজে পাচ্ছি না
হারিয়ে গেছে শহরের দুঃখে। 

প্রেমিকা : রবি মল্লিক




আষাঢ়ের তপ্ত দুপুর পেরিয়ে যখন বিকেলে
কৃষ্ণ কালো মেঘ জমাট বাঁধে গগন আঙিনায়;
বলাকা সারির ছুঁয়াছুঁয়ি খেলা,
দিঘির জলে হাঁসেদের মেলা,
আর স্নিগ্ধ শীতল উত্তাল বাতাস তোমার
আগমনের বার্তা দিয়ে যায় আমার জানালায়;
এই নিয়ে আমাদের সম্পর্কের মেয়াদ বছর পঁচিশ,
তবু আবিস্কার করেছি তোমায় সহস্র ভিন্ন রূপে!
খুঁজেছি তোমায় নতুন করে চেনার পথের হদিশ,
পেতেছি প্রেমের বাসা আমার হৃদয় দ্বীপে৷
                                                   
তোমার মেঘের কাজল পরা চোখের অপলক দৃষ্টি,
পাগলা হওয়ায় গাছগুলিতে উড়ন্ত কেশের বাহার,
বিদ্যুতে বুনট করা আঁচল,
মায়াবী চোখের চাউনি সজল
আর মেঘের ভেলায় চড়ে তোমার ভেসে যাওয়া,
মনে করিয়ে দেয় আমাদের প্রথম আলাপের উপহার;
আজও তুমি নবরূপে চিনিয়েছ নিজেকে আমার কাছে,
আঁচলে বিদ্যুতের সংখ্যাও বেড়েছে অনেকটাই!
রূপের নকশা এঁকেছি মন দিয়ে; ভুল হয়ে যায় পাছে
ক্যানভাসে পার্থক্য স্পট, ভিন্ন প্রায় সবকটাই৷

উষ্ণতা ছাড়িয়ে : দেবলীনা চক্রবর্তী







আমিও চাই শীতল হতে ,
  এই উষ্ণতাকে ছাড়িয়ে উঠে
 আবার চাই শীতল হতে !

 প্রকৃতি তুমি প্রেমিক হয়ে ,
 ঝড়ে পরো এই পাথর বুকে 
 এই গুমোট আগল ভেঙে -
  বৃষ্টিফোঁটায় দাও আমায় ছুঁয়ে !

আমি তো তেমন কঠিন নই 
 আঘাত করো ,ভাঙো - 
   কান্না দিয়ে ভেজাও ,
ঘন মেঘের কোলে মিশে -
 আমায় আবার গভীর করে দাও !

 প্রকৃতি তুমি প্রেমিক হয়ে এসো
 তোমার প্রেমের আলিঙ্গনে ,
     আমায় আবার তৃপ্ত হতে দাও !

তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে: বৈশাখী চক্কোত্তি





তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে"
"চক্ষে আমার তৃষ্ণা
ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে "।
দারুণ দহনে জ্বলছে আজ
হৃদয় কেন মরুচরে।।
আসুক ঝঞ্ঝা, উড়ে যাক সবকিছু
হোক তপ্ত হাওয়ার অবসান। উঠুক ঝড়ের নিশান।
ক্ষুধার্ত মন ভাসে সুদূর শূন্যতায়
সময় আগত, অবগুণ্ঠনের হোক না অবসান ।।
এ এক বৃষ্টিবিহীন বৈশাখের তপ্ত দিন
রুক্ষতায় ভরা বেরঙিন, স্বপ্নহীন ।
প্রান কেন পোড়ে,  কিসের সন্তাপের তরে?
সময় আনে পরিবর্তন, আশার নতুন দিন ।।
মৃদঙ্গে ধ্বনি ওঠে দৃমি দৃমি দুরু দুরু
বীণার ঝঙ্কারে মেঘমল্লার বিস্তার ছায় দু' মেরু।
অশনি গর্জে ওঠে গুরু গুরু গুরু গুরু ।
 দুরন্ত বর্ষণ খেলে, সন্তাপান্তে পুনর্জন্ম শুরু।।