নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সখী ভালোবাসা কারে কয় : রিয়া ঘোষ





কেউ কি বলতে পারো,বুকের রক্ত  কতোটা শুকোলে  বৃষ্টি নামে দুচোখে?
কতোটা অভিমান জমলে হাড় হিম হয় রাতে...!

কেউ কি বুঝতে পারো,কতো কথা জমা হলে
ওষ্ঠ অসাড়তা খোঁজে  ?
কতো হাজার মরণ পেরিয়ে প্রেম কবিতা হয়ে ফোটে...! 

কেউ কি মাপতে জানো কতো টুকু ভালোবাসলে তবে হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে?
কতোটুকু বিষ মিশলে পরে রক্ত ছলাৎ করে  বুকে  ..!

কতোটুকু ?
ঠিক কতোটুকু ?
জানো কেউ ? 
জানলে  শুধিও আমায়,
শুধিও একটিবার ...!

আমরা কৃষক: অঞ্জন দাস মহাপাত্র


 


  বাবুগো তোমারা থাকো ঠান্ডা ঘরে
  হিমেল হাওয়ার সুখে
  উফঃ কি গরম পড়েছে বলে,দেখাও
  বিরক্তির ভাব মুখে
   মাঠে আমরা থাকি সূর্য তাপে
    মুখ জ্বলে যায় শরীর কাঁপে
   ঘামের স্রোতে স্নান করি রোজ
    দিব্বি বাঁচি ধুঁকে ধুঁকে ।।
   তবু কষ্ট মোদের হয়না বাবু
   যাকনা শরীর জ্বলে
   দুঃখ যত সুখ হয়ে যায়
   সোনার ফসল ফলে
   আমাদের এই ক্লান্ত হাতে,
   ভাত তুলে দেই সবার পাতে;
   খুশির অশ্রু হৃদয় ভেজায়
  শক্তি জোগায় মনবলে
  তপ্ত দুপুরে দগ্ধ শরীর
   তাও আশাকে বাঁচাই বুকে।
   বাবুগো তোমরা থাকো ঠান্ডা ঘরে
   হিমেল হাওয়ার সুখে ।।

নির্বিষ খোলশ :কার্তিক ঢক্




রং চিনি না বলে, হলুদ বসন্তকে
মৌরীফুল ভাবতে পারিনি! 
কোজাগরী আকাশের নর্তকী-ডানায় কালপুরুষ  দেখি...

তোমার প্রোফাইল-পিক এ ট্রিম করা    ভ্রূ-কুঞ্চন দেখি--
লিপস্টিক হাসির হোম থিয়েটার বাজে।

জোয়ারের ডেড-বডি পড়ে থাকে
ভাটার পলিতে।
রাজপথ থেকে ভেঙে যায়
কতো যে অন্ধকার গলি।

রং না চেনাই,   পড়ে থাকে 
নির্বিষ সাপের রংহীন খোলশ। 

পুনর্জাত: সারিফ হোসেন





সহস্র স্মৃতির ব্যয়ভার তোমার-ই চরণে,
বসিয়া আছো তুমি হৃদয়-আসনে
আমার এই কলমে গল্প তোমার নিশীদিন 
উষ্ণতা বাড়িয়ে পুনঃআগমনে স্বাদরে গ্রহণ-- তোমায় নিকোটিন।।

বসন্ত সন্ধ্যায় সুমধুর স্বপ্ন শয়নে
একাকী হৃদয়ের কাব্য উড়ে বেড়ায় তোমারই বিচরণে।
লহ প্রণাম মোর, ধন্য করো এই তুচ্ছরে,
বাসিয়া ফেলেছি ভালো, মনেরই অগোচরে।। 

শক্তি দাও লিখি তোমার বিজয় উল্লাসের গল্পকথা,
লিখি হাজার প্রেমিকার বিরহের কথা।
মোহের মরিচীকায় ক্ষান্ত হোক ক্ষণিক মিলন,
নিকোটিনের জ্বালায় নিপাত যাক এই
            'শুষ্ক যৌবন'।।

চোখ: সুতনু হালদার






ভেজা শরীরে যখন বাড়ি ফিরলাম ঠিক তার আগে পর্যন্ত আমাকে অচেনা দুটো চোখের উত্তাপ ঘিরে ছিল, আগুন-জলের উচ্ছ্বাস অন্তঃস্থলের বিয়োজন চিনে নিতে ভুল করে না

ভুলের কথা যখন উঠলই তখন বলতে দ্বিধা নেই সমস্ত ভুলের অবয়ব জুড়ে থাকে রাশিকৃত মেঘ, ছাউনির আবডালে যুবতি কুয়াশারা ওৎ পেতে থাকলেও থাকতে পারে 

যে কোনো থাকা বা না থাকা যদি বারংবার পরিবর্তিত হয় তখন ধুলোরা ঢেউ তুলে খেলা করতে থাকে, জলে ভেজা শরীর দ্রুত লয়ে আলপথে হাঁটে...

লীনতাপে জর্জরিত চোখদুটির নিজস্ব উত্তাপ, তীব্র ঝলকানি, হৃৎপিণ্ড,যকৃত,ফুসফুসসহ সমস্ত প্রত্যঙ্গের বিপ্রতীপ কোণে বসে থাকা অনিয়তাকার বোধ অবশ করে দিতে দিতে বৃষ্টিকে আলিঙ্গন করে

সময়ের কাছে: জয়ীতা চ্যাটার্জী





সময়ের কাছে সময় এসে থামে, 
কখনো সে শীর্ণতোয়া নদী, 
কখনো পাহাড় ডিঙনো ঝরনার জল, 
বাতাসের কাছে সময়, সময় রাখে যদি। 

সময়ের বার্তা উড়ে গেছে পাখি হয়ে কত কাল, 
মনে রাখেনি  কোন অতীত, রাখেনি ভবিষ্য জাল
সময় সে যেন দূরন্ত এক কালবৈশাখী ঝড়, 
ডানা মেলে চলে যায় মানবীর মতো, ভেঙেচুরে স্মৃতিরঘর। 

কত অরন্য ঘুমিয়ে পড়েছে পাশ ফিরে, 
কত নগর তুমুল বৃষ্টিতে ঝুম, 
কত কথা ভাঙে পাহাড়ের কোলে, কিছু কথা 
ভেঙে ভেঙে আসে নীরবতা, রাতের আঁধারে নিঝুম। 

এমন নৈঃশব্দেও বাতাস কথা বলে, 
মরমর ধ্বনি লিখে যায় পাষানের তলে, 
কালপুরুষ মৃদু হাসে আয়নার কাছে, 
অবিনাশী  সময় হৃদয়েতে আছে, আছে সব রাখা আছে।।