দগ্ধ কাঁচুলি ছেড়ে
মন নামছে-
অমৃত সন্ধ্যার বুকে।
তোমার প্রখর রৌদ্র পুরো নষ্ট দিনটা জুড়ে -
ফালা ফালা, ধিকিধিকি।
করুক তৃপ্ত- সন্ধ্যা, একটু শ্রান্ত হাসি।
আগের ধ্বংসাবশেষ নোনা ইঁটে জড়।
এবারে, তাই রসের ভান্ড নিয়ে বসি -
জীবাশ্ম চাটলেও আর নোনতা লাগবে না।
উন্মুক্ত বুকের প্রচ্ছদে আধখোলা মনের
উঁকি
রন্ধ্র খোঁজে, পদ্মনাভি, কস্তুরী।
নোংরা লাগলে -
হাত গুটিয়ে আবার খোঁজে অমৃতকুম্ভ
আরো নিচে??
শতদ্রুর পিঠের নিচে নিয়েছে শয়ান?
এসব জানা থাকতে নেই।
অজ্ঞের পরিতৃপ্তি অন্তহীন।
হাতেকলমে নামলে শিখবে
বুদ্ধাসনে মুখোমুখি
বিজাতীয় মন্ত্রেই উদযাপন। সন্ধান। নিরসন।
এভাবেই সাঙ্গ হয় পুজো
মেঘ জমে থাকে আঁচলের ডগায় ডগায়
সুন্দরী অহমিকার ডাক কত্থকী-
' আয়, তেঁতুলতলায় যাবি?'
----এসো, প্রাণসখা।
পাশাপাশি বসে
সেই ছোট্টবেলার মতো
বুড়ো আঙুল চুষি।
বৃষ্টি না এলে, তেমনভাবে আমরা
- ভিজব কেমন করে?