যেখান থেকে শুরু হয়েছিল দিনের প্রথম ট্রেনটি
ঠিক সেইখান থেকেই আমরা ছিলাম একই পথের যাত্রী।
তুমি অচেনা আমার কাছে তবুও যেন অনেক দিনের চেনা
তুমি জানো না আমার গন্তব্যপথ,আমিও ঠিক তাই
তবে মনে বরাভয়
হয় তো নেমে যাবে মাঝ পথে নয় তো জেলার শেষপ্রান্তে
অজানা এক আশংকায় খোদাকে ডাকি
মনে মনে হাত জোড় করে বলি এই পথ যেন শেষ না হয়।
চলার পথে হাজারও গোলমালে
পড়েছে তোমার চোখে চোখ,
হয় তো বা হয়ে ছিলাম দুজনেই বড়োই অপ্রস্তুত
সারা পথ চুপ চাপ দুজনেই মুখোমুখি, কেটে যাই সময় নিস্তব্ধ দুপুরের ঘুমন্ত রুপ দেখে
কখনো বা আড় চোখে চেয়েছি দুজনে দুজনের পানে
লুকোচুরি খেলতে গিয়েও পড়ে গেছি ধরা
অপরাধীর মত আনত করেছি মুখ
তারপর।
তারপর ফুরিয়ে আসে পথ
মনে জাগে এক অপরিণত চঞ্চলতা।
অবশেষে পৌচ্ছালাম যেখানে হয়েছে শেষ সব ট্রেনের গতি পথ
দুজনেই নেমে গেলাম এক রাশ হতাশা নিয়ে
শহরের ভীড়ে হারিয়ে গেলাম দুজনেই।
অতঃপর নিজেদের অজান্তে পেছন ফিরে দেখা
মুখ ফুটে পারি না বিদায় জানাতে
কেন না সারা পথ একসাথে এলেও হয় নি আলাপচারিতা
যা হয়েছে সব কিছুই হৃদয়ের!
বামপাশের পার্লামেন্টের ওয়াল ক্লকে টিকটিকি করে প্রহর গোনে
আবার কখন আসবে দিনের শেষ ট্রেন।