নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কি আশায় বাঁধি খেলাঘর : রোমা মন্ডল ব্যানার্জি



জীবন হতে স্বেচ্ছামৃত্যূ আমিও তো চেয়েছিলাম ..
তবু একদিনও  মৃত্যূর  জন্ম দিতে  পারিনি...

মনের  চিতায়  কাঠ  তুলেছি  বহুবার ,
এই  ধর  যতোবার জেনে বুঝে 'তুমিরা' হত্যা করতে চেয়েছ আমায়, ততোধিক..
কিন্তু  মুখাগ্নি করার প্রেম প্রতিশ্রুতি  কেও তো কোনদিন করলে না আমার  সাথে....!

মৃত্যূকে তো আমি ভয় পাইনি,
মৃত্যূকে কিছু ভালোবাসতে শিখেছিলাম,
যেমন প্রেম ছিল কিছু "তুমিতে'..
কিন্তু ছেঁড়া রক্তের গন্ধ আমার কোনদিন ভালো লাগেনি, সেই কৈশোরে যখন  প্রথম ঋতুমতি  হয়েছিলাম,সেদিন থেকে রক্ত আমাকে স্পর্শিত করে রেখেছে,যেমন প্রতিদিন স্পর্শ করে রাখে কিছু 'তুমির' অবারিত  প্রেম ....

যেমন  করে 'তুমিরা' ভালোবাসাহীন শরীর  দিতে  চাও রোজ , তেমন করেই  আমি রক্তশূন্য মৃত্যূ ভালোবাসতে  শিখেছি, 'তুমিদের' দেওয়া  আঘাতে যন্ত্রণা আসে, ব্যথারা মাথা  তোলে,যেমন আমার প্রথম কৈশোরে মুখ তুলেছিলে 'তুমিরা'....

মনেরও  রক্তক্ষরন  হয়,
তবে তা তোমাদের মৌনতার মতই  নীরব,
মনের  রক্তক্ষরন  কেও দেখেনা,
দেখনি তো কোন 'তুমিরাও'...
কিন্তু  তাতে তো 'তুমিদের' স্পর্শ ছিল..
তবে  ...?

যে 'তুমি' টা আমাকে চেয়েছিলে আশৈশব,
সে  'তুমি'ও তো পারতে খানিক জীবন শেখাতে  কিন্তু যতোবার প্রেমের  কথা  বলেছ ততোবারই স্পর্শের মোহে মৃত্যূর কথা শুনিয়েছ বার বার...
একটুও "জীবন"  শোনাওনি কেন  ?..

আর যে 'তুমিকে',
আমি  চেয়েছিলাম  কৈশোরী রোদে,
সে 'তুমিটা' নিখোঁজ নও,তবে আলোকবর্ষ  দূরত্বে সে  'তুমি' কবেই  নিরুদ্দেশ.......
মানুষ  হারালে,খুঁজে  পাওয়া  যায় ,
কিন্তু স্বেচ্ছায় চলে গেলে তাকে তো খুঁজে পাওয়া যায় না...
চলে  যেতে  যেতেও নিভৃত্যে  মৃত্যূ  শিখিয়ে  গেছ, ...

আর  যে  'তুমিদের' কাছে আমি রোজ থাকি সেই  'তুমিদের' কাছ থেকে কি চেয়েছিলাম আমি ?
মনে নেই তা, তবে যতদূর  মনে পড়ে তাদের সাথে ছিলতো আমার বহু বাস,সহবাস.....
তবু জীবন শেখায়নি তারা,
শেখায়নি  বাঁচতে...
তাই ঘৃণাটুকু প্রাপ্তিতে  রেখে
একদিন স্বেচ্ছামৃত্যূ চেয়েছিলাম আমিও...
কিন্তু  পারিনি...

বুজেছি , জীবনের থেকে  মৃত্যূ বড়  নয়..

হয়তো আমি 'তুমি' কেন্দ্রিক, কিছু  'তুমির' কাছে  হেরে  যাওয়া  মানুষ, এক জীবনে  কত  'তুমি' আসে  আবার  কত  'তুমিরা' চলেও  যায়, তবু আমি কেবল 'তুমিরে' তিমিরাচ্ছান্ন.....

একদিন কোন 'তুমি'ই তো আমাকে প্রথম দেহজ প্রেম শিখিয়েছিলে,কেও বা শিখিয়েছ ঘৃণা ,
কিন্তু এজীবনে কেও অথবা কোন 'তুমি' আমাকে জীবন শেখালে না কেন ??

তবু,
জীবন ভালোবাসি,
তাইতো, জীবন মৃত্যূ যন্ত্রণার মূলমধ্য রেখাতে কোনদিন মৃত্যূর জন্ম দিতে পারিনি,
বার বার জন্ম দিই জীবনের.....

তোমরা আমাকে  পতিতা  বলে  চেন  ,
আর,আমি বলি  নিজেকে গর্ভধারিনী  মা ..

বেরঙ: মৌসুমী রায়



আমার ধূসর শহর ধূসরই থাকুক..
যেমন করে কাটছে দিন কাটুক
সেই শূন্য থেকে শূন্যেই যাব ফিরে
এই বুকের আগুন অন্য বুকে নাইবা জ্বলুক।
আমি মেঘকে দাবড়ে রাখি বুকের মাঝে..
সময়ের সাথে সিঁথির রঙ ফিকে হচ্ছে
গোধূলীর রঙ চড়া দামে বিকোচ্ছে,
আর কেউ নিক আমি থাকি বেরঙ সাজে।
আমার ধার করা দিন বাঁচার যে ঋণ...
বাড়ছে হিসাব খাতে
তোমার ঠোঁট দিয়ে আমার কপাল ছুঁয়ে দেখো
ঋণ বেড়েছে তোমার কাছেও
আমার ভুলের হিসাব তোমার কাছেই রেখো।
যেদিন আমি শূন্যে ফিরে যাব..
সেদিন শুধু আমার হয়েই থেকো।


হিং টিং ছট :রাজিত বন্দোপাধ্যায়



 

পৃথিবীর সব কথা শুনেছি আমি --     
পৃথিবীর সব ব্যথা বুকেতে আমার !   
দহনে গিয়েছে বিগত অনেক দশক ,     
দেখেছি রাজনীতি কেবলি বিত্তের পোষক !     
তোমাকেও দেখেছি দু চোখ ভরে       
আজ যারা টু মি বলে --     
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়  !     
সুযোগ খুঁজেছে রেখে --   
বিত্তের কাঁধে দুই উষ্ণ হাত ,   
তাদেরই মুখেতে টুমি - র প্রভাত !!   
রাজনীতির ঘুঙুর শিঞ্জনে বাঁধা   
এদেরও অনেকের মুখ ,   
দশকের দহনের পরে পুরুষেরে     
দিয়ে দেখে অসুখ --   
হৃদয়ের জ্বালা জোডানোর ছলে ।     
কোন দুর্মুখ করে ব্যাদন ?   
রাজনীতি হিং টিং ছট বলা   
তোতার মতন --     
বিত্তের পোষক পরে নিজেরে পালে ।     
সোনার খাঁচার মোহ --   
সোনার সিংহাসন , গরীবের পোষক !   
হিং টিং ছট --  !     


হায়, হায়!! : মাধব মন্ডল



আজ তোমার উষ্ণতাটা খুব জুরুরী ছিল
আজ তোমার মনকে মনে গাঁথা খুব জরুরী ছিল
অথচ তুমি আজও নিজেকে জোর করে ধরে রাখলে!!
আমার অপেক্ষা শুধু দীর্ঘায়িত হলো......

ভাল নেই তুমি!! ভাল নেই তুমি!!
কতটা অবসর পেলে আবার জাগবে তুমি?
হায়, শিব চতুর্দশী!! হায়, হায়!!
হায়, শিবরাত্রি!!হায়, হায়, হায়!


(রক্ত জমে কুয়াশায় - ২৬)

পুড়ে পুড়ে :সুজাতা মিশ্র (সুজান মিঠি)


রোদ্দুরটাও হামাগুড়ি দিতে দিতে পরিণত হয়
ঘরপোড়া ঝড়ে,
ছাইভস্ব হয়েছে যে, সিঁদুরে মেঘ কি তাকে
ভয় দেখাতে পারে!

পান্তাভাত :মান্নুজা খাতুন ( মালা)


সেদিন প্রভাতবেলা, টিউশনের পথে যে বড় স্টেশনটি পড়ে
তারই এককোনে ; একটি যাযাবর পরিবারের বছর ছয়ে’'র ছেলেকে
শীতের মিস্টি রোদে বসে পান্তাভাত খেতে দেখেছি
পরমতৃপ্তিতে খাচ্ছিল  সকালের প্রথম জলখাবার।
আজ সকালবেলায় মায়ের কাছে আবদার করেছিলাম পান্তাভাতের জন্য
মা বলে গেল,  কেন! তোমার কি খাবারের অভাব?
পান্তাভাত খেলে ঠান্ডা লেগে যাবে  এই অজুহাত দেখিয়ে
মা চলে গেল রান্নাঘরে, শুকনো কিছু খাবার আনতে।
ব্যালকনির ধারে চেয়ারে গা এলিয়ে পড়ার বইখানি হাতে নিয়ে ভাবছিলাম
ওই ছেলেটির কথা, ওর মায়ের কথা
আচ্ছা!  ছেলেটার কি শরীর খারাপ করেছিল?
শীতের সকালে পান্তাভাত খাবার জন্য