নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শ্রাবণী নায়েক





জাগরণ... 
------------------


সহসা রাত্রির অন্ধ তামস ভেদ করে 
এক গুরুগম্ভীর ওঁ-কার ধ্বনি 
আমার সমস্ত চেতনাকে জাগ্রত করে
টেনে তুলল আলস্যময় নিদ্রামগ্ন শরীরকে।
চোখ মেলতেই ঝলসে উঠলো চোখ,
সূর্যের চেয়েও সহস্র কোটি দীপ্যমান 
এক আলোকরশ্মি... 
আমি দু-হাতে চোখ ঢাকলাম
ভয়ে নিশ্চল আমার সমস্ত শরীর, সমস্ত অস্তিত্ব। 
আমার কন্ঠ থেকে নির্গত হলো শুধু একটা প্রশ্ন,
কে তুমি...?

আমি আদিশক্তি,
আমি সৃষ্টি - স্থিতি - প্রলয়ের প্রথম ওঁ-কার ধ্বনি, 
আমি চেতনেরও চেতন,
সৃষ্টির রহস্য, প্রলয়ের বজ্রনির্ঘোষ, 
আমি প্রাণের আধার মহাপ্রাণ। 

এবার চোখ মেলো, চেয়ে দ্যাখো --
আমি দেখলাম, 
দেখলাম আমার সহস্র কোটি জীবন পার হওয়া পদচিহ্ন। 
দেখলাম নিজেকে বারংবার 
দেখলাম এক প্রজ্বলিত দীপশিখাসম ক্ষুদ্র আলোকবিন্দু 
যেন মিলে যাচ্ছে সেই মহান আলোকরশ্মির মাঝে।
আমি হাত বাড়ালাম... 
একটা স্নিগ্ধ স্পর্শে জুড়িয়ে গেল
আমার জন্ম-জন্মান্তরের তৃষ্ণাসম মিলন পিপাসা। 
শীতল হয়ে এলো আমার সমস্ত শরীর,
এ যেন এক নতুন জন্ম আমার
নতুন পথের দিশা।

প্রাপ্তি মণ্ডল ভৌমিক

  




অন্য বিসর্জন 

**************




মুখের হাসি হলো ম্লান 
দুর্গা এবার যাবে ভাসান ।
ঢাকের আওয়াজ হলো মলিন 
জলে দূর্গা হবে বিলীন ।

দূর্গা মায়ের বিসর্জনে 
অশ্রুচোখেও আশা থাকে,
বছর ঘুরে আবার মা
আসবে ফিরে ঘরে ঘরে ।

ফিরবে না আর সেই দূর্গা 
রাতের আঁধারে যার হয় ভাসান ।
শূন্য করে মায়ের কোল 
মানুষরূপী অসুর করছে শোষণ।

পুরুষত্ব ফলাস তোরা 
সদ্যজাত শিশুর দেহে ।
লালসায় ভরা নরপশুর চোখে 
নারী শরীর হলেই চলে ।

রক্তমাখা ছিন্ন দেহ 
ফেলে গেলি পথের ধারে ।
তোদের লোভের অত্যাচারে 
ছোট্ট দূর্গার বিসর্জন হল চিরতরে ।

সাজ্জাদ আলম









কাফন
 ******               

কামাল, এক নামেই গোটা গ্রাম চেনে, খুব নামকরা দর্জি, এমন সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের জামাকাপড় সেলাই করে যা বিশ্বের অন্য কোথাও মেলা মুশকিল. কামাল শুধু জমিদারদের জামাকাপড় বানাই কারন জমিদার ছাড়া সমাজের অন্য কোনো শ্রেনীর পক্ষে কামালকে অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য নেই. দোতলা বাড়ি, ওপর নীচ মিলিয়ে ছ'টা ঘর, দুটো বাথরুম ও একটা রান্নাঘর, ঠিক যেন জমিদার বাড়ির মতোই. কামাল জামাকাপড় সেলাই করে তার বাড়িতেই যদিও একটা দোকান আছে, সেই দোকানে কামাল বিক্রি করে "কাফন", আর এই দোকানকেই ঘিরে কামালের অহংকার. কামাল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, দুয়া করে, তবে দুয়াই উপরওয়ালার কাছে যা চাই সেটা শুনে হয়তো উপরওয়ালাও প্রথমে একটু চমকে গিয়েছিলেন. সে তার দুয়াই মানুষের মৃত্যুকামনা করতো, যাতে তার দোকান থেকে বেশী বেশী কাফন বিক্রি হয়. আর উপরওয়ালাও হয়তো তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেছিলেন. প্রত্যেক দিন কামালের দোকান থেকে দশ-বারোটা কাফন বিক্রি হয়ে যেত. কাফন কিনতে আসা ব্যক্তির সঙ্গেও কামাল ভালো ব্যবহার করতো না, মৃত্যু কে নিয়ে মজা-মস্করা করতো, ক্রেতাদের যে রাগ হতো না তা কিন্তু নয়, হতো, কিন্তু সহ্য করতে হতো কারন কামালের মাথার উপর জমিদারদের হাত ছিল আর যদি অন্য কোনো দোকানে যেতে হয় তাহলে গ্রাম পেরিয়ে যেতে হবে শহরে তাতে অনেক সময় নষ্ট আর তাছাড়া মৃতদেহ বেশীক্ষণ রাখাও অশুভ, এইসব কারনে জনতা কামালের অত্যাচার সহ্য করতো, আর কামালের মৃত্যু কামনা করতো.

    একদিন কামাল কিছু কাজের জন্য কলকাতা যায়. সাতদিন পরেই ঈদ, জামাকাপড় ও অন্যান্য কেনাকাটা করতে হবে. কয়েকদিন পর ফিরে আসবে. 

  আজ কামাল ফিরছে. হাতে দুটো বড়ো বড়ো ব্যাগ, জামাকাপড় ও অন্যান্য কেনাকাটা রয়েছে সেই ব্যাগে. কামাল বেশ হাসিখুশি, তবে মনে মনে ভাবছে বঙ্কু এই কদিনে কটা কাফন বিক্রি করেছে সব হিসাব নিতে হবে আর কলকাতা থেকে নিয়ে আসা নতুন কাফনগুলোও যেন তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যায়. হঠাৎই বাইরে চেঁচামেচি শোনা যায়, বন্দুক, তলোয়ার,তিলক আর টুপির এক জগৎ দাড়িয়ে আছে বাইরে. বাস দাড়িয়ে আছে. হঠাৎই একটা কাচের বোতল বাসের সামনের কাঁচটি ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গেল, কিছুক্ষণের মধ্যেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো, হইহুল্লোড় পড়ে গেল, কামাল তার দুই ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইল, কিন্তু না! পারলো না, পড়ে গেল নীচে, আগুনে জ্বলন্ত একটা বড় কাঠের ঠুকরো সোজা এসে কামালের বুকে লাগল. কামালের সারা শরীর জ্বলে যেতে লাগল. কামাল চিৎকার করছে আর যেন প্রকৃতি মজা-মস্করা করছে কামালের সঙ্গে. চারদিকে আগুন আর রক্ত, একটা রক্তে রাঙা ওড়না হাওয়ায় উড়ে এসে কামালের শরীর ঢাকা দিয়ে দিল. 

কাফনটা যদি সাদা না হয়ে 
 হতো নীল,লাল বা সবুঝ
মৃতদেহ কী কিছু বুঝতে পারে?
       নাকি সে অবুঝ

কৌশিক চক্রবর্ত্তী






ধার্মিক 
*******




বুকে আঁক কেটে রাখো
কখনো সাগরের নোনা জল এলে ভিজিয়ে নাও দাগ

সেপিয়া টোন থেকে তুমিও হিঁচড়ে আনতে পারো প্রবহমানতা-
যারা বয়ে যাচ্ছে 
তাদের আটকাতে যেও না...
যারা জ্বলে উটছে
বরং তাদের পাশে পুঁতে রাখো সৌধ...

হয়ত বুকে মাটি পড়লেই
নিজেকে বিক্রি করতে ইচ্ছে হবে,
আর তখন তুমি হয়ে উঠবে প্রকৃত ধার্মিক...

সোমিনা ইয়াসমিন








মুক্তি
****




                      
নীলপাহাড়  একটি ছোট্ট, সুন্দর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আধার। সেখানেই জন্ম মুক্তির,নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তান। বাবা ক্ষেতমজুর, হতদরিদ্র না হলেও দারিদ্রতা বর্তমান। মুক্তি নীলপাহাড় গ্রামের উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং অত্যান্ত মেধাবী। গায়ের রং শ্যামলা,নয়ন তার মায়াবী, মুখাকৃতি লক্ষ্মীমন্ত। অনেকেই তাকে কখনো শ্যামা অথবা দস্যিকন্যে বলে ডাকে। ধানক্ষেত, আমবাগান,পুকুরপাড়, নদীর ধারে দাপিয়ে বেড়ানো তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজের মধ্যে পড়ে। শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢুকে বাচ্চাদের সঙ্গে মাছ ধরে,কালবৈশাখীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে আম কুড়ানোর উদ্দেশ্যে, আবার বিচ্ছুদের সঙ্গে
লুকোচুরিও খেলে, গ্রামের বাচ্চা ছেলে মেয়ে গুলোও মুক্তিদিদি বলতে অজ্ঞান। মুক্তিদিদি ছাড়া তারাও যেন অসম্পূর্ণ, মুক্তিও ভীষণ ভালোবাসে ওদের।
গ্রামের মানুষের কাছে মুক্তি দস্যিকন্যা নামে পরিচিত। বাবামায়ের একমাত্র আদরের দুলালী সেইহেতু খুবই স্নেহের, নয়নের পুত্তলী।
তবে তার প্রকৃতি হলো জেদি, ন্যায়পরায়না,সাহসিনী,প্রতিবাদিনী, মুখরা। রুপে লক্ষ্মী নয়,কিন্তু গুনে সরস্বতী। কয়েকদিন হলো উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা শেষ হয়েছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই তার ফলাফল প্রকাশিত হবে।
ইতিমধ্যেই পাড়া প্রতিবেশীরা বলতে থাকে মুক্তির বিবাহের কথা। কিন্তু মুক্তি চায় পড়াশোনা করে স্বনির্ভর হতে। তার স্বপ্ন, জীবনে নিজের পরিচয়ে বাঁচবে, প্রতিষ্ঠিত হবে, পরিবারে পুত্রসন্তানের অভাব দূর করবে, দারিদ্রতার অবসান ঘটাবে। শেষ পর্যন্ত তার স্বপ্নের জালে এক বালতি জল ঢেলে বিবাহের আয়োজন শুরু হলো। বাবা-মার মুখ রাখতে অগত্যা রাজি হতে হলো, কিন্তু বাধ সাধলো যৌতুক। পাত্রপক্ষের দাবী পূরণ করার সামর্থ্য নেই মুক্তির বাবার। অন্যদিকে শ্যামলা মেয়ে হওয়ায় দুঃশ্চিন্তারও অবকাশ নেই। নিরুপায় হয়ে দাবী পূরণের অঙ্গীকার  করেন, শেষ সম্বল ভিটেমাটি বন্ধক রাখেন। মুক্তিও বাধ্য হয়েই মেনে নেয় অদৃষ্টকে।
       বিবাহের লগ্ন উপস্থিত,পাত্রপক্ষের দাবী অনুযায়ী নগদ দুইলক্ষ টাকা,তিনভরি গহনা ও মোটরবাইক যৌতুক দেওয়ার কথা। কিন্তু সময়ের স্বল্পতায় শেষ পর্যন্ত পঞ্চাশহাজার টাকা জোগাড় করে উঠতে পারেননি কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা।
     নির্ধারিত সময়ে মুক্তিকে আনা হলো ছাদনা তলায়, হঠাৎই বরপক্ষ বলে ওঠে, আগে যৌতুক কড়ায়-গন্ডায় বুঝে নেবে,তারপর বিবাহের যাবতীয় কার্য্যাদি সম্পন্ন হবে। ফলস্বরুপ, পঞ্চাশ হাজার টাকা কম পড়ল। মুক্তির হবুশ্বশুরমশাইয়ের দাবী পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যতীত এ বিবাহ দেবেন না। মেয়েকে লগ্নভ্রষ্টা হতে হবে এ কথা ভেবেই শিউরে ওঠেন মুক্তির বাবা মা প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন। এতক্ষন মুক্তি নিরবে অবাকদৃষ্টিতে মুখে পান পাতা ঢেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসে দেখছিলো মানুষরুপী অর্থলোলুপ পিশাচের বহিঃপ্রকাশ। চারিদিকে তাকিয়ে অনেক খুঁজলো মানবতাকে। কোথায় সে ?  সে কি বিসর্জিত! না, সভ্যতার নুড়িপাথরে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়েছে?
   পাত্রের পিতা যখন বললেন, এ বিয়ে হবে না ঠিক সেই মুহুর্তেই লাজ-লজ্জার তোয়াক্কা না করেই মুখের পানপাতা সরিয়ে গলার রক্ত গোলাপের মালা ছিন্নভিন্ন করে ছুঁড়ে মারলো পাত্রপক্ষের মুখে। মুক্তির এ হেন আচরণে বিবাহমন্ডপে উপস্থিত সকলে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কোনো কথা না বলেই বিয়ের মন্ডপ ত্যাগ করল মুক্তি। পাত্রপক্ষ লজ্জায়, ক্ষোভে ফিরে গেল। নাহ, এরপর মুক্তির আর সংসারটা করা হয়নি,উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফল ঘোষনা হয়েছে,সে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে, স্কলারশিপের টাকায় নিজের পড়াশোনা চালিয়ে গেছে, পাড়ি দিয়েছে শহরে, প্রবেশ করেছে বৃহত্তর জগতে।
    হ্যাঁ, দীর্ঘ  সাধনার পর আজ আবার সে ফিরছে তার প্রিয় জন্মভূমি নীলপাহাড়ে। আজ সে শুধুই নীলপাহাড়ের দস্যিকন্যে নয়, নীলপাহাড়ের অহংকার,ঐতিহ্য,গর্ব। সে তারই বাল্যকালের বিদ্যালয়ের হেডমিস্ট্রেস পদে আসীন, এক মুখ সাফল্যের হাসি আর আনন্দাশ্রু নয়নে। সামনে দাঁড়িয়ে গোলাপের মালা নিয়ে গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ,লগ্নভ্রষ্টা মুক্তির হবুশ্বশুরমশাই,বরণ করে নিতে। আজ সে পেরেছে,নৃশংস পিশাচগুলোর যোগ্য জবাব দিতে।
  মুক্তি বোধ হয় সত্যিই মুক্তি পেলো সংসারের সংকীর্ণ কূটনৈতিক বেড়াজাল থেকে। দেবী পক্ষের পদধ্বনি টের পাচ্ছে, সূচিত হচ্ছে নারীশক্তির। তার লক্ষ্য,নীলপাহাড়ের প্রত্যেক মেয়েই যেন মুক্তি পায়, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ও পনপ্রথার  নির্মম অত্যাচার থেকে। সে তিলে তিলে গড়ে তুলছে তার প্রতিটি ছাত্রীকে এক একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মারণাস্ত্র। একটু একটু করে তার স্বপ্ন স্বার্থক হচ্ছে, গড়ে তুলছে ভবিষ্যত প্রজন্মের ভাগ্য। শিক্ষকতার পাশাপাশি একটি নারী সংগঠনও গড়ে তুলেছে, যার নাম "মুক্তি"।
    জয় হোক মুক্তির, বাঙালীর প্রতিটি ঘরে ঘরে জন্ম হোক মুক্তির,গড়ে উঠুক নিষ্কলুষ নারীসমাজ। মাথা তুলে দাঁড়াক প্রতিটি মা, স্ত্রী, বোন, কন্যা। বন্ধ হোক কন্যাভ্রূণ হত্যা, চীরতরে বিদায় নারী নেবে নারী নির্যাতন। সভ্যতার নুড়িপাথরের তলায় ঘুমিয়ে পড়া মানবতা অন্তত এবার জেগে উঠুক, শতহস্তে ধারণ করুক শান দেওয়া মানবিক অস্ত্র। 

এস. কবীর






অশ্রাব্য কান্না 
************

                              

চকিত চোখে ত্রস্ত প্রশ্ন করে
আবর্জনার স্তুপ ছেঁড়া বস্তি শিশু
পৃথিবী, খাবারের খোঁজে কেন
আগুন এত উদরে...?
নোংরা ঘেঁটে খুদ খুটে খায় যখন -
রুটির খোঁজে দুঃস্বপ্নের রাণী এলিজাবেথ
কেকের সুগন্ধে মাতোয়ারা ;
যুদ্ধের মানুষগুলি উপেক্ষা করে ক্ষয়ক্ষতি -
আগুন জ্বালিয়ে খাদ্যের স্ক্র্যাপে উল্লাসে হাসে!
দৈত্যের দৈর্ঘ্যগুলি খনন করে
অভুক্ত শিশু প্রতিনিয়ত ভয়ে
কাঁপছে এবং কাঁদছে....!
তুরস্কের উপকূলে ভাসমান, সিরীয় আরলান-
বিশ্বমানবের কাছে নিয়ে এল প্রশ্নবাণ -
সভ্যতার ছুঁড়ে ফেলা অবহেলিত নির্যাসেও
তারা বসিয়েছে ভাগ...?
পসরার বাটখারার ওজনদাঁড়িতে
একপাল্লা ভারি আর এক পাল্লা
কান্নার অশ্রুজলে অসমান....!
আমার বেঁচে থাকার কেড়ে নিয়ে অধিকার
বানিয়েছো কোন মানবতার বিশ্ব কারাগার?