নোটিশ বোর্ড
আসছে "বিসর্জন "
আসছে "বিসর্জন "
"ভাঙছে হৃদয়।মোমবাতি মিছিল।
অবরোধ কিংবা পলিটিক্যাল ইস্যু...
এসো তবে ধর্মান্ধতা।অভিমান।হিংসা
বিসর্জন হোক সব কিছু'র..."
তাই একটি ছোট্ট সংখ্যা নিয়ে আসছে "নিকোটিন" ও "না বলা কিছু কথা "
আজই লেখা পাঠাতে থাকুন আমাদের মেইলে
💌nicotinemagz@gmail.com
লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ 16ই অক্টোবর
এবার একটাই বিভাগ : " কলম চলবে "
অর্থাৎ সব কিছু নিয়ম ভেঙে ফেলে ,ভিড়ের মাঝে বলে ওঠা "রাজা তোর কাপড় কোথায় ? " কিংবা বলে উঠুক " এ মৃত্যুর উপত্যকা আমার দেশ নয় "
তাই কোনো রকম ভয় না পেয়ে গর্জে উঠুক সবার কলম
মনের ভিতর জমতে থাকা ক্ষোপ ,রাগ ,অভিমান লিখে ফেলুন ,আর বিসর্জন দিন ওই দিনে
নিয়ম:
১. মেইলের বিষয়ে(sub: ....)লিখবেন : " বিসর্জন"
২. কবিতা/গল্প উল্লেখ করে দেবেন
৩. লেখার সঙ্গে আপনার ছবি দেবেন attached করে ।
✍️সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র
✍️সম্পাদকীয়.....
"দীর্ঘ প্রতীক্ষা ।দিন গুনছে নব বধূ।বাঙালী..
কাশফুলে মন ভিজেছে, টুকরো টুকরো মেঘ বলে দেয়
"আগমনী...."
হমম সারা বছর একটাই অপেক্ষা কবে পূজো আসবে ,পুজো মানেই দুর্গা পুজো ।বাঙালীর ইমোশন যেখানে ।
সব বিবাদ ভুলে গিয়ে মেতে উঠা উৎসবে ।
ব্যস্ত জীবন ,হাঁফিয়ে উঠা ক্লান্তিদের একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ,ভাঙা হৃদয় ,ভাঙা মন নিয়ে নিজেকে বন্ধ করে দেওয়া মেয়েটি বা ছেলেটির মনে ঢাকের শব্দে বুক কেঁপে ওঠে ..নতুন করে ভালোবাসার ,নতুন করে বাঁচতে শেখার গল্প লিখে রোজ মরতে থাকা মানুষ গুলো ।মুখোশের বাইরে বেরিয়ে এসে হঠাৎ দশমীতে নেচে উঠে তারাও ।
যেখানে আলো নেই ,যেখানে ভাত নেই ,যেখানে ভালোবাসা নেই ,শুধু থাকে হিংস্র থাবার আঁচড় সেই খানেও আলো জ্বলে ওঠে ,ভালোবাসার ছন্দে গেয়ে উঠে গান ।ভাতহীন ফুটপাতেও হাসি হাসি মুখে বলে দেয় আগমনী আসছে ,তারাও জানে এবার কিছু খেতে পাবে ।
সদ্য বিবাহিত মেয়েটাও অপেক্ষা করে ,বর্ডারে দাঁড়িয়ে থাকা তার প্রাণের মানুষটি এবার হয়তো ফিরে আসবে ? নতুন করে আলতা পরে পায়ে ,বিয়ের শাড়ী পরে নিয়ে আয়নায় বারবার লজ্জানত হয় ,রাত্রি যায় ...দিন যায় অপেক্ষায় ,ফিরে আসে কি ?
ভিরের মাঝে একাকী হাঁটতে থাকা ছেলেটি আজও খুঁজে চলে তার ছোট বোনকে ,সেবার পুজোয় হারিয়ে গিয়েছিলো ,হয়তো ভিড়ের মাঝে হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে ..
বাবাকে কোনোদিন চোখে দেখেনি মেয়েটি ,মা বলত পুজোয় বাবা আসবে ,এসে তাকে আদর করবে ,তার জন্য নতুন জামা কিনে দেবে মাকে আর লোকের বাড়ি কাজ করতে হবে না ...প্রীতিক্ষায় থাকে প্রতিবারের মতো ।
অনেকটা প্রত্যাশা নিয়েই শুরু হয়ে যায় পুজোর মরশুম,কবি/লেখক দের কলম প্রতীক্ষা করে পত্রিকার পাতায় জ্বলে ওঠার ।
ঠিক তেমনি এবারেও প্রত্যাশা রাখি সবাই সঙ্গে থাকবেন ।
তাই এবারেও আমাদের পত্রিকায় জ্বলে উঠেছে একশোর বেশি কলমের আঁচর ,কিছু না বলা কথা ,কিছু তোমার আমার কথা ।
আমাদের সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে কবি কাজী জুবেরী মোস্তাক ,যাঁর কাছে কবিতা মানেই একটা অস্ত্র ...সমাজকে শুধরে দিতে
আছেন মৌসুমী রায় ,যাঁর কাছে কবিতা মানেই জীবনের বেঁচে থাকার রসদ
আছেন লণ্ডন থেকে শুভ্রা দে ,মনের না বলা কথা গুলোর বহিঃপ্রকাশ হল কবিতা
অনেক অজানা তথ্য আমরা জানতে পারবো উনাদের কাছে ।
এবারেও আমাদের রয়েছে "ইচ্ছেমতো" ও "কলমের জোর" বিভাগ ।
সকল কবি ও লেখক দের জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ ,সঙ্গে থাকার জন্য এবং অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা । সবাই খুব ভালো থাকুন ,ভালো রাখুন প্রিয় মানুষটিকেও ।
ধন্যবাদন্তে,
জ্যোতির্ময় রায়
সূচিপত্র
******
✍️অতিথি কবি
*********
শুভ্রা দে(লণ্ডন থেকে)
মৌসুমী রায়
কাজী জুবেরী মোস্তাক (বাংলাদেশ থেকে)
✍️কলমের জোর
************
✍️কবিতা
*****
দীপান্বিতা বিশ্বাস
লগ্নজিতা রায়
অমিত কুমার দাস
চিরঞ্জিত সাহা
রিয়া ভট্টাচার্য
সুষ্মিতা কর
শুভজিৎ কোলে
তোহাদ্দেশ সেখ
দোলন দাস মণ্ডল
প্রনবেশ চক্রবর্তী
পারমিতা সাধুখাঁ
রবি মল্লিক
চন্দন বাসুলী
কুনাল গোস্বামী
শোভন মণ্ডল
জারা সোমা
সোমা দাস
অনির্বাণ দাস
রবি মল্লিক
তাপসকিরণ রায়
স্বরূপা রায়
অমিত কুমার দাস
চিরঞ্জিত সাহা
রিয়া ভট্টাচার্য
সুষ্মিতা কর
শুভজিৎ কোলে
তোহাদ্দেশ সেখ
দোলন দাস মণ্ডল
প্রনবেশ চক্রবর্তী
পারমিতা সাধুখাঁ
রবি মল্লিক
চন্দন বাসুলী
কুনাল গোস্বামী
শোভন মণ্ডল
জারা সোমা
সোমা দাস
অনির্বাণ দাস
রবি মল্লিক
তাপসকিরণ রায়
স্বরূপা রায়
✍️গল্প:
রাণা চ্যাটার্জী
অনুরাধা সরখেল
✍️ইচ্ছেমতো
**********
**********
✍️কবিতা
*********
সম্পা পাল
গোপাল চন্দ্র সাহা
বৈশাখী চ্যাটার্জী
তুলি রায়
রাজিত বন্দোপাধ্যায়
কার্তিক ঢক্
অভিজিৎ দাসকর্মকার
জারা সোমা
দীপাঞ্জন দাস
রানি মজুমদার
পূরব ব্যানার্জী
ধীমান ব্রহ্মচারী
শুভদীপ পাপলু
বিশ্বজিৎ সরকার
সুদীপ ঘোষাল
পুলক মন্ডল
সৌরভ ঘোষ
সুদীপ্ত সেন
অনির্বাণ দাস
শাহীন রায়হান
তপন জানা
মোঃ রফিকুল ইসলাম
হোসাইন শাহাদাত
রুনা দত্ত
তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
সুজান মিঠি
এস. কবীর
সুনন্দ মন্ডল
রনিতা মল্লিক
তপময় চক্রবর্তী
সন্দীপ ভট্টাচার্য
প্রতিভা দে
সোনাই
সঙ্কর্ষণ
অনোজ ব্যানার্জী
লীনা দাস
মৌ ঘোষ
কিশলয় গুপ্ত
রণধীর রায়
সুশান্ত সৎপতি
অনাদি রায়
সুদীপ্ত বিশ্বাস
শাল্যদানী
সুদীপ্ত নিয়োগী
বিনয় লাহা
মাধব মন্ডল
মোনালিসা পাহাড়ী
সুপ্রভাত দত্ত
রুদ্র সাহাদাৎ
পিয়ালী সাহা
চৈত্রী ঘোষ হাজরা
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
চিরঞ্জিত সাহা
সুধাশ্রী মণ্ডল
নবনীতা সরকার
অসীম মালিক
বিশ্বজিৎ ভৌমিক
অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়,
রাজকুমার বিশ্বাস
সায়ন্তনী হোড়
ইউনুস হোসেন
দেবব্রত মল্লিক
মোঃ মিজানুর রহমান
রাণা চ্যাটার্জী,
সুদীপ্ত বিশ্বাস,
অন্তরা সিংহরায়,
রাজীব লোচন বালা,
শুক্লা মালাকার,
জয়দীপ রায়,
শ্যামল কুমার রায়,
প্রবীর রায়
পূরব ব্যানার্জী
ধীমান ব্রহ্মচারী
শুভদীপ পাপলু
বিশ্বজিৎ সরকার
সুদীপ ঘোষাল
পুলক মন্ডল
সৌরভ ঘোষ
সুদীপ্ত সেন
অনির্বাণ দাস
শাহীন রায়হান
তপন জানা
মোঃ রফিকুল ইসলাম
হোসাইন শাহাদাত
রুনা দত্ত
তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
সুজান মিঠি
এস. কবীর
সুনন্দ মন্ডল
রনিতা মল্লিক
তপময় চক্রবর্তী
সন্দীপ ভট্টাচার্য
প্রতিভা দে
সোনাই
সঙ্কর্ষণ
অনোজ ব্যানার্জী
লীনা দাস
মৌ ঘোষ
কিশলয় গুপ্ত
রণধীর রায়
সুশান্ত সৎপতি
অনাদি রায়
সুদীপ্ত বিশ্বাস
শাল্যদানী
সুদীপ্ত নিয়োগী
বিনয় লাহা
মাধব মন্ডল
মোনালিসা পাহাড়ী
সুপ্রভাত দত্ত
রুদ্র সাহাদাৎ
পিয়ালী সাহা
চৈত্রী ঘোষ হাজরা
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
চিরঞ্জিত সাহা
সুধাশ্রী মণ্ডল
নবনীতা সরকার
অসীম মালিক
বিশ্বজিৎ ভৌমিক
অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়,
রাজকুমার বিশ্বাস
সায়ন্তনী হোড়
ইউনুস হোসেন
দেবব্রত মল্লিক
মোঃ মিজানুর রহমান
রাণা চ্যাটার্জী,
সুদীপ্ত বিশ্বাস,
অন্তরা সিংহরায়,
রাজীব লোচন বালা,
শুক্লা মালাকার,
জয়দীপ রায়,
শ্যামল কুমার রায়,
প্রবীর রায়
✍️প্রবন্ধ:
*********
পবিত্র চক্রবর্তী
✍️চিঠি:
********
শ্যামাপদ মালাকার
✍️কিছু কথা:
***********
বৈশাখী দাস
প্রভাত মণ্ডল
শিল্পী গঙ্গোপাধ্যায়
তাপসী লাহা
✍️গল্প:
*****
পলি ঘোষ
অক্ষয় কুমার সামন্ত
পায়েল খাঁড়া
সুজান মিঠি
সীমা দে
জয়ী সামসুল
পুলক মন্ডল
মতিউল ইসলাম
রজত শুভ্র কর্মকার
শুভ্রা দে
কবি শুভ্রা দে
(লন্ডন)
সাক্ষাৎকার
***********
১:- আপনার কাছে কবিতা কি ?
উত্তরঃ: কবিতা হল আত্মার ঔষধ ,মন খারাপির ঔষধ, নতুন করে বাঁচতে শেখার ,নতুন করে ভালোবাসার কিছু না বলা কথার প্রকাশ ।
২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উত্তরঃ শরৎ চন্দ্র আমার প্রিয় লেখক ,প্রিয় কবি হল রবীন্দ্রনাথ
আমার অনুপ্রেরণা হল কবি অতনু নন্দী
৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ?
উত্তরঃ ওই মন খারাপে কিংবা ভীষণ ভেঙে পড়লে ওই কবিতাই নতুন করে বাঁচতে শেখায় ,তাই মনের খেয়ালে লিখে চলি কিছু কথা ।
৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত)
উত্তরঃ প্রথম বই ( পঞ্চদর্শী)প্রকাশিত
প্রথম লেখা কবিতা ( আমার মা)
৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?
উত্তরঃ কবি/কবিতার সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক ভীষণ আত্মীয়র। আত্মার টান থাকাটা খুব জুরুরী । মনের খুব কাছের মানুষ হচ্ছে ওই পাঠক ।
৬. ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ?
উত্তরঃ ফেসবুকের কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যতে এর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।এখন হয়তো এর গুরুত্ব আমরা সেরকম দেই না ,কিন্তু ফেসবুকে এর মাধ্যমে অনেক পাঠকের সঙ্গে অনেক কবির সঙ্গে ,কবিতার সঙ্গে পরিচয় হয় ।
৭.ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ?
উত্তরঃ ছাপা ম্যাগাজিন এর গুরুত্ব অবশ্যই বেশি ।তবে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিন এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ,করছে ।
৮. আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর: বই বিমুখ হওয়ার মূল কারণ হিসেবে আমি মনে করি এই ইন্টারনেট ,এখন হাতের মুঠোয় সব জিনিস সবাই পেয়ে যাচ্ছে ।
বই মুখী করার উপায় হিসাবে আমার মনে হয় ,যে বই মেলা ,বই দিসব পালন ইত্যাদির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাধ্যমে করা যেতে পারে ।
৯. উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ?
উত্তরঃ কবিতা হবে সহজ ও সরল , যা এটি সহজে বলে দেবে অনেক কথা ।
১০. গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তরঃ অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট রীতি ও তাল ও ছন্দ থাকবে কবিতায় ,তা আধুনিক হোক কিংবা মধ্যযুগীয় হোক
কিছু কবিতা:
তুমি বলেছিলে ভালোবাসি
********************
নীল পাহাড়ের পিছন থেকে লাল সূর্যটা কেমন ফুটে বেরুলো। ।
হিমেল বরফচুড়া গুলি থেকে একের পর এক সোনা গলে পড়ছে।
বল তো( তুমি ) কত সুন্দর হবে আমাদের সেই দিন গুলি
৷ কি চমৎকার অপরূপ চাঁদ লাখো তারাদের নিয়ে আকাশটাতে কেমন সাজাবে নতুন করে।।
মামুলি এলোমেলো নদীটা কখন ঝিলমিল ঝিলমিল করে জলতরঙ্গের মত বাজবে।
নদীর ধারে পলাস ফুলের গালিচায় আমরা হাত ধরাধরি করে বসে থাকবো দুজনে।।
এক শুন্য জীবনে এসবই এক স্বপ্নের মত ভেসে গেলো।।
কেননা কালরাতে আমায় তুমি বলেছিলে,“ভালোবাসি। ”
এদেশ ও বিদেশ
************
জন্মভূমি তুমি মাগো,
তোমার কোলেই মানুষ আমি,
কর্মসূত্রে মাগো আমি এখন পরদেশ বাসি।
বেদনা ছাড়া জোটেনি কিছু তোমার ভূমিতে,
পেয়েছি যা কিছু আমি এই বিদেশে।
সভ্যতার নজরানা
শিখেছি মাগো পরবাসী হয়ে, সম্মান ও শিক্ষার আলো পেয়েছি এখানে।
শিশুদের শ্রমিক বানায় না এ দেশ
শৈশব শিকারি নয় এ দেশ।
হয়েনা নারী অত্যাচার
করেনা শ্লীলতা হানি
কোনো নারীর
মাগো মাটি আমার
আমার ভারত জন্মভূমি,
তোমার মাটি আমার কাছে
এখনো বড় দামি।
এখনো!
*******
ভালোবাসার মশাল জ্বলেছিল একদিন আজ নিভে গেছে।
বৈদ্যুতিক কারিকুরি সব কবে যে বিকল হলো।
লণ্ঠনের তেল ফুরিয়ে দপ্ করে নিভে গেলো।
ভোর হতে ঢের দেরী জেনে গেছে আকাশের তারারা আজ।
এস পরম মমতায় ভালোবাসায় ফের হাত ধরি।
ভয় কি? এখনও আকাশে জেগে আছে মায়াবি চাঁদ ।
পূজোয় প্রবাসে
************
এখানে জাঁকালো সড়ক আর টেমসের জলকে কুয়াশারা হিংস্র বাজের মত অহরহ শীকার করে।
অথচ আমার স্বভূমি,আমার বাঙলায় আজো কিছু শারদ শিউলি, কিছু কাশফুল ফোটে ।
বন্যার জলের মত সোনালি রোদ গৃহস্থের আঙিনা ভাসিয়ে জানালা দিয়ে কখন যে ঢুকে পড়ে ন্যাংটো খোকার সাথে খেলতেএ শুরু করল!
আমার স্বদেশবাসী আজো তেমন শেখে নি কেতাবি সহবত, মাপা হাসি বা রুমালী কান্না।
খিদে পেলে তারা আজো বড় তারস্বরে চীৎকার করে।
তবু আমার স্বদেশে আজ সন্ধ্যায় লাখো লোক তেঁতুল গোলা জলে ফুচকার উদগীরণ তুলবে ।
একজনের উচ্ছিষ্ট শালপাতা মাড়িয়ে সহস্র লোক মাতৃদর্শনে যাবে প্যান্ডেলথেকেপ্যান্ডেলে।
জৌলুস প্রাচুর্য জমকে লন্ডন নয় স্বদেশআমার।
তবু সে ই শুধু আমার আমি, আমার সমগ্র।
চিরকালের দুখী সামান্য সুখেই হিল্লোলিত আমার জন্মভূমি আমার বাংলা মা, আমার গর্ভধারিণী মা আর জগজ্জননী উমা কবে যে এমন মিলেমিশে
একাঙ্গী হযে উঠল!
অচেনা বন্ধু
*********
রাঙা মেঘ হলুদ জোছনা
ঝিক মিক তারা
চেনা মুখ ! মুখোস পড়া বন্ধু
চেনার মাঝে, চিনি নি তাকে
বর্ষা কাজল চোখে
ভা লো বা সা র অভিনয়
রক্তের ফোঁটা ফোঁটা
কৃষ্ণচূড়ার লাল, সবুজ জলতরঙ্গ
বেজে ওঠে মুখরিত ঝঙ্কার
অহেতুক কৌতূহল অগ্নিবলয়
কৌতুকের ছলে বলে যাই
বেঁচে রব কবিতার আনাচে কানাচে
বিদ্রোহী বৃষ্টি ভিজিওনা আমাকে
সাক্ষাৎকারে: জ্যোতির্ময় রায়
মৌসুমী রায়
মৌসুমী রায়
40b,Dr Sundari Mohan Avenue
Kolkata-700014
সাক্ষাৎকার :
১:-আপনার কাছে কবিতা কি ?
উত্তর: কবিতা আমার বেঁচে থাকার উৎস,জীবনের সব রং এর মাধ্যমেই পাই।আমার সুখ দুঃখ হাসি কান্না এর সাথেই জড়িয়ে।
২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উত্তর: প্রিয় কবি বলতে প্রথমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তারপর নির্মলেন্দু গুণ। আমার অনুপ্রেরণা আমার বন্ধুরা যারা প্রতিদিন আমায় নতুন ভাবে নতুন লেখায় উৎসাহ দেয়।
৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ?
উত্তরঃ আমার একাকীত্বের সাথি কবিতা,কবিতার মাধ্যমে আমার না বলা কথারা প্রকাশিত হয়।
৪:-আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত)
উত্তরঃ আমার প্রথম কবিতার বই "কষ্টেই সুখী"
৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?
উত্তরঃ কবির লেখা এমন হওয়া দরকার, যেখানে পাঠক নিজের না বলতে পারা কথা খুঁজে পাবে। একাত্ব হতে পারবে কবি ও কবিতার সাথে।
৬:- ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ?
উত্তর: গুরুত্বের কথা বলতে পারিনা কিন্তু এটা মানি যে ফেসবুকের মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌছানো অনেক সহজ।
৭.ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ?
উত্তরঃ অবশ্যই ছাপা ম্যাগাজিনের ।ছাপা ম্যাগাজিন মানে আমার লেখা একটা ছাপা অক্ষরে থাকছে ,পাঠককে পড়তে হলে সেই লেখা কিনে পড়তে হবে ,অর্থাৎ লেখাটার একটা মূল্য থাকছে ,অপর দিকে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিন এর গুরুত্বও আছে ,অনেক লেখা একসঙ্গে পাওয়া যায় ,সহজে পড়া যায় ওহ কিনতে হয় না । একসময় আসবে যেদিন খাতা কলম থাকবেন না ,সেই সময় এই ব্লগ গুলোই তো থাকবে ।হয়তো এখন নয় ,হয়তো কয়েক শতাব্দী পর ।
৮. আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর: আসলে মানুষ আস্তে আস্তে বিনোদন এর যে বিষয় বা মাধ্যমে কেই বুঝে উঠতে পারছে না ,যে কোন জিনিসটা তাকে বেশি আনন্দ দেবে ।যেমন ধরুন ফেসবুক বা ইউটিউব এ কিছুক্ষন সময় কাটানোর পরই মনে হচ্ছে না। ,আর ভালো লাগছে না ,এই যে ভালো না লাগাটা জন্ম কিন্তু এই ইন্টারনেট ।আসল মানুষ এখন সব কিছু হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছে ,পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত দেখতে পাচ্ছে যেগুলো আমরা বই পড়েই আগে জানতাম ,বুঝতাম এবং কল্পনায় সেই ছবি আঁকতাম ,হয়তো বিভিন্ন জনের সেই কল্পনা আলাদা হতো ,কিন্তু একটা কল্পনা শক্তি ছিল ,একটা ভাবার শক্তি ছিল এখন সেই শক্তিকে পঙ্গু করে দিয়েছে ,আর এই জন্যই সবাই বই বিমুখ হয়ে গেছে ।
৯. উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ?
উত্তর: উত্তরাধুনিক কবিতা মানে এই নয় যে শুধু ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করলেই হবে ।উত্তরাধুনিক কবিতার একটা নির্দিষ্ট রীতি আছে ,একটা নির্দিষ্ট তাল ,ছন্দ । ধরা যাক পদ্য কবিতার ক্ষেত্রে ...আগে যেমন লেখা হত
" এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি,
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।"
এইখানে ভূরি ও চুরি ,একদম কাছাকাছি শব্দ দিয়ে মিল করেছেন
উত্তরাধুনিক কবিতার ক্ষেত্রে
"তুমি কিসের মহৎ ,তুমি কিসের উদার
সাপের কামড় খেয়ে মেটায় ক্ষুধা "
এখনকার মিল ,ছন্দ গুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন ,একটা আলাদা রীতি সম্মিলিত ।
কবিতা মানেই তো একটা ছান্দিক রীতিতে অনুরিত হওয়া কিছু অপ্রকাশিত শব্দমালার বহিঃপ্রকাশ ।
যা সহজে বুজে নেয় মনের আকুতি ,মনের গভীরতা।তাই কবিতা এরকমই হওয়া উচিত ,যা বোধগম্য ।
নদীর কথা
**********
নদীর কথা ভাবলে আমার
তোমায় মনে পড়ে...
আবছা বাদলদিনে বৃষ্টি ফোঁটায়
দুজন কূল হারিয়েছিলাম শরীর ঝড়ে।
আমার পাশে আজকে তোমায়
আর ঘন হয়ে বসতে দেখিনা...
নদীর বুকে আজো গভীর ছায়া পড়ে
খামখেয়ালেও তুমি কি আর ভালো বাসতে পারোনা?
নদীর ওপার থেকে আমায় কেউ
খুব আদর করে ডাকে...
আমার প্রাণের চিলতে আলো আসছে নিভে
আমায় কে আর আটকে রাখে।
কাঁচের স্বপ্ন
**********
তোর কারনে আঁচড় কাটি
জমাট বাঁধা অন্ধকারে
মনের ভিতর মনের রোপণ
কজনাই বা পারে...
তোর কারনে সিঁদুর কাঠি
খেলনাবাটি সব ছড়িয়ে ফেলা।
সাধ ছিলো শুধুই কাঁচের চুড়ির
তাও দিলিনা কত আসলো গেলো মেলা
তোর কারনে চোখের জলে
মাথার বালিশ ভিজে ঢোল..
একবার তোর আসল রূপটা দেখা
একবার মুখোশটা কে খোল।
চেষ্টা করেছি বহুভাবেই
তোর তালে পা মিলিয়ে চলার
বুকের খাঁচায় চাপ বাড়িয়ে...
ভেবেছি বাড়ুক পাপের ভার।
হৃদয়ের মন্থনে উঠতো জেগে
আমার প্রেমিক কূলছাড়া বৈরাগী
আরেকবার চল নাহয় অলীক স্বপ্নের..
বাঁধন কেটে গোটা চাঁদরাত জাগি।
বেরঙ জীবন
************
আটকুঠুরির যে কোন দুয়ার খুললেই..
তোমার মুখোমুখি চোখে চোখ রাখা
পলক ফেলতেই অন্ধকার
অভিব্যক্তিহীন হৃদয় স্থির শূন্যে ফেরারি বলাকা।
বিবশ বিবেক অবশ মন্ত্রে
ঘর সামলানো আজ দায়
যখন থাকো ঘুমঘোরে প্রিয়,
জাগরণ তোমার বুকে হাঁটে কিসের ছলনায়।
আটকুঠুরির যে কোন দুয়ার খুললেই
প্রিয় তোমাকেই পাওয়া যায়..
ছায়া ঘেরা চোখ খুঁজে ফেরে মন
রামধনু রঙ হারিয়ে আজ সাদা কালো জীবন।
সাক্ষাৎকারে :জ্যোতির্ময় রায় (কার্যকরী সম্পাদক)
সাপের কামড় খেয়ে মেটায় ক্ষুধা "
এখনকার মিল ,ছন্দ গুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন ,একটা আলাদা রীতি সম্মিলিত ।
কবিতা মানেই তো একটা ছান্দিক রীতিতে অনুরিত হওয়া কিছু অপ্রকাশিত শব্দমালার বহিঃপ্রকাশ ।
যা সহজে বুজে নেয় মনের আকুতি ,মনের গভীরতা।তাই কবিতা এরকমই হওয়া উচিত ,যা বোধগম্য ।
১০. গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তরঃ গদ্য কবিতা মানে গদ্য নয় কিন্তু কবিতা যার একটা নিদির্ষ্ট তাল থাকে ,একটা ছন্দ থাকে ।
গদ্য পদ্য কবিতা বলতে একটা গদ্য কবিতার একটা নির্দিষ্ট পদ্য রীতি ।
কিছু কবিতা :
তাসেরঘর
********
ভুল করে যদি মাঝরাতে
তোমার নাম ধরে ডাকি
তুমি কি বেঁধে নেবে মায়ার বাঁধনে...
না আবারো দিয়ে যাবে ফাঁকি?
ইচ্ছে মতো গড়ে নেবো
তোমার আমার তাসের ঘর
যা খুশি তাই বলুক লোকে, বাইরেটাকে...
বদলে দিয়ে রাখব তোমায় বুকের ভিতর।
মনখারাপের সাজিটাতে ভরে রাখি
আমার না বলা সব সুখ
মেঘের আঁচলে রাখব ঢেকে চড়া রোদে...
আমার ভালোবাসার মুখ।
জীবন মানে তোকেই বুঝি
আমার মনে অবৈধতার অসুখ
তোর ছোঁয়াতে ব্যাকুল থাকি...
তোর হাসিতে দূর হয়ে যায় আমার যত দুখ।
দূরত্ব
*****
লাল মাটির কাঁকড় বিছানো স্টেশনে
দাঁড়িয়ে মনে হলো কত জায়গায়
যাওয়ার ছিলো তোমার সাথে
হোলোনা আর কোথাও যাওয়া।
অনেক ভিড়ের মাঝে
সবচেয়ে কাছের মানুষের
মুখটা মিশে গেলেই ভয় হয়...
হয়তো আর কোনদিন তাকে
হবেনা কাছে পাওয়া।
এখন গোধূলি নেই দিগন্তে ঢলেছে দিন
সন্ধ্যার আকাশপাত্রে টলোমলো রঙ...
পাখিরা বাসায় ফেরে সাথে
আপাদমস্তক অভিমানে মুড়ে,
আমিও ফেরার পথে আবারো তুমিহীন।
**********
নদীর কথা ভাবলে আমার
তোমায় মনে পড়ে...
আবছা বাদলদিনে বৃষ্টি ফোঁটায়
দুজন কূল হারিয়েছিলাম শরীর ঝড়ে।
আমার পাশে আজকে তোমায়
আর ঘন হয়ে বসতে দেখিনা...
নদীর বুকে আজো গভীর ছায়া পড়ে
খামখেয়ালেও তুমি কি আর ভালো বাসতে পারোনা?
নদীর ওপার থেকে আমায় কেউ
খুব আদর করে ডাকে...
আমার প্রাণের চিলতে আলো আসছে নিভে
আমায় কে আর আটকে রাখে।
কাঁচের স্বপ্ন
**********
তোর কারনে আঁচড় কাটি
জমাট বাঁধা অন্ধকারে
মনের ভিতর মনের রোপণ
কজনাই বা পারে...
তোর কারনে সিঁদুর কাঠি
খেলনাবাটি সব ছড়িয়ে ফেলা।
সাধ ছিলো শুধুই কাঁচের চুড়ির
তাও দিলিনা কত আসলো গেলো মেলা
তোর কারনে চোখের জলে
মাথার বালিশ ভিজে ঢোল..
একবার তোর আসল রূপটা দেখা
একবার মুখোশটা কে খোল।
চেষ্টা করেছি বহুভাবেই
তোর তালে পা মিলিয়ে চলার
বুকের খাঁচায় চাপ বাড়িয়ে...
ভেবেছি বাড়ুক পাপের ভার।
হৃদয়ের মন্থনে উঠতো জেগে
আমার প্রেমিক কূলছাড়া বৈরাগী
আরেকবার চল নাহয় অলীক স্বপ্নের..
বাঁধন কেটে গোটা চাঁদরাত জাগি।
বেরঙ জীবন
************
আটকুঠুরির যে কোন দুয়ার খুললেই..
তোমার মুখোমুখি চোখে চোখ রাখা
পলক ফেলতেই অন্ধকার
অভিব্যক্তিহীন হৃদয় স্থির শূন্যে ফেরারি বলাকা।
বিবশ বিবেক অবশ মন্ত্রে
ঘর সামলানো আজ দায়
যখন থাকো ঘুমঘোরে প্রিয়,
জাগরণ তোমার বুকে হাঁটে কিসের ছলনায়।
আটকুঠুরির যে কোন দুয়ার খুললেই
প্রিয় তোমাকেই পাওয়া যায়..
ছায়া ঘেরা চোখ খুঁজে ফেরে মন
রামধনু রঙ হারিয়ে আজ সাদা কালো জীবন।
সাক্ষাৎকারে :জ্যোতির্ময় রায় (কার্যকরী সম্পাদক)
সম্পা পাল
উমা , তোমার অপেক্ষায়
**********************
শুনছো তুমি !
আমি ভাদ্রের একা দুপুরে বসে ,
মেঘগুলো এখন প্রায়ই ছাঁদে আসে ।
রোজই দুপুরে কীটস , বায়রন ,রবীন্দ্রনাথের সম্মেলনে আমিও ছাঁদে আসি ।
ওরা বিশ্ব , আমি তুচ্ছ , নগন্য , বালির কণা ।
এক কোনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকি , সূর্যটা কখনো কখনো বিরক্তও করে ।
যেদিন বৃষ্টি থাকে সেদিন আর আসা হয় না ।
সেদিন জানালার পর্দা সরিয়ে ডুয়ার্সের বৃষ্টি দেখি ,
দেখি পাহাড় আর সমতলের সঙ্গম ।
রোজনামচার জীবন ভেঙে এবার আমায় উমা এনে দাও
পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া সামিয়ানা এখনো আমাদের আলমারিতে ।
আমার আয়োজন শুরু হয়েছে , উঠোনে ঢাক বাজবে
একা এক ঢাকুরে ফাঁকা স্টেশনে বসে , হয়তো অপেক্ষায় .........
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)