নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অভিজিৎ দাসকর্মকার





কয়েকটি রাগের কথা
********************




আমি বৃষ্টি ভাবি আর সূর্য ভৈরবীর ছবি তোলে
চার দেওয়ালের পটদীপ দৃশ্যকে
   শাওয়ার জলে আদর করি
তোমার দৃষ্টিতে ধুতরো ফুলের গন্ধ
ল্যাম্পপোস্টের মোড়ে আলো হয়ে যেতে দেখি।
সোনালি চন্দ্রকোষের কোলে তোলা মেয়েটির গার্গী নাম
   পিচ রাস্তার মোড়ে সেলুনকবি
   সমুদ্র-আকাশ মিলিয়ে সরলরেখা টানে
   মুড়ির ঠোঙায় দাঁতের কালসিটে রেখা
প্রতিটি লাইন সমতলে গাণিতিক নৃতত্ত্ব থাকলেও
    শূন্যতার ভিতর ভালোবাসারও সন্ধে নামে 
আসাবরী থেকে কাফির ঠোঁটে ক্রিয়াপদের সুর
       দুচোখে তোমার অঘোষিত ছবিতে
মোনালিসার হাসি...

জারা সোমা




বাবার মতো
*********


শয্যা পেতে রেখো পরিপাটি 
আসছি একটু পরেই
পাশবালিশ জড়িয়ে ঘুম 
তবে আজকের স্বপ্নে
আসবে অন্য কেউ 

কবিতা গোছের কেউ একটা এসেই
খসিয়ে দেবে আঁচল 
লেপ্টে যাবে সিঁদুরের টিপ 
ডালপালা মেলে নিবিড় করবে বন্ধন
মোহময় হবে রাত 

তুমি তখন প্রেমিক থেকে 
বাবার মতো হয়ে যাবে।।।

জারা সোমা






যুদ্ধ

****


নিজের মুখোমুখি দাঁড়ালাম
চারিদিকে সাম্প্রদায়িক রব
দালান -ভিটে ঠাঁই নেই 
মানবিকতা শেষে জেতে রাজনীতি 

সকাল থেকেই গান বাজছে
পতপতিয়ে উড়ছে তেরঙ্গা পতাকা 
স্বাধীনতার ছুটি  বিপণী সাজায় 
কেবল ডুবে যায় ভারতবর্ষ 
হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো শব্দে
  রাম রহিমের যুদ্ধ -যুদ্ধগন্ধ!!!

দীপাঞ্জন দাস




তুমি


মেঘলা আকাশে তোমার প্রতিচ্ছবি
কথা বলে হাত নেড়ে।
একপশলা বৃষ্টি, ক্ষণপ্রভার ঝলকানি
চমক লাগায় প্রতিনিয়ত।
ভালোবাসি বলা হয়ে ওঠেনা,
তবুও কাহিনী মেলায় অবিরত।
তুমিও তো স্পর্শ খোঁজো,
অন্ধ ভালোবাসার মেরুকরণে।
কখন সে মিষ্টি গন্ধ
আঁশটে হয়ে আসে,
চক্ষুদ্বয় তৃপ্তি পান করে
দুঃখ উদযাপন করে অতল গভীরে। 

সোমা দাস






লাশে ঢাকা মা
***********



কাশ ফুলের ঝারে যখন লেগেছে মাতন
যখন পরেছে ঢাকে কাঠি-

আমার বিষন্নতা ছুঁয়ে থাকে জলের তোড়ে
ভেসে যাওয়া মানুষের পীড়িত মুখ! 

নতুন জামার গন্ধে লেগে থাকে -সেই 
দু-মুঠো অন্নের জন্যে ক্রন্দনরত শিশুর
দীর্ঘশ্বাস! 

যেন-দুহাত বাড়িয়ে আনন্দঘনো মুহুর্তগুলোকে
ছুঁতে চায়! 

আমি কাদামাখা লাশের উপর দিয়ে হেঁটে চলি
মন্বন্তর যেন! 

ঢাকের কাঠিতে বাজে স্বজন হারানো কান্নার বোল
হৃদয় বিদারক শব্দের ঝংকারে শূন্য বুকের খাঁচা ! 

কিছু শব্দের অনুরনন ফিরে আসে -

আমাদের বাঁচাও, বাঁচাও আমাদের! ! 

অনির্বাণ দাস




মানবতা 
*******



মিশছে মানুষ মাটির নিচে
থাকছে মানুষ কাহিনীতে
ওই ছেলে টা সহজ সরল
হিংসা ভরা পৃথিবী তে !
যাচ্ছে মুছে শহীদের দান
ভাবছে ওপারে পূর্ব গণ
বলছে ঝুঁকে , হচ্ছে টা কি  ?
মা এর বুকে , এ কোন পাষাণ !
লাল মাটির অরুণ ছায়ায়
তরুণ কেনো রক্তে ভরায়
নদীর কূলে ওই ছেলেটা
মিথ্যে  কেনো দ্বন্দ্বে জড়ায় ?
গোলাপ চারা অরুণ , বরুণ
কাঁটায় আছে রক্ত বিন্দু
হালকা বুলেটে রাস্তা বুলেটিন
বিবেক হবেনা পূর্ণ চেতনা কিন্তু !
পারি না  আমি ফোটাতে ফুল
পারি না আমি জাগাতে কুল
পাই না আমি গোলাপ বর্তমান
পাই না  মাতুঃষ্বসা , মাতুল !
হোক , মেঘের ভেলা আকাশের জন্য,
নীল জল সমুদ্রের জন্য,
সবুজ রঙ প্রকৃতির জন্য,
কোকিলের গান বসন্তের জন্য,
সবুজের উচ্ছ্বাসে, ফুলের ঘ্রাণে
জাগুক আলোড়ন সবার প্রাণে  ! 
একটা আকাশ কি পারে সবটুকু মেঘ ধরে রাখতে?
একটা সাগর কি পারে সবটুকু জল জমা রাখতে?
আর একটা বসন্তই কি পারে সবটুকু ভালবাসা প্রকাশ করতে?
তার পরও যেন ভালোবাসায় পূর্ণ থাকে এই বসন্ত।
সেই শুভকামনাই থাকবে  আমার কলমের মূলে !
নীশি যখন ভোর হবে,
শুকতারা নিভে যাবে,
শুরু হবে নতুন দিন।
দু:খ হতাশা ক্লান্তি ভুলে
দিনগুলি হোক অমলিন,
শুভ হোক প্রতিটি দিন।