তমসো মা
*********
ছন্নছাড়া ঘরকন্যায় বিন্যস্ত মানবজীবনে কাশফুল ফুটলে লোকে জানে এবার মা আসছেন।ধুলো ধুলো দুঃখদের ঝাড়পোছ করে মনের ঘরে লাগাতে থাকি উদযাপনের খুশিরং।
বিস্তীর্ণ সৃষ্টিরাজিতে প্রকৃতিও তুলে ধরে নিজের অপরুপ কলাকৃতি,পুকুরগুলো ভরে যায় পদ্ম শালুক এ।প্রখর রোদের তেজ অমলিন থাকলেও জলপাই রঙ গাঢ়তর হয়,ঠিক পাওয়া উপহারের সোনালি মোড়ক যেন। দীঘির গভীর জলে ঢেউএর আলোড়ন মানবমনের আকুল চঞ্চলতাকে ভাষা দেয় যা মায়ের জন্য সন্তান অনুভব করে।কবে আসবে তুমি,তাড়াতাড়ি এসো আর রাঙিয়ে দিয়ে যাও আনন্দে এ ভুবন।
। সময় বড় কম।মোটে একটা সপ্তাহ।জানি পাল্টাবে না দু ঃখের সুবিশাল সিলেবাস।তবু প্রচেষ্টা থাকুক,আশা থাকুক,আলো থাকুক সব প্রতিকুলতা,অসহায়তা, আধার থেকে উত্তরণের।একটা পথের সন্ধান থাকুক,যার রেখাসুত্র অনুসারে আমরা একটু ভালোর খোজ করে যাবো।শিশুদের পৃথিবীটা একটু নিরাপদ হোক।বয়স্কদের পৃথিবীতে পরিবারের সান্নিধ্যের ছোঁয়া লাগুক।নির্যাতিতরা বিচার পাক।
একটা সুন্দর সমাজের রুপায়ণে তোমার শুভ কল্যাণী সাহচর্য ছাড়া আমরা তোমার সন্তানেরা কিভাবে এগোবো।
দিকে দিকে বেজে উঠছে আলোর বেণু।আর আমরাও প্রস্তুত যাবতীয় অনাড়ম্বতায় তোমায় গ্রহণ করে নিতে।আমাদের ঘরের মেয়ে, হে দেবী এসো এ আলোয় পথের দিশারি হয়ে।