নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রিয়া ভট্টাচার্য



এবং সামাজিকতা
 ****************



মেয়েটা কৃষ্ণকলি, বিবাহের বাজারে প্রতিবার প্রত্যাখাত। টেকো,বেশি বয়সী পাত্রপক্ষ অনায়াসে মূল্যের দাঁড়িপাল্লায় বিচার করে তার কার্যকারিতা,  পাত্র থেকে পাত্রের দাদা-ভাই-কাকা-জ্যেঠা প্রতিটা রোমকূপ পরখ করে লালসার দৃষ্টিতে। বাবা-মা কোনোক্রমে মেয়ে বিদায় করে সামাজিক মর্যাদা বাঁচাবার চেষ্টায় রত, হোকই না মেয়েটি পড়াশুনায় ভালো অথবা গানের সুরে রাতপরীদের নামাতে পারে জোছনাঘেরা প্রান্তরে। বিবাহের বাজারে সে তাও অচল আধুলিই, আজও রং-রূপ দিয়ে মানুষের গুণ বিচার হয় কিনা!! এই মেয়েই যখন পণের বাজারে বলিপ্রদত্ত হয়ে চারকাঁধে চেপে নাচতে নাচতে শ্মশানঘাটে যাবে, এই বাবা-মাই কাঁদতে কাঁদতে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বলবেন--" সব পাত্রপক্ষের দোষ"। হায় রে সামাজিকতা!!

ছেলেটা বেকার, ভালোবাসে উচ্চপদস্থ চাকুরীরতাকে। দুজনে বড্ড সুখী, শেষ বিকেলের মরা রোদ গায়ে মেখে গঙ্গাপাড়ে বসে ভাগ করে খায় ঝালঝাল বাদাম। গোধূলির রক্তিম সূর্যকে সাক্ষী রেখে স্বপ্ন সাজায় চারদেওয়ালের একটা ছোট্ট ঘরের, যেখানে অন্ধকারের মাঝে আলোকদীপ হয়ে উড়ে বেড়াবে জোনাকিরা। ছোট সংসার, যেখানে দিনের শেষে কাজ সেরে ফেরা পরিশ্রান্ত মেয়েটার কপালে হাত বুলিয়ে ক্লান্তি মুছিয়ে দেবে ছেলেটা, মুখের কাছে এগিয়ে দেবে পিপাসার জল, তারপর ঠোঁট ফুলিয়ে দাবী করবে দেরী করে আসার কৈফিয়ত। যাকে মানাতে মেয়েটাকে মেহনত করতে হবে অনেকটা, বুটিকে অর্ডার দেওয়া দামী গোলাপ নয়, এক আঁচল শিউলি ভরে দিতে হবে তার আঁজলায়; তবেই মানবে সে।
কি হল? ভাবছেন নিশ্চয় এমন ছেলের সঙ্গে কিকরে মেয়েটির বিয়ে দেবেন? ছেলেটি বেকার, সমাজ কি বলবে? স্ট্যাটাস বলে একটা বস্তু আছে তো? পাড়াময় ফলাও করে প্রচার করতে হবে না জামাইয়ের আর্থিক স্বচ্ছলতার গল্প.... মেয়ে যতই অযোগ্য হোক না কেন! 

মেয়েটি ছেলেটির থেকে প্রায় ছয় সাত বছরের বড়, ছোট্ট শিশুর মত আদরে স্নেহে আগলে রাখে তাকে। শাসন করে মায়ের মত, হারাতে ভয় পায় বড্ড। ছোট্ট প্রেমিকের এককথায় তার মেঝেতে সাজিয়ে দিতে পারে আকাশের চাঁদ, বুনোফুলের গন্ধে ম ম করে তাদের টালির চালার ছোট্ট কুটির। 
কি হল? গা গুলিয়ে আসছে ঘেন্নায়? মনে হচ্ছে ছিঃ ছিঃ এ কেমন অবিচার!! মেয়ে ছেলের থেকে বড়? এভাবে তো ধ্বংস হয়ে যাবে সমাজব্যবস্থাটাই!! এতএব কান ভরো, ছিঃ ছিঃ রবে ভারী করে তোলো বাতাস, দোহাই দাও পারিবারিক মর্যাদার ; ওই যে কথাটা আছে না!! জন্ম দিয়েছি, তাই ইমোশনাল ব্লাকমেল করে নিজের সব দাবী(যদি তা অন্যায় ও হয়) মানতে বাধ্য করাটা আমাদের অধিকার।
আজ দুজনের কোনো সম্পর্ক নেই, দাঁতে দাঁত চিপে দুজনে দুজনের কাছে করে চলে অপরিচিত হওয়ার অভিনয়, সামাজিকতা যে বড় বালাই।

ছেলেটা ভালোবাসে তার চেয়ে বয়সে অনেকটাই ছোট মেয়েটিকে। তার শত অভিমান, রাগ - হতাশা- যন্ত্রণাগুলো সহ্য করে পরম মমতায়। আউলবাউল ঝোড়ো মেয়েটাকে বটগাছের মত আগলে রাখে পরম নির্ভরতায়। শাসন - স্নেহ - আবদার - অভিমানের এমন কম্বো জুটি পাওয়া সত্যিই মুশকিল, তারা জানে একে অপরের চেয়ে আর কেউই সামলাতে পারবে না তাদের, কিছু মানুষ সত্যিই তৈরী হয় একে অপরের জন্য।
কিন্তু তাও তারা এক হতে ভয় পায়, আমাদের সমাজব্যবস্থা আর কিছু না পারুক প্যাঁক দিতে ছাড়েনা যে!! পরিবার সমাজের যৌথ চাপে হয়ত একদিন হেরে যাবে ভালোবাসা, এটা ভেবে প্রতিরাতে বালিশ ভেজায় তারা; ব্যস্ত শহরের দুই প্রান্তে। দিনের বেলা আবার করে যায় সুখী থাকার অভিনয়, ছেলেটার ঘামের গন্ধে মেয়েটা খুঁজে পায় নির্ভরতার আশ্রয়।

#ডিয়ার_সমাজবাদীস, আপনারা ঠিক কি চান বলুন তো? বাচ্চা পরীক্ষায় বেশী নম্বর পেলেও ফুসফুস করে আলোচনা করেন, আবার কম নম্বর পেলে ঢাক বাজিয়ে উদ্বাহু হয়ে নেত্য করেন, কেজানে খুনটুন করে ফেলল কিনা!!
বাচ্চা বেশি রোগা হলে বাবা-মায়ের চেয়ে বেশী ফাটে আপনাদের, আবার বেশি মোটা হলে এমন আঁতকে ওঠেন যেন তার চারবেলা খাওয়ার খরচটা আপনারাই চালান!! মেয়ের বয়স আঠারো হলেই এমনভাবে তার মা-বাবার কান ভরা শুরু করেন বিয়ের জন্য যেন তারা ঘরে সন্তান নয় অ্যানাকোণ্ডা বুনিপ টুনিপ পুষছেন, আচ্ছা ঠিক কোথায় সমস্যা আপনাদের? বাড়িতে খেয়ে কোনো কাজ নেই? ভোঁদড়েও দিচ্ছে না বুঝি!!
কিছুদিন আগে এক তথাকথিত শুভানুধ্যায়ী ( তিনি আবার আত্মীয় ও বটেন) আমার ইনবক্সে আমার কমেন্টবক্সের কিছু স্ক্রিনশট দিয়ে বলেছিলেন, এগুলো ঠিক নয়, তুমি দিনদিন চরিত্রহীন হচ্ছো। এই তথাকথিত আত্মীয় আবার আমার কমেন্টবক্সে একটি মেয়েকে লাইন মারতে গিয়ে চরম ক্যালানি খেয়ে ব্লক হয়েছিলেন একবার, আমায় লাইন মারার ইচ্ছা থাকলেও সাহসের অভাবে প্রকাশ করে উঠতে পারেননি। এবার আমায় ইনবক্সে কেউ এককথার বেশি দুকথা বললেই পিরানহার কামড় খান, ইনি তো সোজা ফলার থুড়ি ভাগাড়ের চিকেন সাজিয়ে দিয়েছিলেন; অগত্যা এনার অবস্থা কি হয়েছিল পাঠকবর্গই কল্পনা করুন, আমায় আনফ্রেন্ড করে পরিত্রাণ পেয়েছিলেন তিনি।
মোদ্দা কথায় আসি, " কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহেনা" এই আপ্তবাক্যটি মনে রাখুন; করুন ওটাই যেটা আপনার মন চায়। জীবনটা আপনার, ভুয়ো সামাজিকতার দোহাইয়ে তথাকথিত আবালদের জন্য নিজের জীবনটা নষ্ট করবেন না..... নিজের শর্তে বাঁচুন; দোহাই আপনাদের।।

কাজী জুবেরী মোস্তাক




বিদ্রোহী হয়ে জন্মাবো 
********************



তোমাকে প্রশ্ন করি সাধ্য কি আমার ?
তোমাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে দেখি সত্য বলার অপরাধে জিহ্বা হীন মুখটাই শুধু পড়ে আছে ৷
তোমার চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ করবো ভেবেছিলাম ,
কিন্তু তোমাকে চেনার অপরাধে আমার চোখটাই তুমি নিয়ে নিয়েছো ৷
তোমার দিকে আঙুল তুলবো সে ক্ষমতা কি আমার আছে ?
আমার আঙুলতো বহু আগেই খেয়ে নিয়েছে
তোমাদের ঐ ক্ষুধার্ত নোংরা রাজনীতি ৷
তোমার দিকে পা বাড়াতে গিয়ে দেখি
সে পা টাতো কবেই হারিয়েছি তুমি বিরোধী কোন এক মিছিলে গিয়ে ৷
তবুও আমি তুমি বিরোধী মিছিলের প্রথম সিপাহসালার ,
বিদ্রোহী হয়েই জন্ম নেবো মৃত্যু হবে যতবার ৷

প্রনবেশ চক্রবর্তী





মাংস
******


রাম তো গরু খায়না,
গরু তো দেবতা ওদের ধর্মে৷
গরু খেলে জাত যাবে যে
মরে যাবে এই পাপ কর্মে৷
গরু খেকোরা দূর হয়ে যাও
এটাই দাবি ওদের বর্ণে৷
গরুকে ওরা মা ও বলে
গরুর জন্য যুদ্ধ করে৷
অথচ খেয়াল নেই নিজের মা বৃদ্ধাশ্রমে
মৃত্যু নিনাদ তার শিয়রে৷
এদিকে রহিম আবার শূয়োর খায়না,
শুয়োর খাওয়া নাকি হারাম ওদের৷
জোর করে কেউ খাওয়াতে চাইলে,
খুনোখুনি করে শেষ দেখতে চায় তাদের৷
তবে হ্যাঁ মাংসে এদের অরুচি নাই৷
এক জায়গায় এদের ভিষন মিল৷
শ্যোন দৃষ্টিতে এরাও তাকায়৷
যেমন তাকায় ঈগল চিল৷
পিশাচের মত মাংস গেলে৷
 পৌরুষ্যত্বের অসীম তেজ,
নারী শরীর কাম্য এদের,
লালসা মেটায় নির্জনে নারী শরীর পেলে৷
নারী মাংস বুভুক্ষু এরা,
এদের কাছে সব সমান৷
বাদ যায় না তিন বছরের
বাচ্চা কন্যা সন্তান৷
নারী মাংসই সর্বোৎকৃষ্ট৷
নারী শরীর খুবলে খায়৷
একবার ও কি মনে হয়না,
এ শরীরটাও মায়ের মত প্রায়৷

রাজীব লোচন বালা




ওহে  ডাক্তার
  **********

                       

  কচি বয়স থেকেই আমি ডাক্তারদের পূজা করিতাম,
 ভাবিতাম কত ভালো করেছে তারা, জনগণের সেবায় আত্ম-নিয়োজন।
ডাক্তারবাবুদদের ছাড়া রোগী বাঁচেনা! এটাই বুঝেছি আমি ছোট্টোবেলাতে,
    এখন আসল সত্য কথা বলি আপন-মনে, ওহে ডাক্তারবাবু দিয়েন মনোযোগ_

গরীব মানুষের কাজ করতে করতে অসুখ হয় যখন-তখন,
ডাক্তারখানায় লোক থাকবেই ভেবে বর্তমানের যত বড়লোকের দল__
টাকা দিয়ে,  ঘুষ  দিয়ে ছেলে-মেয়েরে ডাক্তার বানাইতেছে।
গরীব মানুষ মরতে বসে, তখন  মোদের দ্বিতীয় ঈশ্বর,
কি করে তখন, টাকা দিলে চিকিৎসা হবে নচেৎ মরণ।

টাকা দিয়ে ভুয়ো অনেক শয়তান ডাক্তার,তোদের জন্য ভারত আজ সবথেকে লাচার।
মেডিক্যালে পড়ার সময়, কত ভালো ঞ্জান, সার্টিফিকেট পাওয়ার পরে,
              কেন হয় এতো ঘ্যাম?
ও হো, এবার বাবুরা ছুঁটবে যে টাকা কামাইয়ের ইঁদুর দৌড়ে সারাক্ষণ।

কার থেকে বেশী কামাই করবে এখন, তাইতো তোমরা সরকারী হাসপাতালে না এসে,
বেহাল্লাপনায় খোলো নিজেদের ক্লিনিক আর চেম্বার।
     যখন তোমরা শপথ নাও মানুষ সেবার লাইগা,
তখন কি বলেছিলে, যারা দিবে যত টাকা আগে করমু তাদের সেবা!

এখন দেখি তোমাদের, আসো হাসপাতালে আর চাকরী কর অনায়সে,
মাসের শেষে থুতু দিয়ে গোনো টাকা, এক টাকা ভুলের জন্য।
একটা অসুখের জন্য তোমরা, ফর্দ আঁকো বেশ
গরীবের ঘর-বাড়ি,জমি-ঘড়ি শেষ করে নিঃস্ব রিক্ত করো।

    হাসপাতালে দাওনা Duty , রোগী মারা যায়
 তোদের মতোন টাকার ভিখারী এই বিশ্বে কেউ নাই।
  সেবার নামে তোমরা বাবু করছো শুধু লুট,
        মনে রাইখো শেষ বিচারে পাবে না কভু ছুঁট।

সেবার নামে নামো তোমারা প্রতিযোগিতায়,
লুটে খেলে,  কেঁটে খেলে গরীবরে কর ছিনতাই।
কাগজ মাঝে হাত ছোঁয়ালেই, ঔষুধের ব্যাবসা করো,
রোগীকে না খাইয়ে তা দোকানের জিনিস দোকানেই পাচার করো।

      একটা রোগের টেস্ট করাতে কত পরীক্ষা,
     পরীক্ষা করিয়ে নিতে থাকো অর্ধেক মুনাফা।
       ডাক্তার তোমাদের মোর ভগবান মানি গো,
   কেমনে তুমি  মৃতদেহ ছাড়তেও টাকা চাও গো?

মেথেডোলোজীর আর কত বাক্যের ফুলঝুড়ি,
মরার পড়েও মৃতেরে দিয়ে করছো কামাইয়ের ফন্দি।
তোমাদের দুয়ারে কেউ গেলে  কাজ একবার হয়,
সারা জীবন ঔষুধ খাওয়াবা, করবে গ্রাসের নাচন।

       একটা কথা বলি বাবু তুমি ডাক্তারমশাই,
রোগীর কথা না শুনিয়াই, তাদের যন্ত্রনা না বুঝেই,  কত কি যে কর,
সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ, তোমারাই করলে শেষ।
প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে নিয়ে ব্যাবসা করো রমরম।

জানো ডাক্তার ভগবান তোমরা নও, কভু ও, কখোনো না,
 আসল ভগবান হচ্ছে মোদের সাফাইকর্মীরা।
নার্স এখন অমানবিক, অনেক দেখলাম শুধু ঘুমায়-
আবার এক সাথে নার্স বান্ধবীরা এক হলে নিজস্বী তুলে নেয়।
এদিকে রোগী ডাকে অসহ্য চিৎকারে, আর তারা মশগুল লুডু খেলতে হায়!

এত সুন্দর কর্ম তেমাদের একাত্ম হয়ে, তাইতো তোমাদের নাম দিয়েছে সিস্টার,
যার কাছে ধর্মাধর্মের, জাতপাতের বেড়াজাল রবে না,
এখন তোমারা রোগীর সাথে দেখি ভালো  মতো কথাই বলো না।
সুন্দরী সাজ,  আর রুপচর্চাতেই তোমাদের জীবন এখন দেখি বেশ মশগুল।

ডাক্তারবাবু নয়, আসলে বাবু হয়ে হয় না কভু সেবার কার্য,
        বাবু মানের টাকার চাকর এই জগতে।
তাই তোমরা নও রোগীর আরোগ্যলাভের মূল ভাগীদার ।
হাসপাতাল আর তোমাদের নিজস্ব  প্রাইভেট ক্লিনিকের পরিষ্কার করে যারা,
তাদের কুর্নিশ  জানাই আমি, ওহে আসল কান্ডারী।

আর আছে দিবারাত্র  সদা সাথী মাসি-দিদিরা,
তোমাদের চরণ ধরি, তোমারা যেও না।
তোমরা মাসি আছো বলেই জানো, রোগীরা শান্তি পায়,
তোমাদের জন্যই তো তারা সুস্থ জীবন ফিরে পায়।

ডাক্তার তোমরা বেইমান ভারী, টাকার জন্য কোনো মারামারি!
টাকা! টাকা!! টাকা!!, কত টাকায় পেট ভরবে রে,
টাকার কুমির বাবু তোদরে বেতন কেন এতো বেশী ?
তোমরা থাকো এ. সি. ঘরে, কুলার গাড়ি চড়ে
আপনাদের এত বেতন কেন, বুঝে না উঠি শেষে।

ডাক্তারী পড়ার সময়, অনেক টাকা ঘুঁষ দিয়েছো,
এখন তোমারা তা ভরছো,গরীবের রক্ত চুষে।
মানুষ হও আগে তোমরা, তোমাদের হওয়া প্রয়োজন,
রোগীর শরীরকে শুধুই ভাবো যে খেলার জিনিস।

 একটা কথা বলি বাবু শোনো দিয়া মন, 
তোমাদের থেকেও,বেতন বেশী হওয়া চাই আসল সেবক- সেবিকা _
সাফাইকর্মীবৃন্দ আর দেখভালকারী মাসিদের।
রোগী সুস্থের প্রত্যক্ষে সব থেকে তাৎপর্য বেশী তাদের,
তাদেরকে হার্দিক ধন্যবাদ ও কৃতঞ্জতা জানাই।

শরীর নিয়ে ব্যাবসা ডাক্তারের, কন্ডিশনটা বেশ জমকালো_
৫০% কমিশন নাও তাই তো  প্রবেশ মূল্যেই সব আদায় করো।
তাই শোনো হে ডাক্তার, আমি ভাবিয়া দেখলাম_
তোমাদের কারনে ভিঁটে-মাটি ছাড়া উদবাস্তু মানুষ সকল।

তাই আমার হিসাব  সূক্ষ্য অতি তোমারা কর চিকিৎসার নামে
কারবারি ! 
গরীব-দরীদ্রের টাকা, টাকার ভিখারীদের মতো নাও,এই শুধু মনো-ইচ্ছা বেশীরভাগেরী।
তাই তোমরা পাবে ০.১% কৃতঞ্জতা, আর একরাশ সহানুভূতি।
৯৯%  এর বেশী কৃতঞ্জতা জানাই সেই সেবক-সেবিকাদের।

তোমরা আগে মানুষ হও ডাক্তার, আসল মানুষ মনুষত্বের আধার,
তাই তোমরা বড়ই অপরাধীরে, তোমাদের কোনো ক্ষমা নাইরে।
মানবিক হও, একাত্মতা লাভ করো, তবেই তো হবে প্রেমী।
         

সুজান মিঠি



প্রতিবাদ
********




শোন্-রে হলো বুক শুলো হয়েছে অনেক, নয় আর,
বাসী পোড়াতে তেজি এখন খাবি উল্টো মার।
কি বললি, পাতবো হাত তোর সামনে? গেছে দিন তোর।
শোন্-রে হলো বুক শুলো মুখ লুকানো চোর।
লুকিয়ে খাবি, সামনে চা'বি চলবে না এসব ছুতো,
অনেক আগে বিড়ালি তোর ভয়ের চোটে শুতো ।
আজ বিড়ালি মানুষ ওরে চরবড়িয়ে ফোটে,
হির হিড়িয়ে তুলবো চল নারী আইন কোর্টে।
ঘরের কোণে মরদ-রে তুই সাপের তেল খুঁজিস,
এসব ছেড়ে কত মুরোদ দ্যাখা দেখি, ইইস।
লেকচার-টা মারবি পরে আগে ঠান্ডা কর,
ভারী বুঝি জোয়ান মরদ হয়েছিস যে বর।
ওসব নাটক চলবে না আর মুখ চেপে মার দিবি ,
হাত-টা লাগা দেখি সাহস এক ছোবলেই ছবি।
শোন্-রে হুলো বুক শুলো করগে রান্না আজ,
শরীর-টা নেই ভালো করে গুচ্ছেন কাজ।
সারাদিনের ছুটি আজ ঘুমাবো একটা দিন,।
কি-রে হুলো যা শিগগির, করছিস্ মিনমিন!
বড্ড জ্বালাস নরম পেয়ে এবার উল্টো হবে,
মার কখন দিয়েছিলিস কখন কখন কবে,
ভাব ভাব বসে এবার মিথ্যে নাটক ছেড়ে,
বা-রে হুলো রান্না খানা করেছিস তো বেড়ে।
করবি এমন মাঝেমাঝে আমিও বসে খাবো,
আজ বিকালে ভাবছি একবার পার্ক বেড়াতে যাবো।
নিয়ে যাবি সঙ্গে করে কিনে দিবি চাইবো যা,
দেখবি আমায় লাগে কেমন গয়না ভরা গা।
না না পা আর টিপতে হয়না রাখ,
ভয় পেয়েছিস বুঝছি ভালোই তবু এসব থাক।
তবে কান খোল্ শোন রে হুলোর জাত,
ভাববি মানুষ আছে ঘরে যতই রাঁধুক ভাত।
তোর ছেলেটা ধরেছে পেটে তুইও ছিলিস গর্ভে কারো,
পুরুষ বলে হম্বিতম্বি এগুলো এবার ছাড়ো।
নারীদিবস চাইনা ওসব বাসবি ভালো রোজ,।
কানটা খুলে এসব কথা ভালো করে বোঝ।
একটা বোতল কিংবা বিড়ি ঘরে যদি পাই,
সব পুড়িয়ে দেখবি তখন থাকবে পড়ে ছাই।
ভাববি মানুষ বউ-টা তোর, তোর ঘরেতেই থাকে,
সব ছেড়ে তোর্ জন্য সবকিছু তোর্ রাখে।
বুঝিস্ যদি ভালো কথা আদর পেতেও পারিস্,
তা নইলে ধরবো টুঁটি দেখবি কেমন মরিস্!

অভিষেক মিত্র




ক্ষুধার্ত শিশু আর ঈশ্বর

ক্ষুধার্ত শিশুটিকে বললেন ঈশ্বর,
“আমি তোর জন্য দুনিয়ে বানাইনি,
তুই কি স্টক মার্কেটের শেয়ার কিনেছিস?
ইনভেস্ট করেছিস আমার কর্পোরেশনে,
তেলের ক্ষনি বা ক্রুডে?
দুনিয়াটা ধনীদের জন্য,
যারা ধনী হতে চায় তাঁদের জন্য।

আমি এত কষ্ট করে দুনিয়াটা তোর মত
ভিখিরিদের জন্য বানাইনি।”