নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কাজী জুবেরী মোস্তাক




বিদ্রোহী হয়ে জন্মাবো 
********************



তোমাকে প্রশ্ন করি সাধ্য কি আমার ?
তোমাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে দেখি সত্য বলার অপরাধে জিহ্বা হীন মুখটাই শুধু পড়ে আছে ৷
তোমার চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ করবো ভেবেছিলাম ,
কিন্তু তোমাকে চেনার অপরাধে আমার চোখটাই তুমি নিয়ে নিয়েছো ৷
তোমার দিকে আঙুল তুলবো সে ক্ষমতা কি আমার আছে ?
আমার আঙুলতো বহু আগেই খেয়ে নিয়েছে
তোমাদের ঐ ক্ষুধার্ত নোংরা রাজনীতি ৷
তোমার দিকে পা বাড়াতে গিয়ে দেখি
সে পা টাতো কবেই হারিয়েছি তুমি বিরোধী কোন এক মিছিলে গিয়ে ৷
তবুও আমি তুমি বিরোধী মিছিলের প্রথম সিপাহসালার ,
বিদ্রোহী হয়েই জন্ম নেবো মৃত্যু হবে যতবার ৷

প্রনবেশ চক্রবর্তী





মাংস
******


রাম তো গরু খায়না,
গরু তো দেবতা ওদের ধর্মে৷
গরু খেলে জাত যাবে যে
মরে যাবে এই পাপ কর্মে৷
গরু খেকোরা দূর হয়ে যাও
এটাই দাবি ওদের বর্ণে৷
গরুকে ওরা মা ও বলে
গরুর জন্য যুদ্ধ করে৷
অথচ খেয়াল নেই নিজের মা বৃদ্ধাশ্রমে
মৃত্যু নিনাদ তার শিয়রে৷
এদিকে রহিম আবার শূয়োর খায়না,
শুয়োর খাওয়া নাকি হারাম ওদের৷
জোর করে কেউ খাওয়াতে চাইলে,
খুনোখুনি করে শেষ দেখতে চায় তাদের৷
তবে হ্যাঁ মাংসে এদের অরুচি নাই৷
এক জায়গায় এদের ভিষন মিল৷
শ্যোন দৃষ্টিতে এরাও তাকায়৷
যেমন তাকায় ঈগল চিল৷
পিশাচের মত মাংস গেলে৷
 পৌরুষ্যত্বের অসীম তেজ,
নারী শরীর কাম্য এদের,
লালসা মেটায় নির্জনে নারী শরীর পেলে৷
নারী মাংস বুভুক্ষু এরা,
এদের কাছে সব সমান৷
বাদ যায় না তিন বছরের
বাচ্চা কন্যা সন্তান৷
নারী মাংসই সর্বোৎকৃষ্ট৷
নারী শরীর খুবলে খায়৷
একবার ও কি মনে হয়না,
এ শরীরটাও মায়ের মত প্রায়৷

রাজীব লোচন বালা




ওহে  ডাক্তার
  **********

                       

  কচি বয়স থেকেই আমি ডাক্তারদের পূজা করিতাম,
 ভাবিতাম কত ভালো করেছে তারা, জনগণের সেবায় আত্ম-নিয়োজন।
ডাক্তারবাবুদদের ছাড়া রোগী বাঁচেনা! এটাই বুঝেছি আমি ছোট্টোবেলাতে,
    এখন আসল সত্য কথা বলি আপন-মনে, ওহে ডাক্তারবাবু দিয়েন মনোযোগ_

গরীব মানুষের কাজ করতে করতে অসুখ হয় যখন-তখন,
ডাক্তারখানায় লোক থাকবেই ভেবে বর্তমানের যত বড়লোকের দল__
টাকা দিয়ে,  ঘুষ  দিয়ে ছেলে-মেয়েরে ডাক্তার বানাইতেছে।
গরীব মানুষ মরতে বসে, তখন  মোদের দ্বিতীয় ঈশ্বর,
কি করে তখন, টাকা দিলে চিকিৎসা হবে নচেৎ মরণ।

টাকা দিয়ে ভুয়ো অনেক শয়তান ডাক্তার,তোদের জন্য ভারত আজ সবথেকে লাচার।
মেডিক্যালে পড়ার সময়, কত ভালো ঞ্জান, সার্টিফিকেট পাওয়ার পরে,
              কেন হয় এতো ঘ্যাম?
ও হো, এবার বাবুরা ছুঁটবে যে টাকা কামাইয়ের ইঁদুর দৌড়ে সারাক্ষণ।

কার থেকে বেশী কামাই করবে এখন, তাইতো তোমরা সরকারী হাসপাতালে না এসে,
বেহাল্লাপনায় খোলো নিজেদের ক্লিনিক আর চেম্বার।
     যখন তোমরা শপথ নাও মানুষ সেবার লাইগা,
তখন কি বলেছিলে, যারা দিবে যত টাকা আগে করমু তাদের সেবা!

এখন দেখি তোমাদের, আসো হাসপাতালে আর চাকরী কর অনায়সে,
মাসের শেষে থুতু দিয়ে গোনো টাকা, এক টাকা ভুলের জন্য।
একটা অসুখের জন্য তোমরা, ফর্দ আঁকো বেশ
গরীবের ঘর-বাড়ি,জমি-ঘড়ি শেষ করে নিঃস্ব রিক্ত করো।

    হাসপাতালে দাওনা Duty , রোগী মারা যায়
 তোদের মতোন টাকার ভিখারী এই বিশ্বে কেউ নাই।
  সেবার নামে তোমরা বাবু করছো শুধু লুট,
        মনে রাইখো শেষ বিচারে পাবে না কভু ছুঁট।

সেবার নামে নামো তোমারা প্রতিযোগিতায়,
লুটে খেলে,  কেঁটে খেলে গরীবরে কর ছিনতাই।
কাগজ মাঝে হাত ছোঁয়ালেই, ঔষুধের ব্যাবসা করো,
রোগীকে না খাইয়ে তা দোকানের জিনিস দোকানেই পাচার করো।

      একটা রোগের টেস্ট করাতে কত পরীক্ষা,
     পরীক্ষা করিয়ে নিতে থাকো অর্ধেক মুনাফা।
       ডাক্তার তোমাদের মোর ভগবান মানি গো,
   কেমনে তুমি  মৃতদেহ ছাড়তেও টাকা চাও গো?

মেথেডোলোজীর আর কত বাক্যের ফুলঝুড়ি,
মরার পড়েও মৃতেরে দিয়ে করছো কামাইয়ের ফন্দি।
তোমাদের দুয়ারে কেউ গেলে  কাজ একবার হয়,
সারা জীবন ঔষুধ খাওয়াবা, করবে গ্রাসের নাচন।

       একটা কথা বলি বাবু তুমি ডাক্তারমশাই,
রোগীর কথা না শুনিয়াই, তাদের যন্ত্রনা না বুঝেই,  কত কি যে কর,
সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ, তোমারাই করলে শেষ।
প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে নিয়ে ব্যাবসা করো রমরম।

জানো ডাক্তার ভগবান তোমরা নও, কভু ও, কখোনো না,
 আসল ভগবান হচ্ছে মোদের সাফাইকর্মীরা।
নার্স এখন অমানবিক, অনেক দেখলাম শুধু ঘুমায়-
আবার এক সাথে নার্স বান্ধবীরা এক হলে নিজস্বী তুলে নেয়।
এদিকে রোগী ডাকে অসহ্য চিৎকারে, আর তারা মশগুল লুডু খেলতে হায়!

এত সুন্দর কর্ম তেমাদের একাত্ম হয়ে, তাইতো তোমাদের নাম দিয়েছে সিস্টার,
যার কাছে ধর্মাধর্মের, জাতপাতের বেড়াজাল রবে না,
এখন তোমারা রোগীর সাথে দেখি ভালো  মতো কথাই বলো না।
সুন্দরী সাজ,  আর রুপচর্চাতেই তোমাদের জীবন এখন দেখি বেশ মশগুল।

ডাক্তারবাবু নয়, আসলে বাবু হয়ে হয় না কভু সেবার কার্য,
        বাবু মানের টাকার চাকর এই জগতে।
তাই তোমরা নও রোগীর আরোগ্যলাভের মূল ভাগীদার ।
হাসপাতাল আর তোমাদের নিজস্ব  প্রাইভেট ক্লিনিকের পরিষ্কার করে যারা,
তাদের কুর্নিশ  জানাই আমি, ওহে আসল কান্ডারী।

আর আছে দিবারাত্র  সদা সাথী মাসি-দিদিরা,
তোমাদের চরণ ধরি, তোমারা যেও না।
তোমরা মাসি আছো বলেই জানো, রোগীরা শান্তি পায়,
তোমাদের জন্যই তো তারা সুস্থ জীবন ফিরে পায়।

ডাক্তার তোমরা বেইমান ভারী, টাকার জন্য কোনো মারামারি!
টাকা! টাকা!! টাকা!!, কত টাকায় পেট ভরবে রে,
টাকার কুমির বাবু তোদরে বেতন কেন এতো বেশী ?
তোমরা থাকো এ. সি. ঘরে, কুলার গাড়ি চড়ে
আপনাদের এত বেতন কেন, বুঝে না উঠি শেষে।

ডাক্তারী পড়ার সময়, অনেক টাকা ঘুঁষ দিয়েছো,
এখন তোমারা তা ভরছো,গরীবের রক্ত চুষে।
মানুষ হও আগে তোমরা, তোমাদের হওয়া প্রয়োজন,
রোগীর শরীরকে শুধুই ভাবো যে খেলার জিনিস।

 একটা কথা বলি বাবু শোনো দিয়া মন, 
তোমাদের থেকেও,বেতন বেশী হওয়া চাই আসল সেবক- সেবিকা _
সাফাইকর্মীবৃন্দ আর দেখভালকারী মাসিদের।
রোগী সুস্থের প্রত্যক্ষে সব থেকে তাৎপর্য বেশী তাদের,
তাদেরকে হার্দিক ধন্যবাদ ও কৃতঞ্জতা জানাই।

শরীর নিয়ে ব্যাবসা ডাক্তারের, কন্ডিশনটা বেশ জমকালো_
৫০% কমিশন নাও তাই তো  প্রবেশ মূল্যেই সব আদায় করো।
তাই শোনো হে ডাক্তার, আমি ভাবিয়া দেখলাম_
তোমাদের কারনে ভিঁটে-মাটি ছাড়া উদবাস্তু মানুষ সকল।

তাই আমার হিসাব  সূক্ষ্য অতি তোমারা কর চিকিৎসার নামে
কারবারি ! 
গরীব-দরীদ্রের টাকা, টাকার ভিখারীদের মতো নাও,এই শুধু মনো-ইচ্ছা বেশীরভাগেরী।
তাই তোমরা পাবে ০.১% কৃতঞ্জতা, আর একরাশ সহানুভূতি।
৯৯%  এর বেশী কৃতঞ্জতা জানাই সেই সেবক-সেবিকাদের।

তোমরা আগে মানুষ হও ডাক্তার, আসল মানুষ মনুষত্বের আধার,
তাই তোমরা বড়ই অপরাধীরে, তোমাদের কোনো ক্ষমা নাইরে।
মানবিক হও, একাত্মতা লাভ করো, তবেই তো হবে প্রেমী।
         

সুজান মিঠি



প্রতিবাদ
********




শোন্-রে হলো বুক শুলো হয়েছে অনেক, নয় আর,
বাসী পোড়াতে তেজি এখন খাবি উল্টো মার।
কি বললি, পাতবো হাত তোর সামনে? গেছে দিন তোর।
শোন্-রে হলো বুক শুলো মুখ লুকানো চোর।
লুকিয়ে খাবি, সামনে চা'বি চলবে না এসব ছুতো,
অনেক আগে বিড়ালি তোর ভয়ের চোটে শুতো ।
আজ বিড়ালি মানুষ ওরে চরবড়িয়ে ফোটে,
হির হিড়িয়ে তুলবো চল নারী আইন কোর্টে।
ঘরের কোণে মরদ-রে তুই সাপের তেল খুঁজিস,
এসব ছেড়ে কত মুরোদ দ্যাখা দেখি, ইইস।
লেকচার-টা মারবি পরে আগে ঠান্ডা কর,
ভারী বুঝি জোয়ান মরদ হয়েছিস যে বর।
ওসব নাটক চলবে না আর মুখ চেপে মার দিবি ,
হাত-টা লাগা দেখি সাহস এক ছোবলেই ছবি।
শোন্-রে হুলো বুক শুলো করগে রান্না আজ,
শরীর-টা নেই ভালো করে গুচ্ছেন কাজ।
সারাদিনের ছুটি আজ ঘুমাবো একটা দিন,।
কি-রে হুলো যা শিগগির, করছিস্ মিনমিন!
বড্ড জ্বালাস নরম পেয়ে এবার উল্টো হবে,
মার কখন দিয়েছিলিস কখন কখন কবে,
ভাব ভাব বসে এবার মিথ্যে নাটক ছেড়ে,
বা-রে হুলো রান্না খানা করেছিস তো বেড়ে।
করবি এমন মাঝেমাঝে আমিও বসে খাবো,
আজ বিকালে ভাবছি একবার পার্ক বেড়াতে যাবো।
নিয়ে যাবি সঙ্গে করে কিনে দিবি চাইবো যা,
দেখবি আমায় লাগে কেমন গয়না ভরা গা।
না না পা আর টিপতে হয়না রাখ,
ভয় পেয়েছিস বুঝছি ভালোই তবু এসব থাক।
তবে কান খোল্ শোন রে হুলোর জাত,
ভাববি মানুষ আছে ঘরে যতই রাঁধুক ভাত।
তোর ছেলেটা ধরেছে পেটে তুইও ছিলিস গর্ভে কারো,
পুরুষ বলে হম্বিতম্বি এগুলো এবার ছাড়ো।
নারীদিবস চাইনা ওসব বাসবি ভালো রোজ,।
কানটা খুলে এসব কথা ভালো করে বোঝ।
একটা বোতল কিংবা বিড়ি ঘরে যদি পাই,
সব পুড়িয়ে দেখবি তখন থাকবে পড়ে ছাই।
ভাববি মানুষ বউ-টা তোর, তোর ঘরেতেই থাকে,
সব ছেড়ে তোর্ জন্য সবকিছু তোর্ রাখে।
বুঝিস্ যদি ভালো কথা আদর পেতেও পারিস্,
তা নইলে ধরবো টুঁটি দেখবি কেমন মরিস্!

অভিষেক মিত্র




ক্ষুধার্ত শিশু আর ঈশ্বর

ক্ষুধার্ত শিশুটিকে বললেন ঈশ্বর,
“আমি তোর জন্য দুনিয়ে বানাইনি,
তুই কি স্টক মার্কেটের শেয়ার কিনেছিস?
ইনভেস্ট করেছিস আমার কর্পোরেশনে,
তেলের ক্ষনি বা ক্রুডে?
দুনিয়াটা ধনীদের জন্য,
যারা ধনী হতে চায় তাঁদের জন্য।

আমি এত কষ্ট করে দুনিয়াটা তোর মত
ভিখিরিদের জন্য বানাইনি।”

অজাত শত্রু




দেশদ্রোহীর প্যারোডি
*****************
(এ মৃত্যুর উপত্যকায়)



জনগণ মন অধিনায়ক ভাগ্য বিধাতা ,
জ্বলছে দেশ ,রক্ত ভীষণ,"স্বাধীনতা"।
পাঞ্জাব সিন্ধু গুরুরাট মারাটা
মোমবাতি জ্বালিয়ে প্যারোডি লিখছে বিধাতা।।

         এ আমার ভারত হে ,আমার ভারত হে..

গাড় মেরে দিয়ে দেশের ,গাড় মেরে দিয়ে ডেমোক্রেসি,
কৃষক শ্রমিক আত্মহত্যা করে, কেউ চুষে খায় আরো বেশি ।
দ্রাবিড় উৎকল "বাংলা" হয়েছে বঙ্গ ,
মুখ খুলে দেখো "দেশদ্রোহী" বলে করবে উরু ভঙ্গ।।

     এ আমাদের মৃত্যুর উপত্যকা হে ..মৃত্যুর উপত্যকা হে....

মুখোশ গুলো আজ দারুণ,পতাকা হাতে উজ্জাপন স্বাধীনতা'র
কালো টাকার করোপসন ,খুনি ,ধর্ষক চালাচ্ছে দেশ,তারাই মহান নেতা।

    এ আমাদের ডেমোক্রেসি হে ,ডেমোক্রেসি হে

চাকরি দেবে প্রতিশ্রুতি,ফর্ম ভরে দেয় গাড় মেরে
ব্রেকিং নিউজ অভিনেতারা সংবাদ শিরোনামের ।
এমনি ভাবেই দেশ চলছে আবার ছাপ্পা ভোটে রক্ত চোষা ,
শহীদের রক্তের সাদা পাতায় ভাগ্য লিখছে নেতা ...।

এ আমাদের স্বাধীনতা হে ,এ আমাদের স্বাধীনতা হে

কটা সৈনিক মরলো বর্ডারে ,নেই কোনো খোঁজ
সেলেব্রিটি ধর্ষক আবার নেতাও আজকে করে আপসোস,
তবুও আমরা "দেশদ্রোহী"মুখ খুলেছি যেই,বাক স্বাধীনতা।
ভাতের অভাব ফুটপাতে,প্যারোডি লিখছে বিধাতা....

জয় হে ,ভয় হে ভয় হে ,এ স্বাধীনতা হে ,এ ভারত বিধাতা হে ,

ভয় ভয় ভয় ভয় হে.....



(বিঃদ্রঃ ক্ষমা করে দেবেন প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ, জাতীয় সংগীত লিখতে গিয়ে অন্য কিছু লিখে ফেলেছি।

জনগণের কাছেও আমি ক্ষমা প্রার্থী ।ক্ষমা করবেন মন্ত্রী মশাই,নেতা ...
ক্ষমা করবেন বিধাতা ...)