নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শিল্পী দত্ত




কবে ছুঁয়ে যাবে
 *************

               
কোনোদিন শুধু শরীর ছোঁয়ার জন্য নয়,
আমার মন ছোঁয়ার জন্য বোলো ‘ভালোবাসো’।
প্রতিদিনের একরাশ অবিশ্বাস দিয়ে গড়া ঘরে, 
না হয় লাগুক বিশ্বাসের ছোঁয়া।
যে অপেক্ষায় জাগে তারা রাতের বুকে,
সেই অপেক্ষায় প্রতিরাতে আমিও জাগি।
আকাশ নেমে এসে ছুঁয়ে যায় মাটির বুক,
মেঘ বৃষ্টি হয়ে ছুঁয়ে যায় পৃথিবীর তৃষ্ণা,
আর আমার যন্ত্রণা অশ্রু হয়ে ছুঁয়ে যায় চোখের  পলক।
অপেক্ষা শুধু মনের, কবে তোমার মন ছুঁয়ে যাবে তাকে।

প্রবীর রায়






সময়ের অপেক্ষা
***************



নিজের যা কিছু সব উজাড় করে দিলাম
সারাটি জীবন........
তবু আমিই পেলাম দুঃখ
আকাকেই সবাই দোষী ভাবে
কারণ,তারা আসল তথ্যটা জানেনা
জানলে হয়তো ঘৃণা শব্দটা ভুলে যেত
তাই নিজেকে সকলের থেকে
দূরে-বহুদূরে আত্মগোপন করতে চাই
কিন্তু তাতেও ভয় পাই
যদি তারা জানতে পারে-তখন
তখন-কি হবে
এই একটাই ভয় আমাকে সবসময় কাঁদাই
তাতে তো আমি ভালো থাকবো
কিন্তু-ওদের কি হবে
প্রশ্নটা আমাকে স্থির থাকতে দিলোনা
শেষে কি-জীবনটাই বৃথা যাবে
না-যেতে দেবনা আমি
এই আমার দৃঢ় পণ
আমি থাকবো-তবে ওদের অজান্তে
ওদের ছায়ার মতো আগলে রাখবো
কিন্তু কখনো ওদের জানতে দেবনা
জানলে হয়তো -কি থেকে -কি করে বসবে
যদি কখনো ওদের ভুল ভাঙে
বুঝতে পারে আমি ঠিক-পবিত্র
দোষী নয়-তাদের শুভচিন্তক
তখন ওরাই বুকে টেনে নেবে
শুধু সময়ের অপেক্ষা।।

পায়েল খাঁড়া





আশ্রয়
********


সিগারেটটায় একটা লম্বা টান দিয়ে ছাদের কার্নিশে ঠেস দিয়ে দাঁড়ালো কাঞ্চন। পশ্চিম আকাশটা কালো করে আছে, হাওয়ায় শোঁ-শোঁ শব্দ—এক্ষুনি তেড়ে বৃষ্টি নামবে!
কালো আকাশের বুকে বিদ্যুৎএর কয়েকটা ধারালো আঁকিবুঁকি কেটে গেল নিমেষে আর সাথে সাথেই বাজ পড়ার কড়কড় শব্দ।ছেলেবেলায় বাজ পড়লেই কাঞ্চন ছুট্টে গিয়ে জড়িয়ে ধরত তার মা’কে।বাজের শব্দে বড় ভয় পেত সে।ভয় সে এখনও পায়; শুধু তেমন করে আঁকড়ে ধরার মত কাউকে আর কাছে পায় না, যার বুকে মুখ গুঁজে পৃথিবীর সমস্ত ভয় থেকে রেয়াত পাওয়া যায়! পাওয়া যায় একটা তুমুল নিরাপত্তার আশ্বাস।
“আহ, তুমি না পুরুষ মানুষ!” সুচেতার কথাগুলো বেজে ওঠে কাঞ্চনের কানে।সত্যিই তো, সে যে পুরুষ মানুষ—বাড়ির মাথা, পরিবারের অভিভাবক;   তার যেঅমনি  কথায় কথায় অত উতলা হতে নেই।মেয়েছেলেদের মতো অত ফ্যাচফ্যাচ ক’রে কাঁদতে নেই, কষ্ট পেলে বলতে নেই, ভয় পেলে দেখাতে নেই—এতে না’কি সোসাইটিতে লোকের কাছে নিজের ওজন থাকে না, সম্মানহানি থুড়ি পৌরুষহানি ঘটে!” নিজের স্ত্রী’র মানসিকতার সাথে এখনও ঠিকমতো নিজেকে রিলেট করতে পারে কাঞ্চন।কেমন  যেন হাঁপিয়ে ওঠে সে। “কোন শালা বলে যে ‘নেই’গুলো শুধু মেয়েদের বেলাতেই খাটে; ছেলেদের ক্ষেত্রেও তো তার লিস্টটা নেহাত ছোট নয়...”, নিজের মনেই বিড়বিড় ক’রতে থাকে কাঞ্চন।
দেখতে দেখতে দু-চার ফোঁটা করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল সাথে ঝোড়ো হাওয়া।সামনের কলমি আম গাছটার ডালে একটা ডাকপাখির বাসা; বৃষ্টি আর ঝড়ের ঝাপট থেকে বাঁচতে মায়ের ডানার মধ্যেই ঢুকে গুটিসুটি মেরে বসে আছে দুটো বাচ্চা।মায়ের বুকের উষ্ণ ওমে কত নিরাপদ বোধ করছে ওরা।একটা তৃপ্ত দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনটা সহসা ভারী হয়ে ওঠে—হায় পোড়া কপাল, তার যে মা’ও নেই!
বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই মা’কে হারিয়েছিল কাঞ্চন।আর থাকলেই বা এমন কী উদ্ধার করে ফেলত সে—ছেলে হয়ে সন্তানের কোন কর্তব্যটা সে পালন করতে পেরেছে! বিয়ের দু’সপ্তাহ পরই শ্বশুর মশায়ের কোম্পানিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পোষ্ট নিয়ে কোম্পানির ফ্ল্যাটে উঠে আসতে হয়েছিল তাকে।মা’কে ভীষন মিস করত সে; মনে হত ছুটে চলে যায় মায়ের কাছে, তাঁর হাতের সেই আদর, কপালে ভাঁজ ফেলা চিন্তার রেখা—যেখানে সে আজও সেই ছোট্ট খোকা, যেখানে পুরুষ হয়ে ওঠার কঠিনতা জটিলতাগুলো নেই।একটা সহজ জীবন, কিন্তু ফিরতে চাইলেই সুচেতা অশান্তি করত তাই একরকম বাধ্য হয়েই...  
আরেক ঝলক তড়িৎ রেখা চিরে গেল মেঘলা ফরাস।আবার গর্জে উঠল আকাশ।একটা অস্পষ্ট শিহরন খেলে গেল কাঞ্চনের শরীরে।ছেলেবেলার সেই অনুভূতিটা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনা সে।দীর্ঘ সতের বছরের দৃঢ় সাংসারিকতা পেরিয়ে আসা তার ঋজু শিরদাঁড়াটা সবার অলক্ষ্যে আজও নুয়ে পড়ে এক বালখিল্য ভীতির কাছে।
“বাপি...”, কুঁকড়ানো হাতটার উপর একটা নরম স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলে দেখল কাঞ্চন, পাশে কখন এসে দাঁড়িয়েছে তার তের বছরের মেয়ে কেতকী।
“মেঘ ডাকলে তুমি ভয় পাও তাই না বাপি! আমি জানি, মামনি রাগ করে বলেই তুমি...
বাট ডোন্ট ওয়ারি, আমি তো আছি।তুমি আমার হাত চেপে ধরো, দেখবে আর একটুও ভয় করছে না।” বিহ্বল দৃষ্টিতে কেতকীর হাসিমাখা মুখের দিকে তাকালো কাঞ্চন তারপর পরম আদরে মেয়েকে বুকে টেনে নিল; এই পৃথিবী থেকে আসলে হয়ত কিছুই হারায় না—আজ অনেকগুলো বছর পর, সেই মায়ের গায়ের গন্ধ, সেই নিবিড় আশ্রয়ের অনুভূতি, আর মায়ের সেই ডাকনাম ‘কেতকী’।

পায়েল খাঁড়া*আশ্রয়*
সিগারেটটায় একটা লম্বা টান দিয়ে ছাদের কার্নিশে ঠেস দিয়ে দাঁড়ালো কাঞ্চন। পশ্চিম আকাশটা কালো করে আছে, হাওয়ায় শোঁ-শোঁ শব্দ—এক্ষুনি তেড়ে বৃষ্টি নামবে!
কালো আকাশের বুকে বিদ্যুৎএর কয়েকটা ধারালো আঁকিবুঁকি কেটে গেল নিমেষে আর সাথে সাথেই বাজ পড়ার কড়কড় শব্দ।ছেলেবেলায় বাজ পড়লেই কাঞ্চন ছুট্টে গিয়ে জড়িয়ে ধরত তার মা’কে।বাজের শব্দে বড় ভয় পেত সে।ভয় সে এখনও পায়; শুধু তেমন করে আঁকড়ে ধরার মত কাউকে আর কাছে পায় না, যার বুকে মুখ গুঁজে পৃথিবীর সমস্ত ভয় থেকে রেয়াত পাওয়া যায়! পাওয়া যায় একটা তুমুল নিরাপত্তার আশ্বাস।
“আহ, তুমি না পুরুষ মানুষ!” সুচেতার কথাগুলো বেজে ওঠে কাঞ্চনের কানে।সত্যিই তো, সে যে পুরুষ মানুষ—বাড়ির মাথা, পরিবারের অভিভাবক;   তার যেঅমনি  কথায় কথায় অত উতলা হতে নেই।মেয়েছেলেদের মতো অত ফ্যাচফ্যাচ ক’রে কাঁদতে নেই, কষ্ট পেলে বলতে নেই, ভয় পেলে দেখাতে নেই—এতে না’কি সোসাইটিতে লোকের কাছে নিজের ওজন থাকে না, সম্মানহানি থুড়ি পৌরুষহানি ঘটে!” নিজের স্ত্রী’র মানসিকতার সাথে এখনও ঠিকমতো নিজেকে রিলেট করতে পারে কাঞ্চন।কেমন  যেন হাঁপিয়ে ওঠে সে। “কোন শালা বলে যে ‘নেই’গুলো শুধু মেয়েদের বেলাতেই খাটে; ছেলেদের ক্ষেত্রেও তো তার লিস্টটা নেহাত ছোট নয়...”, নিজের মনেই বিড়বিড় ক’রতে থাকে কাঞ্চন।
দেখতে দেখতে দু-চার ফোঁটা করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল সাথে ঝোড়ো হাওয়া।সামনের কলমি আম গাছটার ডালে একটা ডাকপাখির বাসা; বৃষ্টি আর ঝড়ের ঝাপট থেকে বাঁচতে মায়ের ডানার মধ্যেই ঢুকে গুটিসুটি মেরে বসে আছে দুটো বাচ্চা।মায়ের বুকের উষ্ণ ওমে কত নিরাপদ বোধ করছে ওরা।একটা তৃপ্ত দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনটা সহসা ভারী হয়ে ওঠে—হায় পোড়া কপাল, তার যে মা’ও নেই!
বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই মা’কে হারিয়েছিল কাঞ্চন।আর থাকলেই বা এমন কী উদ্ধার করে ফেলত সে—ছেলে হয়ে সন্তানের কোন কর্তব্যটা সে পালন করতে পেরেছে! বিয়ের দু’সপ্তাহ পরই শ্বশুর মশায়ের কোম্পানিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পোষ্ট নিয়ে কোম্পানির ফ্ল্যাটে উঠে আসতে হয়েছিল তাকে।মা’কে ভীষন মিস করত সে; মনে হত ছুটে চলে যায় মায়ের কাছে, তাঁর হাতের সেই আদর, কপালে ভাঁজ ফেলা চিন্তার রেখা—যেখানে সে আজও সেই ছোট্ট খোকা, যেখানে পুরুষ হয়ে ওঠার কঠিনতা জটিলতাগুলো নেই।একটা সহজ জীবন, কিন্তু ফিরতে চাইলেই সুচেতা অশান্তি করত তাই একরকম বাধ্য হয়েই...  
আরেক ঝলক তড়িৎ রেখা চিরে গেল মেঘলা ফরাস।আবার গর্জে উঠল আকাশ।একটা অস্পষ্ট শিহরন খেলে গেল কাঞ্চনের শরীরে।ছেলেবেলার সেই অনুভূতিটা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনা সে।দীর্ঘ সতের বছরের দৃঢ় সাংসারিকতা পেরিয়ে আসা তার ঋজু শিরদাঁড়াটা সবার অলক্ষ্যে আজও নুয়ে পড়ে এক বালখিল্য ভীতির কাছে।
“বাপি...”, কুঁকড়ানো হাতটার উপর একটা নরম স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলে দেখল কাঞ্চন, পাশে কখন এসে দাঁড়িয়েছে তার তের বছরের মেয়ে কেতকী।
“মেঘ ডাকলে তুমি ভয় পাও তাই না বাপি! আমি জানি, মামনি রাগ করে বলেই তুমি...
বাট ডোন্ট ওয়ারি, আমি তো আছি।তুমি আমার হাত চেপে ধরো, দেখবে আর একটুও ভয় করছে না।” বিহ্বল দৃষ্টিতে কেতকীর হাসিমাখা মুখের দিকে তাকালো কাঞ্চন তারপর পরম আদরে মেয়েকে বুকে টেনে নিল; এই পৃথিবী থেকে আসলে হয়ত কিছুই হারায় না—আজ অনেকগুলো বছর পর, সেই মায়ের গায়ের গন্ধ, সেই নিবিড় আশ্রয়ের অনুভূতি, আর মায়ের সেই ডাকনাম ‘কেতকী’।


জয়শ্রী রায় মৈত্র




সেই বর্ষা ঝরা দিনে
                        

এক পশলা বৃষ্টি এলো 
ছোট্ট এক ছাউনিতে দাঁড়িয়ে আমি 
এক ঝলক হাওয়ায় 
ভিজল শরীর 
শীতল পরশ হৃদয়ে লিখে গেল 
এই সন্ধিক্ষণের এক বরষা  
দাঁড়িয়ে ছিলাম সেদিন 
সে  আমি এক বট গাছের নিচে 
চিনতাম না তাকে, 
ভিজে ওড়না দাপুটে হাওয়ায় 
উড়েছিল তার গায়ে 
মৃদু হেসে শান্ত চোখে 
চেয়েছিল সে, 
রোমান্টিকতার ঝড়ে 
হারিয়ে ছিলাম মন 
থেমেছিল বৃষ্টি জমেছিল জল 
সে ভাসিয়েছিল কাগজের নৌকা, 
প্রথম প্রেমের পূর্বাভাষে 
মুখ হয়েছিল কনে দেখা রোদ্দুর  
তারপর অনেক বরষা 
হয়ে গেছে পার 
সে আজ নেই আমি একা 
তবুও স্মৃতি মেদুর হয়ে দাঁড়িয়ে 
এই সন্ধিক্ষণের সেই বর্ষা ঝরা দিনে ।।

সৌরভ বর্ধন






চরৈবেতি
*********





নিতান্ত সাধারন আপেলগুলোকে মাটির দিকে ঠেলে দিয়ে
ভবঘুরে কোশ চেয়ারে বসে কাটিয়ে দেয় প্রোটোপ্লাজম

জলের মধ্যে প্যারামোসিয়াম গ্যাজেলি-হরিণ টিকটিকি
দেয়ালের ছায়ায় পড়ন্ত হয়ে ওঠে গাছের জীবনচরিত -
গাছ মাত্রেই দৌড়াতে নারাজ। থেমে যাওয়া = মৃত্যু (?)

            আপেল উঠে আসে গাছের দিকে 
                    আরেকটু গেলেই ০তা

বাস্তব ≠ সত্য []    স্থিরতা ≠ গাছ []    জাড্যতা ≠ সভ্যতা []

[ রাতের আকাশে { নক্ষত্রখচিত + মেঘাচ্ছাদিত } প্যারোলে
মুক্ত যে ঘুড়িটাকে আমি উড়তে দেখেছি তার কাপকাঠিতে
অতসী মেঘ জড়িয়ে আছে। আমি হাত বাড়ালেই বৃষ্টি.....]

তবু নিশপিশে ভিড় ঠেলেগুঁজে নোতুন পায়ের সিলিয়া/সিটি

বাস কন্ডাকটর 
                      ঘামাচি হাতে 
                                         টিনের সাথে চুলকুনি 
                                                                          (খ্যালো)

পকেট বোঝাই ডায়াটম মাটি নিয়ে আমি আলতো করে
মেপে নিই মোহ স্কেলের আশকারা.................... 

এসব ঘামের কোনো মানে না হওয়ায় সন্তুলিত মার্গ দিয়ে
রগড়ে নিলাম দুই বগল আর পেছন ঘুরে জাঙিয়া

[ ছায়া ঘনাইলো বনে বনে; ওসব কিছু না, আসলে সন্ধ্যা
ঘাসের থেকে ঝুর ঝুর করে পরলো। নিথর সব কলাঘাস।]

এই সন্ধিক্ষনে বিবিধ মুদ্রায় কৌষিকী নৃত্য। তারপর

জোনাকি বাগানে আলো ধরে ধরে ছায়া হাঁটা শুরু........
শাম্ত পায়ে দিক্চক্রবাল

(ধরে নাও,                এখন আর আমি বৃষ্টিতে ভিজি না।)

অনোজ ব্যানার্জী




বর্ষা
*****



বৃষ্টি আসে,সৃষ্টি হাসে,আষাঢ় -শ্রাবণ আনে বর্ষা।
সবুজ ঘাসে,সবুজ মাসে,চাষীরা মনেপায় ভরষা।।
গ্রীষ্মের কান্না,মুছে দেবে বন্যা,নদীর দুকূল ছাপিয়ে।
ময়ূরের নৃত্যে,শান্তিতে ফিরতে,সুখপাখী ওড়ে দাপিয়ে।।
বর্ষার ঝমঝম, মনে জাগে কত দম,উড়ে যায় গ্রীষ্মের তেজ।
মাঠঘাট টলমল, শুধু জল আরজল, বাবুদের কী আমেজ।।
ধনী, সাহেবরা,খুশীমন ফুরফুরা,তাকায় জানালার চোখে।
নগরের রাজপথ,বরষার কি মদত! হাঁটুজল কে আর রোখে??
বিদ্যুৎ, মেঘ, ঝড়,ভেঙে যায় কত ঘর,বর্ষার প্রচণ্ড তাড়নায়।
আসে শত রোগ,ভাসে কত দুর্ভোগ, সাপের উপদ্রব বাড়ে।
ঝোপঝাড় বনে,বিনা অস্ত্রে-রণে,নিমেষে জীবনমণি কাড়ে।।
দিন আনে,দিন খায়,দারিদ্র্যের যাতনায়,কত লোক ভেঙেপড়ে কান্নায়।
চাষীরা করে চাষ,অন্ন করে বাস,কৃষকের লাঙলের ফলায়।
বরষার করুণায়,পৃথিবী খাদ্য পায়,দারিদ্র্য সভয়ে পালায়।।
হৃদয়ের ভালোবাসা,জাগায় স্বপ্ন আশা,প্রেমিক জোয়ারে ভাসে।
পিয়াসী মরুর বুকে, বিক্ষত যারা দুঃখে, দাঁড়াও চাতকের পাশে।।
পাপীদের যত পাপ,গুণ্ডাদের সংলাপ,ভেসে যাক ধর্মের বন্যায়।
সমাজের খাতা থেকে,সমাধিতে দাও ঢেকে,প্লাবিত দূর্নীতি অন্যায়।।।