নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শুভজিৎ কোলে





ভালোবাসি তোমায়
-----------------------------


ঠোঁটে পুড়ুক জ্বলন্ত সিগারেট,
উড়ুক নিকটিনের ছাই;
আলকোহলের গ্লাসে ভেসে যাক জীবন।
হৃদয় পুড়ুক মিথ্যে ভালোবাসায়,
উত্তপ্ত হোক চার দেওয়ালের আনাচ-কানাচ।
শুষ্ক হোক আরও শুষ্ক হোক,
মরুভূমির ধূধূ বালুচর।
তেষ্টায় ফেটে যাক গলা,
উঠুক মরুঝড়। 
ফুসফুস বুজে যাক উত্তপ্ত বালুকনায়,
তবু মুখে হাসি রেখে বলি;
ভালোবাসি তোমায়।

শ্যামাপদ মালাকার





বিশ্বাসঘাতক
************


ধর,--আমার বুকের ভিতর একটা তামাটেবর্ণ কৃষক নাঙল চালাচ্ছে,- -
আচ্ছা, ওটা বাদ দাও,
মনে কর- আমার সব অন্তরটাই পল্লীর মাঠ হয়ে চাষের গাজন চলছে।
কেউ লক্ষ্য করেনি, আকাশের গায়ে একটুকরো মেঘ- - ধীরে - ধীরে - সব আকাশটা ছেয়ে ফেলল।
আগাম দু'একফোঁটা, পরে দু'দশ ফোঁটার সাঙ্গে- - নেমে এল প্রবল বর্ষণ!
তুমিও হতবাক! আমিও!
হঠাৎ মাঠ অন্ধকার করা দারুণ একটা বজ্রের শব্দে, তুমি আমায় আঁকড়ে ধরলে!
পলকে পলকে বর্ষণ- -
সারামাঠ ধরে- ধর ধর কোদাল ধর, লাজভেঙ্গে পাগবেঁধে জল ধরে রাখ রব।
একদিকে আনীত শাকসেদ্ধ পান্তার উপর বৃষ্টির প্লাবন- -
অন্যদিকে হাঁকে ডাকে শব্দের অন্ধকারের এক কোণে,-মন্দবিদ্যুতের ন্যায় ধ্বনিত হতে লাগল- ধর ধর কোদাল ধর!
কেউ লক্ষ্য করিনি-
সমুদ্রউত্তাল তরঙ্গের ন্যায় বর্ষিত বৃষ্টির লহর, সারামাঠ প্রহত করে চলেছে- -মনে হচ্ছে এই বুঝি শেষ দিন!।
আমি যে কাঁপছি, তুমি টেরপাচ্ছ,- -
আমিও টেরপাচ্ছি!
আমার ললাট-চিবুক তোমার বুক বিদীর্ণ করে- হৃৎপিণ্ডের শিকড়ে শিকড়ে মাটির মতো ঠোঁটের গন্ধ লেপে দিতে চাইছি!
তুমি তখন বলবে,-"বৃষ্টি আর একটু বেশী হলে ক্ষতি কি!- - নাকি, সেখানেও একটা প্রবল ঝিঁকুনি দিয়ে বলে উঠবে,-"এ হতে পারে না,- -এ অন্যায় - অন্যায় -অন্যায়, তুমি বিশ্বাসঘাতক!"।
তখনও আমার বুকের ভিতর- কাদমাটি মাখা সেই কৃষকটা বলে চলেছে,-"লাজ ভেঙ্গে পাগ বেঁধে- ধর ধর কোদাল ধর,- -নিজের ফসল ঘরে তোল, ওরে নিজের ফসল ঘরে তো- - - - -!"।।

সুদীপ ঘোষাল







শেষের দিনে
***********



ঝমঝমিয়ে যখন প্রিয় বৃষ্টি হয়ে যায়
রাতপরীদের মায়ায় পাতায় পাতায়
কাহারবা তালে ফোঁটায় ফোঁটায়
বর্ষা হাসে রাতের ছায়ায়...

কত চেষ্টায় ভালোবাসার মৃত্যু ঘটাও তুমি
তবু সুর ছুঁয়ে থাকে মায়ায়
হয়ত কোনো এক শাড়ির পাড়ে
অন্তরাটুকু জড়িয়ে ছিলো  শিল্পীর চেতনায়

কতটুকু রঙে ভরে যায় বিকেল
রাত নামার আগে তৈরি হয়
জীবনের শেষ গানের মেহফিল...

অসীম মালিক







বৃষ্টি
****


             

                          ( ১ )

বৃষ্টি ,
চাষীর চোখে
ভুবন ডাঙার
দৃষ্টি ।

               (  ২ )

বৃষ্টি ,
আরশীনগর
পড়শী পাড়ার
কৃষ্টি ।

              ( ৩ )

বৃষ্টি ,
কান্না-হাসির
মান-অভিমান
দৃষ্টি ।

              ( ৪ )
বৃষ্টি ,
সোঁদা মাটির
বুকের ঘ্রান
মিষ্টি ।

              (  ৫ )

বৃষ্টি ,
মাঠের খাতায়
সবুজ মনের
সৃষ্টি ।

                ( ৬ )

বৃষ্টি ,
শুকিয়ে যাওয়া
নদীর বুকে
মেঘলা মনের
দৃষ্টি ।
      বৃষ্টি
             বৃষ্টি
                    বৃষ্টি ...

জারা সোমা




নদী
****



যে মেঘ আমার কাছে
বৃষ্টি হতে চেয়েছিল
তাকে আমি চিনিনা
তবুও গোধুলীতে ধুয়ে ছিল
সকল মন খারাপ

মাটিকার খড় বাধা শেষ করে
প্রলেপে ফুটিয়ে তুলল
স্তন যোনি , বৃন্তে হাত ছোঁয়াতেই
প্রবল ঝড় ,খড়কুটোর মতো
উড়িয়ে দিল লজ্জা
নদীর জল বাড়তে বাড়তে
নারী হয়ে গেলাম .........




তুলি রায়






*চৈ -চৈ*
********




স্মোগি সন্ধাগুলো নিয়ে আসে কিছু অশনিসংকেত
            হয়তো ঝাপসা বলেই
বর্তুলাকার শুকনো ঠোঁটে
             অমলিন হাঁসি


জানা হয় নি বৃথা কি আড়ালের চেষ্টা
প্রতিটা জানালাতেই একটা অদৃশ্য পর্দা থাকে

বাতাসের উপস্থিতি সবসময় বোধগম্য না হতেও পারে

ফাঁকা কলসীর আওয়াজ সমর্থ হয় না তার গভীরতা জানাতে

লীলাবতীর বিনিদ্র যাপনে কারোর কিছু এসে যায় না

অপেক্ষারা ক্লান্ত হয়
  
উড়তে থাকে বিন্নী ধানের খই....