নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তাপসী লাহা






মেঘ ও বৃষ্টি 
**********




ওই যে  কাঠ কাঠ  গুমর মেঘের
এতে শান্তি আসে না,
পরিতৃপ্তি  কেনো নেবো দ্রোহী বাতাসে,
মৃগতৃষ্ণা  মন
বাউল বাউল আকে।
শত জন্ম ধরে এক বাসুকী জাগে
আলাপনে বিরহী দূত
চপল ধারাস্নানে 
আছড়ায় ঢেউ পায়ের পরে
অতীন্দ্রিয়  সুর বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে।
মেঠো ছেলে বাড়িপথ ধরে
আজ আর কাদে না
গানের সুর করে।

অন্তিমা প্রামাণিক




বৃষ্টি



 আয়রে বৃষ্টি! চাষিদের খুশি কর্,
 তুই এলেই তালের বড়া করবো আর.
 কলমি নাহলে সজনের শাক!
 তুই এলেই জমি থেকে ছোটো ছোটো আনবো মাছ
 কি রে! কত দেরি আসতে?

রহস্য কাহিনী(দুই)




দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

2/401 Urmila Apartment .
Gorai Complex. Bagnan.
Howrah 711303.


          (দুই)




৭.

বাড়িটি বাড়াতে হবে

গাছটি বোঝে

তার সময় হলো যাবার

দুঃখ ক্রমশ ইট কাঠ পাথর

ভাতের ভিতর 

লেবুগন্ধ নেই 

সন্ধ্যার ভিতর নেই সন্ধ্যামণি

আম কাঁঠালেরা চলে গেলে

গ্রীষ্ম অতীতকাল হয়ে পড়ে

বাড়িটি বাড়তে বাড়তে

আকাশ ঢাকলে

হারিয়ে যায় চড়ুই শালিক 

এতো উচ্ছেদের পর 

নিজের শিকড়

সেও বিদেশে চলে গেলে 

শূন্য শব্দটি এই নির্মাণে বসাই

খাঁ খাঁ র ভিতর তবু কিছু ঘুঘু রয়ে গেছে

৮.

বকুল গাছের গান শুনতে

তোমার সকাল সুবাসে

বাসা খুঁজে নেয় 

তুমি পুকুরের ভিতর এক

একটি মুক্তোর পতন দ্যাখো

আকাশের উপর কালো পর্দা

সরে গেলেই সিনেমা শুরু

অন্ধকারের ভিতর তোমার অপেক্ষা

 বেশ উত্তেজনাকর

 ‎আওয়াজ আসছে ওপার থেকে

 ‎কিছু ঝিলিকের সাথে

স্থলপদ্মের পাপড়িগুলো জল

ধরে আছে স্নানের পরে

তার ভিতর তোমাকেই দেখি

গায় ভেজা চুল 

এক এক ফোঁটায় তুমি উজ্জ্বল

জলের গভীরে জল 

কোন রহস্যে খুব হেসে ওঠে

৯.

কালো আলখাল্লা পরে পীর সেজে

রোদকে হুমকি দিলে 

সে বশ হয়ে লুটিয়ে পড়ে দরগায়

গাছের পাতা যেন চামর

বুলিয়ে যায় মাথায় 

নিরাময়ের পথে উড়ে আসে বাতাস

সমস্ত ষড়যন্ত্রের ভিতর 

মাকবেথের দুর্গে পাখির কলতান

ফুলের সুবাতাস 

নৈরাজ্যের মাঝেও ফড়িংয়ের

অবিরাম ওড়া 

মধু খেয়ে যাওয়া প্রজাপতি

ডানায় লেখে বহুরৈখিক কবিতার ভাব

বৃষ্টির ছোঁয়াচ লাগা সন্ধ্যায় 

ঝিঁঝিঁরা বেজে যায় অবিরাম

তুমি বধূ তবুও

গলায় কাপড় বেঁধে

সিলিং ফ্যানের প্রেমে পড়ে যাও

তোমার অভাবে 

ভিজে বিড়ালটিকে কে তবে ফেরাবে!

১০.

মৃত ঘোড়ার সাথে 

কথা হয় সন্ধ্যার রাস্তায় 

এক ক্ষয়া চাঁদের নীচে

তার কর্কশ হ্রেষায়

 কেঁপে ওঠে 

শহরের নির্জন রাস্তা

ছায়াময় আলো

অন্ধকারের কাটা মাথা

দ্রুত ছুটে যেতে 

না পারায় আতঙ্ক

তার শূন্য চোখ থেকে

ক্রমশ সংক্রমিত

তার থম মারা অবস্থা

থেকে থেকে 

মৃদু পায়ের শব্দ

ধূ ধূ দুঃখ রেখে 

হারিয়ে যায়...


(ক্রমশ...)

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(দ্বিতীয় পর্ব)







মাধব মন্ডল 


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।





    ( দ্বিতীয় পর্ব)



আগে থেকে বোঝা যায় কোন ঝোপে বসে আছে বাঘ!
অনভিজ্ঞ সেই আমি সপাটে মেরেছি বাঘ
আর তুমি কিনা বললে
এটা কি দুঃখজনক ঘটনা
বাঘের আমাকে খাওয়া উচিত!

কি কান্না কেঁদেছিল
আহা,ফাঁদ ফেলে ঐ বাঘ।
আজ আবার সেই আওয়াজ কান শোনে
তোমার নখ থেকে,চুল থেকে।

উঠুক গর্জন
অভিজ্ঞতাই মোকাবিলা করে
সবংশে নিষ্ঠুরতা গিলবো এবার।


তুমি এখন ঝড়ের মুখে
উতাল পাতাল মন
কাউকে করো পরোয়া?
কচু কাটা হয় গোলাপ বন
তোমার তুমি হিসাব ধাঁধায়,
ঘুর্ণি বিপাক বিনা বাধায়!! 
তুমি আর সেই তুমি নেই
এখন তুমি নিজেই ঝড় তোলো।


কতটা মিনিট সেকেন্ড আর বছর কাটলে ভালবাসা জেগে ওঠে প্রতিটা লোমের গোড়ায়,কতটা রক্ত পথ পেরোলে শিবরাত্রি ভালবাসা মাখে!!হাঁটতে হাঁটতে ফিরে দেখি হঠাৎ তুমি উল্টোদিকে ছুটেছো,কি ঝড় কি ঝড়,একা হাতে সামলেছি কত!উড়ে যাওয়া তোমাকে নামিয়েছি বুকে,ঝড় থেমে গেলে ভালবাসা ভূত্বকের সব আবর্জনা ধুয়ে দিত,আর আজ সেই আমি উড়েই চলেছি মাটি ছেড়ে ঘাস ছেড়ে শীর্ষ বাঁশের ডগা ছেড়ে.......

কাল তুমি নরম সোফায় আধশুয়ে খবরটা দেখতে ভুলো না কিন্তু.....

এ খবর শুনে ভূত্বকের কচি ব্যাঙগুলো আর বোধহয় ডাকবে না,খাবেও না এক চিমটে বিষ!!


কতটা ক্ষত হলে থামে একটা ঝড়
আর যদি সে আচমকা নামে বুকের উপর
ঘুমের ভেতর?

কতটা সংসারী হলে ঝড়ও দোরে এসে কুর্ণিশ ঠোকে
কত ঘাম খেলে ফসলও খাঁটি হয়!

কেউ কি জান?
কেউ কি জান কতটা ঘৃণা জড় হলে ভালবাসা উড়ে যায়!

কতটা মেকআপ মাখলে নকল আসল হয়
কতটা শিশির জমলে মনে,ভালবাসা জাগে সিম আর লাউয়ের মাচায়!

কতটা চাপে বিপর্যস্ত হলে মন থেকে উড়ে যায় যুক্তিরা
কতটা যুক্তিহীন কাজ হলে মানুষ পাগল শিরোপা পায়!!

কেউ কি জান?
কতটা ক্ষত হলে একটা ঝড় থামে??


আকন্ঠ বিষয়ী তুমি
হায়, তোমারও গলা এখন দুব্বো পাতা!
মোড়ের মাথার কৃষ্ঞচূড়া,কি বলি 
আজ কি তোমায় চোখ মেরেছিল?
ফাগুনের আগুন চেটে নিলই 
ঘুম ঘুম জমাট শীতলতা।

কি হিসাব কিসের হিসাব
মিলে গেল বিষয়ী?
শুধু কিছু লাইক কমেন্ট
এই তো ছিল রোজকার বরাদ্দ!
আজ শুধু মায়ায় ভরেছো তুমি
ভালবাসা চুপচাপ একধারে পড়ে।


দাঁড়িয়ে আছি তো আছি
পাগল আমি
তোমাকে ছোঁব বলে
গান্ধর্ব মতে উষ্ঞতা গলেছে মনে
আর কত দাঁড়াব!
ঐ তো গেল তোমার ট্রেন
তারপরেরটা...তারপরেরটাও।

নাহ, সব আশা শেষ হল।

কতটা উপায়ী হলে সব চাওয়া হয় পাওয়া?
পাওয়াগুলো বাসা বাঁধে এ লোমশ বুকে
নির্দিষ্ট ট্রেনে তোমাকে ফিরিয়ে আনা যায়
আর মধ্যরাতে বিসমিল্লা খান হওয়া যায়।

দাঁড়িয়ে আছি তো আছি!!


(ক্রমশ....)

রহস্য কাহিনী(এক)







দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

2/401 Urmila Apartment .
Gorai Complex. Bagnan.
Howrah 711303.




খেলার ভেতর হত্যাকান্ড
কেউ দেখল না 
সারারাত জাগবার পর মর্জিনা
চাঁদের দিকে পিছন ফিরে
কাপড় তোলে
সমস্ত তারা সেই জলের আয়নায়
ভেসে যেতে যেতে ভাবে 
এক দিন তারাও..

কিন্তু পৃথিবী তাদের মর্জি না করে দেয় 



 ২.
রেললাইনকে কিছুতেই বোঝানো যায় না
আত্মহত্যাকারীর কথা
এমন ঝকঝকে পূর্ণিমায় টুকরো টুকরো
দেহভাষা
পড়তে কষ্ট হলেও ভিড় বাড়ছে
অত্যন্ত ক্লিভেজ যেন নজরে পড়ে যায়



৩.
বাজারে ঘাম না কিনেও কেনা হয়ে
গেলে
নিজেকে বরফের দেশে কল্পনা করে নেন শিতলবাবু
তারপর ফ্রিজের ভিতর চালান 
করে দেন তার অনুভব
ফ্ল্যাটের দেয়ালে একটি অরণ্য
ছেলের আঁকা
তারিফ শব্দটি শুনতে শুনতে দেয়ালপ্রিয় হয়ে ওঠেন
তারপর চ্যানেল সার্ফিং করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লে
দুঃস্বপ্নের বউ তার গলা কেটে 
দরজায় তালা দিয়ে বেরিয়ে যায়

তার হৃদপিণ্ডের প্রেম আর উষ্ণ থাকে না 




৪.
বাজারে ঘাম না কিনেও কেনা হয়ে
গেলে
নিজেকে বরফের দেশে কল্পনা করে নেন শিতলবাবু
তারপর ফ্রিজের ভিতর চালান 
করে দেন তার অনুভব
ফ্ল্যাটের দেয়ালে একটি অরণ্য
ছেলের আঁকা
তারিফ শব্দটি শুনতে শুনতে দেয়ালপ্রিয় হয়ে ওঠেন
তারপর চ্যানেল সার্ফিং করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লে
দুঃস্বপ্নের বউ তার গলা কেটে 
দরজায় তালা দিয়ে বেরিয়ে যায়
তার হৃদপিণ্ডের প্রেম আর উষ্ণ
থাকে না



৫.
সবুজ পৃথিবী নিয়ে যে ঝরনা বয়
আর রুপোর নাকছাবি তৈরি হয়
সূর্যের তরুণ আলোয়
উপত্যকার শূন্যতা ভরে যায়
এই যে যুবক শুয়ে আছো খোলামুখ
জিভের ভিতর প্রেমের চিহ্ন নিয়ে
ঘাসের বালিশে
গভীর ঘুমের আদরে বিবর্ণ সবুজে
রোদ গন্ধে বিভোর
তোমার পা দুটিকে বুনো ফুলে পেয়েছে প্রণাম ভঙ্গিমায়
শিশুর মতো অপরাধ ছাড়াই হাসি
কে দেবে উষ্ণতা তোমার শীতল রক্তে
পতঙ্গও দূরে  চলে যায় যেন অপরিচিত কেউ
তার বুকের উপর হাত রেখে সে
ঘুমে নির্বিকার
এতো শান্তি ,তার বুকের পাশের ক্ষতও বুঝতে পারে না তাকে



৬.
বৃষ্টির জলে সব রক্ত ধুয়ে যায় না
হাসিখুশি আর খেলার ভিতরে
রাক্ষসের গল্পে ঢুকে যায় সেই স্রোত
গরম মাংসের জন্য সে তোলপাড় করছিল
বালিকা শরীরে কোনো দুর্গ নেই
এই  যে প্রাচীর  ভাঙা হল অনুমতি ছাড়াই
বাগানকে ফেরত পাওয়া গেল না
পাখির বাসার কান্না
মুক্তো হতে না পারায়
সারা উঠোন জুড়ে কাচ আর কাচ
বিঁধে গেলে যন্ত্রনা সারা জীবন 
কাটাছেঁড়া হয়ে বেরিয়ে আসছে
মর্গের বাইরে
একটা ছোট্ট হাইফেন পলিথিনে মোড়া
সুরতহালের সংবাদ হাওয়ায় 
ক্রমশ ঘুড়ি আর জল

ব এ বর্ণমালা ( অ - ক্ষ )(প্রথম)





মাধব মন্ডল 


কবি পরিচিতি:
সাংবাদিকতায় এম. এ.; বি.এড.।১৯৯০ সালে প্রথম প্রকাশিত একফর্মার কবিতার বই ‘ছায়াপাত’।আনন্দবাজার ও বর্তমান পত্রিকার প্রশংসা পেয়েছিল।ছড়া এবং কবিতা নিয়ে লেখালেখি।বর্তমানে ফেসবুক ও বাংলা কবিতা.কম এ নিয়মিত লেখালেখি।রাজ্য সেচ দপ্তরে কর্মরত।ছোটদের একটি স্কুলের সম্পাদকও।১৯৬৮ এর মার্চে জন্ম।জন্মস্থান সুন্দরবন,বর্তমানে সোনারপুরে বাসস্থান ।




আমি তো খুঁজবই তোকে
ভালবাসাকে সস্তা করে দিলি যে তুই!
ভালবাসা জ্বলে গেলো
আর হাজারটা কৈফিয়ত চাস
আমি তো মরবই আলিপুর জেলে।
আসলে ওখানে মন তো মজেছিল
কোন এক ফসল কাটার মরসুমে
আজও জিব চাটি ঘুমের আশেপাশে
আছোলা মাঠকুমড়ো আর আলু ঢালা
হালকা রঙের ঝোলের বিস্বাদে।
আমি তো খুঁজবই তোকে
ভালবাসা চরিত্র খুঁড়লো যে
সময়ের হাত পা কেটে
জিব বের করা হাঁপানি গিলে
কি পুরস্কার, আহা!!
রত্নাকরদা,তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি,কতটা যন্ত্রণা পেলে সব সম্পর্ক নিভে যায়,উইঢিপিও রাজপ্রাসাদ হয়,আর ভূত্বকের তাবৎ রহস্য মাথাকে ভরাট করে,মাটি মাখা ঠোঁট ওঠে নড়ে!!
আর বুদ্ধদা,তোমাকেও বলি কোন আক্কেলে রাজপ্রাসাদ থেকে বলা নেই কওয়া নেই ফুড়ুৎ,মাটিতে নেমে সেই তো পায়েস,নারী, রাজদরবার!অহিংসা তোমার অনুগামীরা কি মানে?শুধু তুমি কাজে লাগ, মূর্তি তোমার হয় বিশাল।
একটা সুর ছিঁড়ে গেলে
শরীরের নরম তন্তুরা
ভেঙে ভেঙে যায়
শোক শোক গানেরা
তাজমহলের উঠোন ছাড়িয়ে
ভূত্বকে ছড়ায়,হায়!
সম্রাট শাজাহান,আপনি লম্পট
নাকি নারীরা আপনাকে আঁকড়ে ধরেছিল?
বাধ্য হয়েছিল তাইনা!!
বহু বিবাহী মন ভালবাসা পায়?চায় কি?
ভালবাসা ছদ্মবেশে যমুনার জলে মরেছিল?
শ্রীরাধিকার মত একথা কেউ কি আর বুঝেছিল?
ওখানে এখন অবুজ পাগলামি
ওখানে এখন যাব না
শাঁখচূড় ভালবাসায় মেরেছে ছোবল
বিষ ছাড়া কিছু পাব না।
যদিও ওটুকু বিষ
এমন কি কিছু!
আমি তো বিষের আবাদ
জমি তো বেশ নীচু।
সবটাই হজম হবে রে
ভাবিস না কিছু
রত্নাকরী যাদু আছে না
স্বপ্নও সাজাই কিছু।
বিষে ভয় নেই
পাগলামিতেই ভয়
যদিও আমার এ মন
এখনও তুমিময়!
তোর লোনা ঘামের দাম বুঝি না!
হি হি হাসি,হো হো হাসি!
তুই যে প্রশ্ন তুলিস
সেগুলো না মড়া বাসি!
কথায় কথায় কবর খুঁড়িস
করিস শুধু পোষ্টমর্টেম
বারেবারে করিস ভুল
আরে ও ছিল এক নষ্ট এ্যাটেম।
পষ্ট কথায় বলেছি তো
ঘামের দাম বুঝি
কিন্তু তুই করেছিস বেমানান রাগ
অপমানে চোখ বুঁজি।
কাট কাট কেটেই দিলি
কথাবার্তা বন্ধ
পরের জন্যে কেঁদে ভাসাস
এতই হলি অন্ধ!
বিষন্ন বদ্বীপে স্বেচ্ছা নির্বাসনে
কারা কারা আমার আপন জন?
সব তো অনেক বছর আগেই নিজস্ব প্রাসাদে
শুধু মুষড়ে দেওয়া এক জ্যান্ত বাস্তব
আমাকে ঘিরে কি নাচটা নাচে!
একা একা ঘুরি ফিরি
সবদিক শান্ত,জলচরও
যদিও পাখিরা ডেকেই চলে
কান্না কান্না হাহাকার সুর!
এখানে শাঁখের আওয়াজ নেই কোনো।
ভারী ভারী চোখের লোমগুলো
একা তো থাকতেই হয়
কেউ কেউ ঠোঁট বাঁকায়
কেউ কেউ মেঘ হয়,বৃষ্টিও হয়
আমি থাকি নিজের গর্জনে,দীর্ঘশ্বাসে।
কত তো হিসেব
মিলেছে তো সব?
এত সহজে?
একি রোজকার বাজার?
এত তেতো নিমপাতা হয়!
আমি তো তোমার বন্ধু হতে চাইনি কখনও!
হবার কথাও ছিল না কোনদিন।
তুমি আধুনিক
তাই এত চুলচেরা হিসেব নিকেশ
দেখ শেষ দেখ
স্বাভাবিক কিসে হয় কে
আগে থেকে ধরে নাও কেন!
সেধে যেচে বিষ কেউ খায়?
ভূত্বক নিজেই বিষে কাঁদে আজ!
এত কষ্টে কাটল সময়
তবুও তো রা কাড়নি
হৃদপিন্ডে কয়েদ ছিলে
তাই শ্বাসও ছাড়নি!
সব প্রবেশ ও বাহির পথগুলো
উড়িয়ে দিলাম
যাও পাখি
আমি আছি
আগেও যেমনটি ছিলাম।
শোন পাখি শোন
শুধু উড়ো না ঐ
ভূত্বকের রক্তাক্ত আকাশে
ওখানে বাতাসে বিষ পৌনঃপুনিক
শিশু পাখিও ছাড় পায় না
বন্ধ করেছে ডাকা সে।
দেখা ছাড়া নেই আর
একটিও কাজ
যদিও কুড়িয়ে রাখি
ঝরা পালকটিও আজ
সব গোলাপ সব রজনীগন্ধা
বেলানো শেষ হলে
সুসময় হয়ে গেলে বন্ধ্যা
আর চতুর পাখিদের দুড়দাড় শেষ হলে
ফিরে এসো রক্তাক্ত আমারই কোলে।
কতটা লক্ষণ থাকলে বলা যায় কেউ কাকে ভালবাসে
কতটা কাজ হলে বলা যায় তুমি অসাধারণ?
কতটা ছিটালে কাদা মরে যায় পরিকল্পিত ভালবাসা
আর কতটা, কতটা নামলে নীচে তুমি সাধারণ হয়ে যাও!!
চারদিকে এখন ছেঁড়া খোঁড়া রাত
পেঁচারাও নিঃশব্দ শিকারে
রোজ রোজ একটু একটু মরা এখানে ওখানে
কোথায় গেল সব উত্থাপিত ভালবাসারা!!
খুনি রাতেরা বিভ্রান্তি ছড়াল
মিনিটের চাওয়ায় হেরে গেল মন
শিকড় ছিঁড়ে উড়িয়ে দিল শূন্যে
মনকে প্রবোধ দেওয়া এই ভাল হল!
কতটা মাখামাখি ব্যক্তিগত সংসার চায় না
শুধু খাদ্য তালিকায় রাখে মশাল ভালবাসা
পুরুষ কোনদিনও শকুন্তলা হয় না
বোঝেও না ভালবাসার গুহ্য কৌশল।
রত্নাকরদা, উইঢিপি ফুঁড়ে কি হাহাকার দেখেছিলে!
ভেসে যাওয়া ঘর,ভালবাসা,তাই না?
পুরুষ বিক্রমে তাই সৃষ্টি কর সীতাকে
আমি জানি, মহা বাস্তবে তুমি তো পরাজিত
ও তোমার দেখনদারি!
তোমার ভূত্বক তোমারই তৈরি
আমি তো নিমিত্তমাত্র
সাগরের জলে তোমাকে হারাই
এটা কি আমার পাওনা হতে পারে?
আমি তো ভিখিরি
অসাধারণ তকমা আঁটল
কারা কারা কি প্রয়োজনে!!
আমার ব্যস্ততার ফাঁক গলে
সিঁদ কাটে সরাসরি ঘরে
আহা,তোমার কি উত্তেজনা!
সব চাবি একে একে দিয়ে দিলে।
তোমার তো কিছু চাহিদা ছিল না
তাই না!
আমি লোভে একমনে করে গেছি কাজ
ভেবেছি কি মহান
অসাধারণ!
ভাল সাজানো ইচ্ছেগুলো উড়ে গেল
বলা ভাল ফুৎকারে উড়িয়ে দিলে।
তবুও বলবে তুমি
তোমার কিছু চাহিদা ছিল না?
আমি লোভে করে গেছি কাজ?