নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

পিন্টু মাহাতো




সমুদ্র ছুঁতে চাই না 


কখনও সমুদ্র ছুঁতে চাইনি আমি
ভয় হয় যদি শুকিয়ে যায়....!!
তাহলে...........??
বালির নগ্ন শরীরে খেলবে পুরুষাঙ্গ.....
ঢেউএ কাতর শঙ্ক, শ্যাওলা ফিরবে নির্ভয়ার জগতে.........
মৃত্যু, এক জঘন্য মৃত্যু...........
ধীরে ধীরে ঝাপসা হবে প্রতিবাদী মোমবাতিরা,
আরও ফিরবে ধর্ষকের নির্মম শাবল....
ক্ষতবিক্ষত হবে সতীত্ব যুগের নেশায়....
আঁধারে ছুঁতে আসবে কিছু কালো হাত,
মুখ চেপে বলবে "চোপ শালি....."

না, না...... আমি অপরাধী হতে চাই না,
আমি সমুদ্র ছুঁতে চাই না.................. ||

                 

তৈমুর খান



দিঘি


একটা দিঘি খুঁড়ছি মনে মনে
আর ভাবসলিলে ভরিয়ে চিচ্ছি
পদ্ম ফুটুক, আমার শব্দপদ্মগুলি

কেউ জলকুমারী সাঁতার দিতে আসে
ঢেউ ভাঙে সে দেখি
তার রূপের প্রদীপ জ্বলে
অঙ্গে অঙ্গে অনুভূতির শোভা

জেগে জেগে আমার কত রাত চলে যায়
আমার কত দিনের ক্লান্তি দেখতে থাকে
এই অবাস্তব জলাশয়

তবুও রোজ স্নানের পর ভাষা খুঁজে পাই
ভাষার অন্ন, ভাষার ভালোবাসা
ভাষার হাঁস উড়ে উড়ে এখানেই নামে

একটা দিঘি খুঁড়ছি নিজে নিজে
দিঘির পাড়ে দারুণ পলাশ বন
পলাশ বনে শুনি কোকিল ডাকে…

বৈশাখী চ্যাটার্জী



মেঘ গুলো 



ছোট ছোট মেঘ জমে আছে দেওয়ালের গায়ে । 
সারা ঘর মাঝে মাঝে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ঝরে , 

জমা মেঘগুলো ওড়ে , 
জমা মেঘগুলো ঘোরে । 

বালিশ বিছানায় ভিজে ভাব 
শরীরে জ্বরের তাপ । 

ছোট ছোট মেঘগুলো জমে থাকে । 
নিকানো উঠোন -মনমেঘ উড়ে তাতে ,  

আকাশের থেকেও দূরে যেতে চায় ,
তবু গন্ডিটুকু ঘিরে বৃষ্টি ঝরে যায় । 

                 

দেবব্রত সেন



মেঘ 



সময় বলছে আয় ভাসিয়ে নিয়ে যাব
      আকাশ ছিদ্র পথে......
ভরাট করে দেব নদী নালা মাঠ
দেখবে সূদৃশ্য প্রহরীর মতো
আমি তখন মেঘ...............
যখন রাশি রাশি মিলে যাই তখনই হই মেঘমালা
আমি মেঘ হলে কি হবে...
আমি ভালোবাসি পৃথিবীর যা কিছু আছে সকলকে ...
হিংসা আমার নেই......
আমি চুম্বন আর আলিঙ্গনের ছোঁয়ায় ভালোবাসি
আমার হৃদয়টা কোমল.....
একবার ছুঁয়ে দেখবে পুরুষ তুমি
আমার জাতও নেই, ধর্ম নেই
ধর্ম নগরে আমার ধর্ম ভালোবাসা
আমার বিরোধীরা আমার কাছে তৃপ্ত হয়
যখন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরি...

অmrita




বৃষ্টি বোধন 




বৃষ্টি শেষে ঘামের শরীর,কে কিভাবে ভিজতে চায়,
আবেগ ভেজায় গল্প কারও,চোখ ভিজে যায় নির্দ্বিধায়।।

সন্ধ্যে হলে জানলা খুলে মোম জ্বালানোর গল্প কোরো,
বর্ণমালায় মন ডুবিয়ে আঙুল ছোঁবে পদ্মকোরক।।

এমনি রাতে আসতে হবেই,তবুও তুমি ভয় দেখাও,
কান্না মোছার আগলানো হাত বুঝতে পারে খুব একাও।।

যে কোনোদিন পথ ভুলবো,কিন্তু তুমি যত্নে থেকো,
কষ্ট হলেও তমাল গাছে মোহন বাঁশি সামলে রেখো।।

ফিরবোই তো,তোমার কাছে, রাত শরীরে উজান বেয়ে,
চওড়া বুকে ঘুম খুঁজেছি  অর্ধচেনা চন্দ্রাবতী মেয়ে।।
                                                   

চন্দ্রানী পাল





মেঘ বালিকা 



আমি যখন ছোট....
      পড়তাম,
একচালার ওই ঘরে
মেঘবালিকা হঠাৎ এসে
আমায় প্রশ্ন করে...
এই মেয়েটা,নাম কিরে তোর!!
আমি বললাম...বৃষ্টি..
হেসেই সে গড়িয়ে পড়ে..
বলে,লাগলো ভারী মিষ্টি।
অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি
নেই তো পাশে কেউ....
তবে কি আমার স্বপ্নে আজ
নীল আকাশের ঢেউ!!

সন্ধ্যাবেলা মা যখন
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালে,
আকাশ পানে তাকিয়ে
এ-মন অন্য কথা বলে..
আকাশ থেকে ঝুপ করে
মেঘবালিকা আসে...
গালটি টিপে আদর করে
বললো,ভালোবেসে....
এই মেয়ে,তুই যাবি আমার সাথে!!
মেঘের সাথে ভেসে যাবি
রূপকথার ওই দেশে যাবি
নীল পরী, আর লালপরীর
দেখা ও পাবি শেষে....
এই মেয়ে তুই যাবি....!!
স্বপ্ন না সত্যি তা...
আজ ও মনে ভাবি...!!