নোটিশ বোর্ড
✍️নিকোটিন ও কিছু কথা ...
"নিকোটিন" মানে যেমন আসক্তিকে বোঝায় ,ধসে যাওয়া ,ধ্বংসমুখী কোনো গতিপথে ঠিকানাহীন কোন গন্তব্য ,ঠিক তেমনি রোজ মরতে থাকা জীবন্ত লাশের গন্ধ মেখে ,হাসি হাসি মুখে বলে উঠা ,"বেশ ভালো আছি "
তাই ছোট্ট প্রয়াস কিছু না বলা কথাকে বলে ফেলার আস্পর্ধায় ,চিমনির গতিপথে বারুদ বারুদ কোলাহলে,বেঁচে থাকার ,বাঁচতে দেওয়ার উপত্যকা ।
রোজ ধর্ষিত হওয়ার মনের বসত বাড়ি হোক তবে এই প্ল্যাটফর্ম ,শেষ ট্রেন চলে যাক না কেন ,অপক্ষা না করেই ,মোমবাতি হয়ে পথ খুঁজে পাক নিয়ম ভাঙার আওয়াজ গুলো , আকাশ গুলো ,রাস্তা গুলো ,...।
ধন্যবাদান্তে,
জ্যোতির্ময় রায়
কার্যকরী সম্পাদক
✍️✍️✍️সম্পাদকীয় কলমে ....

এসো হে বৈশাখ - একটি একটি করে দিন যায়, যেমন নতুন উপন্যাসের প্রথম পৃষ্টায় লেখা থাকে গল্পের সূচনা। ঠিক তেমন'ই বৈশাখ আমাদের নতুন গল্পের প্রথম পাতা। বৈশাখ যেমন মিষ্টি আমের গন্ধে মাতিয়ে দেয় ছেলেবেলা। আবার এই বৈশাখে মিষ্টি কবিতার ডালি নিয়ে রবী ঠাকুরের জন্ম। বলতে পারি বৈশাখ মানেই কবিতা, আর কবিতার জন্মমাস। পুরনো সব গ্লানি ভুলে নতুন আলোতে চোখ মেলে দেখি কত পাখি উড়ে যাচ্ছে আকাশে। আমাদের আকাশ আর বারুদের ধোঁয়ায় ঢাকবে না। এই আকাশে রঙবেরঙ মেঘ খেলবে, বৃষ্টি হবে। রিমঝিম বৃষ্টিতে সোনালি ফসল ঢেউ তুলে বলবে " ভালো থেকো বৈশাখ "। মেঠো পথ দিয়ে কোনো এক বাউল তার একতারা বাজিয়ে গান গাইবে " তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো, ছেড়ে দেবো না "। নব বধুর পায়ের আলতা দূর্বাঘাসের উপর ছাপ রেখে যাবে। আর কোনো রাখাল ছেলে শিমুল গাছের নিচে বসে মাটির সুরে বাঁশী বাজাবে।
বৈশাখী আয়জন আর সেই মিষ্টি ফুলের মতো কবিতার গন্ধ নিয়ে হাজির নিকোটিন সাহিত্য ম্যাগাজিন। কবিতার সুগন্ধে এবার হবো আমরা সবাই চাঁপাফুল।
সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই নিকোটিনের পাশে থাকার জন্য ,পাশে থাকবেন এই ভাবেই । বিশেষ ধন্যবাদ কবি বৈশাখী চ্যাটার্জী মহাশয়া কে ,উনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ,আমাদের অতিথি কবি হিসাবে আসার জন্য উনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।।
সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা ।ভালো থাকবেন সবাই সব সময় ,ভালো রাখবেন প্রিয় মানুষটিকে ।
বিকি দাস
(উপদেষ্টা )
ধন্যবাদান্তে ,
নিকোটিন ও নিকোটিন পরিবার
সূচীপত্র
******
অতিথী কবি
*********
বৈশাখী চ্যাটার্জী
কবিতা
*******
পবিত্র চক্রবর্তী
চন্দ্রানী পাল
মিঠু মুখার্জি
মনি আহমেদ
অmrita
বিকি দাস
মনোরঞ্জন সরকার
সুদীপ্ত সেন
মৌসুমী রায়
সমীর সরকার
মৌসুমী ভৌমিক
নীলা হোসেন
রুনা দত্ত
তনুজা চক্রবর্তী
আলো মন্ডল
অনোজ ব্যানার্জী
সুনন্দ মন্ডল
শরীফ সাথী
অসীম মালিক
বিশ্বজিৎ ভৌমিক
সৈকত বণিক
সুকান্ত মণ্ডল
শুভদীপ পাপলু
দেবাশিস সাহা
অর্ঘদীপ পানিগ্রাহী
জয়দীপ রায়
কাজী জুবেরী মোস্তাক
রবীন সাহানা
সোহান আহমেদ
দেব চক্রবর্তী
সিদ্ধার্থ সিনহামহাপাত্র
ছোটগল্প
*******
শ্রী(জুঁই) ঘোষ
কবির কাঞ্চন
অনুগল্প
*******
জিবেন্দু রাজবংশী
পবিত্র চক্রবর্তী
কৃষি কথা
**********
কোন এক গ্রীষ্মের দিনে -
যখন ধরিত্রী সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ একাকিনী ,
যখন , বিদ্ধস্তা - বিবস্ত্রআ -
ভালোবাসার শেষ জলটুকু শুষ্ক -
তখন তোমায়,সংকোচে সংগোপনে
রোপণ করেছিলাম আলতো দুটি
আঙুল দিয়ে ,আমার মনের মাটিতে ;
তারপর ! তারপর যখন তোমার কচি কলাপাতার মতো ছোট্ট দুটি হাত আমার নির্জীবতাকে সজীব করলো , তখন -
বিস্ময়ে বললাম -"এত প্রাণশক্তি কোথা হতে তুমি পেলে ?" উত্তর পেলাম না ;
অনুভব করলাম সেদিনকার নরম দুটি হাত অজস্র শাখায় বিভক্ত হয়ে -
গভীর শিকড় দিয়ে মাটির কোনো এক অতল থেকে শুষে নিচ্ছে বিন্দু বিন্দু ভালবাসা ।
এসব কবেকার কথা ; জীবনের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ,হয়তো শেষ বসন্তের শেষ হাওয়াকে নিচ্ছি প্রাণভরে ।
একটা একটা করে কত সূর্য ডুবলো ,
অঙ্কুর হল মহীরূহ ; হলদে পাতায় কত কথা ;আমরা দুজনে কথা বলি,চিন্তা করি,
সবাই যেমন শেষ দিনে শেষ কথা বলে...।
সেইবার শরতে,তাকে দেখেছিলাম ভোরে সদ্য স্নাত হয়ে - কপালে চন্দনের ছোট্ট ছোট্ট ফোঁটা পরে মাথা নত করে দাঁড়িয়েছিল ; আহা! কি ন্যাকাটাই না লাগছিল । নরম দুটি গালে হাত রেখে বলেছিলাম-" কি গো,অমন করে দাঁড়িয়ে কি দেখছো?" সেদিন তোমার কি হাসি ;
খসে পড়ছিল চন্দনের ক্ষুদ্র টুকরো -
আমার মনের মাটিতে ! আর যখন চোখ খুললাম ; ওগুলো কখন অগোচরেই হলদে পাতায় হয়েছে পরিণত ।
হয়তো,কোনো একদিন প্রবল ঝড়ে ঝরে পড়ব আমরা - এই মাটি থেকে অন্য কোনো এক মাটিতে ! হয়তো সেদিনের রোপিত স্মৃতি হয়ে যাবে টুকরো টুকরো -
স্মৃতিগুলো সব বিস্মৃতি হয়ে যাবেই ।
তবুও থাকবো আমরা এরই মাঝে -
ধরার হৃদয় পিঞ্জরে ,
আমাদের ঝরে পরা স্মৃতির
নতুন বীজের মাঝে নব সূর্যের অপেক্ষায়॥
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)