নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অmrita

অতীত
*****



চূড়ান্ত ধাক্কাতে শরীরের সমস্ত উপদ্রুত অঞ্চলে অবরোধ জারি হয়।।

মাথায় সম্প্রচারিত খবর আসে,,'সাক্ষ-প্রমাণ লোপাট,আসামি ফেরার'।।

ওলট পালট খাতা,পেন। আফসোসে ভিজে যায় শুয়ে থাকার ধ্বংস-চাদর। আচমকা বিদ্যুত-ঘুম ভেঙে যায়,,,,। এত খোলামেলা কেন শরীর?

এত খুলে রাখা কেন? টানটান পদ্ম-বুকে সাফ লেখা দেখতে পাই 'আসামি ফেরার'। ফেরারি ব্যক্তিগত হাতের ঘ্রাণ।।

তারপর থেকে বিশ্বাস-ঘরে পাসওয়ার্ড-লক লাগিয়ে বাড়ি ফিরি উল্টোরথের দিন, মনে মনে আউরে যাই চোয়াল-চাপা হুমকি-মন্ত্র,,
          তুমি ক্ষমা চাও,ক্ষমা চাও হে অতীত।।
                                              

বিকি দাস

রাধাচূড়া 
******


তাহলে তুমি'ই ছিলে সেই রাধাচূড়া?
একা একা বৃষ্টিতে ভিজেছিলে।
বৃষ্টি - তো তোমার চোখেও জমে,
শুধু তুমি বুঝতে দাও না।
রোদ্দুরে পুড়ে যাওয়া মন তোমার
তবুও কত চকচকে করে.....
এমনিতেই হীরে কখনো গলে না,
আর আগুন তোমায় পোড়াবে কি...?
আমার যে একেলা একটা সিন্দুক আছে,
তোমার হীরের মন টা দাও ?
লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখি।


মনোরঞ্জন সরকার

তারপর আর আসোনি...
*******************



রোজ দেখি এরাস্তায় যাও
কাধে ঝোলানো লালনীল ওড়না। পিঠ ব্যাগ। বইখাতা।স্কেল।
টিউশনে বুঝি? বলতে চেয়েও বলা হয়ে ওঠেনি, কিভাবে
এপথে যেতে যেতে বারবার, মারিয়ে যাও এ-বুক তুমি আর, তোমার কন্যাশ্রী সাইকেল।
ভুলকরে যেই দিন প্রথম চোখে রেখেছিলে চোখ
চলার গতি দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়ে। কি নির্মমতায় মারিয়ে গেছ বুক। তুমি জানো?
ভেবিছিলাম এইতো প্রেমের শুরু। সেদিন থকে তুমি ভীষন সাবধানে
ফেলেছো পা হয়তো দুরুূুদুরু। চোখাচুখির করোনি ভুলচুখ আর কোনোদিন কখ্খনো।
তারপর হঠাত্ যেদিন তুমি নতুন সাজে এলে
হাটুর নীচে দোপাটি রং ফ্রক,
বলেছিলাম।কি দারুন লাগছে তোমায়!
দেখেছিলাম। ভেতর ভেতর ভীষন লজ্জাতে লাল হলে।

তারপর পুজো এলো।
ছুটি ছিল। সেই থেকে আর এ-পথে আসোনি।
না বলাই থেকেছে মনের কথা। শোনাও হয়নি-
ভালোবেসেছিলে কি বাসনি...
আমি এখনো শুধু সেই ভুলের মাশুল গুনি
দু-কানেতে বাহারি হেডফোন,
নচিকেতার নীলাঞ্জনা শুনি।

সুদীপ্ত সেন

 গ্রীষ্ম গরম
::::::::::::::::



জলের তলাই মাছের খেলা কিলবিলিয়ে
আমড়া গাছের পাতা পরেছে জল ছুঁয়ে থাক

চিলেরা কেমন বৃষ্টি আশায় ডাক দিয়ে যাই
পায়রা গুলো গোলির গায়ে ঘর করেছে

ছাদের নীচে গরম সরে জলের ফোটা
গাছের থেকে বাষ্পমোচন ধোঁয়ার মতো
দূরের পাখি ফিরছে দেখো শান্ত হাওয়ায়
চাতক গুলো তাকিয়ে থাকে জলের ফোটায়।

অনেক পরে সাঁঝের তারা,মধ্য আকাশ
জোনাকি পোকা, নিভিয়ে গেলে বিজলিবাতি
আমার থেকে অনেক দূরে ঝি'ঝি পোকা
ছাদের গায়ে বেলি ফুলের গন্ধ একা।

তাল পাতাতে বানিয়ে ছিলাম হাত পাখাটা
এক নিমেষে নামিয়ে দিলাম ছাতুর থালা
সেদ্ধভাতে গল্প গুলো শান্তি খোঁজে
রিলিপ মাখি গুড নাইটে চোখটি বুজে।

মৌসুমী রায়

বৈশাখী সাঁঝবেলা 
~~~~~~~~~~~~~~~




ছুটছে ট্রেন ছুটছে সাথে
ধানক্ষেত,নদী জঙ্গল ঘরবাড়ি
নামছে সাথে আমার প্রিয়
বৈশাখী সাঁঝবেলা
আমার দিনের সাথে আড়ি।
নকশা কাটা আকাশটাতে
নানান রঙের খেলা
আশায় আছি কবে আমার
কাটবে এমন একাকী
বৈশাখী সাঁঝবেলা।
নদীর জলে সুখের আঁচল
ভিজবে খেয়াল খুশি মত
পায়ে কাঁটাতার আর বেঁধোনা
দেখো বাড়ছে পায়ের ক্ষত।
শব্দগুলো মনের ভিতর
ঝড় ওঠাতে চায়
পালিয়ে যাবই অচিনপুরে
যাতে কেউ না খুঁজে পায়।
হঠাৎ নামা বৃষ্টি আমার
সাঁঝবেলার স্বপ্ন ভাঙ্গায়।


সমীর সরকার

ছায়াপোড়া মন
***********


গুল্ম ঘুমের কুশি
নরম হাওয়ার দোল ছোঁয়ায়

জলছবির আকর্ষ
চুঁইয়ে পড়ছে অর্বুদে

জড়া মুখ তুলে
বোঁটা খসা আলো
শিষ  কাটছে জলবাঁশি

ঠেস দুয়ার
কোদাল ছাটা অন্ধকার
আড়ষ্ট চোখ
এক দোয়াত হিমেল কুচো
উত্তুরে জানালা
ভাবডোবা খাগ সুদূর প্রান্তীয়

বাড়িয়ে হাত টানছে দাগ
 তোমার সেই অনুক্ষণ

কি করব বলো -

কথাঝরা গাছ আমার যে
 ছায়াপোড়া মন ...