নোটিশ বোর্ড
তপময় চক্রবর্তী
বসন্ত আসবে বলে
****************
কোনো-একদিন বসন্ত আসবে ব'লে
নিজেকে বিদ্ধ করেছ কফিনের ফালে,
আতরের গন্ধেমাখা সুদূর ঝাপসা পথে
কালো ঝরা পাতার খস খস শব্দে,
আর ওই দূরের বাতাসের হুইসেলে
গা ধুয়ে যায় শুদ্ধ শীতল পরশে,
চাওয়া পাওয়া সেরে লাল বিকেলে
শুকনো পাতার মতো শেষ হয় বনে,
বন্দী ছবি প্রতিচ্ছবির ফ্রেমের কোণে,
নীতিহীন মুখ ও রাঙে নানা রং -এ
আর কালো কোকিল ও রঙীন ডাকে ,
যে সৌন্দর্য জন্ম লয় -- -- কমলার ফুল বনে ;
মানুষের মনে কোকিলের গান ব্যবহৃত হ'য়ে
সে সুদূর তরঙ্গে নাড়িয়ে দেবে কৃত্রিমতাকে
পৌঁছে যাবে মাকড়সার রোজগার বোনা জালে,
যে অন্তে শুকনো পাতার মতো ঝরে নাকো বনে ।।
ইসমাইল মোল্লা
বসন্ত
****
ফাগুন আনন্দে মাতোয়ারা উদ্বেল বাতাস ।
আট থেকে আশির বুকে ভালোবাসার উন্মত্ত সুবাস ।
ধামসা মাদলের তালে তালে হারিয়ে যাক দুঃখ আছে যত
অশুভ রাত্রি শেষে ডাক দিয়েছে প্রিয় রঙিন বসন্ত ।
বসন্ত মানে প্রেম ।
বসন্ত মানে বুকের বাঁপাশে সদ্য ফোটা শিমূল –পলাশ–কৃষ্ণচূড়া ।
বসন্ত মানে প্রাণের নেশায় পথ হারানো পথভোলা ।
বসন্ত মানে চেনা প্রকৃতির সাথে নতুন করে আলাপ
বসন্ত মানে মুখোমুখি বসে ভালোবাসার যুক্তিহীন প্রলাপ ।
বসন্ত মানে প্রিয়জনের রঙের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে ওঠা
বসন্ত মানে অপেক্ষার আগল শেষে পেখম মেলে ধরা ।
বসন্ত মানে চোখে চোখ রেখে নীলচে আকাশ সীমাহীন
বসন্ত মানে প্রতিটি বাঙালির প্রেমের জন্মদিন ।
সৈকত বণিক
সঙ্গী যখন হেমলক
*****************
তবে তাই হোক
আমার গায়ে হাত দিয়ে যেদিন নশ্বর হয়েছিল ব্রহ্মপুত্র
সেদিন তো প্রশ্ন করিনি
কেন করলে এইরকম, বলো।
শরীর শুধু শরীর, প্রিয়তমা নয়
তাই বনমালী নস্কর লেনের শরীরটা
আজ তোমার খাদ্য
কাল আবার রবীন্দ্রতীর্থ...
সেদিন যে বলেছিলে
আমি নাকি তোমার বিশল্যকরণী!
তোমার ক্ষতের প্রলেপ
তাহলে আমায় ক্ষতবিক্ষত করতে
একটুও হাত কাঁপল না, অথবা মন?
রবীন্দ্রসরোবরে আজও ভীড় হয়
হাট বসে বক্সিগঞ্জে
জমে ওঠে ময়ুরপঙ্খী
কেউ দেখে না
নির্ভয়া আজও কাঁদে
কখনো জনসমক্ষে, কখনো বা আড়ালে।।।
আমার গায়ে হাত দিয়ে যেদিন নশ্বর হয়েছিল ব্রহ্মপুত্র
সেদিন তো প্রশ্ন করিনি
কেন করলে এইরকম, বলো।
শরীর শুধু শরীর, প্রিয়তমা নয়
তাই বনমালী নস্কর লেনের শরীরটা
আজ তোমার খাদ্য
কাল আবার রবীন্দ্রতীর্থ...
সেদিন যে বলেছিলে
আমি নাকি তোমার বিশল্যকরণী!
তোমার ক্ষতের প্রলেপ
তাহলে আমায় ক্ষতবিক্ষত করতে
একটুও হাত কাঁপল না, অথবা মন?
রবীন্দ্রসরোবরে আজও ভীড় হয়
হাট বসে বক্সিগঞ্জে
জমে ওঠে ময়ুরপঙ্খী
কেউ দেখে না
নির্ভয়া আজও কাঁদে
কখনো জনসমক্ষে, কখনো বা আড়ালে।।।
অসিতাভ দাস
বসন্ত
******
বসন্তকে নিয়ে অনেক আদিখ্যেতা করেছ কবি ।
যেকোনো দিন বসন্ত ডাকার দাবি জানিয়েছ তুমি ।
ন্যাড়া ডালে পলাশের মোহে বেঁধেছ গান, এঁকেছ ছবি ।
আবেগ ছড়িয়ে বাতাসী সুরে ডুবিয়েছে মন, ভাসিয়েছ বোধ।
গভীর ক্ষতের অশ্রুধারা তোমার আনুগত্যে হয়েছে উজ্জ্বল রবি।
তীক্ষ্ণতর দিন-রাতের ছাতে টাঙিয়েছ ভাললাগার সামিয়ানা।
সেই বসন্তের মুখোমুখি বিদ্রূপে আজ হাসে খুব অভাবী!
যেকোনো দিন বসন্ত ডাকার দাবি জানিয়েছ তুমি ।
ন্যাড়া ডালে পলাশের মোহে বেঁধেছ গান, এঁকেছ ছবি ।
আবেগ ছড়িয়ে বাতাসী সুরে ডুবিয়েছে মন, ভাসিয়েছ বোধ।
গভীর ক্ষতের অশ্রুধারা তোমার আনুগত্যে হয়েছে উজ্জ্বল রবি।
তীক্ষ্ণতর দিন-রাতের ছাতে টাঙিয়েছ ভাললাগার সামিয়ানা।
সেই বসন্তের মুখোমুখি বিদ্রূপে আজ হাসে খুব অভাবী!
ছেলেটা রাজমিস্তিরি বটে, খোপায় দিয়েছিল লাল পলাশ ।
কিশোরী পার্বতী বোঝে নি এভাবেই বসন্তকাল আসে,
ভালবাসা বলে একে, বোঝে নি সর্বনাশ ।
দিন-রাত খাটে, হাড়-মাস এক হয় চটের মিলে।
একটা মেয়ে তো পেলি, আর কী চাস?
শরীর দিলে ভাত আসে, মেয়ে কোলে শূন্যে চেয়ে -
আবার আসবে বসন্ত? আবার পলাশ?
কিশোরী পার্বতী বোঝে নি এভাবেই বসন্তকাল আসে,
ভালবাসা বলে একে, বোঝে নি সর্বনাশ ।
দিন-রাত খাটে, হাড়-মাস এক হয় চটের মিলে।
একটা মেয়ে তো পেলি, আর কী চাস?
শরীর দিলে ভাত আসে, মেয়ে কোলে শূন্যে চেয়ে -
আবার আসবে বসন্ত? আবার পলাশ?
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)