নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তুলি রায়




অতঃপর...
**********




অনুরণনটা তখনও লেগে
চোখ বুজলে একরাশ ফেনিল বুদবুদ
সব রঙ মিশে বুঝি এমন সাদা হয়!
আমি বাসন্তিকা
তুই বুঝি ফাগ


বাতাসে পলাশ ছোঁয়
ঝরাপাতার উঠোন
ফিসফিসিয়ে
অসম্পৃক্ত কথকতা

অসমতা ছাপিয়ে
জেগে ওঠা সুপ্ত আদিমতা

গলে পড়া লীন তাপে
দাহ্য আমি -তুই

নিষিদ্ধ দ্বীপ
হেঁটে বেড়ায় রূপকথারা

অতঃপর চাঁদ ওঠে

বেজে চলে রিঙটোন.....


                                

বিকি দাস




ভালোবাসা - ১
 ************


তোমার চোখে সূর্য নেমে এলে
আমি পান পাতায় শিশির হয়ে থাকি।
ভোরবেলায় আলোর দেখা পেলে
চড়ুই পায়ে নূপুর বেঁধে রাখি......

চড়ুইপাখি তোমার কানের কাছে
জানিয়ে যায় আমার ডাকনাম।
ফুলের মতন একটা প্রেমিক আছে
তোমায় ভালোবাসতে পারে অবিরাম......

ফুলের থেকেও প্রেম যে বেশি সুন্দর,
এই কথাটা সব প্রেমিকা জানে।
জলের মতন সরলতা সেই অন্তর
চালচুলো নিয়ে বাসা বাঁধে যার মনে......

বাসা বেঁধে'ও প্রেম উড়তে চায়
ভালোবাসা জীবন রেখে যায়......

রিক্তা মুখার্জি




ভালোবাসার লেভেল
***********************




     
উফ! নড়তে পারছি না রে অনু! কী প্রচুর খাওয়ালি!প্রায় পাঁচ বছর পর পিয়াস এসেছে অনুশ্রীর বাড়ি।স্কুল জীবনের হরিহর আত্মা দুই বন্ধু।
   'তুই ভালো আছিস তো অনু?' হঠাৎই জিজ্ঞেস করে পিয়াস।
    'কেন?তোর কি মনে হচ্ছে আমি খারাপ আছি?' হালকা হেসে জিজ্ঞেস করে অনু।
      বুঝতে পারছি না খারাপ কিছু,কিন্তু.... কিভাবে বলি তোকে.... জানি না আমি ঠিক না ভুল'!
   বল না।প্রবলেম নেই কিছু।আমি হেল্প করবো তোকে?'
'মানে?তুই জানিস আমি কি বলবো?'
'অমিত তো?তোর সাবজেক্ট? এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোথাও দেখেছিস লাবণ্য র সাথে।দেখে বুঝেও গেছিস যে,ওদের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক আছে প্রেমের! হ‍্যাঁ, আছে। অমিত লাবণ্য কে ভালোবাসে।বুঝলি কিছু?'
    'মা-ন্নে? তুই ভালোবেসে বিয়ে করলি। তোর জন‍্যেই ওর চাকরি, বাড়ি, গাড়ি.... আর ভালোবাসে লাবণ্য কে?'
      'ভালো আমি বেসেছিলাম পিয়াস।এখনও বাসি।ভালোবাসার অন‍্যতম শর্ত স্বাধীনতা।ওর খুশিতে আমার কোনো আপত্তি কোনোদিন ই ছিল না, আজ ও নেই।আমাকে তো অমিত কোনো অবহেলা করে না।যথেষ্ট কেয়ার নেয় আমার একটা হাত নেই বলে। আমাকে ও সব ই বলে । আমি ভালো আছি রে। তুই ভাবিস না। লাইফ ইজ ওয়ান্ডারফুল।'
     অনুশ্রীর চোখের গভীরে কোনো দুঃখের ছায়া দেখতে পায় না পিয়াস।এই ভালোবাসার লেভেল বুঝতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যায় শুধু।

পিংকি মণ্ডল







হয়তো বা 
*********


হয়তো বা ...
প্রতিদিন মানুষের ভীড়ে ভেসে আসা তোমার চন্দ্রকান্ত মণি আমার,
হয়তো বা....
শীতের চাদর জড়ানো তোমার আলতো চুম্বন আমার,
হয়তো বা....
মেঘলা বাতাসে শ্বাসরোধ তোমার ধোঁয়া আমার,
হয়তো বা....
সলতে নেভা তোমার হানিকারক অন্ধকার আমার
হয়তো বা....
নীলাঙ্গন ছোঁয়া তোমার মন প্রান্তর আমার,
হয়তো বা....
ওষ্ঠোমাঝে তোমার কালো নিগ্রো তিলটি আমার,
হয়তো বা...
তোমার সিনসিয়ার ইগোর যন্ত্রনার বালুচর আমার,
হয়তো বা....
অকথ‍্য তোমার সহন সব অসহায় বেদনা আমার,
হয়তো বা....
উদাসিন সঙ্কেতে স্বপ্ন বোনা তোমার জাদুকাঠি আমার,
হয়তো বা....
তোমাকে ভালোবাসার অধিকারের অভ‍্যাস শুধু আমার,
হয়তো বা....
তোমার বুকের বাঁম পাজরের হাড়কাঠি আমার।

         

   

        মুহূর্তরা
*************



সুখ দুঃখ
ক্ষণিকে সব নিশ্চিহ্ণ
অন্ধকার প্রাচীর পর্দা
নিখাঁদ রশ্মি
পলক ফেলা পাঁপড়ি
ছায়াপথ বিলীন
আদি অন্তিম অশ্রু অক্ষর
কুঁচকানো মসৃণ আবদ্ধ বাঁক
পিরামিডে থামে
নিগ্রো শিকলের চির নামে।

সত্যেন্দ্রনাথ নাইয়া




★চরৈবেতি★
************



বাঁচ্,নিজের মতো বাঁচ্,
নিজের খুশীতে থাক্,
ঘেরাটোপের বাইরে তুই
খুঁটে খুঁটে জগতের বাহার দেখ,
রাধা-রহিম-মেরী বলতে হবে না আর, ময়না!তুই স্বাধীন হলি আজ।

অবাক!খাঁচার বাইরে আসতে নারাজ!

বাবু!আমি বন্দীদশায় বেশ স্বাভাবিক,
মুক্তির স্বাদ আমাকে টানে না আর,
ওড়ার থেকে পড়ার ভয় করে গ্রাস,
জানি না মা-বাবা কোথায় আজ,
দলছুটকে কে বা নিতে চায়!
তার চেয়ে রাধা-রহিম-বুদ্ধ বলি,
চরৈবেতি।
পরজন্মে যদি মানুষ হতে পারি,
পরাধীনকে স্বাধীন,স্বাধীনকে পরাধীন
করার কারবারি।
চরৈবেতি।

ভেতরের ধূর্ত কাকটা ভ্যাংচায়,
সিংহটা লোলজিহ্বায়,
কামুক কুকুর ঘাম ঝরায়,
আমার কেমন চারপা গজিয়ে যায়,
চরৈবেতি...

গৌরাঙ্গ মণ্ডল




নিত্যনতুন প্রেমান্তর
******************



বাকল মোচন, শুকনো পাতা, ঝরে যাওয়া সবকিছু 
উল্টো পিঠে দিচ্ছে টহল কয়েকশো প্রেম। ঘাড় পিছু। 

খোলাই ছিল রাস্তা দু'দিক, পা চেপে যাও পাশ কেটে 
শব্দ পেলেই মৃতেরা ঠিক নেমে আসবে প্ল্যান চ্যাট-এ। 

তার চেয়ে বরং ন্যাংটো হয়ে ঘুম দি এসো। দীর্ঘায়ু। 
লক্ষ 'তুমি'র গর্ভ তুমি অনিন্দিতা প্রেম-স্নায়ু, 

উগড়ে দিচ্ছো!উগড়ে দিচ্ছো!কক্ষে কক্ষে কোপ, জানি
আমারও নেই অসুস্থ ভয়। ব্যাধির অনুসন্ধানী। 

কথার ভাঁজে বাঁধছি শুধু লারেলাপ্পা মস্করা, 
স্পর্শ মেশাও, পাল তুলেছে পেন্ডুলামের শিরদাঁড়া। 

সমস্তই তো স্রোতোস্বিনী চরের নীচে খলবলে, 
চুপসে চোখের দৃষ্টিপাতই টেম্পোরারি ফেল হলে। 

গতি! সে নয় প্রতীক্ষিতা, বহমন্দ্রে উদবায়ী, 
চরিত্রেরা বদলে প্রতি উপন্যাস ও অধ্যায়-ই.. 

আগলাবে না আ়ঁচল পেতে, মেঘ জমেছে এক মনে;
আমার হৃদয় কুরবানী দি নব্য প্রেমের অঙ্গনে।