নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তাপস খাঁন




প্রিয় রুদ্রকে 
************



প্রিয় রুদ্র ,
কতদিন পর দেখা হলোরে অাজ
মনে পড়ছে ; নাকি সব ভুলে বসে অাছিস ৷
সেই যে সোনামুইয়ের শিক্ষায়তন
ক্লাস টুয়েলভ ; রোল নং থার্টিন
তুই প্রথমের দিক থেকে দ্বিতীয় বেঞ্চ
অার অামি একটা ছেড়ে চতুর্থ ৷
তবুও সব কিছুই কেমন যেন 
অনায়াসে অাদান—প্রদান হয়ে যেত ৷
জানিস ;এ যাবৎ ততটাও ভালো নেইরে 
যতটা সেই দিনগুলোতে ছিলাম ৷
একটা বিশ্বাসী মানুষের কাছে 
প্রত্যেকটা দিন ,প্রত্যেকটা মুহূর্ত ধর্ষিত হয়েছি
না যৌনাঙ্গের অাঘাতে নয় ; 
প্রত্যাক্ষায়িত কথার অাঘাতে অার
অবিশ্বাসের লোলুপ দৃষ্টিতে ৷
এই দেখ কথায় কথায় জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেছি
এখন কি করছিস , বিয়েথা করেছিস
নাকি.........অাজও অপেক্ষায় ........ ৷
কিরে কিছু বলছিস না কেন ; কিছু বল ৷
সেদিনের সেই দিনটা অাজও ভুলতে পারিনারে 
একটা ভুল সিদ্ধান্ত ; অাজও অামাকে তাড়িয়ে বেড়ায় 
ভীষণ রকম ভাবে তাড়িয়ে বেড়ায়রে ৷
তোকে লুকিয়ে ;বন্ধুদের লুকিয়ে 
তলে তলে যে ফার্স্ট ইয়ারের রাজার সঙ্গে
প্রেম জমিয়েছিলাম ;তা সফল হয়েছিল ঠিকই
কিন্তু তার ফলটা ছিল খুব মারাত্মক ৷
সেদিন শ্রাবণ মাসের ঝোড়ো অাকাশ
তুমুল বৃষ্টি—বাদল মাথায় নিয়ে
তোদের না জানিয়ে বাড়িছেড়েছিলাম ৷
তার মাস চারেক পর একদিন রাতে 
রাজা মদ্যপ অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল
বলতে যেতেই সেকি মার মেরেছিলোরে অামায়
শরীর ফেঁটে রক্ত ঝরছে ; 
অামি গুগিয়ে গুগিয়ে কাঁদছি
লাথি মারতে মারতে দরজার বাইরে বের করেদিল সেদিন ৷
সেই রাতে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ৷
শরীর ছেঁড়ার যন্ত্রনায় অার জ্বরে গা পুঁড়ে যাচ্ছিল অামার ৷
পরের দিন সকালে অামায় পাশকাটিয়ে
দরজায় চাবি দিয়ে চলেগেল রাজা 
একটি বার ফিরেও তাকালনা ৷
সেই যে সেদিন ঘর ছাড়লাম 
স্বামী ছাড়লাম ; তার পর পাঁচ বছর হয়ে গেল
ফিরে যাওয়া হয়নি ৷
কিছু দিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ালাম
তখন বদ্দ উন্মাদ ; ঠিক মনে নেই 
কোথা থেকে অামার মেজো কাকা 
অামাকে ধরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন ৷
তারপর অারো দুবছর হয়ে গেল 
কতকিছু পালটেছে মানুষ পালটেছে সমাজ পালটেছে 
অার নিজেকেও অনেকটা পালটেনিয়েছিরে ৷
তুই কেমন অাছিসরে রুদ্র ;
এবিদানী শরীরটা খুব ভেঙেছেরে তোর
কি হলো তোর চোখে জল ; তুই কাঁদছিস রুদ্র
দেখ সেদিন তোকে তোদেরকে ঠকানোর 
শাস্তি ঠিক পেয়েগলাম রে রুদ্র 
ঠকানোর শাস্তি ঠিক পেয়েগেলাম ৷


               

প্রাঞ্জল দাস




সন্ধি  পুজোর আগে তুই মণ্ডপে এসে দাঁড়ালি ।পরনে সেই হলুদ শাড়ী ।তোর খোলা চুল, কাজল পরা চোখ, আর কপালের মাঝখানে ছোট্ট একটা টিপ...।
তুই আড় চোখে তাকালি তারপর ...।
ঢাকির কাছ থেকে কাঠি নিয়ে একটু বাজানোর চেষ্টা করছিলাম ।তোর সাথে চোখাচোখি হতেই তাল মিল ঘেঁটে ঘ।এবার তোর স্পষ্ট ইশারা বুঝে মণ্ডপের পেছনে গেলাম
আমাকে একটা গোলাপ দিয়ে বললি-“তোর বন্ধু স্বপ্ননিল কে বড্ড ভালবাসি রে।ওকে আমার মনের কথা টা একটু জানিয়ে দিস না প্লিস । আমার নিজে মুখে বলতে লজ্জা করে।আর ওর মনের কথা টাও জানাবি কিন্তু।"

সন্ধি পুজ শেষ হওয়ার সঙ্গেই ঢাকের আওয়াজ মিলিয়ে গেল / বুঝলাম গোলাপের কাঁটা আঙ্গুলে ফুটেছে ।

অহল্যা



আমার ভ্যালেন্টাইন
***********************




প্রেম.....!
প্রেমের কি গন্ডি হয় অথবা সংঞ্জা ?
প্রেমের জন্য সম্পর্ক লাগে অথবা অসম্পর্ক ?
প্রেম কী এতো ঠুনকো !
অন্তরে প্রেম একবার জন্মালে
আমৃত্যু সে ধ্বংস হয় না।
আর যেটা ধ্বংস হয় সেটা নিছক সম্পর্ক।
জীব প্রেমে শর্ত থাকে কী অথবা মানুষ মানুষ প্রেমে!
প্রতিটা মুহুর্তে দিনে লুকিয়ে থাকে প্রেম ,
প্রেমের জন্য একটা স্পেশাল দিন হয় না কি ?
সেই প্রেম তবে কয়েকটা দিনেই থাক পর্যাপ্ত।
প্রেম হ্যাঁ প্রেম!
সে তো অসীম........
বর্তমান বলে সে কেবল উপন্যাসের পাতা বন্দী দুঅক্ষরের এক জটিল শব্দ ।

বিশ্বজিৎ মাহাত





আজ জন্মদিন 
**********




আজ জন্মদিন ।
যদি উপহার দাও--- দিয়ো না কিছুই   , 

ভালোবেসে ,  দাও যদি গোলাপের ফুল---- 
আরেক মায়ের ভালোবাসা নেবে  কেড়ে  ? তুমি নও যমদূত----

আজ জন্মদিন  ।
যদি উপহার দাও--- দিয়ো না কিছুই   , 

ভালোবেসে ,  দাও যদি কেকের কবিতা--- 
হত্যাকারী হবে ছুরি আর তুমি ।  রক্তাক্ষরে  জীবন কয়েদি----

আজ জন্মদিন ।
যদি উপহার দাও-- দিয়ো না কিছুই   ।

শেখ ইমদাদ উল্লাহ নীলয়





অনুমতি 
*********



 যখন দেখি কাউকে হাত ধরে
পাশাপাশি হাটঁতে তখন
খুব ভাল লাগে সেটা দেখতে,
 আমার ও মাঝে মাঝে মনে চায়
তোমার হাত ধরে হাটতে
জানি পারবোনা কখনই
এই ইচ্ছেটা পূরণ করতে।
 যখন দেখি কাউকে চোখে চোখ
 রেখে কথা বলতে তখন
 ভাল লাগে তা দেখতে,
 আমার ও তখন ইচ্ছে করে
তোমার ঐ দুটি চোখে চেয়ে থাকতে,
তুমি আজ বহুদূরে
 তাই অপূর্ণই রয়ে যাবে আমার ইচ্ছে।
যখন দেখি কাউকে পূর্ণিমারাতে সমুদ্রজলে ।

ঋতুপর্ণা সরকার



ঘুমভাঙ্গানিয়া...
***************




এই পাগলি আমার সঙ্গে শুবি?
ভাবিস না রে ছোঁব না আজ তোকে
তাকিয়ে শুধু দেখব এলোমেলো
শুয়ে আছিস কেমন আমার হয়ে!
অন্ধকারে মোমবাতিটা জ্বেলে
ধন্য হয়ে উঠুক আমার ঘর
খোঁপা ভাঙ্গা এলো চুলের মাঝে
কুর্চি হয়ে আজকে ঝরে পড়।

এই পাগলি অমন কেন হাসিস?
ঠোঁটের কোনে মরন হাসি মাখাস
চুলের ফাঁকে গভীর ওই চোখে
পাগল করা দুষ্টুমির-ই আভাস।

তোর চোখে আজ সর্বনাশের হাসি
রাত্রি জাগা চোখের কোলে কালি
চোখের নিচে জলের দাগটা কেন?
এমন করে কষ্ট সুখ ও পেলি?

এই পাগলি আমার সঙ্গে শুবি?
ভয় নেই রে ছোঁব না তো আর
ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে আজ তোকে
নিয়ে যাব সাত সমুদ্র।