নোটিশ বোর্ড
অতনু নন্দী
অন্ধকারে এক মোমবাতি গলে
*****************************
টিলার উপর থেকে চাঁদ দুরন্তপনা বাড়িয়ে উঠে গেলো আর এক পাহাড়ে...
শরীর ঢেকে গেছে তরল রাত্রির রঙে
তুমিতো ছিলে না পুরুষ ধরা মেয়ে !
তোমার রূপে ঈপ্সিত ঝিলিক ,
প্রজাপতি উড়ছে তোমার আত্মায়..
বেলা পরে আসে,বেলা পরে আসে...
নিয়নের সব বাতি নিভেছে আজ !
অন্ধকারে একা মোমবাতি গলে..
বিনিদ্র রাতে মোমবাতি থেকে
মোম গলে পরে ....।
শুভ্রা দে
এক মুঠো ছাই ...
***************
সূর্যের আলো অস্ত গেলে আসবে আবার ফিরে
সময় গেলে আর পাবোনা ফিরে
জীবন টাও তেমন গো যাবে যে অস্ত যখন আর পাবো না ফিরে
রঙ্গলীলায় উঠবেনা আর পৃথিবীর এই রঙ্গমঞ্চে
সময়ের অতলান্তে তলিয়ে যাবে এই দেহ,নাম পরিচয়
বিলিন হবে প্রবাহমান সময়ের সাথে সাথে।
জীবনের শেষ চাল বুঝে নাও।
সময়ের তুফান উড়িয়ে নিয়ে করে যাবে সব
বিলীন এই মাটির পরে।
তেল বিহিন প্রদীপ ক্ষনে ক্ষনে নিভছে,
এক মুঠো ছাই হয়ে যাবে যে ধুলায় মিশে।
শাল্যদানী
ফর আ নিউ ইয়ার
******************
সময়ের ঘরে কাঁটা বাস করে।
চাকাচাকা কন্সার্ট গান, বা -
মলাটে মোড়া ময়লাটে ফিসফিসানি সন্ধি।
নতুন বছর
চাদরের দাগে হিজিবিজি শব্দবহ কোলাজ,
ফরেন মাইলেজ মেল ভর্তি কুশলতা, বা -
দেবদারু বনে ঝিলিক স্বপ্নে
জেগে থাকে তারা
যারা পুরোনো হয় না
এ পানপাত্র তুলে ধরি সময়ের নামে
ঘনঘন হাই ওঠে একঘেয়ে নিউ ইয়ারে।
তবু ভালো থেকো
ভালো থাকার অভিনয় চালিয়ে যেও
সুনন্দ মন্ডল
2নম্বর প্ল্যাটফর্ম ...
******************
শীত কুয়াশা ভেঙে সেদিন পৌঁছেছিলে বর্ধমান।
অনেক সাথী ছিল তোমার!
শুধু আমি ছিলাম রামপুরহাটে
২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।
এখান থেকেই তুমিও গন্তব্য শুরু করেছ।
অনেক সাথী ছিল তোমার!
শুধু আমি ছিলাম রামপুরহাটে
২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।
এখান থেকেই তুমিও গন্তব্য শুরু করেছ।
নির্জনে একা শেষ প্রান্তে আমার আমি!
তুমি বলেছিলে সাথে যেতে
কিন্তু যাওয়া হয়নি।
তুমি বলেছিলে সাথে যেতে
কিন্তু যাওয়া হয়নি।
রামপুরহাট বাজার পুরো চষে
প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়িয়ে আছি।
অনেক রাত হয়ে গেছে।
রাতের বাতি গুলো স্পষ্ট জানাতে চাইল
আমার ঘরে ফেরার অপেক্ষায় মা
লণ্ঠনের আলো জ্বেলে বসে আছে।
বাল্বের আলোয় বাবার ঘুম ভেঙে যায় সেই ভয়ে।
প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়িয়ে আছি।
অনেক রাত হয়ে গেছে।
রাতের বাতি গুলো স্পষ্ট জানাতে চাইল
আমার ঘরে ফেরার অপেক্ষায় মা
লণ্ঠনের আলো জ্বেলে বসে আছে।
বাল্বের আলোয় বাবার ঘুম ভেঙে যায় সেই ভয়ে।
আমি যখন মুরারই তখন ১০টা!
ইন্টারসিটি লেট।
তোমার ফেরার কথা ছিল
কিন্তু দেখতে পেলাম না।
ফোন যদিও মানুষকে অনেক কাছে এনে দিয়েছে
তবু সেদিন তোমাকে পেলাম না।
ইন্টারসিটি লেট।
তোমার ফেরার কথা ছিল
কিন্তু দেখতে পেলাম না।
ফোন যদিও মানুষকে অনেক কাছে এনে দিয়েছে
তবু সেদিন তোমাকে পেলাম না।
শেষ কল করলাম প্রায় ১১ টা রাত
একজন বলল, "ফোনটা স্টেশনে পরে আছে,
বাজছিল! তাই ধরলাম।"
আমি বললাম, "ফোনের মালিক কই?"
"নম্বরটা তো একটি মেয়ের!"
"এটা কোন স্টেশন?"
সে বলল,"রামপুরহাট"
আমি লোকটিকে খোঁজ করতে বললাম।
একজন বলল, "ফোনটা স্টেশনে পরে আছে,
বাজছিল! তাই ধরলাম।"
আমি বললাম, "ফোনের মালিক কই?"
"নম্বরটা তো একটি মেয়ের!"
"এটা কোন স্টেশন?"
সে বলল,"রামপুরহাট"
আমি লোকটিকে খোঁজ করতে বললাম।
অনেক খোঁজ করে একটি লাল চাদর
বেগুনি ওড়না আর একটি শান্তিনিকেতনি
ব্যাগ পাওয়া গেল।
আমি সব শুনে অস্থির হয়ে গেলাম
বললাম," মেয়েটির কোনো খোঁজ পেলেন?"
সে বলল, "না স্যার! এখনো পাইনি!"
আমি উচ্চস্বরে বললাম,"একটু দেখুন তাড়াতাড়ি!"
শেষে যখন জানতে পারলাম ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে
ধারে মেয়েটির দেহ পরে আছে!
আমি হতবাক।
লোকটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনুরোধ
করলাম।
বেগুনি ওড়না আর একটি শান্তিনিকেতনি
ব্যাগ পাওয়া গেল।
আমি সব শুনে অস্থির হয়ে গেলাম
বললাম," মেয়েটির কোনো খোঁজ পেলেন?"
সে বলল, "না স্যার! এখনো পাইনি!"
আমি উচ্চস্বরে বললাম,"একটু দেখুন তাড়াতাড়ি!"
শেষে যখন জানতে পারলাম ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে
ধারে মেয়েটির দেহ পরে আছে!
আমি হতবাক।
লোকটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনুরোধ
করলাম।
আমি বাইক নিয়ে বেরোলাম,
পৌঁছলাম তখন প্রায় রাত ২টা।
পৌঁছলাম তখন প্রায় রাত ২টা।
অনিরুদ্ধ বাগচী
অয়নিকা ও বুদ্ধপূর্ণিমা
*********************
বৈশাখের কিছু পরে জ্যৈষ্ঠের সেই রাতে
দূরবর্তী কোন সানাই'এর সুর,
যেন তিমিরনাশিনী এক জ্যোতি।
উৎসুখ সুখী মানবের আনাগোনা
বিক্ষুব্ধ যেন কাদের কথাবার্তা;
আমি বসে একা বৃষ্টি হলো কি হলোনা তার হিসেব নিয়ে,
হিসেবে নেই কোন গলদ।
তবুও,
তবুও অয়নীকাদের নিয়ে ভাবতে হবে
ভাবতে হবে বুদ্ধপূর্ণিমার রাতকে নিয়েও;
কিন্তু, ভাববো কি শুধু আমিই একা?
হ্যাঁ শুধু আমি, হ্যাঁ শুধু একা।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)