নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আর্যতীর্থ




এই বছরে 
*******





ঠিক কতটা করেছো লাভ, কি খোয়ালে এই বছরে,
লাভ কি বলো  সেসব কথা অঙ্ক কষে হিসেব করে?
স্মৃতির কফিনবন্দী করে সময় রাখুক তাদের তুলে,
এবার সময় সামনে দেখার, আগের বছর বেবাক ভুলে।

দুঃখ কিছু  ফাউ জুটেছে হয়তো কারো এই বছরে
খন্দখানায় ভরে ছিলো গিয়েছো যে রাস্তা ধরে।
সেই বিষাদে আকাশ ঢেকে আগামীতেও চলতে গেলে
আর কাউকে দোষ দিও না আগের মতোই হোঁচট খেলে।

কিংবা তোমার সুখযাপনের রূপকথা সব এই বছরে
চাওয়ার বেশী প্রাপ্তি দিলো ভাগ্য তোমায় দুহাত ভরে।
সফলতার পট্টি চোখে বাঁধলে সেটাও বোকামি যে,
কেউ জানেনা পরের মোড়েই তোমার জন্য লুকিয়ে কি যে।

বেশির ভাগের মাঝামাঝি কেটেছে দিন এই বছরে,
সুখের গাড়ি দুখের গাড়ি পাশাপাশি আস্তে জোরে।
আনন্দ আর অশ্রু মিশে ক্যালেন্ডারের বাতিল পাতায়,
এবার লেখা শুরু আবার  ভাবীকালের সাদা খাতায়।

রোজনামচায় গল্প অনেক ফেললে লিখে এই বছরে,
আবছা হওয়ার অমোঘ পলি জমবে দেখো কদিন পরে
চলো এবার সামনে হাঁটি , বুকের খাঁচায় নতুন আশা,
কুড়িয়ে নিই ভাগ্য যা দেয় বিষাদ কিংবা ভালোবাসা।


রুপা রায়




আজ কাল পরশু 
*************

আজ কাল পরশুর শব্দ মিছিল
চলছে যে তালে তালে ভাবনার ঝিল

কাল ছিলো সুখে ওরা আজকের মত
হিসেবের বোঝাপড়া সাথে ছিল যত

পথের বাঁকে ছিলো রাশি রাশি ভুল
সেই কাঁটা সরিয়ে আজ সুখের ফুল।

নদীর পাড় ছিলো নোঙরেতে বাঁধা
জীবনের গান হয় সাত সুরে সাধা।

সা রে গা মা পা ধা নি সা সপ্তক সুর
মন চায় ভালোবাসো হোক বহুদূর।

ভালোবেসে ঘর বাঁধে পরিযায়ী পাখি
বসন্ত ঠোঁটে নিয়ে করে ডাকাডাকি।

আজ কাল পরশুর একসাথে চলা
কবিতার কথা হোক ছন্দতে বলা।।

শ্রীময়ী গুহ




অলীক 
*****




ভাললাগা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় অবিরাম,
অমলতাস ,পলাশ, মহুয়ার.... মাটি শিকড় আজও পিছুটান...
কেমন যেন উজান ঢেউয়ের কবিতার আখর।

অভিমানী মেঘ ----
জমাট বাঁধা হৃদয়ের চৌখূপীতে- ভোর ঘেঁসা ,
অভিসারী বাসি ফুলের ছেঁড়া পাপড়ির মৌনতা বাসর.....

নিকষ কালো অমানিশার বুকে, যেমন তারা খসা.... বিদ্যুৎ ঝলক চিরে চিরে যায়.....
তোর আথালি পাথালি খোঁজা শরীরী সর্তবন্দী প্রণয়----
 আমার মনবাগিচায় বেদনার
ফলক অবিরত রক্ত ঝরায়----

 সেদিনের পাশাপাশি হৃদস্পন্দন ...
সেদিনের দুটি শরীর মিশে মিশে যাওয়া .....
সেদিনের অকাল শ্রাবণের আভ‍্যন্তরিন ঝড় প্রলয়ের -
সিক্ত ,রিক্ত ,ঋদ্ধ, পরিপূর্ণ বর্ষণ ব‍্যথা ছাওয়া ......
এ সবই আজ অবান্তর/
এ সবই--- শুধুই স্মৃতি-
 চোরকাঁটা ক্ষত আহত স্বপন!

অনাহূত এ মুহুর্ত !
তোর আমার এই অপলক ছলছল- অযথাই গভীর দৃষ্টি দর্পণ .......

এ কবিতা নয় ....
নয় শুধু কোনও ছন্দ বদ্ধ মনকথা অবান্তর মনন....

এ কেবলই টুকরো টুকরো পথচলা /
আকাশ দিগন্তের.... অচেনা মাঝির -
ভাঙাচোরা নাওখানির -হঠাৎই থমকে চাওয়া ----
    অলীক কাল্পনিক আগন্তুকের মিলন যাপন ।।


অঞ্জনা দে ভৌমিক




দূরের আকাশে 
**********





দত্যিদানা মেয়েটি
সারাদিন মনে মনে পাখির মতো
ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় সবুজ থেকে নীল আকাশে।
সে যেন সদ্য ফোটা একটি গোলাপ
শুধু একবার ছুঁয়ে দেখো তাকে!
যেন নীলিমার চাঁদ মেঠোপথের  বাঁকে।
ফুলেশ্বরী বাংলার কাজলনয়না অভিমানী সে
তিস্তার পারে মেঘবালিকা নামে ভেজা গায়ে
নদীর আঁকন বাঁকন দেখে।
দুচোখে তার দূরের আকাশ দৃষ্টি সেদিন উদাস,
আকাশ হয়েছে কালো ;
ঘুরলো এবার বকুলতলা, চাঁপাবনে নেই আলো ;
বাতাস হয়েছে কৃপণ চোখে সোনালী স্বপ্ন
হঠাৎ করে বাজলো ঝুমুর কলাপাতায় ;
দূরের আকাশ দেখলো এবার মনের পাখি, দত্যিদানার ডানায়।

চন্দ্রানী পাল



হারিয়ে গেছে ...
**********






বছর আসে,চলেও যায়
শেষ হয়ে যায় খেলা,
এরই মাঝে হারিয়ে গেছে
মজার ছেলেবেলা।

মান ও নেই,হুঁশ ও নেই
মানুষ লোকে বলে
হারিয়ে গেছে হৈ-হুল্লোড়
লোভের কোলাহলে।

মিথ্যা কথার ফুলঝুরি আর
বিশ্বস্ততার নামে,
বিকিয়ে গেছে মনুষ্যত্ব আজ
সস্তা জলের দামে।

 সরলতার দাম নেই আর
সহজ,সরল কথা,
বাঁকা চাহনী, আর কটাক্ষ
হৃদয়ে জাগায় ব্যথা।

নিত্য নতুন মুখোশে মোড়া
মেকি মুখের মেলা,
ভালোবাসার নামে চলছে
নিত্য নতুন খেলা।

সবাই কেমন ব্যাস্ত এখন
ত্রস্ত সকল কাজে,
শৈশব তাই পথ হারিয়ে
বিষাদ সুরে বাজে।

দুষ্ট মনের চঞ্চলতা
চাঁদনী আলোর রাতে
লুকিয়েছে সব কোন সুদূরে
শিশির ধোয়া প্রাতে।

আজকে কার ও হয় কি দেখা
লালচে রোদের সোনা
পাখির সুরে সকাল হওয়া
এখন হাতে গোনা।

মনের কথা মনেই থাকে
যায় না এখন লেখা
অ-দেখাকে যায় না এখন
নতুন  করে দেখা।

এখন ও কেন বেঁচে আছি
জানিনা কিসের তরে,
সোনায় মোড়া দিনগুলো কেউ
ফিরিয়ে দিতে পারে!! !!

জয়তী দাস



জেগে আছি ...
*********

    ও চাঁদ....
    তুমি আজ জেগে থেকো,
    মধ্যরাত কথা দিয়েছে জাগবে সেও।

   নদীর পার ধরে আজ অনেক হেঁটেছে সূর্য,
   গাছেদের সঙ্গে মেঘের কথা হয়েছে বিস্তর।
   খরার সঙ্গে বৃষ্টির শর্ত হয়েছে, বাৎসরিক,
   সবাই হাঁটবে একসঙ্গে, পাশাপাশি।

  শুনছো....
  শিশির ঝরছে,
  বাতাসের চাদরে, ভিজে কুয়াশা
  বারুদের গন্ধে জমাটি আসরে ডায়মন্ড স্পেডস,
  আতসবাজির বুক চিরে বাজল গীর্জার ঘন্টা ধ্বনি,
  ক্যালেন্ডারের বোতাম খুলছে আগামী।

  আমি জেগে আছি এখনো....
  তোমাকে গুছিয়ে রাখবো গোপনে,
  ন্যাপথালিনের সুবাসে, স্মৃতির রোমন্থনে।
  পুরাতনী বুকের উষ্ণ ওমেই, ডাকবো "নতুনে"।।