নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শ্রীময়ী গুহ এর কবিতা

 
                 

                        অবুঝ



আদর মেশা ,মেঘগুলি দ্যাখ-  কেমন পদ্মপাতা ।
শিশির বুকের- জলছবিতে- মনকাড়া সব ব্যাথা!
পাহাড় চূড়ায়- প্রথম সূর্য্য -প্রথম ভালবাসা!
মন উঠানে -পর্দা ছায়ায় -তোর আবেদনের ভাষা!
মাঝের নদী -ফল্গুধারায় --বইছে ঝড়ো বাতাস।
চৌকাঠটা -আঁধার আলোয়--- ঝরা বসন্ত নির্যাস!!
আজ এ আগুন -ফাগুন মাখা-- ক্যানভাসবুক ছোঁয়া--
আজও তেমন-- দীঘল আখির- কাজল দেয়া নেয়া ৷
তোর লোমশ বুকের- উতাল প্রণয় -গহীন গোপন দুখ ---
মোর ফেলে আসা- পলির তীরে- একলা নাওয়ের সুখ!
চিলেকোঠা- বাসি ফুলের- কান্না অভিমান--
আজও তেমন -গুনগুন ছায় -মন যাপনের তান!
তোর- আদিম ভালবাসার  -বাসে--- টুকরো অবহেলার দাগ!
তোর উদাসিনতা সইতে নারী -------
             ---বরং আজও- অবুঝ ঘৃণাটুকুই থাক --!!

শ্রীমন্ত দে এর তিনটি কবিতা





সুখের ঠিকানা


সুখের ফানুস উড়ল হাওয়ায়
নিভল দুখের বাতি
আজকে সবাই এই পৃথিবীর
হয়েছে আমার সাথী |
ঘুটঘুটে মেঘ সরিয়ে দূরে
রবির কিরণ মেখে
ভাসছি আমি ভাসছে জগৎ
ভাসছি নরম সুখে |
সবার সাথে ভাব জমিয়ে
নতুন সবই দেখি
সম্পর্কের নব বন্ধনে
হয়েছি আমি সুখী |
এসো সবাই হাত বাড়িয়ে
ধরো বন্ধু বলে
সুখ সাগরে জীবন তরী
চলবে হেলে দুলে |


পৃথিবী কারও একার নয়



থাকব সবাই নিজের মত
এই পৃথিবীর বুকে
গড়ব প্রেমের এক ইমারত
বাঁচবে জীবন সুখে |
একার কারও নয় পৃথিবী
সবার অধিকার
উচ্চ শিরে চলব সবাই
বাঁধব সুখের ঘর |
জাতের দেওয়াল তুলছে যারা
করেছে ভাগাভাগি
স্বার্থ তাদের রক্ত ধারায়
বিদ্বেষ বিষ সবই |
কান দেব না পরের কথায়
পা দেব না ফাঁদে
প্ররোচনায় পাক খেয়ে মন
অহর্নিশি কাঁদে |
এই পৃথিবী সবার আলয়
উপর ওয়ালার দান
ঠুনকো দেওয়াল ভাঙব তেজে
গড়ব মিলন স্থান |



ক্ষত



ক্ষতের উপর আঁকলে ক্ষত নিপুণ তুলির টানে
ভাসলো নদী ডুবল সবই প্রাণক্ষয়ী এক বানে |
আলতো জ্বলা তুঁষের আগুন জ্বললো বিষম তেজে
গুমরে থাকা বিদ্বেষ তীর ছুটল প্রবল বেগে |
বাদ গেল না দুধের শিশু বাদ গেল না কেউ
কসাইখানা দিগ্বিদিকে রক্ত নদীর ঢেউ |
বাঁচার আশায় ছুটছে সবাই অলি গলি রাজ পথে
হিংস্র দানব হত্যা লীলায় রয়েছে যে আজ মেতে |
নেই কি ওদের একটুও মন নেই কি দয়া মায়া ?
নেই কি ওদের ঘর সংসার পুত্র-কন্যা-জায়া ?
প্রাণের কোনও জাত হয় না উপর ওয়ালার দান
প্রাণের উপর হানলে আঘাত হয় শুধু শয়তান |
যে শোণিতের উষ্ণ স্রোতে বইছে রক্ত নদী
বাঁচত কত মৃতপ্রায়ও রক্ত পেত যদি |
ভেদ নেই কোনও আমাদের মাঝে আমরা মানব জাতি
সবাই এসো উচ্চ শিরে তীব্র গর্জে উঠি |
বেজাত যারা লেজ গুটিয়ে পালাবে স্রোতের মত
ভালোবাসার সুখের ছোঁয়ায় সারবে সকল ক্ষত |

অনুপ বৈরাগী এর দুটি কবিতা





জ ন ম >> জন্ম


প্রথমবার মোমের গা বেয়ে নামতে গিয়ে 
মাঝপথে লীনতাপ খরচ করে
আটকে গেলো আগুন
বার কয়েক পর
                    অনায়াসে 
                                নেমে এলো
                                           ফোঁ 
                                               টা 
                                               ফোঁ 
                                                   টা 
                                                    লাভা
রিকটার স্কেল : থার্মোমিটার সঙ্গম
দী র্ ঘ    থে   কে     দী    র্     ঘ     ত    র  
বিন্যাস-সমবায়ে  অক্ষর-----> কবিতা




ডেলিবারেট(!/?)



খুঁজেছো কি দেবার সময়
তলপেটে হাত দিয়ে 
গোলাপের গরম যোনি
অঞ্জলির বেলপাতা তুলে
দেখেছো কি গাঁদাটার মাস চলছে কি না
'না' হলে
গর্ভকুসুমের চেরাপথে অ্যাসিড কেন?

কাজরী বসু এর দুটি কবিতা



বদল


যখন তোমার জাহাজ খেলায় নোঙর ফেলা
আমার তখন দুর্গা শুধু মাটির ঢেলা
কখন যেন বদলে গেল নোঙর ,মাটি
তোমায় দেখে দুর্গতিতে দরজা আঁটি...
পালটে গেল তোমার আমার দুষ্টুমিও
তাই বলে কি পালটে যাবে সেই তুমিও ?
আমার হাতে তাই রেখেছি রঙ আর তুলি
মাটির ছাঁদে মনের ঘরেই কুমোরটুলি।
রঙ লাগানো চলতে থাকে ইচ্ছেমতো
মাটির ঢেলা এদিক ওদিক ইতস্তত....
গড়তে গিয়ে সমস্যাতে , তাও জানো কি !
ধরতে পারা সহজ হবে পালটানো কি?
তোমার এখন সাগর পারে নোঙর বাঁধা
আমার মাটির খাসমহলেই গোলকধাঁধা ।
আকাশ কখন নীলচে থেকে হলদেটে যে
বৃষ্টি ছাড়াও চোখের  পাতা কখন ভেজে
পালটে গেল আকাশ বাতাস আর ভূমিও
তাই বলে কি পালটে যাবে সেই তুমিও ?
আলোক


পলকে আমার চলমান কিছু বেহিসেবি চেনা ছক
মৃত বিস্মৃত ভাঙাচোরা এক  প্রাসাদের চিলছাদে
তোরঙ্গে তুলে রাখেনি কখনো মুঠোতে কপর্দক
তবু ঘুণধরা দেয়ালও হয়নি মুখরিত প্রতিবাদে।
সেখানে আনাচেকানাচে লুকোনো আলো ঠিকরোনো দিন
পারাণির কড়ি ভেবে সুগভীরে রেখেছি যদি তা জোটে
অঞ্জলি পেতে ততটুকু রাখি যতটুকু  সমীচীন
অবেলায় তবু বলেছ , এটুকু রেখেছিলে কেন মোটে !
বলিনি ,বলিনা ,ফাঁকে ফাঁকে আমি  দেখেছি উপ্ত বীজ
না থাকে না থাক খাঁজে খাঁজে আলো,সে আলোক মনসিজ।

সুধা সরকার এর দুটি কবিতা


ভালো থাকা



দূরত্ব হঠাৎ কিলোমিটারে বন্দি
স্বপ্নের শেয়ার বাজারে মন্দা ভীষন..... ।অন্য গ্রহের বাসিন্দা তুই।
জল, বাতাস, মাটি সবটা আলাদা।তোর সকাল আমার সকাল অনেক ভিন্ন.. ভিন্নতা আছে রাতেও--
ব্যাস্ত টেবিলল্যাম্প তার কাজে, টেবিলের টুকরো কাগজ বিছানা ছুয়ে থাকে।
গিটারের তারগুলো ছিড়ে গেছে কবে.....
ভালো আছিস তুই, ভালো আছি আমিও"বৈবাহিক চুক্তি"তে।


এখনও বাকী আছে




বসন্ত চলে এলো তবুও একটা কোকিলও ডাক দিয়ে গেলনা।এ কেমন বসন্ত? মনে পড়ে, গত বসন্ত?? ভূট্টা মাঠের পাশ দিয়ে রাস্তা, আমার কাজে যাবার।তুমি তখন ব্যাস্ত ভীড় ঠাসা রাস্তায়।কাজের ফাঁকে ফাঁকে দু-একটা বার্তা..
আমার টিফিন বক্সের ঢাকনার পাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়া আলুর ঝোল.... তোমার বক্সে তখন মুড়ি চানাচুর।আজ তোমার টিফিনে রুটি, ডাল আর দুফালি পেঁয়াজ।আমার জানলায় বসে অবসরের জীবন।ব্যাস্ততা গিলেছে সময়।
অভিমান, অভিযোগ, অনুরাগ আর ভালোবাসার 'অণু-পরমাণু'সবটাই ঝাপসা, ওভেনে চাপানো মসুর ডালের ফ্যানায়।তবুও পথ চেয়ে আছি, কারণ বসন্ত এখনও বাকী আছে।

পিন্টু মাহাতো এর দুটি কবিতা


  •    





    ~***তোমায় বলছি টুম্পা***~



তুমিতো এতো স্বার্থ লোভী ছিলে না?
তবে কেন আমাকে ভাঁটার টানে ছুঁড়ে দিয়ে গেলে??
দৈহিক, মানসিক, বাহ্যিক নাকি অভ্যন্তরীণ???
কোন কামনার প্রত্যাশায় তুমি ঢলে পড়লে ওপরের কোলে????
এক বার আমার চাইতে পারতে??
আমি কি দিতে পারতাম না তোমায়?
সেই প্রত্যাশা পূরণের প্রতিশ্রুতি??
যেমন দিয়েছি আমার এই দেহ, এই মন
আমার চোখ, আমার মুখ, আমার হাত, আমার পা......
হ্যাঁ - হ্যাঁ আমি তোমায় বলছি টুম্পা.....
আমি তোমায় বলছি টুম্পা..... ।।


       ~***টুম্পা***~


টুম্পা, তুমি অন্য মেয়েদের মত নও
যতটা ভুল ছিলো আমার মনের ভাবনাগুলো।
যে ভাবনাগুলো তৈরি হয়েছিল রাতের আকাশে
সস্তার নাইট প্যাকের ফোনালাপে।
তাইতো আমার নোংরা মনটা তোমার
প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি সেই দিন....
--কি নাম দেবে আমাদের সম্পর্কের???
বন্ধু, খুব ভালো বন্ধু, নাকি প্রেম???
আজও শেষ ফোনের কথাগুলো হাতড়ে বেড়ায়....
তোমার কান্না ভাঙা গলার স্বরে কতটা
উন্মাদনা ছিল সেদিন আজকে টের পাই.,.. ।।