নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কবি অতনু নন্দী এর দুটি কবিতা

    

~****নতুন সূর্যের অপেক্ষায় ***~~


            
   
নিজেকে পৃথিবীর  উচ্চতম বৃক্ষ
ভাবিনি কোন দিন।
শুধু ,ছুটে গেছি এক দিগন্ত হতে অন্য দিগন্তে মৌলিক বীজ বপন করতে l
রাজনীতির প্যারামিটার জীবন মন্ত্র নয় l
তাই পতাকার তলে দাঁড়াইনি কোন দিন !
রং এর পাশা খেলা থেকেই শুরু হয় ভাঙনের খেলা।
তবে কি আমি নিরবতায় বিশ্বাসী !
না l রক্তে এসেছে স্বাধীনতা l
পুরুলিয়ার রক্ত বীজ বা দিল্লির নির্ভয়া l পুড়িয়ে মারে l
তাই বিরহ লিখে যাই প্রতিদিন ।
দাউ দাউ আগুন জ্বলে ওঠে অক্ষরে অক্ষরে l
সব পথের শেষ তো সেই মহা পবিত্র শ্মশান ! পরম পূর্ণ অগ্নি l ভয় খাই না l তাঁবেদারিও করি না l
নিজেই না হয় হবো নিজের শ্মশান বন্ধু !
তবুও অনুকম্পার জঠর হতে উড়িয়ে দেব লাল গোলাপের পাপড়ি ।
আশায় বুক বাঁধি...
ভারতবর্ষের আকাশও একদিন  গর্ভবতী হয়ে উঠবে l
সেই মুক্তির জল ধারায় ভিজে শান্ত হবে এই কলম !
সেই সূর্যের অপেক্ষায়
আমি..তুমি..আমার আপামর পাঠক l



          ~***অনিন্দিতা তোকে ***~~

              
আজও অনুভব করি তোর মেঘমল্লার রাগ,
তোর কপাল জুড়ে জয় তিলক এঁকে দিন বিশ্বশিল্পী l
দূরে বহু দুরে.. সুমেরু প্রান্তে
আমি এক বঞ্চিত পতঙ্গ l
রক্ত করবীর তলে তোর প্রশান্ত মায়া,
তার কান্ড জুড়ে খেলে বেড়ায়
তোর অবয়ব l
আমরা কি ফুরিয়ে গেলাম ?
গজলের সুর.. মাঘি পূর্ণিমার রাত,
গান নেই আজ,পরে আছে স্মৃতির কিছু ঝরা পাতা l
ছিঁড়ে গেছে ভায়োলিনের সবকটি তার l 
লাশের পর লাশ যে ভাবে ছিঁড়ে খায় চিল l
বৃষ্টির মতো পালিয়ে বেড়ানো আমি তৃতীয় প্রেমিক l
সে নারী আজ জড়িয়ে নিয়েছে তার
নিবিড়  ছায়াপথ l
অযাচিত দুঃখ নেমে এসেছে ললাট বেয়ে l
এখনো শরীর থেকে মুছে দিতে পারি নি তোকে l
রয়ে গেছি  বঞ্চিত পতঙ্গ হয়ে l

জয়দীপ রায়ের কবিতা







# ট্যাগের মুহূর্ত 
# ট্যাগ মুহূর্ত গুলো কানাঘুষো লারজ পিক্সেল ওয়ান সার্টার
অফবিট পিক্স সিনারিও (আপলোড)এবার ইনফোকাস
# ট্যাগ বৃষ্টিছায়াছবি, জল কাদার ফুটবল
আসবেনা ভালো...বাহানা যত, লেন্সে জমেছে ফাঙ্গাস
#ট্যাগের মুহূর্তগুলো,ভালোবাসা তোর আঙুলে জন্মাল
অপারেশন থিএতার...আরেকটা রঙ্গমঞ্চ
বেবি হয়েছে...!! কি কন্যাসন্তান?
স্যাটেয়ার...মুচকি হেসে...মেমোরি ওভারলোড!!
নো ক্লিক নো ফোকাস ...।।

সুস্মিতা কর্মকার এর তিনটি কবিতা





   ~~****হয়তোবা ***~~



হয়তোবা তোমায় আবার ফিরে পাবো 
কোনো এক বৃষ্টিভেজা গোধূলির পথ ধরে  
নেমে আসা ক্লান্ত বিকেলের  সন্ধ্যায় |
সেই মুহূর্তের সাক্ষীতে থাকবে হয়তোবা 
ডানাঝাপ্টানো  স্বাধীনপ্রিয় একগুচ্ছ পাখিরদল ,
মুক্ত আকাশের ভেসে ওঠা কোটিসহস্র তারাদের ঝলমল |
হয়তোবা
স্নিগ্ধ বাতাসের শীতলতা,
উষ্ণশ্বাসের প্রখরতা , হয়তোবা আরেকটু নিবীড় ,
চোখজোড়া  চাওনির অন্তরালে আরেকটু গভীর ,
হয়তোবা  আরেকটু নিবীড় ,
ঠোঁটের ছোঁয়ায় ক্লান্তি বিলীন |
হয়তোবা ঠিক এভাবেই,
হ্যা  ঠিক এভাবেই হয়তোবা  একঅপূর্ণতাকে ঘিড়েই  
কাছে  ফিরে পাবো তোমায় ঘিড়ে  ধরা ভাবনাদের
  স্বপ্নেরখোলোশ ছাড়িয়ে  বাস্তবতার  মোড়োকে  আঁকা  পূর্ণতার দিনে  |


         ~~***মুহূর্ত***~~


তোর ভালোবাসাকে ছুঁয়ে আজ রাত্রীঅভিযানের 
স্নিগ্ধতায়  এক ঘোরলাগা আভাসের মুহূর্ততে 
তোকে আরো আপন ও গভীর ভাবে কাছে  
টেনে নিতে চাওয়ার ইচ্ছেরা  প্রবল হতে ফিরেছে |
জানিনা এ ঠিক কেমন অনুভূতি যা এই অস্থির মন জুড়ে
 এক  উত্তাল প্লাবনের আশঙ্কায় উদ্বেল হতে  ঘিড়েছে  |
তবুও এই অনুভূতির এক অদ্ভুত প্রশান্তির বিকাশ অনুভূত হচ্ছে এই মনজুড়ে |
যার কোনো স্থিরতা বা  ধীরতার প্রকাশ নেই ,
আছে কেবলই নির্মল প্রেমের এক  দৃঢ় গভীরতা , 
যা একান্তেই আমার নিজস্ব |



      ~~***ভাবনারা***~~


আমার রাত্রীঅবসানের অপেক্ষাতে 
ক্লান্ত চোখ ও খন্ড হৃদয়ের বুকে নেমে আসা 
এক  মেঘভাঙা বৃষ্টির জলোচ্ছাস ,
অশনি বজ্রাঘাতের চমকে
 গর্জে ওঠা পুঞ্জমেঘের মিলনোচ্ছাস ,
বিবর্ণ চোখের নিরালায় এ এক অদ্ভুত পরিহাস,
যার পরিণাম বিপরীতে তবু একমনে 
আঁধার ঘনিয়েতো  অপরেতে আলো |

মণিকান্ত সরের দুটি কবিতা

  




~***  টাপুর-টুপুর সারাদুপুর ***~



                
ঝরবে যখন বৃষ্টি হয়ে
ছাদের ফাঁকে, রেলিং বেয়ে,
লুকিয়ে থাকবো মেঘের বুকে
ভিজতে চাইবো পাখির মতো,
খেলবো তখন তোমার সাথে
                      ভালোবাসার খেলা ।
স্পর্শগুলো মাখবো যখন
সারা শরীর, শ্রান্ত এ মন,
আঁচলে কুড়িয়ে ফুলের সাজে
যতন করে রাখবো তাকে,
কাজল চোখে গাইবো গান
                      আমার সারাবেলা ।
টাপুর টুপুর ঝরবে তুমি
মনগুলো খুবই অভিমানী,
সুযোগ পেলেই একটু পরে
হুমড়ি খেয়ে জাপটে ধরে,
তাই বৃষ্টি হয়েই এসো তুমি
                      আমার দুয়ার খোলা ।
তোমাতে মিশে ভিজতে চাই
থাকবে না কোনো বাহানায়,
আগলে রাখবো চোখের কোণে
হয়তো কখনো বা আনমনে-
তুমি আমি এক হয়ে গিয়ে
                        ভাসাবো মনের ভেলা ।।



       
       ~*** শুনুন ধর্মাবতার ***~
            


ধর্মাবতার.................!! 
আমি কিন্তু নির্দোষ;
কোনো অপরাধ করিনি আমি ।
তবে যে শুনেছিলাম.....
পিছন থেকে ছুরি মারা, কোনো অন্যায় না,
আমিতো পিছন থেকেই মারতে চেয়েছিলাম ছুরিটা,
সময়ের হেরফেরে একটা ছোট্ট "ইউ টার্ণ" --
                           ব্যাস, চলে গেলো পেটে ।
বলুন আমার কী অপরাধ..?
অপরাধী যদি কেউ হয়েই থাকে --
তবে তা সময় এবং তার হেরফের ।
------------ একাকীক্রমে বলে গেলো ছেলেটা ।
বিচারক স্তব্ধ, নির্বাক,
চোখের চশমা কপালে তুলে
                                  ভাবছে এক আকাশ,
নিস্তব্ধতা বিরাজ করেছে, আদালত কক্ষে,
কী হতে চলেছে বিচার, কী'ই বা তার রায়..?
অবশেষে রায় দিলেন মহামান্য আদালত ।
কিছুটা আশ্চর্যজনক ভাবে তাকে মুক্ত করলেন,
সাথে বলে দিলেন --
জেনো, এটা কোনো অপরাধ নয়,
যদি ছুরিটা পেছন থেকে মারা হয়,
তবে আঘাত যদি সামনে লাগে, সময়ের ফেরে,
ফাঁসবে তুমি আইনের জালে, যাবেই শ্রীঘরে ।
তাই প্রস্তুতি নিও ভালোকরে, ভেবো শতবার,
পিছন থেকেই ছুরি মেরো, সামনের কী দরকার..?

শাল্যদানী এর কবিতা

        




      

    ~~***ধোঁয়াটিন***~~~



এই দেশলাই
খস খস

ফুঃ
তামাটে মেজাজি ফর্মালিটি
নো বস, ইটস আ মেলোডি
আসুন রঙ চিনি।
নীলের সাথে সাদা
ফেনার মত হতে গিয়েও হয়নি
অনলি ফর ধোঁয়া
ভাঙতে গিয়ে চাষ
সর্বনাশ
সে যে জিব্রাইলের ঘোড়া
মিশে যায় ঝাউপাতা
আত্মহনন ব্যারাম
একটা কাগচে কালো দাগ
নাম রাখলুম
                    নি  য়তি
                   কো লাজ
                    টি  নেজার
                     ন  ন্দিনী
এরপর শূন্যতল চাওয়া
ফরমানজারি শব্দঋণ
এ চাওয়া ফুরায় না
গানেরদল ভিড় করে আসে
জেনে শুনে বিষ করেছি পান..।

মোঃ রাকিবুল ইসলাম এর দুটো কবিতা

অবুঝ

পাহারের কান্না কি কেও দেখছ
কাঁদতে না পেরে, বুকছিরে ঝর্না বয়েছে।
আকাশের কান্না কি কেও দেখছ
কাঁদতে না পেরে
সারা অঙ্গে বৃষ্টি ঝড়িয়েছে।
সময় কি কেও বুঝেছ
সময় ধর্য শীল, নরকের কীট তৈরী করেছে।
নদী কি কেও বুঝেছ
ওভি মানে ফেপে ওঠে সে।
কিরোণ কি কেও জেনেছ
সারাদিন জলে মরে সে।
বাতাস কি কেও  ধরেছ
রেগেগেলে সে, মরেছ।
প্রকৃতি কি কেও জেনেছ
অবরোধ করলে সে, ঠকেছে।
পশু পাখি কি কেও বুঝেছ
কিচি মিচি বন্ধে কি কেও থেকেছ।
রাকিব কি কেও বুঝেছ
প্রতিবাদী সে মরেছ।

জন্ম তারিখ

খালু এম পি
মামা কমিশনার
বাবা ডাক্তার
মা মাষ্টার।
আমার চাকরি
না হলে হবে কার?
স্কুলে জন্ম তারিখ দিচ্ছি এবার
সর্ব নিম্নে হায়িট।
জাতে করে চাকরির বয়স
যেন না পেরিয়ে যায়।
ভন্ডামী আর নুংরামীতে হয়েছি বড়
সুপারিশ আর ব্যাংতালিতে
চাকরি অনেক বড়।
এতে করে দেশের ক্ষতি
তাতে আমার কি?
দেশের জন্য মানুষ আছে
ভাবনা আবার কি?
এতে করে সঠিক জন্ম শুমারী
হচ্ছে ব্যাহত।
তাতে আমার কি?
আমি এখন ব্যাস্ত, সময় দিব কি?