নিরুদ্দেশের শেষে
*******************
একটা দেশলাই কাঠি জ্বালালাম
হঠাৎ যেন আঁধার নেমে এলো
চলে গেলাম সিন্ধু সভ্যতার ৩৪ ফুট গভীর স্নানাগারটায়...
আড়াল থেকে দেখলাম নগ্নতার বেশে তোর অর্ধসিক্ত তনুরাশি।
কিন্তু সেই দেহটায় আজকের মতো কালো দাগ খুঁজে পাইনি তো...
বুঝলাম পাঁচ মাথার ভিড়
আর পার্ক স্ট্রিটের ধোঁয়া- তোকে বড্ড বেশি আপন করেছে...
আজও কিন্তু আমি তোর চোখে
একটা নকশী কাঁথা আর একটা সাজুকে খুঁজে বেড়াই...
কিন্তু তোর পছন্দ তো গুচ্চিও গুচ্চির ডিজাইনার
আর ইসাবেলা মার্চেন্ট।
সত্যি ঐন্দ্রিলা, আমার ভালো লাগে না
ভালো লাগে না, যখন সবাই তোর বুকের খয়েরি তিলটা দেখে
নিজের বুকে হাত ঘষে।
তুই তো জানিস, দক্ষিণেশ্বরের ঘন্টা
আর সোনামা'র মুড়ি মাখা আমার কতটা প্রিয়!
তবু বারবার কেন শরীর দোলাতে নিয়ে যাস
ডিজে-লাউঞ্জের ডান্স ফ্লোরে??
কেন রোজই বার্মিস ককটেলের পেগে চুমুক দেওয়াস???
না ঐন্দ্রিলা, আমি পারবো না
স্টারডাস্টর কভার পেজে তোর নাভির পাশে সূর্য দেখতে...
তুই বরং ছুটির দিনে আমায়
মুগের বড়া আর মোচার ঘন্ট খাওয়াস,
পারলে শোনাস দক্ষিণেশ্বরের ঘন্টা।
স্বপ্নে বরং নিয়ে যাস হরপ্পা-মহেঞ্জোদড়োয়...