অসুরোৎসব
***********
বিষাক্ত... ভারী বাতাস।
শরতের আকাশে দেখা নেই পেঁজা তুলোর।
মেডিকেটেড তুলোর ভাঁজে
টিপটিপ করে ঝরে অ্যান্টিসেপ্টিক,
বহু দূরে মরীচিকা হয়ে চোখে নামে বৃষ্টি...
নোংরা, কালচে, দুর্গন্ধ... ফোঁটা ফোঁটা।
রক্তের গন্ধে দরজাতে কড়া নাড়ে তীব্র বিবমিষা
ঢাকে গমগম করে ওঠে অশুভের আবাহনী,
আকাশের রঙে লাগে আরো নীল...
ঠিক যেন রুদ্রের বিষপান।
শহর থেকে দূরে কোথাও তীব্র দীর্ঘশ্বাসে
আরেক আগমনী বেজে ওঠে।
এখানে ত্রিশুলের ডগায় কুঁকড়ে থাকা মাতৃত্বকে
ক্ষতবিক্ষত করে চলে যায় মহিষাসুর...
আহত পশুরাজের গর্জন ঢাকা পড়ে যায়
নতুন জামা জুতোর ভীড়ে।
কাঠামোর পেছনে চলে হিংস্রতার মহোৎসব।
দশমীতে, চোখের জলে বিদায় নেন এক মা
রেখে যান অসংখ্য ছোটো বড়ো দুর্গাকে।
কবিতার নামে প্যারোডি লেখা হয় রোজ,
বিচারের নামে ঘটে চলা প্রহসন
প্রতিমূহুর্তে মিথ্যে করে চলে ঐ চারটে দিন...
আট থেকে আশিতে।
দিবাস্বপ্ন লেগে থাকে চোখের তারায়।
শব্দ ওঠে,
"দোলপূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ মৃদুমন্দ বহিতেছে মলয় বাতাস।"