কবির ভেতর থেকে নৌকা বেরিয়ে ভেসে যায় জলে,নাকি নৌকার ভেতর থেকে কবি বেরিয়ে এসে হেঁটে চলে যায় পাড়ে!
মাঝখানে জিরাফের মতো মুখ বাড়ানো সন্ন্যাসীগাছের ছায়ায় নৌকা দুলছে,কবিও।
পাড়ের দিকে চাও,প্রথমে গুহা,পাথুরে পথ,আর একটু এগোলেই গরুর খুরের ধুলো,আর একটু গেলেই নিকানো উঠোন,তুলসিতলা,হলুদরঙা শাড়ি
জলের দিকে চাও,প্রথমে ঢালু এবড়ো-খেবড়ো আহ্বান,তৃষ্ণা নিবারণের ধ্বনিগুণ, অভিযানের অলৌকিক হাতছানি আর এক দিগন্তরঙিনগভীরতা
নৌকার যাত্রা শুরু জলে আর পাড়ে,পাড়ে আর জলে।অতলে,অশোকে এবং অবিরাম মুক্তির বন্ধনে
এই নোঙরে চুম্বন করে,এই ডুবে যায় সুদীর্ঘ স্রোতের মধ্যিখানে,এই পাথরে খোদাই করে আকাশ,এই আদি তরলে খুঁজে ফেরে মনতরঙ্গের আয়না
ক্লান্তি পাথরের মতো জমাট বাঁধে,ঈর্ষা মরা শামুকখোলের মতো ধারালো,দুঃখ শুকিয়ে যাওয়া জলের দাগের মতো অসহায়
শুধু মহাকালের একটি চোখ সময়ের চশমা পরে দেখে,সুদীর্ঘ রক্ত-মাংসের ছায়ার নিচে
একটি নৌকা একা দুলছে,কবিও।