নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বৃষ্টি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বৃষ্টি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

চাতক পাখি : সুমিত মোদক



হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে এসে
চাতক পাখিও চেয়েছে জল ;
বার বার বলেছে ---
চোখ গেলো , জল ঢালো ....
কে আর জল ঢালবে !
জল ঢালার কেউ যে নেই এখানে  ;
বৃষ্টিও আর হয় না ;
প্রকৃতিও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
এ পরিত্যক্ত গ্রাম থেকে ;
#
এখানে এক সময় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামতো
আষাঢ়-শ্রাবণ-ভদ্রে....
এখানে এক সময় সোনালী ধান ফলতো  ;
সবুজে সবুজের সমারোহ ;
পুকুরে পুকুরে ডুবসাঁতার , চিৎসাঁতার....
#
ওরাও একদিন পুকুর ভরাট করলো ,
খাল ভরাট করলো ,
কেটে ফেললো গাছ ;
বাদ পড়লো না ভূগর্ভস্থ জলও. . .
#
এখানে আর বৃষ্টি হয় না বর্ষা কালে ;
কোনো ঋতুতেই ;
#
একটু একটু করে শুরু হল জলের হাহাকার ;
শুরু হয় আরেক গ্রামের খোঁজ ...
কিন্তু , কোথায় পাবে আরেক গ্রাম !
সব গ্রাম যে মৃত , মৃত এক সভ্যতা  ;
#
অথচ , হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে চাতক পাখি আসে
বৃষ্টির আবাহনে , বর্ষার আবাহনে ;
#
আর আমরা ,
চাতক পাখি হয়ে তাকিয়ে আছি
চাতক পাখির দিকে  ,
আকাশের দিকে
এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় ;
বাঁচার আশায়  ....

আর এক বৃস্টি :- শুভম চক্রবর্ত্তী


আকাশ আনন্দে আত্মহারা হয়ে
রোদনে ব‍্যস্ত।
গাছেরও ব‍্যস্ততার অবকাশ নেই,
তারা প্রেমিক- প্রেমিকার মতো
বৃষ্টি খাচ্ছে।
কবির কলম আর ছোটে না,
তাদের বাড়ির আর মনের
জানালা দরজা বন্ধ।
ভোগী বাঙালির জালাতনের অন্ত নেই।
সুযোগ বুঝে বিদ‍্যুৎ পাখি
ফুরুত করে উড়ে গেছে।
অনেকে আবার কাজ-কর্মে
ক্ষতির হিসাব গুনছে।

আজ আর কাগজের নৌকা
ভাসেনা জলে।
আজ আর কেউ ফুটবল
খেলে না বৃষ্টিতে।
আত্মা আছে, তবে তা আর-
আত্মহারা হয় না।
বৃষ্টি এখন পুলকের নয়,
তা স্বাভাবিক।

আর এক দিকে,
আজও টিনের চালে ঝম ঝম-
করে আওয়াজ ওঠে।
আজও ফুটো চালের নীচে
পাততে হয় গামলা বালতি।
আজও বৃষ্টিতে সংগ্ৰাম চালাতে হয়
বেঁচে থাকার।

তাই ছন্দ তোলা রইল
তোমাদের জন্য।
আমার বিদ্রোহী চোখে- বৃষ্টি
কঠোর বাস্তব হয়ে ফোটে।
আমার বৃষ্টি-এ আর এক বৃষ্টি।

অনেকে বলবে এ কেমন বৃষ্টি,
উত্তরে বলি- "বৃষ্টি একই আছে,
শুধু দৃষ্টি টা পাল্টেছে।"

বর্ষণ-স্পৃহা: তন্মনা চ্যাটার্জি



গলির মোড় পেরিয়ে হঠাৎই দেখা তোমার সাথে,
চিনতে পারছো না বোধহয় আমায়
তা না পারারই কথা ।
বহু বছর আগে এভাবেই হঠাৎই ছেড়ে গিয়েছিলে!
ওমা , তাও বুঝি বুঝতে পারছো না!
মনে পড়ছে না সেই সে দিনের বৃষ্টির রাতে
এই গাছটার তলাতেই তো
ভীষণ জোরে চিৎকার করেছিল
আমি আর আমার অধিকার বোধ!
আর সেই মুহূর্তেই ,ওই ঝড় জলের রাতে
একলা একাকী আমায় পরিত্যাগ করেছিলে তুমি!
কি হোলো অনুভূতি ,ওহ! থুড়ি!
তোমাকে তো মন বলে ডাকতাম।।
চিনতে পেরেছো তাহলে।
কি হোলো কি বলছো
ফিরতে চাইছো?
না গো আমার এই শুন্য হৃদয়ে
তোমার আর কোনো জায়গা নেই!
ভালো থেকো তোমার অসম্ভব
তীব্র চাওয়া পাওয়ার সংসারে ;
অন্য কোথাও ,অন্য কোনো ঘরে!!

অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামলো
চেনা বট গাছটার তলায় ভিজতে থাকলো
বেঁচে থাকার অন্য গল্পেরা!!

*******************


বৃস্টি দিন : রোমা মন্ডল ব্যানার্জি



আহা,এমন বৃষ্টি দিনে কি অভিমান করতে আছে !
এমন বরষায় কি অভিমান সাজে  !

এমন বৃষ্টি দিনে আরও একটু ইচ্ছে জ্বর বাড়ুক তবে,
কালো অভিমান আরও অনেকটা গাঢ় অন্ধকার না হয় হলে হবে..

বৃষ্টিদিনে প্রেম চোখে থাকুকনা কিছু লাজুকিয়া ভয়
প্রিয়জন কড়া চোখেই বুঝিয়ে দিক  ,
"বলি অনেক হয়েছে, আর কিন্তু ভেজা নয়..."

কপালে হাত দিয়ে বুঝে নিক অপলক মন উঁচাটন,
বৃষ্টি ভেজা  মুহুর্তেরাও উবু হয়ে বসে মাখুখ না হয় মুখোমুখি লজ্জার লেনদেনের ক্ষণ...

সাদা বৃষ্টিও তো নরম উত্তাপ চায়,
এমন অন্ধকার ঘন, তরল বরষায়..

বলো,এমন বৃষ্টি দিনে কি অভিমান করতে আছে !
এমন বরষায়  কি  অভিমান সাজে  !


গল্প: বৃস্টি নামার আগে :- পায়েল ব্যানার্জি



আজ সকাল থেকেই মেঘ করে আছে।যে কোনো সময় বৃষ্টি নামবে।সকাল থেকেই ফোনে একের পর এক মেসেজে আসছে।কাল বৃষ্টির জন্মদিন ছিল যারা উইশ করেনি সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা বি-লেটেড হ্যাপি বার্থডে জানাচ্ছে।কেউ কেউ আবার কালকের ফোটো গুলো তে কমেন্ট করছে।কাল বন্ধুদের সাথে রেস্তোরাঁয় খেতে গেছিলো।তাও বন্ধুরাই জোর করে ট্রিট দিতে হবে বলে নিয়ে গেছিলো।
তাতেও মন ভালো নেই বৃষ্টির।সব কিছুই জানো কেমন ফ্যাকাশে লাগছে তার।সেই এক অফিস বাড়ি,বাড়ি অফিস।কফির কাপটা নিয়ে  বারান্দায় গিয়ে বসলো বৃষ্টি।

বৃষ্টি সেন কাজের সূত্রে কলকাতার বাইরে থাকে।মা বাবা থাকে কলকাতায়।কিছু দিন হলো সেও ছুটি নিয়ে কলকাতায় এসেছে।ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরিরত।সেই সূত্রে কলকাতার বাইরেই থাকে সে একা।মাঝে মাঝে বাবা মা যায় ঘুরতে তার কাছে,কখনও আবার সে আসে কলকাতায়।

আকাশের আজ মুখ ভারী ,ঠিক বৃষ্টির মতো।যখন তখন ঝড় উঠবে বৃষ্টি নামবে।বন্ধু,পরিবার সব কিছুর মাঝে থেকেও বৃষ্টির জানো কেমন একলা লাগছে।চেষ্টা করেও আবিরের কথা সে ভুলতে পাচ্ছে না।কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে ফোন গ্যালারি খুলে সব পুরোনো ফটো গুলো দেখছিল সে।ফোটো গুলো খুব উজ্জ্বল লাগছে কিন্ত,বর্তমান টা ফোটো গুলোর মতো উজ্জ্বল নয়,আর ভবিষ্যতের কোনো ঠিকানা নেই।নিজের কলেজ লাইফের ফোটো,আবিরের সাথে তার কাটানো আবেগঘন মুহূর্তের সব ফোটো।তিন বছরে আর একবারও দেখা হয়নি তাদের।

কলেজে পড়তে পড়তেই তার সাথে আলাপ হয় আবির রায়ের।আবির আর বৃষ্টি একই সাথে পড়তো কলেজে।বেশ হ্যান্ডসাম আবির রায় কলেজের প্রতিটা মেয়ের হার্টথ্রব ছিল।আবির ও অনেক মেয়ের সাথেই ঘোরা ফেরা করতো।আবিরের মতে এটাই তো বয়স।আজ এর সাথে ডেটিং তো কাল ওর সাথে ডেটিং।আবির কে বৃষ্টি কলেজের প্রথম দিন থেকেই পছন্দ করলেও তার এই হাজার মেয়েদের সাথে ঘোরা ফেরা কখনোই তার পছন্দ ছিল না।এক কলেজে পড়াকালীন তারা দুজনেই ভালো বন্ধু ছিল।বলা যায় দুজনে বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে গেছিল।পরে বৃষ্টির আবিরের প্রতি ভালোলাগা ভালোবাসায় পরিণত হলেও  আবিরের দিক থেকে কোনোদিনই তেমন কিছুই ছিল না।বৃষ্টির বন্ধুরাও জানতো সে আবিরকে ভালোবাসে,কিন্তু বৃষ্টি তাদেরকেও কিছু বলতে দেয়নি আবিরকে।আবির রায় তখন অন্য মেয়েদের সাথে মত্ত।বৃষ্টিও ভয় আবিরকে কোনোদিন কিছু বলতে পারেনি যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়।এরপর কলেজ শেষে চাকরি পেয়ে দুজন দুদিকে চলে যায়।

তারপর কেটে যায় তিনটে বছর।ফোনে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হলেও দেখা সাক্ষাৎ কিছুই নেই আবির আর বৃষ্টির মধ্যে।দেখা সাক্ষাৎ না হলেও প্রতি বছর জন্মদিনের প্রথম ফোনটা আবিরই করতো বৃষ্টিকে।কিন্তু,এ বছর আর আবিরের ফোন আসেনি একবারও।গত এক বছর ধরেই আবিরের ফোন আসেনি।বৃষ্টি অনেকবার ফোন করলেও কোনো উত্তর পায়নি সে।ফেসবুকে শুধু ফোটোতে লাইক কমেন্টেই সীমাবদ্ধ সম্পর্ক এখন।গত ছয়মাস সেটাও বন্ধ হয়েছে,  আবির আর তেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে এক্টিভ থাকে না।

বেশ কিছুদিন ধরেই মনটা বড্ড খারাপ বৃষ্টির।এবার চাকরি ছেড়ে কলকাতাতেই থাকবে বলে মনস্থির করেছে।বাইরে মা বাবা বন্ধু বান্ধব এই শহর ছেড়ে তার আর বাইরে পরে থাকতে ভালো লাগছে না।কলকাতায় চাকরিও খুঁজছে পেলেই ফিরে আসবে সে।ফোটো গ্যালারি তে কিছু পুরোনো ফোটো এখনো রয়েছে,সেই গুলোই বসে বসে দেখছে সে।হটাৎ ফোনটা বেজে উঠলো বৃষ্টির।

  - "হ্যাঁ বল।
  - বৃষ্টি আজ একবার দেখা করতে পারবি?
  - আজ আবার এই তো কাল দেখা হলো আজ আবার কেন? আজ আর হবে না রে শ্রীপর্ণা।
  - আরে না বললে শুনবো না দেখা করতেই হবে খুব দরকার।
  - কি দরকার।
  - তুই আয় এলেই বলবো।
  - আরে শোন শোন
  - না না কিছু শুনবো না আজ বিকাল পাঁচটা আমাদের পুরোনো ক্যাফেতে মনে ফ্রেন্ডস ক্যাফেতে।বাই।
  - আরে আরে শোন........


কিছু শোনার আগেই ফোনটা কেটে গেলো।বিকালে একটা থমথমে মুখ নিয়ে পৌঁছলো ফ্রেন্ডস ক্যাফেতে।সব পুরোনো বন্ধুরাও সবাই হাজির।

  - "কিরে তোরা সবাই তো দেখছি হাজির।কি ব্যাপার বলতো এই তো কাল আমার ঘাড় ভেঙে খেলি আবার আজ এত জরুরি তলব?কি ব্যাপার বলতো শ্রীপর্ণা?
  - দাঁড়া দাঁড়া একটু পরেই বুঝতে পারবি।

   বলতে বলতেই আবির ঢুকলো ক্যাফেতে।আগের থেকে আরো হান্ডসম লাগছে আবির কে।ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি,পাঞ্জাবি,পাঞ্জাবির নিচে জিন্স।
এক মুহূর্তে আবির কে দেখে কোথায় জানো হারিয়ে গেল বৃষ্টি।আবির কে দেখেই তো শ্রীপর্ণা বলে উঠলো' ইসঃ তোকে যদি কিছু দিন আগে দেখতাম না আবির তাহলে আর অন্য কাউকে বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলতাম না।'হা হা হা তাই নাকি রে শ্রী?সবাই  আড্ডা গল্পোয় মশগুল হয়ে পরে।এতদিন পর সবার সাথে দেখা আবিরের।

আজ খুব ইচ্ছে করছে বৃষ্টির আবিরকে নিজের মনের কথা বলতে। ইচ্ছে আজ শুধু একা আবিরের সাথে সময় কাটাতে।আবিরের হাতটা ধরে বলতে আবির তুই শুধু আমার,ইচ্ছে করছে আবিরের বুকে মাথা রেখে  মনের সব কথা উজাড় করে বলতে।এত দিনের রাগ,দুঃখ,অভিমান সব এক মুহূর্তে তার কাছে উজাড় করে দিতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু,কাকে বলবে সে তার সমস্ত রাগ ,দুঃখ ,অভিমান সমস্তটাই তো শুধু তার একার,ভালোবাসাটা তো বড্ড একতরফা হয়ে গেছে।মনে মনে ভয় বন্ধুত্ব হারানোর ভয় বৃষ্টিকে গ্রাস করছে।যদি ভালোবাসার কথা বললে আবির তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে যদি সে আর বন্ধুত্বটাও না রাখে।না!আর না,তার এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো,আর বেশীক্ষন থাকলে সে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে,আজকের পর আর কোনোদিনও সে আবিরের সামনে আসবে না,একবার খুব ইচ্ছে ছিল তার আবিরকে দেখার দেখা হয়ে গেছে আর সে কোনোদিনও আসবে না আবিরের সামনে কোনো যোগাযোগও রাখবে না।

সবাই ব্যস্ত দেখে,একরকম চুপিসারেই বৃষ্টি চলে যাচ্ছিল সেখান থেকে।না সে আর তার একতরফা ভালোবাসা বাড়াতে চায় না এতে তারই কষ্ট।কারণ আবির কোনো দিনই তাকে ভালোবাসেনি।আবিরের পছন্দ সে কোনোদিনই হয়ে উঠতে পারবে না।তাই চলে যাওয়াই ভালো।

  - "কোথায় যাচ্ছিস বৃষ্টি?
   থমকে দাঁড়ায় বৃষ্টি।
-কিরে কেমন আছিস?
  - ভালো আছি আবির তুই?
  - ভালো।কোথায় যাচ্ছিস তুই?
  - আমার একটু তাড়া আছে আবির আমায় বাড়ি যেতে হবে।
  - আমার সাথে কথা না বলেই চলে যাবি?
  - অন্য কোনো সময় আবার কথা হবে আজ চলি।
  - আরে দাঁড়া দাঁড়া অন্তত আজকে তোদের সবাইকে যে কারণে ডেকেছি,সেটা শুনে তো যা যাবার আগে,তারপর চলে যাস আটকাবো না।আমি কলকাতা ছাড়ছি এবার দেশের বাইরে যেতে হবে বুঝলি কিছু বছরের জন্য তাই ভাবছি তার আগে বিয়েটা করেই যাবো।
  - তাই বাঃ খুব ভালো। কংগ্রাটস
  - হ্যাঁ রে বাড়ি থেকেও বলছে বিয়ের কথা তাই ভাবলাম করতে যেকালে হবে তা করেই নিয়ে বিয়েটা।
  - হ্যাঁ ভালো করছিস আবির।
  - হ্যাঁ ভালোতো অবশ্যই করছি।তোরা সবাই আসবি কিন্তু বিয়েতে।কি রে আসবি তো বৃষ্টি?
  - না রে আবির হয়তো হবে না যা কাজের চাপ........কাঁপা গলায় উত্তর দেয় বৃষ্টি।চলি আবির আবার.....
  - না বললে আমি শুনবো না বৃষ্টি তুই না থাকলে আমার বিয়েই হবে না।
  - আমায় জোর করিসনা আবির। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
  - তুই একবার দেখতেও চাস না আমার হবু বউ কে?
  - না চাই না।বেশ জোরেই  এবার উত্তর দেয় বৃষ্টি।
  - দেখতে তো তোকে হবেই বৃষ্টি না হলে যে আমি বিয়ে করতেই পারবো না.......একরকম জোরে বৃষ্টির হাতটা টেনে ধরে আয়নার সামনে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায় আবির,ওই দেখ মেয়েটাকে।
  আমার সারা জীবনের দুস্টুমি গুলো সহ্য করার দায়িত্ব নিতে পারবি বৃষ্টি?
আমি জানি কলেজ জীবন থেকেই তুই আমায় ভালোবাসিস। কিন্তু,আমি তখন নিজের কেরিয়ার আর অবশ্যই অন্যদের সাথে ব্যস্ত ছিলাম।কিন্তু,বিশ্বাস কর তুই ছিলিস আমার বেস্ট চয়েস।আমাকে তুই ছাড়া আর কে বুঝবে বল।তোর থেকে যত দূরে গেছি তোর প্রতি ভালোবাসা তত বেড়েছে।গত এক বছর তোর সাথে সম্পর্ক রাখিনি ইচ্ছে করে ভেবেছি ভুলে যাবো,নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল না আমার তোকে কোনো ভাবেই ঠকাতে চাইনি,কিন্তু না পারিনি তোকে ভুলে থাকতে।আমি বুঝতে পেরেছি তুই আমার জীবনের মিস পারফেক্ট।আমায় বিয়ে করবি?

আয়নায় নিজেকে দেখে লাজুক চোখে আবিরের দিকে তাকালো বৃষ্টি।আজ হটাৎ তার আবির কে দেখে লজ্জা লাগছে।এর আগে এমন কোনো দিনও হয়নি।
অঝোর ধারায় বৃষ্টির চোখেও জল।লোকজন কিছু না মেনেই সবার সামনে আবিরকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট মেলায় বৃষ্টি।আজ বৃষ্টি কোনো বাঁধা না মেনে আবিরের ওপর ঝরে পড়তে চায়।প্রকৃতিতেও তখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।

                                   

বর্ষা এলো বুঝি :- মুকলেসুর রহমান



ঈশান কোণে মেঘ করেছে
ওই বর্ষা এলো বুঝি,
অনেক দিন পর পেলাম দেখা
তাই বরণ ডালা খুঁজি।

ওরে বৃষ্টি এতদিন তুই কোথায় ছিলি
আমায় একা রেখে,
এই বুঝি তুই উদয় হলি
আমার দারুন কষ্ট দেখে।

আমি মাটি তোরে ডাকি
ভিজা মোর গাঁ,
মানুষ পো হাটবে যখন
তার কাঁদা হবে পাঁ।

বৃস্টি :- দেবস্মিতা খাঁড়া


এক বৃষ্টিমুখর দিন, মেঘের গর্জন,
সারাক্ষণ বৃষ্টি, আকাশ মেঘলা,
তরতর করে রেলিং গড়িয়ে বৃষ্টি পড়ছে,
আজ তবু খোলা আমার ঘরের জানালা।
সেখানে নীরবে বসে আছি একেলা।

পথঘাট কর্দমাক্ত বৃক্ষ ভেঙে পড়ার শব্দে,
তবু আমি বসে আছি, একা নিস্তব্দে।
তখন আমার দৃষ্টি প্রকৃতি পেরিয়ে,
মাঠ-ঘাট, গাছপালা, সবকিছু এড়িয়ে।
তবু আজ মনে পড়ে সেই স্মৃতি,
কোথায়, কবে বিদায় দিয়েছি ইতি।
সেই ভূলুণ্ঠিতা প্রকৃতি বড় অসহায়,
আমারই মতো ঝরঝর দুচোখে অশ্রু ঝরে যায়।

শুনেছো সেই কথা ওগো অন্তর্যামী?
যে প্রকৃতির মাঝে হারিয়েছিলাম আমি

বৃষ্টি সংখ্যা





✍️সম্পাদকীয়.....


"বৃষ্টি...

    মন ভিজিয়ে দাও "

হম্ম ! বৃষ্টি মানেই মন ভিজিয়ে দেওয়া,জানলার বাইরে টুপটাপ ,জলছাপ,আঙ্গুল নেড়ে নেড়ে কিছু স্মৃতি পথ হেটে চলা শুরু।মেঘের ভেলায় প্রিয় গান রেখে ,অনুপম রায় কিংবা সুমনের গান হয়ে যায় প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা ।শহরের ল্যামপোস্টময় উড়ো চিঠির খামে জমা থাকে মনখারাপি।যত রাত বাড়তে থাকে ততই রোমাঞ্চিত হয় ফেলে আসা দিন ,ফেলে আসা চিরকুট ,না বলা সেই কথা যা আজও বলা হয়নি তাকে ,হয়তো বলা হবে না কোনো দিনও, তবুও তো বলে ফেলি ,তবুও তো মনে মনে জলছবি এঁকে চলি ।


ঘাসের উপর বৃষ্টি জমে ভিজিয়ে দেয় মেঠো রাস্তা,ঘাস হয়ে যাওয়া উঠোন।এক চিলতে রোদ্দুরে মন স্নান সেরে বাড়ি ফিরে আসে ।

খুচরো পয়সার খোঁজ পকেট তোলপাড় করে যখন দেখি পাঁচ সিকেতে দিন কেটে গেছে ,বিকেল চুমু খেয়ে বলে ,"রাত জেগে থাক" মন ভিজে যাক শিহরণে ....।



ঠিক তেমনি করেই "ইচ্ছে" গুলো চাঁদ ছুঁয়ে বলে "আমিও" প্রেমিক ।অথচ ভীষণ ভাবে অপ্রেমিক ছেলে বা মেয়েটাকে সম্পর্কের অজুহাতে ভীষণ পর এখন কারো।তাই "ইচ্ছে মত" সেজে নিক মন ,আকাশ।বিদেশি বাতাস তখন কাঁটাতার পেরিয়ে বলে "ভালোবাসি" ।ভীষণ একগুঁয়ে মন ইচ্ছেকে দেয় কারাগারে ,মন্দবাসার গল্পে লেখা হয়ে যায় "তোমার আমার কথা" 



এই গেল মন কেমনের মন কেমন কথা 


কিন্তু চশমা খুলে ফেলেই দেখি বাস্তবতা ,আগুন ,খুন আর মোমবাতি মিছিলে কখন যেন হারিয়ে গেছে সব ।সংবাদ শিরোনামে ধর্ষিত মেয়েটির শেষ অভিশাপ ।
বিষ বাষ্পে মিশে গেছে জল ছবি,কবি।
নেতা ,অভিনেতারাই ব্রেকিং নিউজ ,বর্ডারে মরে যাক সৈনিক ,কিংবা দিনমুজুর আর কৃষকের মুখের ভাত কেড়ে নিয়ে বলে "আমরাই রাজা"।তবে কোন ডেমোক্রেসিতে আছি আমরা ? বেশি কথা বলতে গেলেই মাওবাদী বা দেশদ্রোহী বলে চালান করে দেয় জেলে কিংবা লাশ গুম করে দেয় ছাপ্পা ভোটের রাজনীতি.... আর কতদিন এমন তবে ? এর কতদিন এই আদিখ্যেতা? তাই জ্বলে উঠুক আগুন ,মোমবাতির মিছিলের মুষ্টিবদ্ধ হাত ,প্রশ্ন করুক সবাই "রাজা তোর কাপড় কোথায় ? " 




যাইহোক প্রতিবারের মতো এবারও আমরা প্রচুর লেখা পেয়েছি ,প্রচুর সারা পেয়েছি সবার কাছে ।"বৃষ্টি সংখ্যার" প্রচ্ছেদ নির্ণয়ে আমরা সবার সম্মতিকে বিশেষ ভাবে সম্মান জানাই ।গরিষ্ঠ সম্মতিজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে নির্ধারণ হয়েছে প্রতিটি প্রচ্ছেদ।এভাবেই পাশে থাকুন সবসময় ,থাকুন অভ্যাসে .....



এবার কিছু কথায় আসি 
আজকাল প্রায় দেখি অনেকে ওয়েব ম্যাগ গুলো উপেক্ষা করে যায় ,দেখুন একটি ছাপা ম্যাগজিন তৈরি করতে যেমন খাটতে হয় ঠিক তেমনি এখনও এডিটিং ,ব্লগিং ,লেবেলিং ইত্যাদি করতেও কিন্তু প্রচুর টাইম লাগে ।
আজকাল ছাপা ম্যাগজিন এর  ক্ষেত্রে যা দেখা যায় যে কবি/লেখকরা প্রায় ম্যাগাজিন সংগ্রহ করেই না ,আরে মশাই লেখা টাকা দিয়ে কাগজ ,ছাপা হয় ,আপনারা যদি না কেনেন তবে চলবে কি করে কোনো সম্পাদক তো আর দান ক্ষেত্র খুলে রাখেনি (বিশেষ শ্রেণী বাদে)।

ঠিক তেমনি ব্লগ ম্যাগাজিন এর ক্ষেত্রে অনেকেই নিজের লেখা টা দেখে আর কারো লেখা কেউ পড়েই না ।নিজের লেখাটা তো কমসে কম শেয়ার করা যায় সেটাও করে না ।তবে এত টাইম নষ্ট করে আমাদের লেখা ছাপার সার্থকতা কোথায় ? 

যাই হোক 
পুরো নিকোটিনের কাজ আজ প্রায় একবছর ধরে একা করছি ,ভিখারির মত লেখা চেয়েছি ,গালাগালি খেয়েছি অনেক ,ভেবেছিলাম ছাপা অক্ষরে বার করবো কিন্তু ওয়েব ম্যাগ এই যখন কারো আকর্ষণ নেই ছাপা অক্ষরে করে কি লাভ বলুন ? 


রোজ মরতে থাকা আমার মত কিছু বদ্ধ পাগল ,তাদের জন্য অনেক বার বন্ধ হয়ে গিয়েও রোজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই "নিকোটিন" 
          এমনি ভাবেই চলবে হয়তো সেটা আপনারা বলবেন ,আপনারা যদি চান বন্ধ হয়ে যাবে ,যাবে ,আর যদি চান চলবে তবে চলবে ....আপনার কথা গুলো বলতে গিয়ে আমি নিজেই কোথায় যেন হারিয়ে গেছি ,নিজেকে আর খুঁজে পাই না সেভাবে ....

তবুও তো বেঁচে আছি ,আর নিকোটিনও বেঁচে আছে থাকবে  .....

ভালো থাকবেন সবাই ,ভালো রাখবেন প্রিয় মানুষটিকেও...



                                ধন্যবাদন্তে ,
                       জ্যোতির্ময় রায় 

   কার্যকরী সম্পাদক ও মুখ্য ইডিটর (না বলা কিছু কথা)


সকলকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা 
নিকোটিন ও না বলা কিছু কথার পক্ষ থেকে 




সূচিপত্র:


বিভাগ: কলমের জোর
              *************
★বিশেষ প্রবন্ধ : পবিত্র চক্রবর্তী ,সোমা বিশ্বাস,
স্বরূপা রায়,রিয়া ভট্টাচার্য,রণধীর রায়,লগ্নজিতা রায়

★কবিতা : রাহুল গাঙ্গুলী ,জারা সোমা,প্রতিভা দে,সন্দীপ দাস,শিল্পী দত্ত,বিকাশ দাস,কাজী জুবেরী মোস্তাক,প্রনবেশ চক্রবর্তী,রাজীব লোচন বালা,সুজান মিঠি,অভিষেক মিত্র,অজাত শত্রু,শুভ্রা দত্ত,সুদীপ্ত বিশ্বাস,শুভেন্দু দাস,


বিভাগ : ইচ্ছেমত 
***************


★কবিতা :চন্দ্রানী পাল,মৌসুমী রায়,শোভন মণ্ডল,শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়,চৌধুরী নাজির হোসেন,শুভজিৎ কোলে,শ্যামাপদ মালাকার,সুদীপ ঘোষাল,অসীম মালিক,জারা সোমা,তুলি রায়,শিশিরবিন্দু দত্ত,সম্পা পাল,বিশ্বজিৎ প্রামাণিক,চিরঞ্জিত সাহা,নীতা কবি মুখার্জী,জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি,মোস্তফা তোফায়েল,তনুজা চক্রবর্তী,মালবিকা ব্যানার্জী,রাজীব লোচন বালা,
তৌশিক ঢালী,অভিজিৎ দাসকর্মকার,সন্দীপ ভট্টাচার্য,বিকাশ দাস,হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়,তপন জানা,মহ. ওলিউল ইসলাম,সিদ্ধার্থ সিনহামহাপাত্র,সুশান্ত সৎপতি,শুভদীপ পাপলু,কাজী জুবেরী মোস্তাক,শিল্পী দত্ত,প্রবীর রায়




সাধারণ বিভাগ 
*************
★অনুগল্প:পায়েল খাঁড়া

★কবিতা : বৈশাখী চ্যাটার্জি,জয়শ্রী রায় মৈত্র,সৌরভ বর্ধন,অনোজ ব্যানার্জী,মোনালিসা পাহাড়ী,পিয়ালী সাহা,মনোজ কুমার ঠাকুর,সুকান্ত মণ্ডল,সায়ন্তনী হোড়,শুক্লা মালাকার,তপময় চক্রবর্তী,সুনন্দ মন্ডল,বিশ্বজিৎ ভৌমিক,শিল্পী গঙ্গোপাধ্যায়,পিন্টু মাহাতো,পূজা গোস্বামী,তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়,মোঃ শামসুজ্জোহা (মুকুল),প্রতিভা দে,ইমরান হাসান,তাপসী লাহা,
অন্তিমা প্রামাণিক




























































































চন্দ্রানী পাল




কিছু কিছু.....
*********


  
       কিছু কিছু মন আছে
        খুঁজে নিতে হয়..
       কিছু কিছু কথা আছে
        বুঝে নিতে হয়..।

কিছু কিছু রঙ আছে
বে-রং জীবনে
কিছু কিছু কথা ঠিকই
দাগ কাটে মনে।

       কিছু কিছু চাওয়া আছে
        না পাওয়া ই ভালো
        কিছু কিছু পাওয়া আছে
         ঘর করে আলো।

কিছু কিছু পর ঠিক
হয়ে যায় আপন
কিছু কিছু আপন
শুধু দিন যাপন।

       কিছু কিছু ভালোবাসা
        মনে খুশি আঁকে
       কিছু কিছু ভালোলাগা
       ক্ষত গুলো ঢাকে।

কিছু কিছু সুখ থাকে
হৃদয়ের বন্দরে
কিছু কিছু দুখ থাকে
এ মনের অন্দরে।

     কিছু কিছু ভালোবাসা
     পাই নাকো ঘর
     কিছু কিছু চেনা মুখ
     হয়ে যায় পর।

কিছু কিছু শোক আছে
মনে দেয় দোলা
কিছু কিছু আনন্দ
আত্মপর ভোলা।

     কিছু  কিছু গান আছে 
     গাওয়া হলো না,
      কিছু কিছু মান আজও
     পাওয়া হলো না।

কিছু কিছু মুখ আছে
মুখোশের আড়ালে
কিছু কিছু বন্ধু পাই
দু-হাত বাড়ালেই।।

পবিত্র চক্রবর্তী


ভারতীয় ভাস্কর্যে সমকামীতা
*********************
পড়তে ক্লিক করুন নিচের  লিঙ্কে 





https://drive.google.com/file/d/1oGuA9wl2lyLa4R6K5CC90R1HEkb2hxHz/view?usp=drivesdk

রাহুল গাঙ্গুলী







সেক্স।গিনিপিগ।অযৌন কেচ্ছা
****************************



[১]

হা।হিশি ~ রোজ পায় : সুড়ঙ্গ
গতিবেগ প্রাপ্ত মলিকুল গঠন < পৃথিবী & তাপ >


[২]

ভীষ্মপথ ~ হুহু-হুহু : হুনর্ তোমারিই
কাঁচি চালালে : হুব্বা রেললাইন < জুয়ারি প্রসব >


[৩]

খিশকো ~ খুকখুক খাসী {খাসীয় মেয়নিজ}
রেডিয়েশন লেভেল হাই @ রেডিও পিকিং।ঘুমন্ত


[৪]

শুয়োরের বাচ-চা ~ চাঁদা / চাঁদ : ভার্চুয়াল
রাহুল → ভিতরে বদবুদ।অন্তরে পর্ণপর্ণ-পর্ণমোচী


[৫]

সটকে রওয়েনা।নেহি তো সদকে রেহনা
গোলিমার পুংবুকে TNT-303।এরা ইরাকে ফুটেছিল


[৬]

১৯৭১।রাশিয়া ~ কেড়ে নেয় জাঙিয়া
ইন্দিরা গান্ধী ও দেওয়াল : ফুলটু মাসিক
স্বপন্ দেখি ~ খোদাই : মোদী / মমতা < পর্ণস্টার >


[৭]

পুষ্টকরণ ~ মরুভূমি < ফাকস্ > সাইরেন
ব্রাহ্মন্য ইমান-ধরম্ : রোটারী পুশি ~ চাও-তো
ডলার বেচে গুরুগারু।মেশিনকোড স্নাইপার্ দুদু


[৮]

এতক্ষন।ভদ্রতা চুদিয়ে চোদালাম ~ নামহীন
ব-দ্বীপ : নীরব ব্যর্থতায় [মা] মা-টি [মা+নুষ]
খাদ্য vs খাদক : বাস্কেট হলো।একই নিয়ম।ধৌত্



জারা সোমা





ছত্রছায়া.
******



কথা যত কম বলা যায়
তত ভালো থাকে সম্পর্করা
ঘরের কোণের টবে বরং যত্নে রাখি
সকল অ-কথা কুকথাদের
ওদের স্পর্শ করি মধ্যরাতে
স্বমেহনেই প্রীত হই
কবি , যোগী , উড়ুক্কু প্রেমের মতো
নীরবতাকে নতজানু করি শিকলে

কথাগুলো বাঁধি নিয়ম মেনে 
যতই খরস্রোত ভাসিয়ে দিক ঘর
শব্দের প্রলেপে ফুটিয়ে তুলি কবিতাঅবয়ব
দেনা পাওনা কড়ায় গন্ডায় বুঝে
তুলে দিই ম্যাগাজিনে
চিকচিকে চোখের পৈশাচিক উল্লাসে

কখনও আবার আরেকটু সাহসী হই
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ সঙ্গী করে
খুলে ফেলি রগরগে রম্যরচনার পাঠশালা
উৎসমূলে ঢালতে শেখাই রক্তবীজ
প্রতিশোধের অঙ্গীকারে টিকে যাই
ভালোবাসাহীন পৃথিবীর কৌটিল্য ছত্রছায়ায় ।।

প্রতিভা দে




কলম সৈনিক
******* ****


কলম সৈনিক বটে 
ঢাল তলোয়ার ছাড়া
তবুও কলম করতে পারে
হাজার লোকের জ্ঞান হারা।
মস্তিষ্কে চালায় আঘাত
অনেকের ই ঘটায় ঘুমের ব্যাঘাত।
নিঃশব্দ গুলি চালায় অন্তরে
অনেকটাই গোল পাকিয়ে দেয় মন্তরে।
যা গেল তা অভ্যন্তরে 
কাজটা বড়ই গোপন স্তরের।
জেগে উঠে মানুষ স্থির জেনে
অন্তরে তা নেয় মেনে।
সেই অস্রের এমন আঘাত
রক্ত ঝরেনা
শক্ত হয় আরো অন্তরে
বরং মরতে পারে অন্যের কাছে
সত্যকে নিয়ে ঢাল
জ্বালিয়ে নিয়ে বুকে মশাল।
মৃত্যু বরন করে ।

সোমা বিশ্বাস




ধর্ষক হত্যা
********


নারী ধর্ষণ করে তৃপ্তি পাও ।
মনে মনে হেসে নিজেকে পুরুষ বলে বাহবা দাও ।
মনে করো, এইরকম ঘটনা বাস্তবে ঘটতে শুরু হলো,
তাহলে কেমন হতো ?
একদল নারী বিপ্লবীর উদয় হলো
যাদের কাজ ধর্ষকদের হত্যা করা ।
স্লিপার সেলের মতই তারা লুকিয়ে থাকে
আর একটা ডেটালিস্ট তৈরী করে পুরুষ ধর্ষকদের,
তারপর প্রেমের অভিনয় করে সহবাসের টোপ ফেলে 
কেউ একজন ভুলিয়ে গোপন ডেরায় আনে,
সকল বিপ্লবী মেয়েরা তারপর হত্যা করে ।
আর তারপর ??? তারপর ???
তারপর প্রবল অট্টহাস্যে ধর্ষকের লিঙ্গ কেটে ফেলে 
একটা কাঁচের শিশিতে সংরক্ষণ করে.....
মৃত ধর্ষকের ছবি, নাম, পূর্বজীবনের ধর্ষণকাণ্ডের বিবরণ 
       লেখা থাকে তাতে ।
আর.... আর লিখে রাখে.......
           কত নম্বর ধর্ষণকারীর লিঙ্গ কাটা হলো

সন্দীপ দাস




আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী 
**************************





আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী ।
যোনি বেচেছি পেটের টানে 
মুজরা করেছি উলঙ্গি বদনে 
এক নির্লজ্জ উলঙ্গ সমাজের সামনে ।।

আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী 
রাতের পর রাত বহু অসহায় হাত 
আমার দেহের কোমলতার সওদা করেছে ,
পেটের টানে তাও সয়েছি ।
ওরা বলতো আমি খুব রূপবতী ,
সতী হয়ে শিবের মত বর জুটলো ।
বিশ্বাস করুন , ঠিক শিবের মত 
মা , বাবা তাই তো বলতো ।।
বিদেশে থাকে , ভালো কামায় 
যেটা বলে নি সেটা হল 
কচি মাগী বেচে , মরদটা নিজের 
ব্যবসা চালায় ।।

আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী ,
আমার এখন নতুন নাম রৌশনি বাই 
সারাদিন ওরা আমার ন্যাংটো শরীরটা 
কামড়ে কামড়ে খায় ,
আর সেই সেবা দিয়ে যেটুকু দিনে পাই 
তাই দিয়ে দিব্বি সংসার চালাই ।।

আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী ,
রাতের আঁধারে কত এলো আর গেলো 
কত শিব গাঁজার কোলকে মুখে পুরে 
এই সতী লক্ষ্মীর সম্মান কিনে নিয়ে গেলো ।
লক্ষ্মী !! হাহাহা !! লক্ষ্মী !!
সত্যি আমি লক্ষ্মী , 
মরদের বেডরুম থেকে এই ঢালের উঠোনে 
আমি লক্ষ্মী , সতী-লক্ষ্মী ।।

আফসোস হয় না , বাবু 
একটুও হয় না ।।
সেকালের শিব আজকের জীবের সেবায় 
তুষ্ট হয়েছে ,
তাই তো এতো ডিমান্ড শরীরটার ,
ব্যবসা বেশ ফুলে ফেঁপে বসেছে ।।

যৌনতার ব্যবসায়ী ,
আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী ।।

শিল্পী দত্ত





বারবনিতা
 ********



আমি প্রতিরাতে মনের পসরা সাজিয়ে,
তোমার অপেক্ষায় জ্বেলেছি জোনাকির ঝাড়বাতি।
বারবার তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে আমার ঠোঁট,
মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে প্রতিরাতে করা তোমার শপথের কথা‌।
তুমি আমার সন্তানের পিতা হয়েছ,
তবু আজও মোছেনি আমার কপালের 'বারবনিতার' আখ্যা। 
তোমার হাত বহুবার আমার শরীর ছুঁয়েছে,
কিন্তু আমার মনের অভিমান আজও রয়ে গিয়েছে                     তার নাগালের বাইরে।                                                                  কি প্রচন্ড অধিকারে প্রতিরাতে ছিঁঁড়ে টুকরো টুকরো করেছো আমার নারী সত্তাকে।                                               নিজের চোখের সামনে দেখেছি আমার কত স্বপ্নের মৃত্যু।             তবু আজও আমি  প্রতিরাতে তোমার অপেক্ষায়                     আমার মনের পসরা সাজাই‌,                                                       শুধু আজ ঝোনাকির ঝাড়বাতির বদলে  জ্বলতে থাকে           আমার স্বপ্নের চিতা।

স্বরূপা রায়




অগ্রাধিকার নয়, সমাধিকার চাই
*****************************



নাবালক ছেলেকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত দুই মহিলা...
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার প্রেমিকা...
বাসের মধ্যে শ্লীলতাহানি, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন যুবক...
বন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা, গ্রেপ্তার মহিলা...
স্বামীকে পুড়িয়ে মারলেন স্ত্রী, পলাতক স্ত্রী...
নিজের পেটের শিশু কন্যাকে গলা চেপে খুন করলেন মা, সিসিটিভি ফুটেজে সেই ভয়াবহ দৃশ্য...
আপনারা আমার লেখা পড়ছেন, আর ভাবছেন যে লেখিকা পাগল।
না, না আমি একদম সুস্থ, পাগল না। উপরে আমার লেখা খবরগুলো বাস্তব। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসে না।
তার কারণ কি?
কারণ, পুরুষরা এখনো নির্যাতিত হলেও সেটা নিয়ে অভিযোগ করতে ভয় পায়। যারা অভিযোগ করে সাহস করে, তাদের উপর সমাজ হাসে। কম মশলাদার আর মানুষের তেমন কৌতুহল এই বিষয়ে না থাকায় কোনো খবরের কাগজে বা খবরের চ্যানেলে এসব খবর তেমন দেখানো হয় না। আর মূল কারণটা হলো, আমাদের সমাজ নারীর দোষ দেখে না, নারী সবসময় মা-বোনের অজুহাতে পাড় পেয়ে যায়। আর নারীর হাতে তো মোক্ষম অস্ত্র আছেই, মিথ্যা নারীকেন্দ্রিক মামলা।
পণের জন্য যেমন বধূ হত্যা হয়, তেমনি পরকীয়া বা আর্থিক মর্যাদা স্বামী বজায় রাখতে না পারলে স্বামী হত্যাও হয়।
নারীর যেমন ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি হয়, তেমন পুরুষেরও ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি হয়।
অনেক বাবা যেমন সন্তানকে মেরে ফেলে অবাঞ্ছিত কারণে, অনেক মাও সন্তানের ঘাতক হয়ে ওঠে।
স্কুল-কলেজে ছাত্রীরা বা অফিসে মহিলা কর্মচারীরা যেমন সুরক্ষিত না, তেমনি ছাত্ররা বা পুরুষ কর্মচারীরাও সুরক্ষিত না।
আমার বা আপনার মা, বোন, দিদি, মেয়ে, বউদি, কাকীমা, বান্ধবী, প্রেমিকা বা স্ত্রী যেমন সুরক্ষিত না আমাদের সমাজে। ঠিক তেমনি আমাদের বাবা, দাদা, ভাই, ছেলে, জামাইবাবু, কাকু, বন্ধু, প্রেমিক বা স্বামীও সুরক্ষিত না আমাদের সমাজে।
ভারতীয় মহিলা কমিশনের ২০১৩-১৪ রিপোর্ট অনু্যায়ী ৫৩.২% ধর্ষণের মামলা মিথ্যা। ধর্ষণ হলে তো আমরা খবর পাই। কিন্তু সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হলে, আমাদের কান অবধি সেটা পৌঁছায় না।
কত স্ত্রী নিজের আর্থিক মর্যাদা বজায় রাখার জন্য স্বামীর উপর অত্যাচার করে। এটা পণের জন্য অত্যাচারের চেয়ে কম কি?
কত নাবালক ছেলেগুলো বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন নারীর তীব্র পাষবিক যৌন লালসার শিকার হয়। আমরা কয়টা জানতে পারি?
আসলে আমরা ছোট থেকেই শুনে এসেছি নারীর উপর অত্যাচার, নারী পণ প্রথার বলি, এই সমাজ নারীকেন্দ্রিক। আর সেই নিয়েই নারীর অধিকারের লড়াই।
কিন্তু নারীর অধিকার লড়াইয়ে যে আমরা আমাদের সমাজের পুরুষদের নরকে ঠেলে দিচ্ছি সেটা কেউ লক্ষ্য করলো না।
যেক্ষেত্রে নারী পিছিয়ে, সেই ক্ষেত্রে নারী অধিকার পাক। কিন্তু সমাধিকার, অগ্রাধিকার নয়।
আর যেক্ষেত্রে নারীরা আজ অগ্রাধিকার পাচ্ছে এবং তাতে পুরুষদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। সেই ক্ষেত্রে নারীকেই দাঁড়াতে হবে নিপীড়িত পুরুষদের পাশে।
একদিন বহু বিবাহ প্রথা বন্ধে, বাল্যবিবাহ বন্ধে বা সতীদাহ প্রথা বন্ধে যেমন আমাদের সমাজের পুরুষরা এগিয়ে এসেছিলেন। আজ তেমনি পুরুষ নির্যাতন বন্ধ করতে আমাদের নারীদেরই এগিয়ে পুরুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
নারী বা পুরুষ কারোরই অগ্রাধিকার চাইনা আমরা। আমরা চাই নারী-পুরুষের সমান অধিকার। মানবতার স্বার্থে সমাজ এবং আইন ব্যবস্থা এগিয়ে আসুক।


বিকাশ দাস







ইদানীং



ঘরে খিল দিয়ে
কার দিকে চেয়ে
নিজের মতো করে ছড়িয়ে আছো
নিশ্বাসের ভেতর
ভালোবাসা যতো ভরিয়ে আছো ।

তুমি চলে যাচ্ছিলে
আমায় আলগোছে
বেশ কয়েকটা আলতো চুমু দিয়ে অভিমানে
তোমার এলোচুল শাশ্বত আনন্দ হয় যেখানে 

আকাশের নীচে খোলা হাওয়া
অসহায় শরীরের বাগান প্রাণবন্ত
চুমুর দহন 
ঠোঁটের আতপতাত সর্বোত্তম
রমণ মরণ 
গুচ্ছগুচ্ছ ঘাসের ডগায় শিশির
রমনপ্রপাত হৃদয়লীন  
রোদের ঝলসানি
চন্দ্রমার মতো যৌবন শরীরে রমণী ।

অনেক দিনপর বৃষ্টি দেখলাম
তোমার জানলায় একলা শীত
হাত বাড়িয়ে ডাকছিলো তোমাকে
তখন
তুমি অন্য বৃষ্টির মেঝেতে শুয়ে
ঠোঁটের সব  পুরোনো রঙ ধুয়ে
আঁকছিলে তোমার  নিজের রঙের বিহ্বলতায় 
নিঃসঙ্কোচে
গৃহিণীর শরীর বদলে অন্যের বিষয়ী সুখীর ঈর্ষায়
তোমার ব্যক্তিগত সুখ 

আমার রাত্রি ব্যতিক্রম হাওয়ায়
আমার একলার সংবৃত বিছানায়  
আজও বেশ লাগে তোমার বিয়ের বেনারসি শাড়ি
সেই রঙ সেই গন্ধ সেই ঢঙ  সুতোর বুনোনভারি
যেন বাইশের যুবতী বয়স । ধারাল ছুরি উচ্ছ্বসিত ।
তোমার শরীরের সব খাঁজ শাড়ির প্রত্যেক ভাঁজে
দিনলিপির রোজনামচা প্রনয়সারা বিলোল লাজে 

ইদানীং
পৃথিবীর দুয়ার দিয়ে  
আকাশের দুয়ার  দিয়ে
তুলে রেখেছি
তোমার বেনারসি শাড়ি ফুলের ফাঁস সম্পর্কের আঁচ উৎসঙ্গের সারে 
খুব যত্নে দু ‘চারটে  ন্যাপথলিনের গুলি ছড়িয়ে আলমারির অন্ধকারে 
সুস্থ আমি তোমার দীর্ঘ সহবাসের ছায়ায় সৌকর্য ঢেলে আমার শরীরে 


রিয়া ভট্টাচার্য



এবং সামাজিকতা
 ****************



মেয়েটা কৃষ্ণকলি, বিবাহের বাজারে প্রতিবার প্রত্যাখাত। টেকো,বেশি বয়সী পাত্রপক্ষ অনায়াসে মূল্যের দাঁড়িপাল্লায় বিচার করে তার কার্যকারিতা,  পাত্র থেকে পাত্রের দাদা-ভাই-কাকা-জ্যেঠা প্রতিটা রোমকূপ পরখ করে লালসার দৃষ্টিতে। বাবা-মা কোনোক্রমে মেয়ে বিদায় করে সামাজিক মর্যাদা বাঁচাবার চেষ্টায় রত, হোকই না মেয়েটি পড়াশুনায় ভালো অথবা গানের সুরে রাতপরীদের নামাতে পারে জোছনাঘেরা প্রান্তরে। বিবাহের বাজারে সে তাও অচল আধুলিই, আজও রং-রূপ দিয়ে মানুষের গুণ বিচার হয় কিনা!! এই মেয়েই যখন পণের বাজারে বলিপ্রদত্ত হয়ে চারকাঁধে চেপে নাচতে নাচতে শ্মশানঘাটে যাবে, এই বাবা-মাই কাঁদতে কাঁদতে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বলবেন--" সব পাত্রপক্ষের দোষ"। হায় রে সামাজিকতা!!

ছেলেটা বেকার, ভালোবাসে উচ্চপদস্থ চাকুরীরতাকে। দুজনে বড্ড সুখী, শেষ বিকেলের মরা রোদ গায়ে মেখে গঙ্গাপাড়ে বসে ভাগ করে খায় ঝালঝাল বাদাম। গোধূলির রক্তিম সূর্যকে সাক্ষী রেখে স্বপ্ন সাজায় চারদেওয়ালের একটা ছোট্ট ঘরের, যেখানে অন্ধকারের মাঝে আলোকদীপ হয়ে উড়ে বেড়াবে জোনাকিরা। ছোট সংসার, যেখানে দিনের শেষে কাজ সেরে ফেরা পরিশ্রান্ত মেয়েটার কপালে হাত বুলিয়ে ক্লান্তি মুছিয়ে দেবে ছেলেটা, মুখের কাছে এগিয়ে দেবে পিপাসার জল, তারপর ঠোঁট ফুলিয়ে দাবী করবে দেরী করে আসার কৈফিয়ত। যাকে মানাতে মেয়েটাকে মেহনত করতে হবে অনেকটা, বুটিকে অর্ডার দেওয়া দামী গোলাপ নয়, এক আঁচল শিউলি ভরে দিতে হবে তার আঁজলায়; তবেই মানবে সে।
কি হল? ভাবছেন নিশ্চয় এমন ছেলের সঙ্গে কিকরে মেয়েটির বিয়ে দেবেন? ছেলেটি বেকার, সমাজ কি বলবে? স্ট্যাটাস বলে একটা বস্তু আছে তো? পাড়াময় ফলাও করে প্রচার করতে হবে না জামাইয়ের আর্থিক স্বচ্ছলতার গল্প.... মেয়ে যতই অযোগ্য হোক না কেন! 

মেয়েটি ছেলেটির থেকে প্রায় ছয় সাত বছরের বড়, ছোট্ট শিশুর মত আদরে স্নেহে আগলে রাখে তাকে। শাসন করে মায়ের মত, হারাতে ভয় পায় বড্ড। ছোট্ট প্রেমিকের এককথায় তার মেঝেতে সাজিয়ে দিতে পারে আকাশের চাঁদ, বুনোফুলের গন্ধে ম ম করে তাদের টালির চালার ছোট্ট কুটির। 
কি হল? গা গুলিয়ে আসছে ঘেন্নায়? মনে হচ্ছে ছিঃ ছিঃ এ কেমন অবিচার!! মেয়ে ছেলের থেকে বড়? এভাবে তো ধ্বংস হয়ে যাবে সমাজব্যবস্থাটাই!! এতএব কান ভরো, ছিঃ ছিঃ রবে ভারী করে তোলো বাতাস, দোহাই দাও পারিবারিক মর্যাদার ; ওই যে কথাটা আছে না!! জন্ম দিয়েছি, তাই ইমোশনাল ব্লাকমেল করে নিজের সব দাবী(যদি তা অন্যায় ও হয়) মানতে বাধ্য করাটা আমাদের অধিকার।
আজ দুজনের কোনো সম্পর্ক নেই, দাঁতে দাঁত চিপে দুজনে দুজনের কাছে করে চলে অপরিচিত হওয়ার অভিনয়, সামাজিকতা যে বড় বালাই।

ছেলেটা ভালোবাসে তার চেয়ে বয়সে অনেকটাই ছোট মেয়েটিকে। তার শত অভিমান, রাগ - হতাশা- যন্ত্রণাগুলো সহ্য করে পরম মমতায়। আউলবাউল ঝোড়ো মেয়েটাকে বটগাছের মত আগলে রাখে পরম নির্ভরতায়। শাসন - স্নেহ - আবদার - অভিমানের এমন কম্বো জুটি পাওয়া সত্যিই মুশকিল, তারা জানে একে অপরের চেয়ে আর কেউই সামলাতে পারবে না তাদের, কিছু মানুষ সত্যিই তৈরী হয় একে অপরের জন্য।
কিন্তু তাও তারা এক হতে ভয় পায়, আমাদের সমাজব্যবস্থা আর কিছু না পারুক প্যাঁক দিতে ছাড়েনা যে!! পরিবার সমাজের যৌথ চাপে হয়ত একদিন হেরে যাবে ভালোবাসা, এটা ভেবে প্রতিরাতে বালিশ ভেজায় তারা; ব্যস্ত শহরের দুই প্রান্তে। দিনের বেলা আবার করে যায় সুখী থাকার অভিনয়, ছেলেটার ঘামের গন্ধে মেয়েটা খুঁজে পায় নির্ভরতার আশ্রয়।

#ডিয়ার_সমাজবাদীস, আপনারা ঠিক কি চান বলুন তো? বাচ্চা পরীক্ষায় বেশী নম্বর পেলেও ফুসফুস করে আলোচনা করেন, আবার কম নম্বর পেলে ঢাক বাজিয়ে উদ্বাহু হয়ে নেত্য করেন, কেজানে খুনটুন করে ফেলল কিনা!!
বাচ্চা বেশি রোগা হলে বাবা-মায়ের চেয়ে বেশী ফাটে আপনাদের, আবার বেশি মোটা হলে এমন আঁতকে ওঠেন যেন তার চারবেলা খাওয়ার খরচটা আপনারাই চালান!! মেয়ের বয়স আঠারো হলেই এমনভাবে তার মা-বাবার কান ভরা শুরু করেন বিয়ের জন্য যেন তারা ঘরে সন্তান নয় অ্যানাকোণ্ডা বুনিপ টুনিপ পুষছেন, আচ্ছা ঠিক কোথায় সমস্যা আপনাদের? বাড়িতে খেয়ে কোনো কাজ নেই? ভোঁদড়েও দিচ্ছে না বুঝি!!
কিছুদিন আগে এক তথাকথিত শুভানুধ্যায়ী ( তিনি আবার আত্মীয় ও বটেন) আমার ইনবক্সে আমার কমেন্টবক্সের কিছু স্ক্রিনশট দিয়ে বলেছিলেন, এগুলো ঠিক নয়, তুমি দিনদিন চরিত্রহীন হচ্ছো। এই তথাকথিত আত্মীয় আবার আমার কমেন্টবক্সে একটি মেয়েকে লাইন মারতে গিয়ে চরম ক্যালানি খেয়ে ব্লক হয়েছিলেন একবার, আমায় লাইন মারার ইচ্ছা থাকলেও সাহসের অভাবে প্রকাশ করে উঠতে পারেননি। এবার আমায় ইনবক্সে কেউ এককথার বেশি দুকথা বললেই পিরানহার কামড় খান, ইনি তো সোজা ফলার থুড়ি ভাগাড়ের চিকেন সাজিয়ে দিয়েছিলেন; অগত্যা এনার অবস্থা কি হয়েছিল পাঠকবর্গই কল্পনা করুন, আমায় আনফ্রেন্ড করে পরিত্রাণ পেয়েছিলেন তিনি।
মোদ্দা কথায় আসি, " কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহেনা" এই আপ্তবাক্যটি মনে রাখুন; করুন ওটাই যেটা আপনার মন চায়। জীবনটা আপনার, ভুয়ো সামাজিকতার দোহাইয়ে তথাকথিত আবালদের জন্য নিজের জীবনটা নষ্ট করবেন না..... নিজের শর্তে বাঁচুন; দোহাই আপনাদের।।

কাজী জুবেরী মোস্তাক




বিদ্রোহী হয়ে জন্মাবো 
********************



তোমাকে প্রশ্ন করি সাধ্য কি আমার ?
তোমাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে দেখি সত্য বলার অপরাধে জিহ্বা হীন মুখটাই শুধু পড়ে আছে ৷
তোমার চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ করবো ভেবেছিলাম ,
কিন্তু তোমাকে চেনার অপরাধে আমার চোখটাই তুমি নিয়ে নিয়েছো ৷
তোমার দিকে আঙুল তুলবো সে ক্ষমতা কি আমার আছে ?
আমার আঙুলতো বহু আগেই খেয়ে নিয়েছে
তোমাদের ঐ ক্ষুধার্ত নোংরা রাজনীতি ৷
তোমার দিকে পা বাড়াতে গিয়ে দেখি
সে পা টাতো কবেই হারিয়েছি তুমি বিরোধী কোন এক মিছিলে গিয়ে ৷
তবুও আমি তুমি বিরোধী মিছিলের প্রথম সিপাহসালার ,
বিদ্রোহী হয়েই জন্ম নেবো মৃত্যু হবে যতবার ৷