নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

ফেসবুকীয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফেসবুকীয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

পল্লব সিনহা




চোখ যায় যতদূর; কেবলই পড়ে থাকা হাড়।
'ইহা ভালোবাসার ধ্বংসস্তুপ' বলেছো তুমি।
মৃত পর্যটকের পাহাড়।

নেমেছে গৃহযুদ্ধ।

আমরা সেই পাহাড় ফেলে, এগিয়েছি ঈশ্বর।
এখানে রক্তের ঘ্রাণ, উড়িয়েছে বন্দুক।
ভুলিনি তাকে;

সে ঘ্রাণে মেখে সাদা ভাত, খাওয়ানো প্রিয় বন্ধু!

এখানেই শেষ প্রেম। শরীরও বন্ধ্যা।
জেনেছি হে জীবন; মৃত্যু অলকানন্দা!

বিরহের উদ্যান; সাজিয়েছে যখ।

আমরা-

পরিচয়হীন। শায়িত। দুই মৃত পর্যটক!

সারাফাত হোসেন






একা



বৃষ্টি এলো,
পাখি ফিরে গেলো বাসায়।

মেয়েটা ভিজছে
একা
দূরে অনেক দূরে আর একজন
সেও ভিজছে
তবে তার সাথে নতুন মানুষ,
নতুন বসন্তের মত ওদের প্রেম।

বৃষ্টিতে নাকি ভালোবাসা বাড়ে,
হয়ত বাড়ে
কিন্তু বৃষ্টি যত প্রখর হয় মেয়েটা তত একা একা হয়ে যায়।

এমনটা তো পারত ছেলেটার নতুন প্রেমিকা সে-ই হতো,
সে ভিজত ছেলেটার সাথে যেমন আগের বর্ষায় ভিজেছিল তারা দুজন।

সৌমিক মৈত্র






১।।

যতক্ষন না ফুরিয়ে যায়, ততক্ষন অবদি সবকিছু রঙীন;
চোখ আলোর কাছে ঋণী আর অন্ধকার মোমবাতির কাছে।

২||

ভেঙে গেলে তা বিচ্ছিন্ন, মচকে গেলেও তা আটকে থাকে শুকিয়ে যাওয়ার আগে অবদি।।

৩||

জল জীবনের জল ধ্বংসের, পরিস্থিতি বেছে নেয় মরা বাঁচা।

৪||

মৃত্যুর পর মানুষ রূপে কুৎসিত হয়, আর গুনে সুখ্যাত।।

৫||

বিছানার সাথে নিঃশ্বাস ভাগ করতে শিখলে তবেই একসাথে বাঁচা যায়।।

উজান উপাধ্যায়







নিষিক্ত




স্নান করতে গেছি ভেবে ডুবে গেছি নিষিক্ত ডিম্বাণুর চোখে।

দাঁত খুলে দাঁড়িয়ে গেছি নর্দমায়, শেকড় উপড়ে ছয়ফুট উচ্চতার গাছ চুলে কলপ দিচ্ছে।

তুমি জানতে, আমি স্নানে। শহরের সব জল আমার শরীরে-

এইভাবে শুকিয়ে যাচ্ছি রোজ। আমাকে ভেঙেচুরে শহরের গাধাদের ঘর সংসার।

তোমার কোলেপিঠে চড়ে এইভাবে সন্দেহজনক হয়ে বেড়ে উঠছি। চাঁদ পর্যন্ত আমার পচাগলা হাত।

কৃতী রায়





অন্তর্বর্তীকালীন...



ঝুপ করে নেমে আসা বসন্তের সন্ধ্যেয় ঝরে পড়ে কোনো মায়াবী গন্ধ! তোর বুকের ছাদে উঁকি দিয়ে দাঁড়াই ক্লান্ত আমি; চুল খুলে দিই। বিপদ বাড়তে থাকে, তুই ঠোঁট এগিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত। বাইরে বিধ্বস্ত রাষ্ট্র জ্বলছে প্রতিকূল হাওয়ায়। বুলেটে বুনে দেওয়া তাত্ত্বিক উপত্যকায় গোলাপ বাগান চোখে পড়ছেনা দূরবীনেও।
 তুই জামার বোতাম খুলে রেখেছিস আজ অজান্তেই।আমি ভালোবাসার স্পর্ধায় তাকিয়ে থাকি অনেকক্ষণ। তোর দেওয়া নাম ধরে ডাকতেই পরিচিত হাসি ছড়িয়ে পড়লো আমার আনাচেকানাচে। তোর চশমার ওপার থেকেও একই রকম আলো। আর প্রত্যেকবার এভাবেই ফোনের স্ক্রিনে ভিডিও কলে কয়েক'শ কিলোমিটার দূর থেকেও তুই আমায়ে ছুঁয়ে ফেলিস অবলীলায়। আমি মুখ নীচু করে ফেলি লজ্জায়। তুই এগিয়ে এসে কপালে এঁকে দিস চুমু। অপটিকাল ফাইবারের ডিজিটাইজড পৃথিবীতেও সে স্পর্শ আমাকে ছুঁয়ে ফেলে ঠিক কোন অদৃশ্য সূক্ষ্ম তরঙ্গে। বিজ্ঞান কোনোদিন কি তাকেই "ভালোবাসা" নামে ব্যাখা দেবে!?..হয়ত বা। জাগতিক কিলোমিটারের হিসেব পেরিয়েও আমাদের মাঝে ঠিক কোনো দূরত্ব থাকেনা আর।তুই আমাকে স্পর্শ করিস, আমি তোকে আদর। তুই আমার চুল সরিয়ে দিস ব্যক্তিগত মুহুর্তে, আমি তোর বুকে মুখ! তুই আমার কোলে শুতে চাস ব্যস্ত দিনান্তে, আমি অভিমান করে তোর চোখে চোখ।
ভেবে দেখেছিস,যে পৃথিবীতে তুই আর আমি আস্ত একটা জড়পদার্থ  ফোনের দু'প্রান্তে থেকেও ভালোবেসে ফেলছি দূরত্ব সরিয়ে ! সে পৃথিবীতেই, "ধর্ম", " বর্ণ", "জাত" আরোও কত কি নামের কিছু অদৃশ্য অন্তর্বর্তী বস্তু দিয়ে একে অপরকে আলোকবর্ষ দূরত্বে সরিয়ে দিচ্ছে কত্ত মানুষ!.... অদ্ভুত, তাই না?


জয়তী দাস





"সত্যের মুখোমুখি,,



যতটুকু বিনিময় হলো সারাদিন,
সবাই একই শিকড়ে ভিন্ন ডালে জুড়ে জুড়ে -

যা কিছু স্পষ্ট - ঠোঁট থেকে বেরিয়ে যাওয়া শব্দ
যা কিছু অসংগত সংলাপ- হঠাৎই গেলো মুছে !

অস্পষ্ট আলোয় দীঘির জল কালো হয়ে আসে-
চোখের সামনে প্রতিটা মলাট ছেঁড়া মনেহয়!
সাজানো পাপড়িগুলো ছড়িয়ে আছে; অনাবৃষ্টির মুক্তো ছটায়!

কয়েকশো বার প্রমাণ লোপাট করে বারবার আয়নার সামনে,
রুমালে মুছে নেওয়া যথেচ্ছাচারে শনাক্তকরণের দাগ!
লুকিয়ে পড়া দেহঘরে;সেজে ওঠা জমকালো পোশাকে-

বদলাবো ভাবতেই সেই কবিতা হতে চাই আজ,
কলমের কাছে আর্জি; স্পষ্ট হোক সেই অন্ধকার -

জীবনকে সত্যের মুখোমুখি কাঠগড়ায় টেনে আনতে ;
কঠোর কিছু শব্দের মুখোমুখি! কবিই দাঁড়াক -

নির্বিকা সরকার





দুই এ মিলে এক...

#পাহাড়

মাটির উপর জমছে মাটি,
বাড়ছে ক্রমে আঘাত স্তূপ।
পাহাড়, বলে আমরা জানি–
নরম মাটির কঠিন রূপ।

#নদী

গভীরে খুব নরম মাটি,
কোমলতা ভীষণ স্পষ্ট।
নদী, যেন মায়ের মতই–
স‌ইতে পারে সকল কষ্ট।

#পুরুষ–#নারী

সৃষ্টির দুই ভিন্ন মেরু,
কেন্দ্রে তবু মিলবে গতি।
পুরুষ যদি অটল পাহাড়-
নারী তবে কোমল নদী।


সুকান্ত রায়




মনগুলো সব ঘুপচি ঘরের থেকে,
একে একে শব্দ খুঁজলো হাওয়ার।
পোশাক তবুও দেহের শরম ঢাকে...
মনের হদিস কজন পেল ছোঁয়ার?

ট্যাক্সির পেছন শহর থেকে শহর,
তোমার খবর এ শহরের  কোথায়?
যন্ত্রনাদায়ক বুকের পাশে পাথর,
একটা উল্কা গড়িয়ে পড়লো চিতায়।

এ উল্কা আমার যেমন, ঠিক তোমার...
এ শহরের মায়ার জালের ওপর।
আয়না থেকে আয়নাবাজির খেয়ায়
আমার মাথায় কেউ পরালো টোপর!

না আমার কারও ওপর রাগ নেই,
খাঁচার পাখিও এই জন্মে হয়রান।
মুক্তি পেয়েই ঘুরবো আকাশ যদ্দূর,
ব্রহ্মান্ড চুমে মারবো এক ছয়রান।

অর্ঘ্যদীপ আচার্য্য




কিছুটা অবাক ঠোঁট, অবাধ্য সেজে নামে গালে,
শহরে মিছিল হোক, চেনা কোনও বোতাম হারালে।


বালিশের প্রতিবেশী আজও সেই অপরূপ হাতই - 
চোখেরা বৃদ্ধ হলে, কান্নাই বিরল প্রজাতি।

বৃষ্টিই থাকে শুধু ছেড়ে এলে, মানুষের পাশে,
চলো, তুমি-আমি মিলে একসাথে যাব ইতিহাসে।

মায়াবী ঘুমের কাছে পরজন্মের থেকে ফিরি,
আমার যেমন তুমি, বিপ্লব হলো জন হেনরিরই।

তুমুল দুঃখে যদি "ভালোবাসি" বলি, মেনে নিও -
মানুষের মিথ্যেতে, দোষ পেল একা পিনোকিও।

ভালোবাসা রোজ জেতে, প্রেমের এই একদিনই জেতা,
সবচেয়ে সফল আজ পৃথিবীতে ফুলবিক্রেতা।