নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুঝতে পারছি: জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি






বুঝতে পারছি,


বেশ বুঝতে পারছি ফেসবুকে আটকে গেছে কলম

লাইক ও কমেন্ট

হাত তুলে, হাত বাড়িয়েও

তবু আসছি, তবু লিখছি


সুন্দরীরা ফেসবুকে ভিড় করে আছে

আমাকে আসতেই হয়

লেখালেখি শুরু ফেসবুকে, আমাকে লিখতেই হয়


লিখি, পোস্ট করি

পোস্ট করি, লিখি

‘এক বাঁও জল, দু বাঁও জল’

কখনও তরতরিয়ে, কখনও বেশ ধীরে

পাল তুলে, চালিয়ে পানসি বেলঘরিয়া


ক্রমশ সরে সরে যাচ্ছে দৃশ্য

দ্রুত, অতি দ্রুত

তালে তাল মিলিয়ে আঙুল ছাপিয়ে তরতর

বিজ্ঞাপনের ভাষায় যারে কয়, টু মিনিটস্ নুডুলস্

মন ভরে, পেট ভরে কিন্তু শরীরে লাগে না


দেখি, যদি পারি আসব যাব

নোঙর ফেলব মাঝ দরিয়ায়

ভেসে ভেসে, আর জল ভালো লাগে না







জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি





আ পারফেক্ট হোল্



এইতো চাঁদের মতো চুল সীমানা। হে প্রিয়, তোমার গর্ভাশয়ে বেড়ে উঠুক আজ আহ্লাদী মাটি। শাঁখা-পলার মতো খুলে রাখো তোমার ঘর ঘর বিশ্বাস। তুমি কি শান্ত হবে এই প্রকাশ‍্য স্বেদ ও বিষে?

যদিও এখানে কোনও যুক্তিহীন বারান্দা নেই। এখানে মাঝরাতে লোভীর মতো গান শুনিয়ে যায় না কোনও আধপোড়া শ্লোক। নীলকন্ঠ পাখিটিও এখানে রেলিংয়ে হেলান দিয়ে মেখে নেয়নি শরীর শরীর পালক। এখানে সবকিছুই পারফেক্ট। এখানে জলের তলায় ঘুমিয়ে পড়ে না জল

হে প্রভু, তিরস্কার করবেন না আমাকে। চিৎকার করে ঘুম ভাঙাবেন না আমার। আপনাকে অসহ্য করে তোলার মতো কোনও ব‍্যক্তিগত আঁশ বাকি নেই আর। আপনার প্রিয় পৃথিবী থেকে কোনও নরম নরম রাত চুরি করে পালাইনি আমি। আপনার পৃথিবীতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে শিশু বুকে স্টেনগান জড়িয়ে। তাহলে খামোখা দোষ দিচ্ছেন কেন আমাকে ? ওদের বুকে থেকে যদি আপনি সীসার গন্ধ পান তারজন্য কি আমি দায়ী?

তাকিয়ে দেখুন, কিছু বালি বালি অন্ধকার কিন্তু এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে। ওদের প্রতীক্ষার কোনো সিঁথিডোর নেই। নামতে নামতে ক্রমশ শষ্য থেকে বীজ, বীজ থেকে শষ্য হওয়ার আগে পর্যন্ত তুলতুলে জিহ্বা তুলে জেগে থাকে খিদে আর ভয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাই শরীরে পিন ফুটিয়ে দেখে নিই, ঠিক কতটা স্বপ্ন বুনলে বাড়িঘরগুলো নিজস্ব পরাগ মুছে হাততালি দিতে দিতে হেঁটে যাবে সমস্ত রাস্তা জুড়ে



জ্যোতির্ময় মুখার্জি





আঁশটে গৃহকোণ 
************



তুম্ খুবসুরৎ হো, ইয়া না হো
আমার আঁশবটি চাই
.
চমকে উঠো না
.
রক্ত আর কিছু নিরীহ হত‍্যা পেরিয়েই
বেঁচে থাকুক আমাদের আঁশটে গৃহকোণ

জ্যোতির্ময় মুখার্জী



আত্মঘাতী জলের মতো গড়িয়ে 
*****************************


আত্মঘাতী জলের মতো গড়িয়ে
কাঁচা ঘুম ভেঙে।হাত-পা ছুঁড়ে
এবড়ো-খেবড়ো কুড়িটা বছর চুরি গেছে
        অন্তর্বাসে ঢেকে কিছু ঘণীভূত রাত





জ্যোতির্ময় মুখার্জি








কিছু আলাপ কিছু কথা 
****************



১। কবিতা কী?
উত্তরঃ প্রশ্নহীন এবং অবশ্যই উত্তরহীন একটি বোধের নামই কবিতা।
অবশ্য, কবিতা লেখার সময় ওসব কিছু ভাবিনা,
কবিতা = কবিতা এই সূত্রে লিখে ফেলি যাহোক কিছু একটা।


২। আপনার প্রিয় কবি কে ? কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
উঃ কোনো প্রিয় কবি নেই, তবে অনেক কবিতা আছে, যেগুলো খুঁটিয়ে লক্ষ্য করে পথ খুঁজে পাই।

কবিতার জন্য কোনো অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়নি।


৩। আপনি কেন কবিতা লেখেন ?
উত্তরঃ পত্রিকায় প্রকাশিত হবে বলে। নাহলে লিখতাম না। অকারণে কবিতা লেখার কোনো মানে নেই। তবে অকারণে কবিতায় বাঁচা যেতে পারে, না লিখে।

৪। আপনার প্রথম কবিতা ও কাব্যগ্রন্থের নাম কি ?
উঃ  প্রথম কবিতার নাম:
যতটা পুরনো স্কুলের খাতা থেকে খুঁজে পেয়েছি, তাতে প্রথম কবিতা/ছড়া ক্লাস থ্রি'তে। নাম 'বন্ধু' (প্রকাশিত)।

প্রথম প্রকাশিত কবিতা : 'শেষ বিকালের সূচীপত্র'


৫। কবি/ কবিতার সাথে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
উত্তরঃ বলতে পারবো না।

কবি ও কবিতার কোনো দায় নেই পাঠকের সাথে সম্পর্ক রাখার। কেউ না পড়লেও কিছু এসে যায় না।

তবে কবিতা লিখিয়েদের পাঠকের সাথে সুসম্পর্ক রাখার দায় ও দায়িত্ব দুটোই আছে। পাঠকের খিদে বুঝে কবিতা লিখিয়েরা পাঠকের মুখে খাবার তুলে দেবে।



                          কবিতা গুচ্ছ 
                         ********* 




রঙচটা আঁটোসাঁটো বৃত্তে
*****************

শান্তভাবে রাত্রিকালীন সরীসৃপ
             তারও বেশি একদিন
রঙচটা আঁটোসাঁটো বৃত্তে
নাটকীয় সমস্ত কিছুই

               ভক্তিমূলক।দৃষ্টিকটু 







যতটুকু হাতছানি
***********


ধানক্ষেতের গন্ধে উইঢিবি
                          আকার বদলালে
যতটুকু হাতছানি
তর্জনী নামিয়ে রেখো
আমি বৃষ্টি মুখস্থ করি বা পালকের ওম
খুলে রাখা চোখে ঠিক
                        দৃশ্য নয়

জ‍্যামিতিক নির্বাচনে চলমান সর্বনাশ






বেহিসেবি আলিঙ্গনে
**************





ক্রমাগত অনুকরণহীন শব্দে
                        কিছু পরিচিত মুখ
নিঝুম বিকাল আছে
পরিযায়ী পাখি আছে
জ‍্যোৎস্না রাত আছে
                  বা হাতেখড়ি চিলকোঠা
আস্তিন খুললে কিছু বেহিসেবি বিষ
শুকিয়ে গেছে স্তনের চামড়ায়
তুমি হাঁফিয়ে উঠতে পারো
                             বা ক্ষিধে পেলে
বেহিসেবি আলিঙ্গনে

                 খুলে নিও মশারির ভাঁজ






আধখাওয়া দীর্ঘশ্বাস
**************



যে কবিতা'টা মেট্রোতে কুড়িয়ে পেলো
প্রতিশ্রুতি অভ‍্যাসে জড়িয়ে
ইঞ্চিতে ধূলিসাৎ
            ত্রিকোণামিতির সহজ কিস্তি
তুলনায় কবিতার পাপে
                   ছেলেমেয়ে।মেয়েছেলে
শরীর ছেঁড়া
        নতুন ঘোষণা
               ঝুঁকে পড়ছে।ঝুঁকে পড়ছে

কবেকার এক আধখাওয়া দীর্ঘশ্বাস






শর্তসাপেক্ষে এঁটো হাত
****************





সুযোগমতো অবশিষ্ট ইশারায়
পোয়াতির কাঙাল সোহাগ মিশিয়ে
মাংসের শূণ্যতা থেকে

              শর্তসাপেক্ষে এঁটো হাত




জ্যোতির্ময় মুখার্জি








আগমনী ধানক্ষেত ও একটি মেলোডি




 বাথরুম সিদ্ধান্তটি অতঃপর
কলমে জমা থাক
ছায়াপথে ছাতা হাতে কয়েকটি মানুষ
একটি চলমান ইনফিনিটি
মুখোশে মুখ ঢাকলে প্রতিদিন
কিছু ছুলন্ত আপ্তবাক্য

সচেতন প্রতি বাতাস-কাঁপা
শূন্যতায়
ছেনি-হাতুড়ির শর্তহীন সরলরেখা বরাবর
বিবস্ত্র কিছু ধুলো ও বালি
ঘুমন্ত ঝিলমিল রাগে
আশ্চর্য পালতোলা নৌকার মতো
প্রতিটি উত্থান ও পতনে
উভচর ধূসরতা ছুঁয়ে
আগমনী ধানক্ষেত ও একটি মেলোডি

জ্যোতির্ময় মুখার্জী এর তিনটি কবিতা

  
জ্যোতির্ময় মুখার্জী এর তিনটি কবিতা 


                   চৌকাঠ টু ফুটপাথ


             কিছু একটা কেলেঙ্কারি হয়েই যাক.....
                         আর ভাল্লাগছে না
                     কাক ভেজা রাত গুলো
               পোয়াতির মতো হেঁচকি তোলে
    একটা মাঠ, দুটো ডাস্টবিন তিনটে তালগাছ আর চারটে চড়াই নিয়ে আর কুমির ছানাগুনতে পারছে না
                       এই ফোকলা দাঁত
           
                চিঁড়ে ভেজা পেট হোক বা
                    সেতার শুখনো কান
                     ফাঁকটা বেড়েই যায়
                      চৌকাঠ টু ফুটপাথ ।



                    ময়ূর কাঁদলে...



                      মনে রাখিস তুই
                     ভূবনডাঙ্গার মাঠ
                        মনে রাখিস
                      আমি আসবো
             হাঁড়িয়া খাবো...মাতাল হবো....
                         বন-পলাশী
                    তোর সাথে রোজ
                   মাদল ভেঙ্গে নাচবো



               ইঁট + ইঁট = ঘর বেঁধেছে
                        এ শহর
                  শহুরে ঘরে খিল
                একা + একা = দুই
                    মানুষের বাস
                 সবার ঠোঁটে আঙুল
                        চুপ.... চুপ......
                       ময়ূর কাঁদছে
            ময়ূরীর পেট ফুলবে এবার।
                               



               ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি 





       নির্দ্বিধায় বলতে পারি আমি ধর্ম মানি না
                               ঈশ্বরও
                   এখন তুমি আমার বুকে
                         ছুরি বসাতে পারো
                                   বা
                     হাতে রাখতে পারো হাত
                             তারপর চলন্ত
                            কিছু কোলাজ….
                          রক্তের আঁশটে গন্ধ
                                       বা
                                   মানুষের

এই ডাইনি....

      এই ডাইনি....

      জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি

ভেস্টার মন্দিরে লুকানো যে আগুন
তাতে শরীর ছুঁয়ে ফিনিক্স হলাম মাঝরাতে
ডাইনির ঠোঁট চুষে অমৃত খেয়েছি আমি
ডাইনিরা রাতবিরেতে কথা বলে
ডাইনিরা শাষন করে।শোষণ করে
কখনো অভিমানে ঠোঁট ফোলে
কখনো সে কবিতা....
কখনো সে 'মা' হয়ে ভাত বাড়ে।
কবির স্বীকারোক্তি :এটা ঠিক কবিতা নয়
ঠিক কি আমি নিজেও জানিনা
একটা কষ্ট বা হয়তো একটা ভালোলাগা
উৎসর্গ করলাম
শাল‍্যদানী আর কোনো এক ডাইনিকে ।।

মুখ ও মুখোশের মাঝে




মুখ ও মুখোশের মাঝে 

   জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি


এই রাত চেটে খাবে সমস্ত অসুখ
এবং কিছু দৃশ্য।গড়ানো হাত।ঘৃণা বা সামাজিক সুখে।কম্পাসের মতো মেপে নেয়।রক্তের কৌণিক ব‍্যবচ্ছেদ
মেঝেতে ছড়ানো কিছু ভয়।শুকিয়ে গেলে।মুখ ও মুখোশের মাঝে তবু মাথা রাখা যায়

সবই সহজ মাংসল

সবই সহজ মাংসল
    
জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি



এইতো কবিতার মতো নির্জনতা কোথাও
সবই সহজ মাংসল
সম্পর্কটাকে কিছুটা মুচড়ে
সীমারেখা টানা হলে
অচেনা নারীর চোখে
চমৎকার সান্ধ্য আয়োজন