নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

দেশবাসী : সোমা জারা



রাজনীতির ফন্দি  গিলে নিচ্ছে
  সাধারণের সহজ সরল জীবন,
 নিরীহ চোখের আর্তি ফায়দা করে
 আজীবনের মতো জমা রাখে ভূখণ্ড,
 আ গ্যয়া আচ্ছেদিন

 আচমকা ঝাঁঝরা শ্বাপদের গুলিতে
ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকে
 সকল এয়োতি  চিহ্ন সমূহ
  মৃত্যুর চোখের শরম
 জানাজা ঢাকে কফনে
মেরে প্যারে মিত্র

বহুদূরে অপেক্ষার চোখে নোনাপ্লাবন
ভেসে গেছে সোহাগী অন্ন
ওরা  পাঁচ নাম গোত্রহীন সংখ্যামাত্র
সরকারী ভিক্ষার হকদার
জয় জওয়ান জয় কিষাণ

আমি উপেক্ষা  ঢাকি সুখ চাদরে
কাশ্মীর - যন্ত্রণা - পরিণতি -উন্নয়নের জোয়ারে
মেতে উঠি উৎসবে-মোচ্ছবে- মাতম এ
মেরে প্যারে দেশবাসীও..........

নতুন জীবন : সুমিত মোদক



স্বপ্ন নাচে আঙুলে আঙুলে ;
আঙ্গুল নাচে সুরে ..
সে সুর এতো দিন হারিয়ে গিয়েছিল
নদীর বাঁকে ;
তাকে খুঁজে পেয়েছে হৃদয়
লাজুক প্রেয়সী ;

কয়েক যুগ পর সকলেই হাঁটছি
নদী বরাবর ;
প্রথম সকালের সূর্যোদয় দেখার জন্য ;

আঙুল গুলোয় ছুঁয়ে নিচ্ছি
নতুন আলো
নতুন জীবন ।।

বিরহিনীর কান্না : বিপ্লব গোস্বামী



বিরহিনীর কান্না আষাঢ় ধারা হয়ে ;
অবিরাম  ঝর-ঝর ঝড় ঝরে।
মেঘের গুমোট ধরা মনাকাশ মাঝে ;
কত রঙ্গিন আভা উঁকি মারে।
ভারাক্লান্ত মনে বিরহিনী বসে আছে;
চাতকের মতো পথ পানে চেয়ে।
হয়তো আসিবে সে শেষ বারের মতো
সেই সুরেলা কণ্ঠে গান গেয়ে।

মৃত্যু : অনিন্দ্য পাল


তোমাকে লিখতে পারি না
সমস্ত বয়ে চলা থেমে গেলে
সমস্ত পথ উপপথ মিশে গেলে এক বিন্দুতে
সবকটা আলোর মোড়ক পৌঁছে গেলে তারপর
তোমার শুরু
অক্ষরে - সংলাপে
অবচেতন - অচেতনে
ধূসর শূন্য গুহামুখে একলা নির্জনে
জন্ম নাও তুমি ...

তোমাকে খুঁজতে ভয় হয়
তোমাকে ভাবতে ভয় হয়
অন্তরাল সুড়ঙ্গে নেমে যেতে পারি না
তবু জানি, জানি তুমি আসবে নিশ্চয়

মৃত্যু
তোমাকে ভয় পাই নি কখনও
পরখ করে চোখে চোখ রেখে দেখো কোনদিন
পিউপিলে খুঁজে পাবে জমানো ভালোবাসা
তবে বুকের এক কোণে কোথাও কেঁপে ওঠে
মন
যখন
সে তোমার জন্য নয়
যাদের জন্য আমি বলতে পারি "আমার"
সেই সব উজ্জ্বল মুখ-চোখ তাদের সবার
ওরাই আটকে রেখেছে, আত্মার কারাগার,

মৃত্যু
তুমি শাসন
তুমি শাসক
তুমি স্রোত
তুমি বাহক
হতে পারো তুমি মহাবিশ্বের যতি
আমি এঁকেছি তোমাকে এই দরজার ওপাশে
অন্য ব্রহ্মাণ্ডে, অন্য এক স্থপতি।

নব ছন্দে আমাবস্যা : অথৈ দেবনাথ (রিনা)



রাত্রি তখন দ্বিপ্রহর,
দুজনে ছিলাম অঘোর ঘুমে।
হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গায়,তোমার পাশে তাকাতে।
এক উন্মদনা জেগে উঠল সমস্ত শরীরে।
সত্যি অপরূপ শিল্প প্রতিমা তুমি,
রহস্য আঁধার।
ইচ্ছে হয় তোমাকে ছুঁয়ে দেখবার....
     অগ্রাসী সেই ইচ্ছে।
 তোমার ভীতরে ডুবে যাই আমি।
তুমি চোখে চোখ রাখাতে বুঝতে পাড়লাম, তখন তোমার কোপালে  গালে,নাকে সন্ধানী চুম্বন তরঙ্গের কামনা জেগেছিল
দেহ মনে।
আর চুপিসারে বললে বাইরে যাবে।
আমি বললাম এই এমন হিজল অন্ধকারে।
তুমি বললে দেখ
 প্রকৃতি কেমন গুমড়ে আছে,
আর নীরবে কাঁদছে।
আজ কোন প্রেমিক জুগল কিংবা কোন কবি,কোন গীতিকার, কোন নৃত্যকার আসেনি ছন্দ মেলাতে।
আসো আজ আমরা প্রকৃতির এই বোবা কান্নার সাক্ষি হই।
আর আমাদের ভালবাসা তাদের মাঝে বিলিয়ে দিই।
দেখবে,কামগন্ধী সৌন্দর্যভূক অবলীলায় মেতে উঠবে।
তারা সবাই একে একে......
নেচে উঠবে নতুন তালে আমাবস্যা নব ছন্দে।

ভালো থেকো : শিপ্রা পাল



ভালো থেকো——
ফেঞ্চকাট আর ধূসর টি-সার্টের অবাক চোখ
নদীটি কেমন দোল খায়, কাশের ঝালরে
কথা ছিলো, কথা হবে শিউলির বিকেলে!!

ভালো থেকো——
সারাটি দিন যায়, এখন আলো জ্বলে দূর পাহাড়ে
শীতের পরিযায়ী পাখিরা সবে আসতে শুরু করেছে
মৃদু ওমে ঠোঁট ছুঁয়ে দেয় গত শব্দের আঙুলে
হয়তো তোমার হাতে এই মুহূর্তে কিছু উপন্যাসের চরিত্র!!

ভালো থেকো——
বড়ই অলস হচ্ছে সময়ের অবহেলা
তবুও খুঁজতে খুঁজতে রাত জড়িয়ে নেয় কিছু অক্ষর
আগামী প্রতিধ্বনি আর চেনা গন্ধটুকু বাঁচিয়ে রাখে!!

ভালো থেকো——
কখনো ভাবা হয়নি, কতোটা ভালো আছি
পিচঢালা সড়কের পথে শুনতে এবং বুঝতে পারার সত্যিটা চমকপ্রদ
চাকার আঘাতে পিষ্ট নিরপরাধী প্রত্যাশার ভালো থাকা!!