নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

একটি ব্যর্থ স্বপ্ন : বৈশাখী চক্কোত্তি




বলেছিলাম তোমায় বাঁচিয়ে রাখতে
কৃষ্ণাঙ্গিনী সেই মেয়েটিকে,
যার মধ্যে দেখি আমি বার বার
আমার আবছায়া এক প্রতিবিম্বকে ।।

কৃষ্ণাঙ্গিনী মেয়েটি নাকি ছিল
তোমার ভীষণ প্রিয়, আদরের,
"ম্যারাথন কিস" করবে বলেছিলে, কারণ,
 ওর গোলাপি ঠোঁট ছিল ভীষণ আকর্ষণের ।।

আদরে আদরে লুঠে নেবে ওর সমস্ত
ভালোবাসার নির্যাস, ছিল আশ্বাস,
সেই আদরের প্রতিক্ষাতেই দিন গুনেছিলো সে,
মনে নিয়ে তোমার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ।।


একটি একটি করে ছড়িয়ে দেবে তাতে
তোমার উনুন জ্বলা দেহ তাপ,
মরুক মেয়ে সেই তাপেতে দগ্ধ হয়ে,
মাথায় নিয়ে নিদারুন অভিশাপ ।।

লুঠে নেবে ওর সমস্ত সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতা
তিল তিল করে জমিয়ে রাখা,
পর্বতশৃঙ্গ, চড়াই কিংবা উৎরাই, গভীর অরণ্য,
তোমার তৃপ্তিতেই তার যেন স্বপ্ন মেলে পাখা ।।

তার বক্ষের সফেন সমুদ্রে দারুন অশান্ত, বিশাল
 এক নীল ঢেউয়ের জলোচ্ছাস,
সেখানে তোমার গোলাপি মখমল রচিত শয়ান
রাত্রিব্যাপী তোমার দীর্ঘ অধিবাস ।।

সব ঠিকই ছিল, কিন্তু হঠাৎই এক দারুন ঝঞ্ঝা
করলো আক্রমণ, ভুলে গেলে কৃষ্ণাঙ্গিনীকে,
তোমার অভিসারের জন্য আজও সে বসে আছে
অপেক্ষায় সাজিয়ে বরণডালা, সজল চোখে ।।


হয়তো কোনো শেষবসন্তের পড়ন্ত বিকেলে আসবে ফিরে,
হয়তো আবার চাইবে তাকে ভালোবাসতে, তার ঘ্রান নিতে
হয়তো তোমার সমস্ত স্বত্তায় তার সাথে "ম্যারাথন কিসের" স্বাদ,
কিন্তু হয়তো তখন অনেক দেরি, সেকি থাকবে আর দীর্ঘশ্বাসের পৃথিবীতে???








কোন পার্থক্য নেই :কাজী জুবেরী মোস্তাক



একসময় তোমাকে নিজের ছায়া মনে করতাম
তোমার চোখেই আমি নিজেকে দেখতে পেতাম
কখনোবা তোমার মাঝেই নিজেকেও হারাতাম
তোমার স্বপ্নগুলোকেও নিজের স্বপ্নই ভাবতাম ৷

কিন্তু !
প্রকৃতির মতো তুমিও নিজেকে বদলে ফেললে
আমিও হারিয়ে ফেললাম আমার ছায়াসঙ্গীকে
যে চোখে আমি হারিয়ে ফেলতাম এই নিজেকে
আজ সেই চোখ দেখি কামনার আগুন পুড়তে ৷

জানো ?
আমি নিজেই নিজেকে কখনো বিশ্বাস করিনি
তবুও কিন্তু তোমাকে বিশ্বাস করেছি ঢের বেশি
তোমার বিশ্বাসের মূল্য দিতে সঁপেছি নিজেকে
অথচ তুমি'ই দেখি অবিশ্বাসের খেলা খেললে ৷

সেই তুমি !
শরীরটাকে শেয়াল শকুনের মতো ছিঁড়ে খেলে
শুধু আমার ভালোবাসা-বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ,
বাদামের খোসার মতো খেয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলে
আর আমি আজ উচ্ছিষ্ট হয়ে ঘুরছি পথে পথে ৷

জানো ?
কোনো পার্থক্য নেই তোমার আর ধর্ষকের মাঝে
একজন ধর্ষক যা করতো তুমিওতো তাই করলে ,
তোমরা দু'জনেই আমার চোখে সমান আজকে
তুমি ভালোবেসে ধর্ষণ করো , ধর্ষক জোর করে ৷

ক্লিভেজে আমরা:হেমন্ত সরখেল



                             



ক্লিভেজ থেকে মুখ সরাতে দ্বন্দ্বে ভুগেছি বারবার।
      মনে রাখা যায় নি- ঠিক কতোবার।

       রেজাল্ট প্রসবিতা অশ্বডিম্ব
                        কিংবা
      প্রথম চতুর্থকে প্রশান্তিতে রাখা
     মা আর তুমি, দুজনেই জলঢাকা।
              ক্লিভেজ- নয় নিতম্ব
     নয় কোনো প্রতিষ্ঠিত গালাজ
 শুদ্ধতা হরে প্রায়ই যত লালাবাজ।

ভেঙে খানখান্ হতে গেলে আমাদের ওটা প্রয়োজন
হেরে, ঘুরে দাঁড়াতে হলে এখানেই শক্তির আয়োজন
     ভেজা মাথা মুছবে আঁচল- ক্লিভেজ
 মৃত্যুপথের কোণ থেকে জাগবে দরবেশ।

আমরা জাড্যে একটাই মেতে আছি
সুখকে দাঁড় করাই অপরিমেয় দুখের কাছাকাছি।
সব রসে জমা থাকে বেদুঈন ধুলো
উন্মত্ত অঙ্গারে তীক্ষ্ণ রসস্থ আলো।
জঠর দেহজ হলেও ভূ-মিষ্ট-পরমধাম
অদৃশ্য দেওয়ালে লেখা আবির্ভাবী মধুনাম।

দৃশ্যমান যা - তা ই জড়িয়ে থাকা এখানে
মনের ক্লিভেজে তাই আশার যাওয়া সন্তর্পণে।
                             

হয়তো : সঞ্চিতা চক্রবর্তী


একফালি রোদ পেলে,
সেঁকে নেব...
স্যাঁতস্যাঁতে শব্দের সিঁড়ি।
রেশনকার্ডের বিষণ্ণ সারিতে
শেষাবধি উত্তাপ আসে কই!
অবেলার মেঘে গ্রাস করে
শ্যাওলা সাজায় শব্দাবলীতে।
সিঁড়ি ওঠানামায় পিছলে পড়ে
সোনার কাঠির খোঁজ,
রূপকথারা ক্রমশঃ...
অবলুপ্তিকে আলিঙ্গন করে চলে।

সকাল: শৌর্য্যিতি





মিঠে আলো ,কে ছুঁলো? রোদ ভিজেছে জানালা।
ঘুম ভাঙা গান,হারানো পাখির কলতান,মুখ ছুঁয়ে যায় ওড়না ।।

বেহাসাবি দিনযাপনে ,দৌড়ঝাঁপময়।হাতছানি'র সময় ।
আজ চেনা মুখ কাল মুখোশ'এ ,বাঁচার অভিনয় ।।

হদ্দ বোকার মত আমিও গিলছি আবেগে
ভাঙছে ,ভাঙছি নিজেই নিজে,চোখ ক্লান্ত হলে ।।

তারপর দীর্ঘ মৃত্যুর উপভোগ।নিথর শরীর
চোখ খুলে দেখি ,একা নই, অনেক মাছির ভিড় ।।

প্রকৃতি বাঁচাই চলো : রাণা চ্যাটার্জী



                   
                       

বৃষ্টির ধারা আজ বড়ো দিশেহারা-অঝরে শুধুই ঝরে,
জানি না কি রোষে,আজ নদী ফোঁসে,বসে থাকি ভয়ে  ঘরে ।

নদী কূল কূল,পাড় হুলুস্থুল,মাঝি মল্লার রাত জেগে,
দুপাড়ে ক্ষেত ,অপেক্ষা সমবেত ,বিধাতা কি তবে রেগে!

জানিনা কি হয় এই বুঝি ক্ষয় ,যেন বন্যার ভ্রুকুটি ছায়া,
দোষে-গুণে মোরা কখনো দেখি খরা বড় অদ্ভুত এ মায়া।

না হলে বৃষ্টি, হবে অনাসৃষ্টি ,জমি ক্ষেত রুখা খরা,
হলে পড়ে বেশি,হবো বানভাসি দুই তরফেই আধমরা।

কেন হয় এটা,ভেবেছ কি সেটা! ফাঁকা করি গাছ কেটে,
হায় বলিহারি,গড়ি স্বপ্ন নগরী, চলি প্রকৃতি ছাড়া পথ হেঁটে।

তবু আশা মনে,এই বুঝি ক্ষণে,সুদিন তো আসবেই,
শ্বাস চেপে থাকি,মরে যাব নাকি!সুসময়ের বাঁধ ভাসবেই ।

প্রকৃতির সৃষ্টি ,ঝরুক রূপবৃষ্টি,প্রচেষ্টা শান্তির বাতাবরণ,
নিজেদের খুঁজি প্রকৃতিকে পুজি,বাঁচানোর বড় প্রয়োজন