নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

✍️সূচীপত্র ...




✍️সম্পাদকীয় কলমে

কবিতা
******

অজাত শত্রু
শাল্যদানী
পিন্টু মাহাতো
তৈমুর খান
বৈশাখী চ্যাটার্জী
দেবব্রত সেন
অ mrita
চন্দ্রানী পাল
ফজিহত (দেবস্মিতা চ্যাটার্জী)
অচিন্ত্য রায়
পবিত্র চক্রবর্তী
কৌশিক গাঙ্গুলী
রুপা রায়
সোমা বিশ্বাস
সায়ন্তনী হোড়
সুকান্ত মণ্ডল
তপময় চক্রবর্তী
অসিতাভ দাস
মায়িশা তাসনিম ইসলাম
তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
সুদীপ ঘোষাল
কাজী জুবেরী মোস্তাক
সিদ্ধার্থ সিনহামহাপাত্র
মহাজিস মন্ডল
জয়শ্রী রায় মৈত্র
সন্দীপ ভট্টাচার্য
অনোজ ব্যানার্জী
শরীফ সাথী
শুভদীপ পাপলু


অনুকবিতা
*********
অষ্টপদ মালিক

অনুগল্প
******
জিবেন্দু রাজবংশী 

✍️ সম্পাদকীয় কলমে






"জমছে ধুলো মনের কোণে ,বিকোনো আবেগ
তুমি বৃষ্টি চেয়েছো ,আমি সাজাই মেঘ "


আকাশে মেঘ জমলেই ,বুকের ভিতর যেন কেমন কেমন করে উঠে প্রতিবার ।অভিমান ,অজুহাত গুলো নিঃস্তব্ধতায় পাহাড় বনে ...আর রং বদলানোর নামে জল ছুঁয়ে যায় খেঁজুর পাতা ।বৈশাখে ,সাজানো ঘর পুড়েছে ভীষণ রোদে ,ঘামের দামে বিক্রি গেছে কখনো ভালোবাসাবাসির অজুহাত কিংবা পেরোডি ।
চোখের সব টুকু অশ্রু শুকিয়ে গেছে পুকুর ,নদী ...।


তারপর হঠাৎ মেঘ জমে এলে ঘুমোট গরম হওয়ায় "বেশ ভালো আছি'র " মিথ্যে অভিনয়ে দিন যাপন ।ডাল ভাত ফুরিয়ে গেছে শেষ পাতে ,বেনামী কোনো উপন্যাসের মতো ।।



তাই এবারের এই "মেঘ" সংখ্যা ।প্রতিবারের মতো এবারেও  এক গুচ্ছ কবিতা ও কথায় ভরে উঠেছে "তোমার আমার কথা" ।।
সকল কবি ও লেখক/লেখিকা মহোদয়কে নিকোটিনের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।পাশে থাকুন এভাবেই এই আশা রাখি ।ভালো থাকবেন ,ভালো রাখবেন প্রিয় মানুষটিকে ।


"এখানেই শেষ নয় , আরো কিছু কথা আছে ,যেহেতু "তোমার আমার কথা" নিয়েই নিকোটিন তাই আজ কিছু আমার কথা বলা হোক , হ্যাঁ আমি নিকোটিনে ,অভ্যাসে নয় লোকের বদঅভ্যাসেই মিশে থাকা ,রোজ পুড়তে থাকা ,ঘাত প্রতিঘাতের সাক্ষী ।"

অনেকটা ঝড় বয়ে গেছে ইতি মধ্যে নিকোটিন প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রমে বলতে পারেন ।আমি একা কি করে চালবো বলুন ,লেখা সংগ্রহ ,এডিটিং ,লোকের খিস্তি ,অপমান তো আছেই । নিজে লেখা ছেড়ে দিয়েছি এরজন্য ,কোনো ম্যাগাজিনে আর লিখছি না ,টুকটাক ছবি আঁকছি ,টাও বাজে । আর এদিকে বেকারত্ব জাকিয়ে বসেছে আমার ভিতর । এর মধ্য দিয়েই শুধু একা চালিয়ে যাচ্ছি এই " নিকোটিন" ।
আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনার লেখা বেরোলে অবশ্যই share করবেন । আজ কাল অনেক জনকেই দেখি লেখা পাঠায়, লেখা বেরোয় কিন্তু কোনো দিন একবারও নিজের চাহিদায় ব্লগে ভুল করেও সার্চ করে দেখে না । আমি তো কিছুই চাইনি আপনাদের কাছে ,আপনাদের লেখা গুলো যেভাবে লাইন না ভেঙে ,সাজিয়ে ,গুছিয়ে আমি ব্লগে দেই ,একটা তো আশা থাকে ,যে একটু কমসে কম নিজের লেখাটা পড়ে দেখুক কবি/ লেখক ,নিজের লেখাটা share করুক ।


যাইহোক আপনাদের জন্যই এখনো বেঁচে আছে এই "নিকোটিন " আশা করবো বাঁচিয়ে রাখবেন ...যেমন আছে ।





                                      ধন্যবাদান্তে ,
                                 জ্যোতির্ময় রায়
                               ( কার্যকরী সম্পাদক)

**
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবারে নিকোটিনের মেইন প্রচ্ছেদ আঁকার জন্য মনোরঞ্জ সরকার মহাশয়কে ।


এবারের প্রচ্ছেদে
**************

জ্যোতির্ময় রায়


অজাত শত্রু

                     
   


                             মেঘ 

                            (১)



ভীষণ অসুখের মত মন খারাপি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সেই ছেলেটাও সিগারেতে আগুন জ্বালায় আলতো ভাবে ।


হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় মিস কলে ।এক বছর ব্লগ লিস্টের ফোন নাম্বারটি ভেসে উঠে স্ক্রিনে ,চোখ মুখের ঝাপটায় ঘুম তবুও ভাঙ্গে না ।।


সেই মেয়েটি আজ আর জানালার বাইরে তাকায় না ।ভীষণ অভিমানে ,"মেঘের রিডে হারমোনিয়াম" বজায় অন্য সুরে। সবার মাঝে খোঁজে প্রথম ঠোঁট ছোঁয়ার মুখ ।।


ক্লান্তি গুলো এখন আর ভেজে না ,বিকেলের বৃষ্টিতে ভিজে ফেরেনি সেই ছেলেটিও আজ ।। বৃষ্টি ধরেছে উল্টো ছাতায় ।।

                              (২) 



 ঘুমহীন  আজ শহরে ভীষণ মন কেমনের অভিমানে,
ঝাপসা আলায় চোখ পুড়েছে ,ছায়ার ভিতর অন্য গানে ।।

গল্প গুলো আজগুবি হয় ভীষণ রকম কম দামি ,
"ছলচাতুরীর হওয়ার ভিতর ক্লান্তি নিয়ে  হাঁটছি তুমি আমি ।।"

রোদের সাথে ভাবমিতালি ,জানলা জুড়ে কাটাকুটি খেলছে সে ।
"ব্যর্থ প্রেমের দিব্যি" নিয়ে আঁকছে ছবি কার্নিশে ।।

ঠিক তখনই বৃষ্টি হবে ,জামার উপর বোতাম আটা ,
মনকেমনের গল্প গুলো ভীষণ দামি ,সিগারেটে পুড়ছে ভালোবাসা ।।




                       
                        (৩)


রোজ রাত পাহারা ,মনকেমনের চৌকিদারী ।
ফিরবে বলে আর ফেরে না।মন বাড়ি ।।

গল্প গুলো হয় পুরোনো,চোখে ভিতর চোখ দেখে।
ইচ্ছে ঘুড়ির সুতো কাটা।দাগ কেটেছে ছক রেখে ।।

বাসতে ভালো চায় না আর সে ,ভীষণ রকম এগুয়ে।
সিদ কেটেছে অতীত কোনো।মন-শহর'এ থাক  শুয়ে ।।


হঠাৎ তখন মেঘ করেছে ,হাঁটছি তবু উচিয়ে ছাতা ।
হাঁটুর উপর জল ভিজেনি,নিরবতায় ড্রইং খাতা ।।




শাল্যদানী






সব্বাই চুপ!



ওরা এতো কথা বলছে কেন?
অপূর্ব শ্মশানের নিস্তব্ধতা বেশ ছিলো
মাঝখানে ঝনঝট ওই ওদের কথা,
যাদের কথা ফুরায় না
বলতে বলতে থেমে গিয়ে একটু আগে জল খেলো।
জলের জন্য বাজনা
জলের জন্য খাজনা
কথা এভাবেই বইতে থাকলো।।

আমিতো ঘামছি এত বলার রোদে
ওমনি ফিক করে হেসে ফেললুম,
আরে আমিওতো বকে চলেছি!

সামনের শ্বেতপাথরের টেবিলটা এখনো-
হালকা গেরুয়া দাঁত নিয়ে হাসছে
তার উপরে রাতের খাবার বহনের দায়
সেও আলুচচ্চড়ির স্বাদ বোঝে এঁটোকাঁটায়
কবিতা লেখে মনে মনে,
শোনাবার কেউ নেই
তাই নিজে নিজে শুনে নিজে নিজে হাসে
হালকা গেরুয়া দাঁত নিয়ে

তার হাসি শুনতে গেলে ওই ওদের কথা বলাটা বন্ধ করা দরকার,
আমিও চুপ করবো
আলুচচ্চড়ি কবিতা শুনবো
গোলমরিচ চায়ে চুমুক দিতে দিতে


পিন্টু মাহাতো




সমুদ্র ছুঁতে চাই না 


কখনও সমুদ্র ছুঁতে চাইনি আমি
ভয় হয় যদি শুকিয়ে যায়....!!
তাহলে...........??
বালির নগ্ন শরীরে খেলবে পুরুষাঙ্গ.....
ঢেউএ কাতর শঙ্ক, শ্যাওলা ফিরবে নির্ভয়ার জগতে.........
মৃত্যু, এক জঘন্য মৃত্যু...........
ধীরে ধীরে ঝাপসা হবে প্রতিবাদী মোমবাতিরা,
আরও ফিরবে ধর্ষকের নির্মম শাবল....
ক্ষতবিক্ষত হবে সতীত্ব যুগের নেশায়....
আঁধারে ছুঁতে আসবে কিছু কালো হাত,
মুখ চেপে বলবে "চোপ শালি....."

না, না...... আমি অপরাধী হতে চাই না,
আমি সমুদ্র ছুঁতে চাই না.................. ||

                 

তৈমুর খান



দিঘি


একটা দিঘি খুঁড়ছি মনে মনে
আর ভাবসলিলে ভরিয়ে চিচ্ছি
পদ্ম ফুটুক, আমার শব্দপদ্মগুলি

কেউ জলকুমারী সাঁতার দিতে আসে
ঢেউ ভাঙে সে দেখি
তার রূপের প্রদীপ জ্বলে
অঙ্গে অঙ্গে অনুভূতির শোভা

জেগে জেগে আমার কত রাত চলে যায়
আমার কত দিনের ক্লান্তি দেখতে থাকে
এই অবাস্তব জলাশয়

তবুও রোজ স্নানের পর ভাষা খুঁজে পাই
ভাষার অন্ন, ভাষার ভালোবাসা
ভাষার হাঁস উড়ে উড়ে এখানেই নামে

একটা দিঘি খুঁড়ছি নিজে নিজে
দিঘির পাড়ে দারুণ পলাশ বন
পলাশ বনে শুনি কোকিল ডাকে…