নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সুনন্দ মন্ডল

সজীব প্রেম

*************     
      
অঞ্জনা, আজো তোমায় মনে পড়ে।
গভীর অন্ধকারে একাকী নিরালায়
অজান্তেই চলে এলে সংগোপনে-
স্মৃতি মরুভূমির পথ ধরে।
সেই যে তমালিকা বনে
       প্রথম আলাপ হয়েছিল দুজনের।
গহীন বনচ্ছায়ে বসে কেটেছে কত প্রহর।
বৃক্ষশাখের ফাঁক বেয়ে ম্লান রবির আলো তোমার মুখে,
উঁকি মেরে চেয়ে দেখে নিতাম একপলক।
চুরি করে দেখতাম তোমার ফুটন্ত যৌবন।
হাতে হাত রেখে কথা দিয়েছিলে,
সারাজীবন পাশে থাকবে।
চোখে চোখে কত প্রতিশ্রুতি,
     কত বোঝাপড়ার পাঠ।
থাকলেনা! চলে গেলে।
চলে যেতেই হল মনিখচিত সেই রাজপ্রাসাদে!
অন্তরালে নিলে রানী বেশ!
যেখানে নারীদের জীবনে আলাদা মানে।
অঞ্জনা! তুমি হয়তো ভালো আছো,
সুখে থাকবে সে আশা করি।
আমিও আছি ভালো।
তবে একা নয়!
নীলাঞ্জনা সাথী আমার।
সারা শরীর থেকে মুছে দিয়েছে মোহময়ী অঞ্জনার গন্ধ।
প্রেমের সুগন্ধি বাতাস বয়ে এনে দিয়েছে প্রাণে।
ভুলে গেলাম তোমার মায়াবিনী প্রখরতা।
আমি আজ তাকেই ভালোবাসি।
দুঃসময়ে নিঃশর্তে সঁপে দিয়েছে তার জীবন যৌবন।
ভালোলাগা মন্দলাগার ভাগীদার হয়েছি তার।
ভালোবাসি তাকেই-
   যে আমার চড়া ভুবনে
   ‎দিয়েছে সজীবতা।

প্রভাত মন্ডল


স্বাধীনতা 

**********




স্বাধীনতা তোমারে খুঁজিফিরি হেথাসেথা শীত বর্ষা কি ধরনে
তোমার রূপটি কেমন ধারা দেখি নাই আমার বিয়াল্লিশটি শ্রাবনে
স্বাধীনতা গর্ভে নষ্ট করে দেওয়া কন‌্যা ভ্রুন
এটাই কি তোমার রূপ
বই ভর্তি ব‌্যাগের বোঝায় শৈশব হারানো তোমার কি স্বরূপ
স্বাধীনতা পরিচয় কি তোমার সিন্ডিকেটের বন্দুকের নলে
তুমি  লুকিয়ে কি চোখরাঙ্গানো হপ্তাবাজের দলে
স্বাধীনতা তুমি কি সত‌্য কথায় দাও চকমা দেশদ্রোহী বলে
তোমাকে কি পাবো নির্যাচিতা বধুর শ্বশুরবাড়ী গেলে
স্বাধীনতা তুমি কি নীচু জাতের ছেলেটাকে মন্দিরে ঢোকার অপরাধে পিটিয়ে মেরেছিলে
তোমাকে দেখতে পাবো কি যে শিশুটি স্কুলে না গিয়ে খাটছে দোকানে তার কাছে গেলে
স্বাধীনতা কি আছো ধর্মের নামে দাঙ্গাবাজের দলে
না তোমার স্বরূপ কি পনেরই আগষ্টের শুধু ধকাস মার্কা পতকা উত্তলোনে।

দেবার্ঘ সেন





বিনিময় 
********

এভাবেই উপস্থিত থাকতে থাকতে
একদিন জড়তা কেটে আবার সেলাই করে নিয়েছি নিজেকে।

বায়ু বিনিময় করতে করতে আমি ডাকাতি করেছি
সময় কাজল।

এখনও অক্সিজেন ফুরোয়নি বলে আমি তোমাকেই ভালোবাসি।
পরোক্ষ পথ ধরে প্রত্যক্ষ কাগজে লিখেছি কবিতা।

কটাক্ষ করলে শব্দ, আমি মল্লারী ঠোঁট পুড়িয়ে..
বেইমানি করেছি পাকস্থালীর সাথে। 

নাঈম ইসলাম শুভ



স্ত্রী'র প্রতি ভালোবাসা 
*********************



ভালবাসি তোমায়, সকাল সন্ধ্যা রাতে 
ছুঁয়ে থাকো তুমি, স্নিগ্ধ প্রভাতে_

প্রভাতের কুয়াসা ভেজে উষ্ণতায় 
জেগে উঠি তোমার দুষ্টু ছোঁয়ায়_

সেই ছোঁয়ায় অকৃত্রিম মুগ্ধকর মায়া_
শিহরিত স্পন্দিত অবিচ্ছিন্ন কায়া-

মায়ায় যখন আবছা ছায়া অঙ্কুরিত 
মেঘালয়া কিরণে চারিধার প্রস্ফুটিত। 

প্রস্ফুটিত  কিরণ দেয় আবসা ভালোবাসা।
সব পিছুটান উপচে ফেলে হয় কাছে আসা।

মনে পড়ে??
স্বপ্ন ভরা চোখে, ভালোবাসা এঁকে দিয়ে 
পবিত্র এক বন্ধনে , দুজনা আবদ্ধ হয়ে, 
এক সুরে বেঁধে রাখা দু জোড়া হাত_
তখন স্বপ্নেরা এসে, কল্পনায় গাঁ ঘেষে
বাস্তব ভালোবাসা ছুঁয়ে যায় হঠাৎ। 

তখন আমাদের,, 
অকথ্য কথোপকথন শিহরিত স্পন্দন, 
এক সুতায় বাঁধা পড়লো হৃদয়ের বন্ধন _

সেই হৃদয়ে যখন "তোমায় ভালবাসি "
প্রতিধ্বনি বেজে ওঠে _
তখন ভালবাসা ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে 
তোমার মিষ্টি ঐ ঠোটে_

কৌশিক গাঙ্গুলী







আমার কবিজীবন
*************


২৭বছরের বেশি  লেখালিখি করছি কোনো প্রতিষ্ঠান , কোনো শাসক বা কোনো দলের সহযোগিতা ছাড়াই । অনেক মন্দ আর ভাল অভিজ্ঞতা হয়েছে । ১৪টা কবিতার বই , ৫২ টা কবিতাফোল্ডার প্রকাশিত হয়েছে । অজস্র পত্রিকায় অজস্র কবিতা আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে , হচ্ছেও । অপমান এর সঙ্গে  কিছু সম্মানও পেয়েছি । প্রথম দিকে মেলা ও উৎসবে আগ্রহ ছিলো । যোগদানও করেছি । এখন আগ্রহ নেই । ফেসবুক এ আছি নিজের মতো করে । লেখার জন্য মার খেয়েছি , দেখেছি কত নোংরামো আবার ভালবাসা পেয়েছি প্রচুর । এখন  আমন্ত্রিত হয়েও আর্ধেক অনুষ্ঠানে যাইনা নানা সমস্যার জন্য । বাণিজ্যিক লেখক নই বলে  অবজ্ঞা পেয়েছি  আবার প্রতিষ্ঠান বিরোধী বলে একটা আলাদা সম্মান আছে সচেতন মানুষদের কাছে । রাজনৈতিক দুর্নীতি আর সামাজিক ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লিখলে ২নম্বরীরা রাগ তো করবেই । তাই না ?



কবিতা গুচ্ছ
*********

কিছু এক লাইনের কবিতা 
******************
(১) আমি আনন্দবাজারে চাকরি করিনা , পড়ি । 
(২) যারা দল পাল্টায় তারা ট্রাপিজের খেলা জানে । 
(৩) ক্ষমতালোভীরা  ক্ষমতা হারাবার ভয়ে হিংস্র । 
(৪) মিথ্যা চিরকালই জনপ্রিয় ব্যাধি । 
(৫) ভোটের সময়ে আমি কানের অসুখে ভুগি । 
(৬) টাকা ছাড়া প্রেম একতরফাই থাকে । 
(৭) রাজকবি হিংসা করে লোককবিকে । 
(৮) ধান্দা ছাড়া রাজনীতি করে বোকারা । 
(৯) অক্ষমেরা সিনেমা দেখে স্বান্তনা খোঁজে । 
(১0) সত্য এখন জ্বলন্ত চুল্লীতে আর বিবেক বেশ্যাখানায় । 
(১১) আদর্শ এখন নিরুদ্দেশে আর সরলতা পাগলাগারদে । 
(১২) বুদ্ধিজীবির চাইতেও দরকার এক জিবি নেট । 


(১৩)  করের দায়িত্ব মধ্যবিত্তের ।
(১৪) মানুষও আজকাল হায়নার মতন হাসে ।
(১৫) ক্ষমতার পাশে পাশাসহ শকুনি মামারা  ।
(১৬) জাতি দাঙ্গা মানব সভ্যতাকে নাঙ্গা করে ।
(১৭) ভালবাসা ফুর্তির বিছানায় থাকে ।
(১৮) প্রতিবাদের জায়গা লাশকাটা ঘরে ।


কবিতা গুচ্ছ
**********



স্বয়ং সিদ্ধ
********


 বেশ করেছি গড়েছি ,
বেশ করেছি ভেঙেছি -
বেশ করেছি হাত কেটে রক্তপাত ,
আসলে আমি স্বয়ংসিদ্ধ , কবি ও কারিগর ।
নেই হুশ , নেই খেয়াল
সব স্বপ্ন দিয়েছি তোকে ,,,
অভাবের আগুন আর স্বভাবের
ঝড় জ্বালিয়ে দিয়েছে তোকে ,
পাই আনন্দ , তুই যন্ত্রনায় কাতরাবি ,
 বাতাসে পোড়ার গন্ধ ।
বিচিত্র উল্লাসে উড়িয়ে দিয়েছি পান্ডুলিপি ,
ছিঁড়েছি যত চিঠি আর একমুঠো সোনারোদ .....
আয় দুজনেই কাঁদি , দুজনেই হাসি , সব শোধবোধ ।






ভুলভাল
******



আমেরিকা যাবে
জানি না কি পাবে ?
ওখানেতে থাকে ওবামা
এখানে আমাদের জীবন
ফাঁটা পায়জামা
অজানা রোগ
মায়ের ভোগ
আচ্ছে দিন আর
উন্নয়নের মাঝে
ব্যস্ত সবাই
 সমাজের কাজে
দুপাশে পাক ও চীন
এক দুই তিন
বাঁচান মিঃ ট্রাম্প
 দিয়ে হাইজাম্প
সমস্যার সন্ত্রাস
জীবনের বারোমাস
আমেরিকা পালাবে
জানিনা কি পাবে ?
মূল্যবৃদ্ধির চাপে
হৃদয় কাঁপে
পকেটে বড় টান
আধার লিঙ্ক চান
চোখেতে দেখি গোলকধাঁধা
চারিদিকে কতো গাধা
গাইছে মরণমুখী গান
ফুর্তিতে  খরচা বাড়ে
টাকা আসে অন্ধকারে
রঙ্গ দেখে স্যায়ানারা হাসে
কুটিলেরা মিছে কাশে
দেশজুড়ে বাড়ে প্রহসন
 ঠাকুর তুমি থাকবে কতক্ষণ
ঠাকুর তুমি যাবে বিসর্জন ।


চলমান জীবন 
**********


একজন বিখ্যাত ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসা করলাম :
বারবার পুরস্কৃত কিভাবে ? স্মিত হেসে পিঠ চাপড়ে
বললেন : অনেক আপোসের শৃঙ্খল গেঁথে ।
 একজন সেরা লম্পটকে জিজ্ঞাসা করলাম ;
তার লাম্পট্যের উৎস কি ? চমৎকার ভাবে জানালো  :
জহুরী  জহর চেনে , সে চেনে নেশা ও নারী । একজন রাজনীতিবিদকে জিজ্ঞাসা করলাম : এতবার দল
পাল্টান কি করে ?  তিনি কপাল কুচকে মুখে হাসি এনে
 বাণী দিলেন - চোখে কম দেখি যে .... ।
সংখ্যাগরিষ্ঠ যুবসমাজকে জিজ্ঞাসা করি :
এভাবে ধ্বংস করো কেনো সমাজ কে ?
 তুমুল  হুল্লোড় আর বিচিত্র সিটি সমেত জানালো
- শুধু বুঝি কেরিয়ার অথবা অন্ধকার ।
 একদল ব্যাতিব্যস্ত শিশুদের জিজ্ঞাসা করলাম :
ফাস্ট হবে তো সব্বাই ? নানাদিক থেকে ছিটকে এলো
 উত্তর - মা জানে , বাবা জানে , পরীক্ষার খাতা জানে
 এইভাবেই বেঁচে থাকা , এইতো চলমান জীবন আমাদের ।




মশাল আর কবিতা 
*************


বড় বেমানান আমি যেকোনো পার্টিসংস্কৃতির মঞ্চে কিংবা পত্রিকায় , ঘরে - বাইরে আমার লড়াই , স্বপ্নেও । কুর্ণিশ আর তেলবাজির রাস্তায় আমি অচেনা এক পথিক .....
আমার প্রিয় উজ্জ্বল সূর্য ও মশালের আগুন , অন্ধকারে ভয় , সংশয়ে টেনশন বাড়ে , রোজগার হয় না , অপমান , হুমকি নিত্যসঙ্গী হয় , বদমাশ আর ধান্দাবাজরা বন্ধু হয় না । সচেতন ও লোভহীন বান্ধবীও খুঁজে পাইনি এখনও তাই বাউল হবার ইচ্ছের মুখে ঝামা ঘসে দিয়ে অসুস্হ শরীর আরও অসুস্হ হয় । গুমড়ে ওঠা কান্না আর দায়বদ্ধ কবিতায় আমার বেঁচে থাকা , মনুষ্যত্বের জন্য লড়াই , মাথা উঁচু রাখার স্বপ্ন দেখি নিঃসঙ্গ আমি , বেমানান আমি এই পচা - গলা সিস্টেমে অথবা কোনো রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে তবু যুদ্ধ চলে  মর্যাদা  রক্ষার  বিবেক আর বোধের , সঙ্গী থাকে কবিতা , ইচ্ছে থাকে অন্ধকারে মশাল জ্বালাবার , আলোর দরকারে ।



অগ্নি লিখন 
********



বাতাসে পোড়া বারুদের গন্ধ
অসুস্হ শরীর কলমটা খুঁজে চলে ।
এখন সবাই কবিতায় বিনোদন চায় কিংবা বিশুদ্ধ দুর্বোধ্যতা
ছাপা হয় লিটিল ম্যাগাজিনে ।
বিবেকের দায় নিতে বয়ে গেছে তাদের ।
রাস্তায় পচা লাশের গন্ধ ,
 রক্তের ঘন ছাপ ।
সাদা পৃষ্ঠায় আগুন লিখতে চাই , লিখতে চাই একরাশ শাণিত প্রতিবাদ ,
এখন সবাই কেরিয়ার গোছাতে ব্যস্ত  কিংবা ঘন অন্ধকারে বিকৃত আনন্দের সন্ধানে ।
সন্ত্রাসে , যুদ্ধে , ভ্রষ্টাচারে , ব্যাভিচারে ছয়লাপ , বিচিত্র মুখোশের আড়ালে সমাজ ও সভ্যতা । কে কি চায় তা নয় , কি চাওয়া উচিত জিজ্ঞাসা করো বোধকে । ধান্দার বেড়াজালে মিথ্যাকে খুঁজো না ।  . . . . . . . . . . . . .
সাদা পৃষ্ঠায় আগুন লিখতে চাই , লিখতে চাই সময়ের যন্ত্রনার কথা , বাতাসে ভাসে পচা সমাজের কটু গন্ধ ,
একাকি কবি তার কলমটা খুঁজে চলে ।




স্বপ্ন 
***


মগজে সাইক্লোন ,
ধর্মে ঠিকানা
চেটেপুটে দেখোতো
ঠিক আছে কিনা ?
আমিও গেয়েছিলাম
তোমার সঙ্গে সেদিন ,
সবই কি দিয়েছো ফিরিয়ে ,
বাকি কি নেই ঋণ ?
তবুও মশাল জ্বালাবার
স্বপ্ন দেখে থাকি ,
পুরানো ক্ষতটাকে
মুখোশেতে ঢেকে রাখি ।
এটা কি চেয়েছিলে ,
তুমিও কি ভেবেছিলে ?
সবই কি হারালাম ,
সবই কি দিলে ফেলে ?
আমিও কি ঠিক আছি ,
মগজে সাইক্লোন ,
দ্বন্ধে ঠিকানা ,
সবচেয়ে তুমি আপন ।




দালাল
******



আমাকে গালি দেবেন না বাবুমশাই
কারণ আলোয় - অন্ধকারে আমাকেই চাই ,
আমি ভালো কে বানাই মন্দ , মন্দকে ভয়ংকর
সত্যকে বানাই মিথ্যা , ভাঙি সুখের ঘর ।
আমি কাছের লোক রাজনীতি আর ধর্মের
দুর্নীতি ও ভন্ডামিতে মিনার গড়ি কুর্কমের ।
আমি গডম্যান থেকে ব্যাডম্যানে  রাজি
অভিনেতা থেকে নেতাও
সাজি ।
আমি কখনও দালাল , কখনো স্মাগলার
সুবিধামতন তথ্য থেকে দ্রব্য পাচার ,
সবেতেই আমি-আমরা-আমাদের দরকার
আলোয়ে -অন্ধকারে , কর্মে - কুকর্মে আমরাই সমাচার ।
ট্যাক্স ফাঁকি ,জাল দলিল , নকল মার্কশিট
করিয়ে দেবো ,বানিয়ে দেবো , খুলে দেবো গিঁট ।
সরকারি বেসরকারি সব অফিসেই পাবেন ,
আমিষ বা নিরামিষ যা খাওয়াবো খাবেন -
শুধু ভরিয়ে দেবেন আমার থলি কিংবা সুইস ব্যাঙ্কে ,
দালাল বলে ধমক দিলে যাবো কিন্তু চমকে ।