চৈত্ররোদে ফেটে চৈচির হওয়া ফসলের মাঠের মতোন- কষ্ট বুকে চেপে
বর্গাচাষী রহিদ মিয়া বেঁচে রয়। মরণ এসে ফিরে যায় বারংবার!
লাঙলের হাতলে হাত পড়তে পড়তে- কড়া পেয়ে বসেছে হাতের তালুতে।
'বউট্যার পেটের ব্যাটাটা য্যান মোর ভরসা হয় আল্লা! "
তারপর-
ভরসা হয়ে জন্মানো ছেলেটা আজ অন্যঘরে- জ্বেলে যায় আশার আলো;
বর্গাচাষী রহিদ আজ অচল- ঘরের আলো, চোখের আলো নিভে গ্যাছে!
গাছের পাতায় অস্থিরতা জাগায়, উঠোনে গড়াগড়ি খায় রহিদের বেদনার্ত স্বর:
বাজান, ও বাজান...মইরবার আগে তোর মুখখান দেইকপার পাইম না বাজান..?