নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

দীপাবলী (দ্বিতীয় সংখ্যা )




 "দীপাবলি" (সংস্কৃত: दीपावली) নামটির অর্থ "প্রদীপের সমষ্টি"। এই দিন হিন্দুরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ জ্বালেন। দীপাবলির অনুষ্ঠানে সারি-সারি প্রদীপের আলোতে স্বর্গের দেবতাকে গৃহে বরণ করে নেওয়া হয়। এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক।দীপাবলির মাধ্যমে উপনিষদের আজ্ঞায় এই কথাটা খুবই সদৃঢ় ভাবে চরিতার্থ হয়ে ওঠে 

অসতো মা সত্ গময়।
তমসো মা জ্যোতির্গময়।
মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়।
ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ॥

অর্থাৎ, অসৎ হতে সত্যে নিয়ে যাও,
অন্ধকার হতে জ্যোতিতে নিয়ে যাও,
মৃত্যু হতে অমরত্বে নিয়ে যাও।
সর্বত্র যেন ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির বার্তা।

 তাই নতুন করে আবার আপনাদের প্রিয় কলমের সঙ্গে নতুন ভাবে আলো জ্বালাতে নিকোটিন 2.0 ফিরলো প্রায় পাঁচ বছর পর নতুন ভাবে ।আশা করি সবার এই সংখ্যাটি ভালো লাগবে ।আগামীতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আরো আরো বেশি করে লেখা পাবো বলে আশা রাখি সকল লেখক ও কবিদের থেকে এই কুলষিত সমাজকে আরও আলো জ্বালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার কলম আরও শক্ত করে তুলতে আমাদের আরও একবার প্রচেষ্টা। 


আগে যেমন পাশে ছিলেন আবারও সবাইকে পাশে পাবো বলে আশা রাখি। সকলে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন যাদের লেখা একসংখ্যায় স্থান দিতে পেরেছি যারা নিকোটিনকে ভালো বেসে পাশে আছেন পাশে ছিলেন সবাইকে।

                                                 ধন্যবাদান্তে ,

                                                 জ্যোতির্ময় রায় 

                                              নিকোটিন ওয়েব ম্যাগ চিফ এডিটর 

রেজাউল করিম রোমেলের এক গুচ্ছ কবিতা




 

 সত্য বলতে বাঁধা


সত্যকে সত্য বলতে যারা দেয় বাঁধা,
নিজের বক্তব্য প্রকাশে যদি আসে বাঁধা,
তাহলে কিসের মুক্তচিন্তা, কোন গণতন্ত্রের কথা বলো?
মত প্রকাশের অধিকার কি হারিয়ে ফেলেছি আমরা?
সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
যদি হয় অপরাধ,
আর তার শাস্তি যদি হয় মৃত্যু,
তবে প্রতিটি দেশে দেশে, সারা পৃথিবীর
মায়ের গর্ভে জন্ম নিক শত সহস্র কোটি
সত্যবাদী মানুষ এবং মানুষী।
হোক আন্দোলন সত্য প্রতিষ্ঠায়,
দেখি তোমরা কত মৃত্যু ঘটাতে পারো...


অনিয়মই নিয়ম

অনিয়মই নিয়ম যখন
কিছুই যায় না করা,
অনিয়মের মাঝে পড়ে
জীবন জরা জরা।

আমরা কি ভাই নিয়ম জানি
হচ্ছে কেন অনিয়ম,
অনিয়মের ফাঁদে পড়ে
হচ্ছে সবার মতিভ্রম।

নিয়মের তো ছড়াছড়ি
বইপত্রতে লেখা,
নিয়ম শুধু বইয়ের পাতায়
যায়না কাজে দেখা।


কেন ভালোবাসি?

কেন ভালোবাসি?
যে ভালোবাসা রক্তাক্ত করে দেয়
সমস্ত শরীর, হৃদস্পন্দন।
ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠে প্রাণ,
মন, আত্মা, সবকিছু ।
চোখের জলে জন্ম নেয়
নদী, সাগর, মহাসাগর ।
হৃদয় হয়ে যায় মহাশ্মশান।
তারপর-ও কেন ভালোবাসি?
হতাশার অব্যক্ত চিৎকারে
মহাপ্রলয় নেমে আসে।
তবু কেন ভালোবাসি? কেন... ?



তুমি ভালো থেকো

তোমাকে নিয়েই লিখছি, হ্যাঁ তোমাকে নিয়েই।
অনেক দিন হলো তুমি চলে গ্যাছ,
সেকথা ভাবতে ভাবতে এখন আর ভাবি না।
তোমাকে না পাওয়ার ব্যর্থতা এখন আমাকে আর কষ্ট দেয় না।
আমার মনের মণিকোঠায়, হৃদয়ের অতল 
গভীর থেকে গভীরতম স্থানে যে জায়গা জুড়ে তুমি আছ;
সাধ্য কার সেখান থেকে তোমাকে ছিনিয়ে নেবে!
তুমি কি পারবে সেখান থেকে ছিনিয়ে নিতে তোমাকে?

কে বলে তুমি নেই! তুমি আছ-
আমার আকাশে বাতাসে, সাগর নদী মহাসাগর
আমার পৃথিবী মহাবিশ্বে , আমার প্রতিটি শিরায় শিরায়,
রক্তের প্রতিটি কণায় কণায়।

তোমাকে হারিয়ে আমি কষ্টে আছি আমি বেদনাহত,
একথা ভেবে যদি তুমি কষ্ট পাও!
তারপর-ও আমি বোলবো,-
তুমি ভালো থেকো প্রিয়তমাষু, তুমি ভালো থেকো।

বৃষ্টি:পবন কুমার সাহা







 ওরে আজ হঠাৎ করে

বৃষ্টি এলো নেবে
ঝড়ে ভিজে সুখ চড়ে
চেনা ঢেউ দেবে।
ভিজে গেলো স্বপ্ন গুলো,
চোখে দেখা ঢল
বৃষ্টি ভিজে স্নিগ্ধা এলো
চেনা সেই টোল।
হোক বৃষ্টি অন্তরেতে
চাই সারাক্ষন
চেনা পথ জলে ভেসে
নৌকা নিয়ে রন।
স্রোতে কাগজের নৌকা
ঝড়ে নড়ে চড়ে
পোড়া মন ভিজে অক্কা
কেনো ডোবে ওরে।

এ কবিতা তোমার জন্য নয় : মান্নুজা খাতুন

  


আজকের এ কবিতা তোমার  জন্য নয় প্রিয়,  ভয় পেও না 

তোমাকে অপরাধী করব না,  অভিশাপ  দেব না৷  


যেদিন প্রথম জেনেছিলাম তুমি আমাকে ভালবাসো

আমি নির্বাক হয়ে তোমার মুখের দিকে তাকিয়েছিলাম। 

যেদিন প্রথম আমার হাতটি তোমার মুঠোর মধ্যে বন্দি করেছিলে 

আমি পুলকিত  হয়েছিলাম, সাথে লজ্জাও পেয়েছিলাম  দ্বিগুন।  


আর আজ নির্বাক ভাবেই দুর থেকে তোমাকে দেখে আসছি 

কাছে যাবার সাহস নেই, নেই কোনো অধিকার

তবুও সম্মুখে এলেই সুযোগ  খুঁজি আঁড়াল হতে দেখার। 

সেদিনও দেখেছিলাম মঞ্চে হতে, ব্যস্ত ছিলে অনর্গল  কথোপকথনে।


আজকের এ কবিতা তোমার জন্য নয় প্রিয় , ভয় পেও না 

তোমাকে আর ভালোবাসার কথা বলব না,  

ভালোবাসার মায়ায় ক্ষণে ক্ষণে জড়াব না 

আমার সমস্ত স্বপ্ন আর আবেগ  বামপাশের পার্লামেন্টে  বন্দি রেখে 

তোমায় উড়িয়ে দেব  তুমি প্রান ছেড়ে বাঁচবে

 মুক্ত বিহঙ্গের  মতো  খোলা আকাশের  বুকে 


আজকের এ কবিতা তোমার জন্য নয় প্রিয়, ভয় পেও না 

কথা দিচ্ছি , তোমার কথা আর কাউকে বলব না,  

বলব না রাতের আঁধারে দাঁড়িয়ে থাকা  হোস্টেলের -

চারতলা বিল্ডিংয়ের সামনের সেই আকাশী বাড়িটিকেও

তুমি ভয় পেও না, তোমাকে ছোট করব না

বিন্দুমাত্র দোষ দেব না,  আমাকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য অপরাধী করব না 

সবটাই আমার ভাগ্য বলে মেনে নেব 

ভাগ্যের কাছে হেরে গিয়ে ভালোবাসার স্মৃতি  আগলে বাকিটা পথ এগিয়ে যাব।  


আজকের কবিতা তোমার  জন্য  নয় প্রিয় 

আজকের কবিতা  আমার জন্যেও নয়

আজকের এ  কবিতা ভাঙাচোরা সেইসব মানুষদের জন্য 

যারা পেয়েও হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনদের৷  



বিঃ দ্রঃ -- ৩ নং ও ৪ নং লাইন দুটো সংগৃহিত।   

আপনাদের উৎসাহ আমাকে আরো ভালো লিখতে শেখাবে

অভিশপ্ত : রফিকুল ইসলাম



মানবতাকে বিপন্ন করে জাতি হয়েছে বন্দি
স্বার্থের নীতিতে মগ্ন হয়ে করেছে সন্ধি
সংখ্যালঘুর নির্যাতনে শুনেনি কেউ কাঁদন
মানব শিশুর কান্নার আওয়াজে জাতিকে করেনি বাঁধন।
অভিশপ্ত পৃথিবীতে অভিশপ্ত আমরা
অভিশপ্ত আমাদের জগৎময়
জাতি আজ বিবেকহীন মস্তক ধরণীর বুকে
মানবতা সব অসহায়।

ফিলিস্তিনি, কাশ্মীর যখন অবরুদ্ধ ধরণীর বুকে
কারো কন্ঠস্বরে শুনা যায়নি প্রতিবাদে সোচ্চার
সংখ্যালঘু বার বার নির্যাতিত হয়েছে শোকে
ধরণীর বুকে ছিল না কারো হুংকার
অভিশপ্ত পৃথিবীতে অভিশপ্ত আমরা
অভিশপ্ত আমাদের জগৎময়।
ধিক্ষিত মানব কণ্ঠ অকণ্ঠিত জীবন
সংখ্যালঘু সব বন্দিশালায়

ধমনীতে দেখা যায়নি প্রতিবাদে সোচ্চার
মারণাস্ত্রে অঙ্কুরিত করে জাতির মাঝে করেছে আবাদ
মানবতা যখন বিপন্ন ধ্বংসের লিলা
স্বার্থের নীতিতে গড়ে তুলিনি প্রতিবাদ।
অভিশপ্ত পৃথিবীতে অভিশপ্ত আমরা
অভিশপ্ত আমাদের জগৎময়
দশের লাঠি পুড়বে যখন একা
নিরবতা যে ভাবায়

আদমের ঘরে জন্ম নিয়ে ছিল শিশু নিষ্পাপ
ধরণীর বুকে জাতি করেছে আজ তাকে বিভেদ
দানবের বেশে ধরণীর বুকে সবাই যে মগ্ন
পাপিষ্ঠে অভিশপ্ত পৃথিবী গুণতে হবে বিপদ
অভিশপ্ত পৃথিবীতে অভিশপ্ত আমরা
অভিশপ্ত আমাদের জগৎময়
আর্তনাদে কাঁদিবে ধরণীর বুক
শুনিবে শোকে হায় হায়

দানবের বেশে ধরণীকে বার বার করেছে আঘাত
সৃষ্টির মাখলুকাত হয়েছে সবাই আজ বিপন্ন
মানবের কল্যাণে উন্মোচন হউক সব সৃষ্টি
না হয় জীবনের পরতে বিপদ যে আসন্ন।
অভিশপ্ত পৃথিবীতে অভিশপ্ত আমরা
অভিশপ্ত আমাদের জগৎময়
মানবের নীড়ে বিবেকের কাঠগড়া
মুক্তি যেন পায়।

সম্পাদকীয়


এবার মেঘে চাঁদ উঠেছে,জলের দরের খিদে,
কান্না লুকিয়েই সাজাবো পুজো,মিলনতিথি ঈদের।।

কঠিন সময় কাটছে না আর,এই দরিয়া হচ্ছে না যে পার,
মেঘ সরিয়েই ,আলো-ছায়া ,আসবে নতুন চাঁদ,খোদা'র।।

ধ্বংস হয়েও তাই ,ফিরে আসা যদি হয় ফের,
হেরে যাওয়া প্রতিটি মানুষও ,জেতে,আল্লার মুসাফির।।

ভালো থাকুন ,সুখে থাকুন ,ভালো রাখুন প্রিয় মানুষটিকে,
ফের দু কথা লিখবো আবার ,ফিরবো সবাই নিকোটিনে।।

সুস্থ্য থেকে ,যতটুকু দরকার ততটুকুই যাবো ঘরেই বাইরে,
কঠিন সময় ,তাই হাতে হাত রেখে চলতে হবে ভাইরে ।।


এবারের সংখ্যায় যারা লিখেছেন--

  নন্দিনী পাল
শুভঙ্কর  রাহা
কাজী জুবেরী মুস্তাক
অনিন্দ্য পাল
প্রীতম বিশ্বাস
রাহুল শীল
রিয়াজুল হক সাগর
অর্ঘ্যকমল পাত্র
রিঙ্কু মন্ডল
আর্য দাস
শোভন মন্ডল
রুমকি দেবনাথ
রাজা দেবরায়
শুভম চক্রবর্ত্তী
দেব জৈন
অভিজিৎ  দাস কর্মকার
পিনাকি কর্মকার
ইসমাইল মোল্লা
গোলাম রসুল
শ্যামল কুমার রায়
সুকুমার দাস
কিশলয় গুপ্ত
সুনন্দ মন্ডল
রিম্পা লাহা সুরাই
শিশির বিন্দু দত্ত
প্রীতি কর্মকার
জয়তোষ ঘোষ
মাসুদ হাসান
আরিফ মন্ডল ( পেঁচা)
আসামুদ্দিন সেখ
আস্তাইন বিল্লা
মান্নুজা খাতুন

     ধন্যবাদান্তে
নিকোটিন ওয়েব ম্যাগের সম্পাদকমন্ডলী