নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মৃত্যু : অনিন্দ্য পাল


তোমাকে লিখতে পারি না
সমস্ত বয়ে চলা থেমে গেলে
সমস্ত পথ উপপথ মিশে গেলে এক বিন্দুতে
সবকটা আলোর মোড়ক পৌঁছে গেলে তারপর
তোমার শুরু
অক্ষরে - সংলাপে
অবচেতন - অচেতনে
ধূসর শূন্য গুহামুখে একলা নির্জনে
জন্ম নাও তুমি ...

তোমাকে খুঁজতে ভয় হয়
তোমাকে ভাবতে ভয় হয়
অন্তরাল সুড়ঙ্গে নেমে যেতে পারি না
তবু জানি, জানি তুমি আসবে নিশ্চয়

মৃত্যু
তোমাকে ভয় পাই নি কখনও
পরখ করে চোখে চোখ রেখে দেখো কোনদিন
পিউপিলে খুঁজে পাবে জমানো ভালোবাসা
তবে বুকের এক কোণে কোথাও কেঁপে ওঠে
মন
যখন
সে তোমার জন্য নয়
যাদের জন্য আমি বলতে পারি "আমার"
সেই সব উজ্জ্বল মুখ-চোখ তাদের সবার
ওরাই আটকে রেখেছে, আত্মার কারাগার,

মৃত্যু
তুমি শাসন
তুমি শাসক
তুমি স্রোত
তুমি বাহক
হতে পারো তুমি মহাবিশ্বের যতি
আমি এঁকেছি তোমাকে এই দরজার ওপাশে
অন্য ব্রহ্মাণ্ডে, অন্য এক স্থপতি।

নব ছন্দে আমাবস্যা : অথৈ দেবনাথ (রিনা)



রাত্রি তখন দ্বিপ্রহর,
দুজনে ছিলাম অঘোর ঘুমে।
হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গায়,তোমার পাশে তাকাতে।
এক উন্মদনা জেগে উঠল সমস্ত শরীরে।
সত্যি অপরূপ শিল্প প্রতিমা তুমি,
রহস্য আঁধার।
ইচ্ছে হয় তোমাকে ছুঁয়ে দেখবার....
     অগ্রাসী সেই ইচ্ছে।
 তোমার ভীতরে ডুবে যাই আমি।
তুমি চোখে চোখ রাখাতে বুঝতে পাড়লাম, তখন তোমার কোপালে  গালে,নাকে সন্ধানী চুম্বন তরঙ্গের কামনা জেগেছিল
দেহ মনে।
আর চুপিসারে বললে বাইরে যাবে।
আমি বললাম এই এমন হিজল অন্ধকারে।
তুমি বললে দেখ
 প্রকৃতি কেমন গুমড়ে আছে,
আর নীরবে কাঁদছে।
আজ কোন প্রেমিক জুগল কিংবা কোন কবি,কোন গীতিকার, কোন নৃত্যকার আসেনি ছন্দ মেলাতে।
আসো আজ আমরা প্রকৃতির এই বোবা কান্নার সাক্ষি হই।
আর আমাদের ভালবাসা তাদের মাঝে বিলিয়ে দিই।
দেখবে,কামগন্ধী সৌন্দর্যভূক অবলীলায় মেতে উঠবে।
তারা সবাই একে একে......
নেচে উঠবে নতুন তালে আমাবস্যা নব ছন্দে।

ভালো থেকো : শিপ্রা পাল



ভালো থেকো——
ফেঞ্চকাট আর ধূসর টি-সার্টের অবাক চোখ
নদীটি কেমন দোল খায়, কাশের ঝালরে
কথা ছিলো, কথা হবে শিউলির বিকেলে!!

ভালো থেকো——
সারাটি দিন যায়, এখন আলো জ্বলে দূর পাহাড়ে
শীতের পরিযায়ী পাখিরা সবে আসতে শুরু করেছে
মৃদু ওমে ঠোঁট ছুঁয়ে দেয় গত শব্দের আঙুলে
হয়তো তোমার হাতে এই মুহূর্তে কিছু উপন্যাসের চরিত্র!!

ভালো থেকো——
বড়ই অলস হচ্ছে সময়ের অবহেলা
তবুও খুঁজতে খুঁজতে রাত জড়িয়ে নেয় কিছু অক্ষর
আগামী প্রতিধ্বনি আর চেনা গন্ধটুকু বাঁচিয়ে রাখে!!

ভালো থেকো——
কখনো ভাবা হয়নি, কতোটা ভালো আছি
পিচঢালা সড়কের পথে শুনতে এবং বুঝতে পারার সত্যিটা চমকপ্রদ
চাকার আঘাতে পিষ্ট নিরপরাধী প্রত্যাশার ভালো থাকা!!

বোঝাপড়া : জারা সোমা


জীবন কাটাতে হবে বলে
কেউ বসিয়েছিল শেষপাতে
তখন কেবল নুনজল
অন্তিম বোঝাপড়া ছুঁয়ে ছিল আঙুল

আগুন জ্বলতেই বেড়ে গেল তাপ
শরীর মন বুঝে নিল মাপঝোক
তবুও আরোপিত হল না শর্ত
বরং আগুন ও জলের স্ফুলিঙ্গে
সহবাসী প্রেম ও বিচ্ছেদ ..

জাগো হে যুবসমাজ : জয়দেব বেরা


দিনে দিনে এ সমাজটা
ভরে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িকতায় ও
আঞ্চলিকতার মায়াজালে।
চারিদিকে যেন রাজনৈতিকতার ঘন
কুয়াশায় ঢেকে গেছে এই সমাজ।
ধর্ম ও জাতি প্রথার অন্ধকার কুঁয়োতে
মানুষগুলো ব্যাঙের মতো বন্দি।
এই সমাজে নেই কোনো
অন্যায়ের প্রতিবাদ ও বিরোধিতা।
ধর্ষণের কবলে পড়তে হয়
আট মাসের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধাকেও।
চারিদিকে শুধু অন্ধকার,
নেই কোনো আলোর ছোঁয়া।
তাই,হে যুব সমাজ
তোমরা হও আগুয়ান।
তোমরা জেগে ওঠো,
আর নিশ্চুপ থেকোনা।
দূর করো এই অন্ধকারের প্রাচীর।
রক্ষা করো এই সমাজকে,
হে যুব সমাজ তোমরা জাগো।

আর ফেরা হয় না না-ফেরার ঘরে : শিপ্রা পাল


অলিখিত অধিকারে দাবী থাকতে নেই——
স্বপ্ন দেখা আর দেখানো, দু’টো এক ব্যাপার নয়
একমুঠো ছাই ওড়িয়ে দিলাম শূন্যতার আকাশে!!

হোঁচট খাওয়া বিকেলের দাবাদাবি
কখনো কী নীড়ভাঙা পাখির চিৎকার শুনেছো——
এখানে পথ শেষ হয়, যেখানে তোমার শুরু!!

বরফ জমা দুঃসময় ভীষণভাবে আঁটাআঁটি
কেবল-ই পড়ে থাকা অনিকেত সময়ে
তুমি এগিয়ে যাও, মাথা উঁচু করে সামনের দিকে
তখন তোমার হাতে জেতার চাবুক!!

কাজল কালো চোখে তাকিয়ে রয় বৃষ্টির কান্না
ভিজে যেতে যেতে একসময় সব শুকিয়ে  যায়
আর ছোঁয়া হয় না, ভেজে না অনাদি জমিন!!

চাঁদের কলঙ্ক, এক যাতনাময় আলো
যতো কাছে যাই, বেদনার রেখাটি জ্বলজ্বলে 
সূর্য ডুবে যায়— আর ফেরা হয় না,না-ফেরার ঘরে!!