নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

চির বিদ্রোহী: বিপ্লব গোস্বামী



তুমি চির বিদ্রোহী,করেছো বিদ্রোহ
আজীবন আপুষ বিহীন,হে মহা বীর ;
করেছো লড়াই বলদপী' অত‍্যাচারী সনে
তবু,কভু হওনি নত শীর।

বিলিয়েছো তুমি বিদ্রোহী বাহী
নিখিল অখিল ব‍্যাপিয়া ;
তোমারি ভয়ে অত‍্যাচারী সবে
উঠেছিলো সেদিন কাঁপিয়া।

নির্ভীক তুমি করেছো প্রতিবাদ
যেখানে যখনই হেরেছো অন‍্যয় ;
ধরণী তুমি ভাসিয়ে দিয়েছো
তব প্রতিবাদের বন‍্যায়।

রাজদণ্ড ভয়ে যে গান গাহে নাই কেহ
সে গান গাহিলে তুমি ;
গেয়েছিলে গান নির্ভীক তুমি
বীরেদের জন্মভূমি।

অত‍্যাচারী শাসক দিয়েছে কারাবাস
তবু হওনি নত শীর ;
করেগেছো রণ কলম সৌনিক
চির উন্নত তব শীর।

দুখু মিয়া তোমার দুঃখ বিনা
সুখ হলো না জীবনে ;
শেষ বেলা ধরলে মৌন ব্রত
কোন সে অভিমানে।

আঙুলের কলকেলি :অভিজিৎ দাসকর্মকার



কিশোরীর শেষে
জলজ-শ্যাওলায় লি লি বাতাস,
ঢেউয়ে দোলা অসংখ্য ঘুনসি বাঁধা নস্টালজিয়া

অতঃপর গলায় ছোট্ট মাদুলি আর,
গোরুটির ইউরেনাস অর্বিটে জাবর কাটা বা
পায়রা উড়ে যাওয়া ডট্-বল লেখা দানাটির উপর

পুটুস ফুল বাড়ছে স্যাটেলাইট ছাতা ধরে
কানের কাছে শালিক পাখিটি ওয়েব লেন্থ আঁকা বৃষ্টিদুপুর বলেছিল
ভলতেয়ার তখনো সামনে দাঁড়িয়ে

পাটকুহু পাখিটি মুখে করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে
নক্সা কাটা টুনটুনি পাখির অভিনয় যাপনের আষাঢ়িকোষ

অহল্যাবাই রাস্তাটি ঠিক
অক্লান্ত জলের বুদবুদ ভিড়ে মিশে গেছে,  আর-
সরবনে দ্রুপদীপদের আলাপ

সা-পা ধরে তানপুরা
সকালে খবরকাগজ হাতে
মৈত্রী চ্যানেল শোনে আর-
চায়ের ঠোঁটে গরম ক্ষণিক চুমু, এতে -
শিবরঞ্জনী ও রাগ হারায়

কবি শান্ত হয় কলমে 
প্রেমিকার কোলে মাথা আর
আঙুলের কলকেলিতে আঙটির কলাকোষ
সোনা-জল হয়ে বয়ে যায়...

খুশবু পারভিন এর প্রতি : হাসিবুল



বয়স আমার কেবল দশ
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি
মায়ের চোখের সোনামনি ছিলাম
বাবার চোখের পরি ।

পুজোর এক অনুষ্ঠানের
প্রতিযোগিতায় দিতে গিয়েছিলাম যোগ
হটাৎ পথে দস্যু এসে
করলো আমায় ভোগ ।

ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেছি মাগো
কেউ শোনেনি কথা
রাক্ষসের ন্যায় গিলে খেয়েছে
পেয়েছি অনেক ব্যথা ।

জানি কোন ইনসাফ নেই
এই ভারতের বুকে
তুমি মা আর কেঁদোনা ওগো
আমি আছি সুখে ।

বুক চিতিয়ে ঘুরে ওরা
এই সমাজের মাঝে
ইনসাফ নেই এই ভারতে
মাগো যেওনা রাজার কাছে ।


শরীর প্রেমী : ফিরোজ হক


ভালোবাসার জন্য বেঘর হতে চাই
আষ্ঠেপিষ্ঠে প্রতিটি মুহূর্ত আপন করতে চাই
সকল মুহূর্ত ফ্রেমে বাঁধা পড়ে না
অধিকাংশই মনের এক কোণে ঠাঁই পায়।

তৃতীয় নয়ন দিয়ে মুহূর্ত দেখে
 ম্লান হাসিতে মুখপলক ভরে ওঠে
কখনও বা চোখ দিয়ে দু-ফোটা জল...

গানের সুরে সুরে প্রিয়তমা খুঁজে পাই
দুষ্ট-মিষ্ট কথার ভাগীদার হতে
সারাদিন ওত পেতে বসে থাকি।
কখনও বা ক্ষণিকের ভাগীদার হই
কখনও বা ভাগীদারের ভ-ও জোটে না।

ভালোবাসার অঙ্গীকার হিসাবে
গাঢ় আলিঙ্গন থেকে চুমু,
তোমার পাশে আশ্রয় কিংবা
খুব কাছ থেকে তোমায় আপন করতে গেলে
শরীরপ্রেমী আখ্যা পেতে হয়।

আমি অকপটে স্বিকার করে নেই
আমি শরীরপ্রেমী...শরীরকেই ভালোবাসি।
তখনি তুমি সহ্য করতে না পেরে
নিজেকে শাস্তি দিয়ে বসে থাকো।

আর আমার মনের পিঞ্জরায় হুল ফোটে
ধর থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন করতে চাইলেও
তোমারি মায়ায় বেঁধে পড়ি...

আর শরীরের প্রতিটি কোণে কাজ করে
গভীর যন্ত্রণা...

লক্ষ্যভ্রষ্ট : সুদীপ্ত বিশ্বাস


পথিক আমি, পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে
ঠিক যে ভাবে ছোট্ট নদী ছুটতে-ছুটতে দারুণ বাঁচে!
মাধুকরী করেই আমি পাহাড় দেখে ঝর্ণাতলে
সেই যেখানে অরণ্য-বন ভালবাসার কথাই বলে;
সেই সে দেশে যেই না গেছি ছুটতে ছুটতে হন্যে হয়ে
নদীও দেখি দারুণ খুশি, আমার জন্যে যাচ্ছে বয়ে।
টুনটুনিটার মতই সরল, আমার হাতে রাখল সে হাত
তারপরে তো আপন হল, নদীর সে গান, জলপ্রপাত।
ছপ-ছপা-ছপ সাঁতরে শুধু ডুব-সাঁতারে, চিৎ-সাঁতারে
যাচ্ছি ডুবে উঠছি ভেসে কুল না পেয়ে সেই পাথারে।
এরপরে তো হঠাৎ করে সেই ফোয়ারা উথলে ওঠে
এমনি করেই ঝলমলিয়ে বাগানজুড়ে গোলাপ ফোটে।
গেলাম ভুলে পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে
বন্দী আমি আটকে গেছি, আটকে গেছি তোমার কাছে!

অস্তিত্বে: মুহম্মদ আল আমিন


পরিশ্রান্ত দিন শেষে যদি একলা লাগে-
আসবো তোমার ঘুমের দেশে।
মাঝ রাতে যদি মন খারাপ থাকে-
আসবো জোছনার বেশে।

আকাশ জুড়ে শূন্যতার ভরা রোদ্দুরে,
আসবো কায়াহীন ছায়া হয়ে।
নিশি রাতে সজনে পাতার অভিমান ভাঙিয়ে
তারার আলোর মতন দেবো তোমায় ছঁুয়ে।

সব আলো ফুরিয়ে গেলে
আমার দু’চোখের আলোটুকু নিও,
হঠাৎ তোমার ধারায় দিনেই যদি রাত নামে,
তবে সে অন্ধকার আমায় দিও।