জন্ম নেবার পর সময়ের সাথে তাল রেখে
স্বপ্ন দেখেছিলিস অনেক! অনেক ;
চেয়েছিলিস গড়তে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ,
করেছিলিস অঙ্গীকার বাবা-মাকে ভালো রাখার।
তখনও শুনিস নি বোধহয় সংসার নামক শন্দটা,
বুঝিয়ে কেউ দেয় নি তোকে ঘর- সংসার স্বামীর অর্থ।।
বারোর কাটা অতিক্রম করে সবেমাত্র দিয়েছিলিস পা পনেরোই
সময় হয়েছিল তোর, এজগৎকে নতুন করে চেনার
তার পরিবর্তে! অভাবের সংসারের দোয়ায় দিয়ে
এতটুকুন তোকে ঘোমটা পরিয়ে দিয়ে এল ছাদনাতলায়
পুতুলের মতো করলি মন্ত্রপাঠ, বাবা মা ফেলল স্বস্তির নিঃশ্বাস।।
বিনিময়ে! বিনিময়ে পেলি টা কি তুই বোন?
বয়সে দ্বিগুণ স্বামীর বিকৃত কামের ফাঁদের পড়ে
বিয়ে বাড়ির সানাই বন্ধ হওয়ার আগেই ঠাই হলো তোর হাসপাতালে;
দিনের আলো ফুটতে বা ফুটতে হারালি তাদের
মন্ত্রপাঠ করে করেছিলিস গোত্র ধারণ যাদের
স্বামী পালাল কৈফিয়ৎ আর লজ্জার ভয়ে, আত্মীয় পালাল দায়সারাভাবে দ্বায়িত্ব পালন করে।।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে
পাত্রপক্ষের ঝুলি ভরতে গিয়ে সর্বশান্ত হওয়া হতভাগ্য পিতা এল দ্রুতপদে।
রক্তের অভাবে, অর্থের অভাবে ধুকতে ধুকতে চলে গেলি অকালে।
বুঝলি না তুই সংসারের মর্মবাণী, পেলি না আস্বাদ
কৈশোরের লীলাচপলতার
রয়ে গেল অজানা সব কিছু তোর অভিধানে
তবু তুই জেনে গেলি বোন! নারীর যন্ত্রণা।।