নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট : আহাম্মেদ হৃদয়



ক্রিকেটের দামাকা টুয়েন্টি ওভারে
টান টান শিহরণ, গ্যালারির ভিতরে।

জাদুকরী বলার বল করেন পিচে
বলে বলে ছক্কা, মাথা বুক চিতিয়ে।
শতকের সেন্ঞ্চুরি নিতে চায় হাকিঁয়ে
বল দেখে ব্যাটসম্যান, থাকে শুধু তাকিয়ে।

আগুনের ফুলকি ঘর্ষা খায় পিচে
ব্যাট হাতে ব্যাটসম্যান, চোখ দেখে শর্ষে।
প্রতিবলে মনে হয় এই বুঝি ছক্কা
ঘুর্নির গতিবলে ব্যাটসম্যান অক্কা।

শিশুর না: আহাম্মেদ হৃদয়



হাসঁ ডাকে
মুরগি ডাকে
ডাকে কবুতর।

তাই না দেখে
শিশু নাচে
নাচে নয়া বর।

হাসঁ ডাকে খালে-বিলে
মুরগি ডাকে চালে।
শিশু নাচে মাঠের ভিতর
নয়া বরের সাথে।

জীবন এ্যাশট্রে :-শাহীন রায়হান


কতগুলো নিহত ধূসর ছাই নিঃসঙ্গ পড়ে আছে
বেদনাহত জীর্ণ এ্যাশট্রেতে
এক সময় ওরা ছিলো জেব্রা ক্রসিংয়ের মতো
সাদা কালো রং চকচকে জীবন্ত নিসর্গ
খরস্রোতা নদীর বুকে নক্ষত্র রাতে একাকী
ভেসে চলা প্রিয়তম জবা
হৃৎপিণ্ড রিদমে অন্ধকারে জ্বলে ওঠা
এক টুকরা অমলিন আশার আলো
প্রেম প্রত্যাশায় জেগে ওঠা এক বাসন্তী গোলাপ কুঁড়ি।
তোমাকে তৃষ্ণায় ছুঁয়ে যাওয়া বৈকালি
পাখির কলরব
.
আমার যন্ত্রনাময় ক্রুদ্ধ ব্রহ্মান্ডের জ্বলন্ত চিতায়
সেই কবে পুড়ে গেছো তুমি-
আজ তুমি স্বপ্নহীন স্মৃতির অদ্ভুত ক্যালেন্ডারে নেই
কোথাও নেই
শুধু জীবন এ্যাশট্রেতে দিশাহীন পড়ে আছে
নগ্ন আতশ কাঁচের প্রেমহীন আগুনে পোড়া
স্বপ্নহীন ঘাসের মিহি ডগার মতো
নিদ্রাহীন কতগুলো ছাই।

"রাজখেলা" :মিঠুন কর্মকার



শিকল পড়িয়েছে মোদের হাতে
শিকল পড়িয়েছে মোদের বুদ্ধিতে,
শিকল পড়িয়ে করেছে বিকল
সুন্দর এই রাজনৈতিক ফন্দিতে ।

ডিগ্রি গুলো হয়েছে বোঝা
কোনো পথেই লাগে না সোজা
লক্ষ্যে স্থির রয়েছি আমি
তবুও কঠিন হয়েছে পথ খোঁজা।

রাজপথে কেবল যন্ত্রণাময় হাহাকার
শোনা যাচ্ছে শিক্ষিত বেকারদের চিৎকার,
নিজের অধিকারকে আদায় করতেও
হবু শিক্ষকদের খেতে হচ্ছে পুলিশের মার।

ছেড়া হচ্ছে পোশাক যারা শিক্ষিতা বেকার
কিছু জন বানিয়েছে রাজনীতিকে হাতিয়ার,
বোমা ও ধর্মই আজ রাজনৈতিক মহলে
এক খেলা দেখিয়ে চলেছে অতি চমৎকার।

মরুস্থলে : বাবুল চন্দ্র শীল


নিশি অবসানে রবির তপ্ত কিরণে
ছড়ালে উষ্ণ প্রাণের ছটা।
যত বেলা বাড়ে নাভিশ্বাস ওঠে
সে এক ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা ;
অগনিত পশুপাখির দল
খোঁজে ছায়া সুনিবিড় আশ্রয়স্থল,
জল জল বলি তাদের গলা ফাটে,
শুধু উটেরা দেয় জীবন যুদ্ধে বাঁচার মন্ত্রণা।

গুল্মগুচ্ছের ছায়াহীন আবাস
দিনের তপ্তবালুকার শ্বাস,
দমকা এক শুষ্ক হাওয়ার টানে
দল ভাঙ্গে ডিউনের সারি,
চিন্তা নেই তাদের -
আজ এখানে তো কাল সেখানে জমাবে পাড়ি।
শুধু এরাই জীবন মৃত্যুর অটুট সত্যটা জানে।
দিনের শেষে শীতল বাতাস মৃদুমন্দ বহে
প্রাণে জাগে হিমের পরশ রাতের মরুস্থলে।

পুস্পিতা সমীপে : নির্ঝর চৌধুরী



পুষ্পিতা,
তোমার পত্র পেয়েছিলাম সেদিন নব বর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে...
সেদিন আকাশে অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল।তেমনি এক বসন্তে বারি ধারায় প্লাবিত হয়েছিল আমার পৃথিবী।তোমার তা মনে থাকার কথা নয়।শুনেছি সুখ সাগরের পাড়ে নাকি তোমার বাস।সেখান থেকে স্মৃতিরোমন্থন করার প্রশ্নই আসেনা।অথচ আমি! আমি আজ অব্দি প্রতিনিয়ত কবিতায় তোমাকে সাজাই প্রতিটি শব্দে! কি অদ্ভুতভাবে এত কথা এতো আয়োজন তোমার অনুভূতির দোয়ারে কষাঘাত করেনি।তোমার কবিতায়, তোমার অনুভূতি থেকে আমার অবস্থান বহু বর্গমাইলের ব্যবধান!

বায়না ছিল এই বসন্তে বনলতা থেকে একটা কবিতা চাই! বসন্তের সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো! আজও কবিতা হয়ে উঠেনি আমার বায়না.... 'জোছনা'র গায়ে কবিতার জন্ম দিয়েছো কতো শত! অথচ প্রতিক্ষার কবিতা,বায়নার চিঠি,কিছুই হয়ে উঠলোনা....
ঠিক এই ওখানটাতেই হেরে যাই বারংবার, অবধি কেবল পালাই পালাই করছি আর ভাবছি আর কতটা প্রেম,কতটা ভালোবাসা নিয়ে যেতে তোমার অনুভূতির দোয়ারে!
এখন কেবল একটাই-
কিছু ইচ্ছেদের পাঠিয়ে দেবো নির্বাসনে,আর কিছু ইচ্ছে ভেসে যাক অবেলার বৃষ্টিতে.... কিছু ইচ্ছেদের খুন করবো দিবারাত্রিতে।