আড়ামোড়া ভাঙতে ভাঙতে যখন কমে আসে
রাতের আয়ু, নিদ্রা ছেড়ে ফ্যালে একের পর এক
রাতের পোষাক, ওদিকে ঘুলঘুলি পেরিয়ে পৌঁছায়
সবুজ আলো - বিনা অনুমতিতে ছুঁয়ে যায়
নিষিদ্ধ অঞ্চল, ঠিক তখনই আমার বুদ্ধিকোটরে
কিলবিল করে বেঁচে ওঠে, মর্গের ড্রয়ারে শুয়ে থাকা
সমবয়সী অপমান ...
তারপর,
চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে চলে সেই সব ফুৎকার
যেগুলোর হুকুমে কালো হয়ে যায় রোজ ভোরবেলা
অন্ধকার বাড়তে বাড়তে যখন দুচোখের গহ্বরে
ফুটে ওঠে মৃতভোজী কৃষ্ণ গহ্বর
তখন আবার এক মহাজাগতিক বিস্ফোরণ
আমাকে পৌঁছে দেয় শূন্য সময়ে
কাউকে পাই না সেখানে
কোন মুখ নেই
অবয়ব নেই
ভালোবাসা নেই
ঘৃণা নেই
জন্ম নেই
মৃত্যুকেও দেখিনা শরীরে বা অশরীরে
শুধু আমি
একা আমি আর সমস্ত না থাকা অথবা
বর্তমান শূন্যতা ঘিরে ধরে চারধারে
ভেঙে পড়ে আমার ভিতরে
মিশে যেতে থাকি স্থান-কাল সহবাসে...
তারপর কখন জ্বলে ওঠে খিদে
বেজে ওঠে অশালীন ডোরবেল
ডেকে যায় বাজারের থলি
আবার ঘুমিয়ে পড়ে সমস্ত কৃষ্ণগহ্বর এবং
অসীম শূন্যতা
তখনই, ঠিক তখনই জেগে উঠি আমি
জীবনের চোরকাঁটা ভরা মাঠে
রেফারীর বাঁশি শুনে তখন আমি
অবাক খেলোয়াড় ...