নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সামলে পড়ো:- শুভম চক্রবর্ত্তী


রাত্রি যোগায় কালি,
উচ্ছাস দেয় জোনাক।
কিছু বালক আছে,
ওরা খাবার না পাক।

তুমি উপরতলা,
আমি ফুটের 'যাতা'।
তুমি ধর্ম মানো,
আমি পেরোব না পা।

অনেক চিন্তা আছে,
যারা ঘুমায় না রাত।
অনেক স্বপ্ন বুকে,
যারা যাচ্ছে নিপাত।

তাই খাবার আনি
এই তোমার দুয়ার,
তুমি ধর্ম খোঁজো
এই 'প্যকেট' ছোঁবার।

তুমি বুলিও দাও
ঐ সাম্যবাদের,
একি বিচার তোমার
একবিংশ সালের।

আজ লজ্জা লাগে
এই এদের দেখে,
এরা রবীন্দ্র নজরুল এর উত্তর
এরা কী বা শেখে।

যদি সোজায় লিখি,
আমি দেশদ্রোহী।
তুমি সামলে পড়ো
জপি ত্রাহী ত্রাহী।



বিশ্ব মানবতা এখন সেদিনের অপেক্ষায়...।। : প্রলয় কুমার বিশ্বাস




যোগ বিয়োগের সহজ নিয়মেও
যেসব হিসেব মেলেনি কোনোদিন,

কোথাও যোগ, কোথাও বা বিয়োগ,
কিন্তু, এটা যে মানতেই হবে-
ভগ্নাংশ কখনও তো পূর্ণ সংখ্যা ছিল।
কোনদিন তা আবার একেই এসে মিলবে!

বিশ্ব মানবতা এখন সেদিনের অপেক্ষায়........

কেবল জোকারের সার্কাস!: অমিত কুমার জানা


রঙ্গভূমিতে সার্কাসের প্রদর্শন হয়ে চলেছে বছরের পর বছর,
অলৌকিক কিছু উপভোগের আশায় গণতন্ত্রের দর্শকাসনে উপবিষ্ট জনতা আপামর।

নিয়মমাফিক ভাষ্যকার আসে,হয় খেলা শুরুর ঘোষণা,
উৎসুক দর্শকরা যেন খুঁজে পায় আনন্দলাভের প্রেরণা।

জোকার আসে একের পর এক,আর ডিগবাজি খায়,
উচ্ছল দর্শক হাততালি দেয়, এতেই কি মন ভরে যায়?

ওরা চায় আরও কিছু  আরও বিস্ময়কর,
অপূর্ব দৃশ্যে ওরা হতে চায় বিভোর।

ব্যবস্থাপক লোকদেখানো তোড়জোড় করে,করে জারিজুরি,
কিন্তু রঙ্গমঞ্চে প্রেরিত হয় নতুন জোকার আহামরি!

নতুন মুখ দেখেই শুরু হয় দর্শকের সমবেত হাততালি,
নব ভেলকি দর্শনের আশা বৃথা,সে গুড়ে বালি!

সার্কাস শেষ হয়, দর্শক আশাহত বুকে ঘরে ফেরে,
ওদের পকেট খালি হয়,মালিকের পকেট যায় ভরে।

নির্বোধ দর্শক তবু আশা ছাড়ে না,সামনের সারিতে বসার লড়াই করে,
মালিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়: অবাক করা উপহার দেবই পরের বারে।

পটভূমি: পলি ঘোষ



নষ্টকল্পে তলিয়ে যাবার সময়
বেঁচে আছি জড়িয়ে তোমার গানে।
নরকলোলুপ ডাকে তা ধিন ধিন
নয়ন মেলে দেখি তুমি আছ সঙ্গে।

আমার কাছে গান জীবনপথের এক মন্ত্র
মেঘপাড়ার গোপনতম অলিন্দে
আমার ব্যকুলতার দীর্ঘশ্বাস।

সৃষ্টিকে রক্ষা করতে চেয়ে
যে নায়িকা শুধুই প্রতিরোধ গড়ে
পাখির চোখের শত শান্ত বলয়রেখা
সমাজ, পরিজন হিসেব রাখে
      জ্বলে ওঠে চোখ ও নিশানা
ঘোর অমাবস্যার নেশায়।
সে কথা বলে মৌন নির্জনতায়
শূণ্যতায় বুঝেছে কবিতার পদভূমি।

আরব্য রজনী : দেবাশীষ সরকার



বহু  যুগের  কাঙ্খিত স্পর্শে
হৃদয়ের ভালোবাসা ফল্গুধারার মতো 
বেরিয়ে আসে
স্বপ্নের মতো ভেসে যায়
অনাবিল মুগ্ধতার স্রোতে । 

ধীরে ধীরে মিশে যায় গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে 
সব লাজুক স্পর্শ অনুভূতি l
দুরন্ত যৌবন ঢেউ আছড়ে পরে
বালিয়াড়ির রুক্ষ জীবন তটে l

ভালোবাসার নির্যাসে জ্বলে ওঠে মনের ধ্রুবতারা ,
আবেশী রাত কে করে চোখের কাজল ;
চেনা অচেনা  দেহজ ঘ্রাণে
লেখা হয় এক অনন্য আরব্য  রজনী ---

প্রেমায়ু : ইহান



ভোরের আলো যেমন বাসি ঠোঁটের আদর দেয়
সকালের তাড়াহুড়ো জানায় ব্যস্ততার মাঝেও তপ্ত অনুভূতি
মধ্যাহ্নের পরিকল্পিত কথোপকথন আর কর্তব্যের আস্ফালন
আর দিনের শেষে অস্বাভাবিক আদরের নীরবে অবতরণ॥

প্রতিদিন আমাদের ঝগড়া হয়
আর অজুহাতে নেমে আসে " সম্পর্কের বয়স "
তবুও প্রতিবার এটাই প্রমাণ হয় যে একজন মাথানত করে
অন্যজন ভালোবেসে কাছে টেনে নেয় ....
আর যাই হোক সম্পর্কটিকে সম্মান দু'জনেই করতে জানে ।।

সবকিছুই যেন সেই আগের মানুষটিকে বদলে দেয়
বলে দেয় গোপনে বদল যদিও হয় তবে সে তার নিজস্ব 
অভিমান যদিও হয় তবে তার অবসানও হয়
সেই ভালোবাসাকে ছুঁয়ে দিয়েই .... 
সম্পর্কের বয়স যদিও হয় তবে অনুভূতিগুলিও ভীষণ পোক্ত 
সাবলম্বীতার রূপবিন্যাসে ছুঁয়ে যায় আপাদমস্তক॥ 

" মনের গহীনে বাস করে যে জন ,,,
সেই জন প্রকৃত অনন্তের উদাহারণ "