নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সীমান্তের শহীদ : অমিত কুমার জানা




প্রবাদে আছে 'বীরভোগ্যা বসুন্ধরা,
বাস্তবে বীর জোয়ানের সব সুখই অধরা।
দেশমাতৃকার রক্ষার দায়িত্ব অর্জনের তরে,
অকথ্য কায়িক শ্রমে নিজেদের গড়ে তোলে তিল তিল করে।
তাদের প্রসর স্কন্ধ একে একে গ্রহণ করে প্রশিক্ষণ,
তারপর শপথ নেয় নির্দ্বিধায় করতে জীবন সমর্পণ।
যৌবনের স্বপ্ন, সাংসারিক সুখের অপমৃত্যু হয়,
এভাবেই দেশ রক্ষিতে বীর সেনার আগুয়ান অকুতোভয়।
কখনো সীমান্তের তুষার ঝড় গায়ে মেখে নেয়,
কখনো খোলা আকাশকে ছাদ ভেবে রাত কাটায়।
কখনো স্মৃতির আঙিনায় ভেসে ওঠে স্বজন,
অবসন্ন শরীরে অশ্রূমাখা হয় দুটি নয়ন।
এভাবেই দিন রাত কেটে যায় সীমান্তের নিরাপত্তায়,
অন্যথায় দেশবাসীর দুঃস্বপ্ন, ব্যাঘাত অনিবার্য সুখনিদ্রায়।
সারা দেশ যখন নিদ্রাচ্ছন্ন এরা তাকিয়ে থাকে নক্ষত্র খচিত আকাশপানে,
কখনো বা শত্রুপক্ষের বুলেট এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় তরতাজা প্রাণে।
হয়তো বা শত শত প্রাণ লুটিয়ে পড়ে জঙ্গির বোমা বিস্ফোরণে,
কফিনবন্দী নিথর বিচ্ছিন্ন দেহ ফিরে আসে জন্মস্থানে।
শীততাপের আরামে নেতা মন্ত্রীরা টাকার অংকে করে ক্ষতি পূরণের ঘোষনা,
নতুন শত শত তরুণ পুনঃপ্রস্তুত হয় ,সত্যিই এ তো অমর শহীদদের প্রেরণা।

সামলে পড়ো:- শুভম চক্রবর্ত্তী


রাত্রি যোগায় কালি,
উচ্ছাস দেয় জোনাক।
কিছু বালক আছে,
ওরা খাবার না পাক।

তুমি উপরতলা,
আমি ফুটের 'যাতা'।
তুমি ধর্ম মানো,
আমি পেরোব না পা।

অনেক চিন্তা আছে,
যারা ঘুমায় না রাত।
অনেক স্বপ্ন বুকে,
যারা যাচ্ছে নিপাত।

তাই খাবার আনি
এই তোমার দুয়ার,
তুমি ধর্ম খোঁজো
এই 'প্যকেট' ছোঁবার।

তুমি বুলিও দাও
ঐ সাম্যবাদের,
একি বিচার তোমার
একবিংশ সালের।

আজ লজ্জা লাগে
এই এদের দেখে,
এরা রবীন্দ্র নজরুল এর উত্তর
এরা কী বা শেখে।

যদি সোজায় লিখি,
আমি দেশদ্রোহী।
তুমি সামলে পড়ো
জপি ত্রাহী ত্রাহী।



বিশ্ব মানবতা এখন সেদিনের অপেক্ষায়...।। : প্রলয় কুমার বিশ্বাস




যোগ বিয়োগের সহজ নিয়মেও
যেসব হিসেব মেলেনি কোনোদিন,

কোথাও যোগ, কোথাও বা বিয়োগ,
কিন্তু, এটা যে মানতেই হবে-
ভগ্নাংশ কখনও তো পূর্ণ সংখ্যা ছিল।
কোনদিন তা আবার একেই এসে মিলবে!

বিশ্ব মানবতা এখন সেদিনের অপেক্ষায়........

কেবল জোকারের সার্কাস!: অমিত কুমার জানা


রঙ্গভূমিতে সার্কাসের প্রদর্শন হয়ে চলেছে বছরের পর বছর,
অলৌকিক কিছু উপভোগের আশায় গণতন্ত্রের দর্শকাসনে উপবিষ্ট জনতা আপামর।

নিয়মমাফিক ভাষ্যকার আসে,হয় খেলা শুরুর ঘোষণা,
উৎসুক দর্শকরা যেন খুঁজে পায় আনন্দলাভের প্রেরণা।

জোকার আসে একের পর এক,আর ডিগবাজি খায়,
উচ্ছল দর্শক হাততালি দেয়, এতেই কি মন ভরে যায়?

ওরা চায় আরও কিছু  আরও বিস্ময়কর,
অপূর্ব দৃশ্যে ওরা হতে চায় বিভোর।

ব্যবস্থাপক লোকদেখানো তোড়জোড় করে,করে জারিজুরি,
কিন্তু রঙ্গমঞ্চে প্রেরিত হয় নতুন জোকার আহামরি!

নতুন মুখ দেখেই শুরু হয় দর্শকের সমবেত হাততালি,
নব ভেলকি দর্শনের আশা বৃথা,সে গুড়ে বালি!

সার্কাস শেষ হয়, দর্শক আশাহত বুকে ঘরে ফেরে,
ওদের পকেট খালি হয়,মালিকের পকেট যায় ভরে।

নির্বোধ দর্শক তবু আশা ছাড়ে না,সামনের সারিতে বসার লড়াই করে,
মালিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়: অবাক করা উপহার দেবই পরের বারে।

পটভূমি: পলি ঘোষ



নষ্টকল্পে তলিয়ে যাবার সময়
বেঁচে আছি জড়িয়ে তোমার গানে।
নরকলোলুপ ডাকে তা ধিন ধিন
নয়ন মেলে দেখি তুমি আছ সঙ্গে।

আমার কাছে গান জীবনপথের এক মন্ত্র
মেঘপাড়ার গোপনতম অলিন্দে
আমার ব্যকুলতার দীর্ঘশ্বাস।

সৃষ্টিকে রক্ষা করতে চেয়ে
যে নায়িকা শুধুই প্রতিরোধ গড়ে
পাখির চোখের শত শান্ত বলয়রেখা
সমাজ, পরিজন হিসেব রাখে
      জ্বলে ওঠে চোখ ও নিশানা
ঘোর অমাবস্যার নেশায়।
সে কথা বলে মৌন নির্জনতায়
শূণ্যতায় বুঝেছে কবিতার পদভূমি।

আরব্য রজনী : দেবাশীষ সরকার



বহু  যুগের  কাঙ্খিত স্পর্শে
হৃদয়ের ভালোবাসা ফল্গুধারার মতো 
বেরিয়ে আসে
স্বপ্নের মতো ভেসে যায়
অনাবিল মুগ্ধতার স্রোতে । 

ধীরে ধীরে মিশে যায় গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে 
সব লাজুক স্পর্শ অনুভূতি l
দুরন্ত যৌবন ঢেউ আছড়ে পরে
বালিয়াড়ির রুক্ষ জীবন তটে l

ভালোবাসার নির্যাসে জ্বলে ওঠে মনের ধ্রুবতারা ,
আবেশী রাত কে করে চোখের কাজল ;
চেনা অচেনা  দেহজ ঘ্রাণে
লেখা হয় এক অনন্য আরব্য  রজনী ---