নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আর্য পুরুষ: সুমিত মোদক




সকাল হতে না হতে এক এক করে জমা হতে থাকে
অচেনা মানুষ গুলো দরজার সামনে ;
অথচ , চেনা পরিচিত মানুষজন অনেক দিন হল
এ মুখো হয়নি ;
#
আমার উঠান চিরকালই বড় ...
সে কারণে হাজার হাজার মানুষ
এক সঙ্গে মিলিত হতে পারে প্রথম সকালে ;
#
ঘরের দরজাটা খুলে দেখি সামনে একটা আকাশ ;
সেই আকাশের মাঝখানে আমি দাঁড়িয়ে ;
#
আমার আকাশ আমাকে করে তুলেছে
এক আর্য পুরুষ ।।

তিল :- সঞ্জয় গায়েন


 ও বলেছিল ওর একটা গোপন তিল আছে। আমি যদি সত্যি  প্রেমিক হই তবে খুঁজে পাব। 
  এ আবার কেমন কথা? তুমি যদি ফুলের পাপড়ির মতো নিজেকে মেলে ধরতে পারো, আমি অনায়াসে তা খুঁজে দেব।
 -তাই! বেশ। কিন্তু মনে রেখ, পরীক্ষায় ফেল করলে আমায় হারাবে। 
    শুনে হেসেছিলাম। আমার স্মাইলি দেখে ও কিছুক্ষনের মধ্যেই  হোয়াটসঅ্যাপে একের পর এক সেলফি সেন্ড করতে লাগল। প্রথমে পায়ের ছবি। দেখি বাঁপায়ের পাতায় দুটো আর ডানপায়ের বুড়ো আঙুলে একটা তিল।   এইভাবে একে একে ঠোঁটের কোণে, ডানচোখের পাতায়, বাঁ ভ্রু-র পাশে, ডানদিকের চিবুকে, গলার মাঝখানে, বাঁহাতের কনুইয়ে, ডানদিকের ঘাড়ে...   ছোট্ট ছোট্ট কত তিলের ছবি দেখিয়ে গেল।
- কিন্তু এগুলো তোমার গোপন তিল নয়। 
বলতেই ও এরপর নাভিদেশের সেলফি পাঠালো। আমি যথারীতি জানালাম, না, এটাও নয়।
-ভেবেছ গোপন তিল মানেই গোপন জায়গায় থাকে! কিন্তু মশাই, আর তো কিচ্ছু দেখাবো না।
-আমি তো সেকথা বলি নি। বলেছি যেগুলো দেখালে সেগুলো তোমার গোপন তিল নয়।       
- তাই! তবে বলো সেটা কোথায় আছে?                                                                       - সেটা এমন জায়গায় আছে যার সেলফি মোবাইলে ওঠে না।
-তাই বুঝি!
-হুম।
- তা কোথায় আছে শুনি।
-কেন তোমার বুকের বাঁদিকে যেটা সবসময় ধুকপুক করছে। তার ভিতরে আছে সেই গোপন তিল। 


                                         

সে ভালোবাসা বোঝে না : আহাম্মেদ হৃদয়



সূচনা..........
তুমি কি ভালোবাসাও আমায়,
নাকি ভাসো না?
রাত দিন একাকার হয়ে যায়
কষ্ট যত্ননার তীব্রতা........
বুকে হাজারো যন্ত্রণা
সূচনা তুমি কি তা বোঝনা।
ভালোবেসে যোদি করে থাকি ভুল
যতন করে কেনো হাতে দিলে ফুল।
দিয়েছো একি যন্ত্রণা
তোমার অনুভুতি ছাড়া,
কিছুই ভালো লাগে না।
ঐ সূচনা.......
আমি তোমাকে কতো খুঁজেছি
পদ্ম, মেঘনা, যমুনায়।
তুমি আমাকে দিয়েছো
কষ্টের এক বিশাল হিমালয়
বলেছিলে আসবে তুমি ফিরে
কিন্তু, তুমি আর এলে না।
তবে তুমি কি আমাকে,
আর ভালোবাসো না...?
ঐ সূচনা...
আজ আমার ঘর আমার কাছে
সুখ দুঃখের আলপনা।
বলে ছিলাম তোমাকে নিয়ে
আমার স্বপ্নের রঙিন ঘর সাজাঁবো,
কিন্তু, সেটা বোঝি আর হলো না।
তোমাকে কতটা ভালোবাসি,
কেনো তুমি তা বোঝোনা।
আমার ভুলটা কি সেটা...
তুমি বলো একবার।
সূচনা......
তুমি কি ভালোবাসো আমায়
নাকি ভালো না...?
ঐ সূচনা...
সূচনা

শারদীয়া : জয়দেব বেরা



আশ্বিনের শুক্লপক্ষে
হয়েছে মা দুর্গার আগমন
দেবী দুর্গা ধরিত্রীতে অবতীর্ণ
হয়েছিলেন মহিষাসুর কে করিতে নিধন।।
মা এর পাশে থাকে কার্ত্তিক, গণেশ,মহেশ্বর, দেবী লক্ষী ও বীণাপাণি,
দেবী দুর্গা হলেন এই জগতের মঙ্গলদায়িনী,মহিষাসুরমর্দিনী এবং অসুরবিনাশিনী।।
জগতের সমস্ত জীব অপেক্ষায়
থাকে দেবী দুর্গার আগমনে,
শুভ এই শারদীয়ায়
প্রকৃতিও যেন সেজে উঠে আপন মনে মনে।।
জাতি ,ধর্ম, বর্ন, নির্বিশেষে আয়, মোরা করি সকলে মায়ের আরাধনা ও দুর্গা দুর্গা নাম
নারী শক্তিরূপিনী,মঙ্গলদায়িনী দেবী
দুর্গাকে জানাই মোদের শতকোটি প্রণাম।।

নিমন্ত্রণ : রহমান জিল্লুর


এসো, পুনর্বার বশী-ভূত করো প্রণয় মন্ত্রণায়
মুখে পুরে দাও পিয়ালা বিষের।

কী যে দুঃসহবাসে দিন গেছে আমাদের!
ঝরে যাওয়া সময় থেকে মৃত্যুর -
গন্ধ আসে আজও...

শোকের মাতমে ফেটে যায় মাটির হৃদয়।

এসো, পুনর্বার রোপন করো প্রলয় আসক্তি
ভঙ্গুর করোটিতে জেগে উঠুক
রক্তশ্বাস।

হে
দুর্ভোগ মরীচিকা
এই মন্হর জীবন থেকে আমাকে মুক্তি দাও।

কী যে দুর্বিষহ শীতকাল আমার ভেতরে -
বাহিরে স্তব্ধ কুঁয়াশা...

                                                  দেখে যাও
                            স্মরণ আর সহানুভূতিতে

শেষবারের মতো পুনর্বার,
মধু-আলিঙ্গনে জড়িয়ে রাখো রাত্রির গুহায়।

এ রূপকথা নয় :প্রলয় কুমার বিশ্বাস


           
           

জ্বলছে দেখো মানচিত্র,  স্বপ্ন নয়গো সত্যি,
চিত্তের খাতা পুরো ভর্তি, বাদ নেই একরত্তি!
আগামীর যা কথা ছিল, সেসব আজ মিথ্যা,
বৃহস্পতি শৃঙ্খল বলেই, শুক্রাচার্যে দীক্ষা!
বাজনা বাজায় নিরো রাজা বন্ধ করে চোখ,
কুমির কান্না চোখে মুখে,  বিলাসিতায় ঝোঁক।

এ রূপকথা নয়,...
চরম বাস্তব।
চোখ খুলে জেগে দেখো একটিবার,
জীবনবিমা তেমনি আছে,
শূন্য ঘর, ফাঁকা চেয়ার!