নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শারদীয়া : জয়দেব বেরা



আশ্বিনের শুক্লপক্ষে
হয়েছে মা দুর্গার আগমন
দেবী দুর্গা ধরিত্রীতে অবতীর্ণ
হয়েছিলেন মহিষাসুর কে করিতে নিধন।।
মা এর পাশে থাকে কার্ত্তিক, গণেশ,মহেশ্বর, দেবী লক্ষী ও বীণাপাণি,
দেবী দুর্গা হলেন এই জগতের মঙ্গলদায়িনী,মহিষাসুরমর্দিনী এবং অসুরবিনাশিনী।।
জগতের সমস্ত জীব অপেক্ষায়
থাকে দেবী দুর্গার আগমনে,
শুভ এই শারদীয়ায়
প্রকৃতিও যেন সেজে উঠে আপন মনে মনে।।
জাতি ,ধর্ম, বর্ন, নির্বিশেষে আয়, মোরা করি সকলে মায়ের আরাধনা ও দুর্গা দুর্গা নাম
নারী শক্তিরূপিনী,মঙ্গলদায়িনী দেবী
দুর্গাকে জানাই মোদের শতকোটি প্রণাম।।

নিমন্ত্রণ : রহমান জিল্লুর


এসো, পুনর্বার বশী-ভূত করো প্রণয় মন্ত্রণায়
মুখে পুরে দাও পিয়ালা বিষের।

কী যে দুঃসহবাসে দিন গেছে আমাদের!
ঝরে যাওয়া সময় থেকে মৃত্যুর -
গন্ধ আসে আজও...

শোকের মাতমে ফেটে যায় মাটির হৃদয়।

এসো, পুনর্বার রোপন করো প্রলয় আসক্তি
ভঙ্গুর করোটিতে জেগে উঠুক
রক্তশ্বাস।

হে
দুর্ভোগ মরীচিকা
এই মন্হর জীবন থেকে আমাকে মুক্তি দাও।

কী যে দুর্বিষহ শীতকাল আমার ভেতরে -
বাহিরে স্তব্ধ কুঁয়াশা...

                                                  দেখে যাও
                            স্মরণ আর সহানুভূতিতে

শেষবারের মতো পুনর্বার,
মধু-আলিঙ্গনে জড়িয়ে রাখো রাত্রির গুহায়।

এ রূপকথা নয় :প্রলয় কুমার বিশ্বাস


           
           

জ্বলছে দেখো মানচিত্র,  স্বপ্ন নয়গো সত্যি,
চিত্তের খাতা পুরো ভর্তি, বাদ নেই একরত্তি!
আগামীর যা কথা ছিল, সেসব আজ মিথ্যা,
বৃহস্পতি শৃঙ্খল বলেই, শুক্রাচার্যে দীক্ষা!
বাজনা বাজায় নিরো রাজা বন্ধ করে চোখ,
কুমির কান্না চোখে মুখে,  বিলাসিতায় ঝোঁক।

এ রূপকথা নয়,...
চরম বাস্তব।
চোখ খুলে জেগে দেখো একটিবার,
জীবনবিমা তেমনি আছে,
শূন্য ঘর, ফাঁকা চেয়ার!

            

সম্ভ্রান্ত বিশ্রামের শেষ লাইনগুলি : অভিজিৎ দাসকর্মকার



...নেভার আগেই
শরীরের রক্তকণার জীবনপ্রবাহ
শুষে নেয় ভারীজল
তখনও
চর্যাপদের এপারে সমবেত হচ্ছে
হলুদ স্তব্ধতা, আর-
খোলা চিঠির বাছাইকরা পদ্যটির পদধ্বনি-

গতবেলার গাঢ় জলীয় দ্রবণে
সম্মোহিত হয়
ভিজে যাওয়া অতিবেগুনী রশ্মি।
চিরশান্তির এবং দুশ্চিন্তার
অনুঘটকে মিশে আছে
নীলনদের জমাট বাঁধা
দ্বিতীয় কিনারা-

মাধুর্যহীন প্যারাগ্রাফের মাঝে
জিরো-আওয়ারের কৌতুহল,
অথবা -
সম্ভ্রান্ত বিশ্রামের শেষ লাইনগুলি
এখনও কী সঠিক ব্যালেন্সে দাঁড়িয়ে?

সব অভিমান ভুলে : মান্নুজা খাতুন (মালা)



চলো সব অভিমান ভুলে কল্লোলিনী তিলোত্তমার
জনজোয়ারের ভিড় ঠেলে এসপ্ল্যানেডের ধার বেয়ে
এক শান্ত প্রদোষবেলায় গঙ্গার তীরে।।

চলো পাশাপাশি বসি আরও একবার
সহস্র বছরের পুরানো ; সহস্র স্মৃতির সাক্ষী
বাঁধানো সেই অশ্বত্থের নীচে!
যার ডাল গুলো নুয়ে পড়ে ঠেকেছে মা গঙ্গার বুকে
যার কোটরে এখনও বাস করে
কয়েকশো পক্ষীযুগল ও তার পরিবার।।

চলো ভুলে গিয়ে সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব
আরও একবার আসি কাছাকাছি
দুহাতের মুঠোয় হাতপুরে ; ছলছল নেত্রে
চেয়ে থাকি একে-অপরের পানে  কিছুক্ষন;
করি বিচরনে আবেগের রাজ্যে।।

ভুলে গিয়ে সব অভিমান,   মুছে ফেলে সব দ্বিধাদ্বন্দ
চলো রচি  আরও একবার প্রেমের নিগড়।।
      

শুদ্ধিকরণ: সুমিত মোদক




জেগে উঠে প্রথম সকাল
তানসেনের সুরে ...
সম্রাট অশোকের রাজপ্রাসাদ
দূরে , বহু দূরে ...
#
তোমার মধ্যে সেই শিশুটি
জাগতে দেখি আবার ...
বিক্রমাদিত্যের সিংহাসনে বসতো যে বার বার , এবার ...
#
জল চেয়েছি , প্রাণ চেয়েছি ,
বাতাস চেয়েছি শুদ্ধ ...
তোমার সঙ্গে শুদ্ধিকরণে
আমরা ঐক্যবদ্ধ . .
#
মেলে দেবে সবুজ পাতা
বৃক্ষরাজি , নম্রতায় ...
চাণক্যর অর্থশাস্ত্রে ইলশেগুঁড়ি
বৃষ্টি আজি , সভ্যতায় ....