নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তব চুম্বন:- বিপ্লব গোস্বামী



সেদিন নীরবে নির্জনে দুজন
তৃষাতুরা চিত্তে তাপ দাহ ভীষণ।
অপলক দৃষ্টিতে কর পরশন
ঘন ঘন তপ্ত শ্বাস অঙ্গ শিহরণ।
লাজে রাঙা মুখ চন্দ্র,নত মস্তক
দীর্ঘ তপ্ত শ্বাস,হৃদপিণ্ডে ধক ধক।
কাঁপা কাঁপা তব শুষ্ক অধর
বসিলো মম ওষ্ঠে কেঁপে থর থর।
নিমীলিত আঁখি তব, স্তব্ধ হলো ক্ষণ
আজো ভুলিনি তব প্রথম চুম্বন।

পীরইতো :- অযান্ত্রিক



সময়ের চরিত্রগত অভয়ারন্য থেকে,নিয়ত সুগন্ধির ঘ্রাণ,
চারিদিকে সার বাঁধা স্তব আর আজানুলম্বিত করুনা
চাদরের উপরে কাঁচা টাকা দৃষ্টি জোড়া দয়াপ্রাথীর মুখ।
আজন্ম পাতা ভিক্ষার ঝুলি,মাটির সাথে মিলেছে দেহত্বতঃ,
ভুঁইফোড় বনস্পতির নীচে নিশ্চিন্ত শয়ান,
কবর নয় জাগ্রত চাঁদের চাদরে ঢাকা পীরের থান।।

মা -পাখি,বাবা পাখি শিখিয়েই ছাড়ে ,ছেলে পাখিকে উড়ান,
ভিড় ঠেলে ,বে-নামাজী মরদ মর্দানি দয়া ভীক্ষা চান।
কারো দাবীতে পেটের ব্যামোর দাওয়াই কেউ বা হেপকেশো,
সন্তান হয়নি যে বৌটার তাকে নাহয় তুমি স্বপ্ন দিযেই এসো।
কারো ছেলের পড়ায় নেই মন,তার দাবী মেধাবীর মাথা,
যার গলায় লাগে নাকো  ধারালো আলাপী সুর ,তার চাই সেটা।

শুনে শুনে কান ঝালাপালা, ফুলে উঠে রাগের চোরা স্রোত,
ভয় ভয় বেড়ে যায় ভক্তি ভরে ওঠে পাঁচ পোয়া সিন্নি মানত।
সন্ধ্যের ধুপ ধুনা জ্বলে যায় বৃথা,ফাঁকা চত্বর জুড়ে আঁধারের সেনা
ক্ষুদে এক রাঙা হাত তুলে নিয়ে মাটির প্রার্থনা ঘোড়া, খিলখিল হাসিতে
বলে “দু য়ো, দাদু দুয়ো, চাইলেও তুমি আমায় ধরতে পারবে না।।

বর্তমান:- শুভম চক্রবর্ত্তী




বর্তমানে ছুটছে কালি

আবল-তাবল কবিতা লেখা।

বর্তমান তো অনেক কিছুই

চাকরি নিয়ে চাকর হবার স্বপ্ন দেখা।।


বর্তমান উন্নয়নী

রাস্তা-ঘাটে, আর দান-ধ‍্যানে।

কদিন চলবে নির্বাকতা

দুহাত দিয়ে দান গ্ৰহনে।।


'বর্তমান' তো বর্তমানে

বর্তমানই শেষ কথা।

বর্তমানে প্রশ্ন ওঠে

এক্তিয়ার, আর ব‍্যক্তিগত স্বাধীনতা।।


বর্তমানে আমরা স্বাধীন,

তবু ভয় গিলছে সবার মত।

বর্তমান ভবিষ্যৎ- শূন্য

মরিচীকার মতো শূন্য সে পথ।।


এইযে তোমরা বর্তমানী

বর্তমানেই ডুবে আছো।

একটা কথা, অতীত দেখে

ভবিষ্যতে আবার বাঁচো।।


এদিক ওদিক না তাকিয়ে

উপযুক্তে ব‍্যালট ভরো।

পরিবর্তন আবার হবে

নিজের প্রতি ধৈর্য ধরো।।


অপেক্ষা করো তোমরা সবাই

ঝড় আসবে অতীত-রাজের।

গনতন্ত্র বুঝিয়ে দেবে

গনতন্ত্র-ই শুধুই কাজের।


বর্তমানে মত-বিভেদ

বর্তমানেই লোপাট যাবে।

অন্তরে ও বাহিরে সবাই

সাম‍্যতাকে খুঁজে পাবে।।

মন পুরাতন :-অনিন্দ্য পাল


এখন একুশ শতকের হিমবাহ গলে নেমে আসছে
এ শতাব্দীর শিশুরা ,তাদের গতিবিধি যন্ত্ররেখায়
এ প্রজন্মে হাতে খড়ি হয় মোবাইল স্ক্রিনে
শুভেচ্ছা, আশীর্বাদ আসে অশরীরী অনলাইনে।

এ প্রজন্মে ছায়া গলে গলে পড়ে এস এম এস বুকে
নিশাচর লক্ষ চোখ, টাচ্ মুখ জ্বলেপুড়ে ঘুম সিন্দুকে
পূর্বরাগ অভিমান কাঁদে বাইট সঙ্কেতে
যন্ত্র থেকে যন্ত্রে ছোটে প্রেম,লাইন পড়ে অ্যাপগুমটিতে
স্পর্শ ক'রে ছুঁড়ে দেওয়া স্মৃতির লেফাফা
কোথায় যে থিতু হবে, আলাস্কা বা নামডাফা
স্ক্রিন পঞ্জিকায় ভাসে নতুন মন্ত্র
'লাইফ ইজ অ্যা গেম ' শেখায় নেটওয়ার্ক তন্ত্র,

একুশ শতক ছোটে অজানা উৎসমুখে
এ প্রজন্ম চিন্তাহীন বাঁচে অ্যান্ড্রয়েড সুখে
তবুও যে সব মন এখনও ছিন্নমূল
নতুন রুমাল মুছবে তাদের, জন্মাবে গুগল,

এযুগে রোদ নেই,জানালা জুড়ে শুধু তথ্যের বিকিরণ
ঘুলঘুলি মরে গেলে বাতাসে ভেসে আসে কূটসমীকরণ
কাদা নেই ধুলো নেই বৈদ্যুতিন বিকেল
ছন্দনেই, কাব্যনেই, এ এক আবিশ্ব কারাগার-জেল ,

 এ প্রজন্মের মেরুদণ্ডে ছোটে বেতাল স্নায়ুঝড়
পুরোনো যা বেঁচে আছে, অর্বাচীন সব গড় ।

ব্যাথা দাও আগের মত:- কৃষ্ণ বর্মন



যদি তুমি কাছের বলেই ভাবো
তবে ব্যথা দাও না কেন আগের মত।
তোমার দেওয়া ব্যথাই তো মনে করায়
আমি কাছের তোমার খুব কাছের কেউ।
আজকাল ঠিক বুঝে পাই না
তুমি ব্যাথা দিতে ভুলে গেছো
না ব্যথা পেতে পেতে আমি ব্যথাকেই ভুলে গেছি।
তোমার দেওয়া কোনো ব্যথাকেই আজ ব্যথা বলে মনে হয় না।
কে জানে তুমি দূরে সরিয়ে দিলে
না আমিই সরে গেলাম দূরে।

ব্যথা পেতে পেতে এখন ব্যথার নেশারী হয়ে উঠেছি আমি
ব্যথাহীন সময়কে বড় দুঃসহ মনে হয়।
মনে হয় তুমি বুঝি সরে গেছো বহুদূরে
নির্বাসিত করে আমায় ব্যথার নিস্তরঙ্গ সমুদ্রে
অথবা ব্যথা দিতে দিতে তোমার অনুভূতিরা নির্বিষ হয়ে গেছে
তাই তাঁদের দংশনের চিহ্ন থাকলেও
ব্যথা নেই লেশমাত্র।

তোমার দেওয়া ব্যথাগুলো সযত্নে রেখেছি আজ
হৃদয়ের নিশ্চিদ্র প্রহরায়
স্মৃতির সমধুর সিন্দুকে,
মাঝে মাঝে খুলে দেখি তাঁদের
আর ব্যথাহীন বেদনা নিয়ে ভাবি
তুমি কি দূরে সরিয়ে দিলে
না আমিই সরে গেলাম দৃরে।

যদি তুমি আজও কাছের বলেই ভাবো
যদি আজও অনুভবে রাখো অবিরত
তবে যত দূরেই যাও না কেন সরে
আজও ভুলোনা দিতে ক্ষত
আপন বলেই ভাবো যদি
ব্যথা দাও আগের মত।

রাতের কুসুম রাতেই ঝড়ে যায় : অথৈ দেবনাথ ( রিনা )





স্বপ্ন দহন পারাবারে,
আমি রিক্ত শূন্য হস্তে ,,
শুধু আপনারে করেছিনু সমর্পণ।
জানিনে তৃপ্তকী তাতে তুমি ছিলে?
নাকি নিভৃতে  বারিধারায়
স্রোত এনেছিলে হৃদয় নীড়ে!
তারই বিরহী মন বীণার মর্মর ছন্দে...
 সবটুকু চাওয়ার অবগাহনে,
একান্ত নিবিষ্ট চিত্তে,,
মনের অবলকনে।
এঁকেছিলে দীর্ঘস্বাসের চিত্র,
দক্ষিণা মালয়ে,,
পরজনমে দেখা হবে প্রিয়,,
হেতায় রাতের কুসুম  রাতেই ঝড়ে যায়।🌷
ভালোনা বাসিতে হৃদয় শুকায় ।🌼