নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

দৃশ্যসংলাপ... কল্যানী



চেনা গন্ধের বীজে প্রকান্ড গাছের সংকেত খুঁজি এখোনো।
নীলচোখের দম্পতি যারা....
তাদের শাখাজুড়ে চেনা চেনা ফুলেদের আঁশ।
মাটির তলায় রোজ শিকড় ছড়ায়।
আর্দ্র শপথে তাই দৃশ্যেরা সারিদিয়ে আছে।
হলুদপাতা বিছানো পথ আর রোদেলাচাদর
 খামখেয়ালী হাওয়ায় উষ্ণতার ভ্রম।

একমুখ আলোনিয়ে এখোনো সেখানেই
আলোচুরির দায় নিয়ে দাঁড়িয়েছো...
যে আলোতে পুড়বো না আমি।

প্রেমস্নাত বিকেল..... রুদ্র সুশান্ত



কতো ভালো বাসলাম তোমায় কেমন করে বলি?
সবুজে সবুজে সবুজপত্র বিলিয়ে দিয়ে জানাবো- আমিও এসেছিলাম শিশিরের কোলাহল ছুঁয়ে।

কিরণে উধাও হলো শিশিরজল,  আমার দিকজুড়ে তখনো শিশিরস্নাত বর্ষা, তুমি এলেনা, বসলেনা, বাসলে না ভালো। উন্মুক্ত আহ্বানে ডাকলে না এই শিশিরধৌত সকালকে।

তবুও শিশিরবিন্দু কথা রেখেছে, সূর্যোদয়ে মিলিয়ে গেলো, ভোর পেরিয়ে সকাল, তারপর দুপুর হলো। ভালোবাসার একটি বাক্যও বিনিময় হয়নি আমাদের। 

এতো ভালোবাসা নিয়ে আজো অপেক্ষমান আছি, পথিক পথ পেরুলেই হয়তো তোমাকে পেয়ে যাবো, হে প্রিয় বিকেল। 

তোমার ভালোবাসায় আমার আড়মড়া ভাঙবে, এ প্রত্যাশায় রোজ তোমার অপেক্ষায় থাকি।
বিকেল আসবে, আমিও ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিবো।

রক্ত আমার মৃত্যমুখী কবি- সাম্যব্রত রায়



রক্ত আমার মৃত্যমুখী তোমার ক্লাসেই দিচ্ছে ফাঁকি
দিনের শেষে বৃষ্টি হলেই মনখারাপ!

সঙ্গী আমার চোখের জল, হাতরে হারাই জলের তল
কোন এককে মাপবে তুমি প্রেমের মাপ!

তিনটে পাখির ছোট্ট দল, আবার হব বন্ধু চল
আমাদের ওই দুরত্বটা কয়েকহাত!

রাতের পরে ছাইয়ের স্তূপ, কান্না শেষে সবাই চুপ।
 আমিও জানি, তুমিও জানো
 প্রেম নিছকই রক্তপাত।

বাচাল সময় ,, কবি - অযান্ত্রিক



মূর্খের বাচালতা শুনে আপন কিছু দিন করেছি পর,
কিছু নিন্দার দাম তোমাকেও নিতে হবে  সহিস,
 নামতে হবে মাটিতে ,রাখতে হবে ছিপটি মাটির উপর,
তবেই বুঝবে, প্রশংসা আসলে প্রাপ্য ছিলো নাকি বিষ।

আমার আয়ুনদীর স্রোত স্থিমিত,অধিকার বাড়ছে চরে,
দূর কে কাছের কাছে আনতে লাগছে টলমলে সাঁকো।
সহিস এই মূর্খতার কি দাম দেবে ,মৃত্যুর অনেক পরে,
এই অকালে কি নাম দেবে ভাবো, ভাবতেই থাকো।

চোখের নীচে মেঘ,কালো কিন্তু জলদগম্ভীর নয়,
সহিস তুমি কি সত্যিই বাগে আনতে পারো ঘোড়া,
নাকি আঘাতের ভয় দেখিয়ে বশ্যতা কোরো আদায়
মঞ্চে মঞ্চে বাচলের কীর্তন শুনে ,আর ভালো লাগে না।

হাতে হাতে প্রচার তাবীজ, মন্ত্রের মতো উচ্চারণে লোভ,
বিজ্ঞাপনে ডেকে আনে লোলুপ কদর্য ভিখারী বৃত্তি।
আমি সেরা আমি উত্তম বলে চিৎকার করে সব,
মূর্খের চিৎকারে ঘেন্না লাগে ,থুঁতু উঠে আসে,”সত্যি”।

অমলদার বাস্তবতা বিকাশ দাস (বিল্টু )




রক্তপ্রবাহ স্থিমিত;অলিন্দ -নিলয়ের সংঘাত, আড্রিনালিনের উর্ধ্বচাপ ;বিমূর্ত হয়ে জীবন দর্শন খুঁজি....

পাথরে -পাথরে ঠোকাঠুকিতে স্ফুলিঙ্গ হয় , এই স্ফুলিঙ্গই তো আগুনের জাত, হিসেব বোঝেনা  ;ভস্ম করে নিজেও স্থিমিত হয়....

হিংসা -বিদ্ধেশ , বিবেক -উপলব্ধি মানুষকে শেখায়- ভাবায়  ;মানুষে মানুষে সংঘাত হলে,প্রশ্ন থেকে যায়? বারুদ তো কৃত্রিম ;অকৃত্রিমতার দাবানল তো  দাউ দাউ করে......

উবাচ অমলদা।অলস দুপুরে সব সমীকরণের সমতা আনে, মাত্রা তুলে দিয়ে আলেয়ার ব্যাখ্যা দেয় -এই আলেয়ার রহস্যকে ভাবতে বলে, "সম্পর্ক "-"মাত্রিক" -কি'না?- জানতে চেয়ে কথার ইতি টানে......

স্তব্ধ দুপুরে ভাবতেই থাকি, সত্যিই বড়ই অদ্ভূত অমলদা !খুঁজে পেয়েছি সব উত্তর, রক্ত প্রবাহেরও মানে ;পাথর -মানুষের সম্পর্ক আর জীব -রসায়ন...

               

দেশ //অনিন্দ্য পাল



সময়ের তিক্ত ইতিহাস লুকিয়ে পড়েছিল
ক্যালেন্ডারের পিছনে
ঘৃণার পাঁচিল উঁচু হতে হতে এখন
ঢেকে ফেলেছে মেঘ

 তেতো কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে
অক্টোপাসের মত কালি ছোঁড়ে
গৃহী এবং সন্ন্যাসী

ফুটপাতে শুয়ে থাকা রিকেট শিশু
খিলখিলিয়ে হেসে উঠে পাগলী মা কে বলে
দেখ্ দেখ্ দোকানের টিভিতে
দুটো কাদা মাখা লোক কেমন সার্কাস দেখাচ্ছে!

পাগলী আকাশ দেখে তারপর হেসে উঠে বলে
যা চান করে আয়
ওরা কেউ চান করে না
সব নোংরা
সবাই নোংরা।